নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিপীড়িতের পক্ষে একজন

আবৃত্তি শিল্পী, অ্যাক্টিভিস্ট, আইটি প্রফেশনাল।

নিপীড়িত

নিপীড়িতের পক্ষে।

নিপীড়িত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের প্রবক্তা যীশু খ্রিস্ট

২৮ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

খুব সংক্ষেপে বললে, যে মতবাদের উপর ভিত্তি করে ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক করা হয় সেই মতবাদকেই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ বলে। বৃটিশ লেখক জর্জ জ্যাকব হলিওক ১৮৫১ সালে সর্বপ্রথম 'ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ' বা 'Secularism' শব্দটি ব্যবহার করলেও প্রায় দুই হাজার বছর আগে যীশু খ্রিস্ট এই ধারণাটি পৃথিবীর মানুষকে দেন।

মার্ক লিখিত সুসমাচারের ১২ অধ্যায়ের ১৩ থেকে ১৭ পদে লেখা আছেঃ

...পরে সেই ধর্ম-নেতারা যীশুকে তাঁর কথার ফাঁদে ধরবার জন্য কয়েকজন ফরীশী ও হেরোদীয়কে পাঠিয়ে দিলেন। তাঁরা যীশুর কাছে এসে বললেন, “গুরু, আমরা জানি আপনি একজন সৎ লোক। লোকে কি মনে করবে না করবে, তাতে আপনার কিছু যায় আসে না, কারণ আপনি কারও মুখ চেয়ে কিছু করেন না। আপনি সত্যভাবে ঈশ্বরের পথের বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। এখন আপনি বলুন, মোশির আইন-কানুন অনুসারে রোম-সম্রাটকে কি কর্‌ দেওয়া উচিত? আমরা তাঁকে কর্‌ দেব কি দেব না?” যীশু তাঁদের ভণ্ডামি বুঝতে পেরে বললেন, “আপনারা কেন আমাকে পরীক্ষা করছেন? আমাকে একটা দীনার এনে দেখান।” তাঁরা একটা দীনার আনলে পর যীশু তাঁদের জিজ্ঞাসা করলেন, “এর উপরে এই ছবি ও নাম কার?” তাঁরা বললেন, “রোম-সম্রাটের।” যীশু তাঁদের বললেন, “যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দিন, আর যা ঈশ্বরের তা ঈশ্বরকে দিন।” যীশুর এই কথায় তাঁরা আশ্চর্য হয়ে গেলেন।...

অর্থাৎ, "ধর্ম ধর্মের জায়গায়, আর রাষ্ট্র রাষ্ট্রের জায়গায়।" এই কথাটিই আজ থেকে প্রায় দুইহাজার বছর আগে বলে গিয়েছিলেন মহা দার্শনিক যীশু খ্রিস্ট।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫

পুলক ঢালী বলেছেন: সত্য কথা, খ্রীষ্ট ধর্মের একটা পরম্পরা বা আদিম যুগ থেকে উত্তরাধীকার আছে যা অন্য ধর্মে নেই। ইসলাম ধর্ম এই খ্রীষ্টিয় পরম্পরাকে স্বীকার করে নিয়েই চলছে কারন ইসলাম ধর্ম তৌরত, জব্বর, ঈন্জিল শরীফকে অস্বীকার করেনা কিন্তু সব বিধি বিধানও মানেনা। সেখানে বক্তব্য হচ্ছে ইসলাম ধর্ম পুরানা থেকে আরো স্পষ্ট এবং বিধি বিধান নূতন। আসলে বিষয় গুলি তর্কের। সবচেয়ে ভাল হলো নিজের ধর্ম নিজের কাছে । এই দর্শন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু এই দর্শন এখন আর নেই । মূল আদর্শ থেকে ক্ষমতাবানরা সরে গেছে তাই এত সমস্যা।

২৯ শে জুন, ২০১৬ রাত ১২:৪১

নিপীড়িত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। বিশেষ করে আপনার মন্তব্যের এই অংশটুকু খুব ভালো লাগলো, "সবচেয়ে ভাল হলো নিজের ধর্ম নিজের কাছে । এই দর্শন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জন। কিন্তু এই দর্শন এখন আর নেই । মূল আদর্শ থেকে ক্ষমতাবানরা সরে গেছে তাই এত সমস্যা।" তবে অন্য ধর্ম সম্পর্কে জানা এবং সেগুলি নিয়ে খোলামেলা আলোচনারও প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আপনি জানেন কিনা জানি না, ইসলাম ধর্মে যে অর্থে ইঞ্জিল শরীফের কথা বলা হয়েছে খ্রিস্ট ধর্মে কিন্তু তেমন কিছু নেই। অর্থাৎ, যীশুর উপর কোনো কিতাব নাজিল হয়েছে, এমনটা খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন না। বরং, যীশুর কিছু শিষ্যরা তাঁর কথা ও কাজের বর্ণনা করে যেসব পুস্তক রচনা করেছেন সেগুলির কিছু পরবর্তীতে বাইবেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

২| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

পুলক ঢালী বলেছেন: কোরান ছাড়া আর কোন কিতাব নাজেল হয়েছে কিনা জানা নেই, এটা ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস । ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে তর্কের কিছু নেই কারন এটা যুক্তি সঙ্গত হোক আর অযৌক্তিক হোক কিছুই যায় আসেনা । অনেকেই নিজের বিশ্বাসটা ঠিক এটা যুক্তি প্রদান করে প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে তর্কে লিপ্ত হয় এবং মাঝে মাঝে সেটা খুনোখুনীতে গিয়ে সমাপ্ত হয়। তাই উচিৎ প্রত্যেকের ধর্ম বিশ্বাসকে মর্যাদা দেওয়া কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে এই সহনশীলতার প্রচন্ড খরা চলছে। খ্রীষ্ট ধর্মের একটা পরম্পরা বা আদিম যুগ থেকে উত্তরাধীকার আছে যা অন্য ধর্মে নেই। আপনি আমার এই কথা হয়তো ঠিক বুঝতে পারেননি। খ্রীষ্ট ধর্মের গ্রন্থগুলি এই পরম্পরা থেকে রচিত হয়েছে এগুলো নাজেল হওয়া নয় । আরেকবার আমার পূর্বের কমেন্ট মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পারবেন।
ধন্যবাদ ভাল থাকুন।

৩০ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

নিপীড়িত বলেছেন: " খ্রীষ্ট ধর্মের একটা পরম্পরা বা আদিম যুগ থেকে উত্তরাধীকার আছে যা অন্য ধর্মে নেই।" এই সহজ কথাটি না বুঝার কোনো কারণ নেই। কিন্তু এর পরের লাইনেই আপনি বলেছেন "ইসলাম ধর্ম এই খ্রীষ্টিয় পরম্পরাকে স্বীকার করে নিয়েই চলছে ..." , তাই আমি দুটো ধর্ম বিশ্বাসের পার্থক্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম মাত্র। এখানে কোনো ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে তর্কও করা হয়নি আর কোনো ধর্মবিশ্বাসের পক্ষে কোনো যুক্তিও দেখানো হয়নি।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:১৭

পুলক ঢালী বলেছেন: হায়! ভুল বোঝার অবসান হচ্ছেনা, আমি দুঃখিত। ১। কোরান ছাড়া অন্য কোন কিতাব নাজেল হয়েছে এটা কি ইসলাম বলে? ২। খ্রীশ্চিয়ানদের বাইবেল নাজেল হয়েছে এটাও কি ইসলাম বলে? এই বাইবেলটাই ইঞ্জিল শরীফ, এর অনেক ঘটনাই একটু অন্য ভাবে কোরানে আছে, তাই বলেছি ইসলাম ইঞ্জিলকে অস্বীকার করেনা। আর ধর্ম বিষয়ক তর্কের কথা যেটা বলেছি সেটা হলো," সমাজে ঘটমান বিষয়" আমি বা আপনি ঐ কান্ড ঘটাচ্ছি তা বলিনি । আপনি কথাটা ব্যক্তগত ভাবে নেবেননা আশা করি।

০১ লা জুলাই, ২০১৬ রাত ১:৩৮

নিপীড়িত বলেছেন: ১। হ্যাঁ, কোরান ছাড়াও আরও কিতাব নাজিল হয়েছিল এটাই ইসলাম বলে। হযরত মুসা (আঃ)-এর উপর ‘তাওরাত’, হযরত দাউদ (আঃ)-এর উপর ‘জাবুর’, হযরত ঈসা (আঃ)-এর উপর ‘ঈঞ্জিল’ এবং হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর উপর ‘কোরআন’। কিন্তু একমাত্র কোরান ছাড়া আর কোনোটিই এখন অবিকৃত নেই ২। মুসলমানদের মতে বাইবেল হচ্ছে ইঞ্জিলের বিকৃত রূপ, অর্থাৎ, বাইবেল নাজিল হয়নি, নাজিল হয়েছিল ইঞ্জিল সেটাকে পরবর্তীতে হযরত ঈসা (আঃ)-এর অনুসারীরা (অর্থাৎ খ্রিস্টানরা) বিকৃত করে বাইবেল বানিয়েছে। ৩। কিন্তু, হযরত ঈসা (আঃ) বা যীশুর উপর কোন কিতাব নাজিল হয়েছিল এমনটা খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করেন না। বরং, যীশুর কিছু শিষ্যরা তাঁর কথা ও কাজের বর্ণনা করে যেসব পুস্তক রচনা করেছেন সেগুলির কিছু পরবর্তীতে বাইবেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বাইবেল মূলত অনেক গুলো পুস্তকের সমাহার। বেশীর ভাগ পুস্তকেই লেখকের নাম উল্লেখ আছে।
শেষ কথা হলো, বাইবেল আর ইঞ্জিল এক জিনিস নয়।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৫:১০

বিজন রয় বলেছেন: ভাল পোস্ট।
++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

নিপীড়িত বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.