নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন ভাল পাঠক।ব্লগ শিক্ষণীয় এবং ইনফরমেটিভ।তাই ব্লগ পড়ে আনন্দ পাই।প্রায় সবার লেখাই মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করি এবং মুগ্ধ হই।

নোয়াখাইল্ল্যা

আমার প্রায় সব লেখাই সংগৃহীত,পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত।

নোয়াখাইল্ল্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়াখালী কিছু প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

৩১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:০৩

প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব

মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার ওবায়েদ উল্যা




ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষে অবিভক্ত বাংলার প্রথম মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার ওবায়েদ উল্যা ১৮৭৬ সনে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানাধীন সল্লাঘটিয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুন্সি রমজান আলী এবং মাতার নাম জামিলা খাতুন। তিনি ১৯১০ সালে বরিশলাল জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, শিবপুর মাইনিং কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে বি.এসসি ডিগ্রী লাভ করেন।



শিক্ষা জীবন শেষে প্রথমে তিনি ভূপালে ভারতের সুপ্রসিদ্ধ শাতয়ালেস কোম্পানীতে চাকুরী নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। একজন খনিজ প্রকৌশলী হিসেবে সমগ্র ভারতবর্ষে তার সাফল্যের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। আল্লাহ পাক তার এমন প্রতিভা দিয়েছিলেন যে, তিনি মাটি পরীক্ষা করে বলে দিতে পারতেন কোথায় আছে কিসের খনি। তাঁর সাফল্যের সংবাদ শুনে ১৯১৯ সালের দিকে আফগান বাদশাহ আমানুল্লাহ তাঁকে উচ্চতর বেতন দিয়ে তার দেশে নিয়ে যান। সে সেদেশে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বাদশাহ আমানুল্লাহ সিংহাসন ত্যাগ করলে ১৯২৯ সালে ওবায়েদ উল্যাহ নোয়াখালী চলে আসেন।



নোয়াখালী ফিরে তিনি মেঘনার করাল গ্রাস থেকে মোঘল আমলের তৈরি নোয়াখালী পুরাতন শহরের স্থাপত্য নিদর্শন ও সরকারী বাস ভবন ইত্যাদি রক্ষার জন্য তৎকালীন বৃটিশ শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট একটি পরিকল্পনা দাখিল করেন। কিন্তূ ভারতের কেন্দ্রীয় প্রধান প্রকৌশলী স্যার এডওয়েস তাঁর প্রস্তাব বিবেচনা না করায় তিনি শূন্য হাতে শিমলা থেকে দেশে ফিরে আসেন। স্বীয় কর্ম পরিকল্পনার উপর পরিপূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস রেখে প্রায় ৫ সহশ্রাধিক শ্রমিককে মাটি ভরাটের কাজে লাগিয়ে ১৯৩০ সালের ৩০শে জানুয়ারি নদীতে বাঁধ দিয়ে এক অবিশ্বাস্য ঘটনার অবতারণা করেন, যা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মানুষের ইচ্ছে এবং ত্যাগের দ্বারা যে অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব তা দেখালেন মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার ওবায়েদ উল্যা। অবশ্য পরবর্তিতে তাঁর সেই বাঁধ প্রভাবশালী কুচক্রী মহল কেটে ফেললে নদীর উত্তাল স্রোতে শেষ পর্যন্ত নোয়াখালী শহর নদী ভাঙ্গনের স্বীকার হয়ে ১৯৪৯ সালে মাইজদীতে স্থানান্তরিত হয়। তবুও জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের চতুর্দিকে নির্মিত বর্তমান যে বেড়ি বাঁধের উপকারিতা পাওয়া যাচ্ছে তা মরহুম ওবায়েদ উল্যা ইঞ্জিনিয়ার সাহেবেরই অবদান।



বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার আশীর্বাদ ক্ষণজন্মা এ মহাপুরতষ নোয়াখালী পৌর সভার চেয়ারম্যান এবং জিলা বোর্ডের সদস্যও ছিলেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৬০ বৎসর বয়সে ইন্তেকাল করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.