নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যা তা বলি

জি এম আকাশ

আমি গ্রামের কৃষকের সন্তান হঠাৎ পথ ভুলে তোমাদের মাঝে আসা।

জি এম আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“বই পড়া কর্মসূচী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র”

০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০০

বই পড়া কর্মসূচী ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র”



গেল ৭ই মার্চ ছিল বিশ্ব বই দিবস।আমার বই পড়া শুরু হয় সেই প্রাথমিক স্কুল হতে।যে কোন ধরনের বই পড়তাম গোগ্রাসে। তখন রাজশাহী সিটি কলেজে HSC তে পড়ি। কলেজ লাইব্রেরী তখন বন্ধ থাকত। তো বই পড়ার এক মাত্র উপাই ছিল সোনা দিঘী পাবলিক লাইব্রেরী, মিয়া পাড়ার রাজশাহীর সবচেয়ে পুরাতন লাইব্রেরী( নামটা মনে করতে পারছিনা) তালাইমারি পদ্মা লাইব্রেরী ও মাদ্রাসা স্কুলের পেছনে সাহমুখদুম লাইব্রেরী ও আর একটা ছিল মেডিকেল সামনে রাজশাহী পাবলিক লাইব্রেরী । কিন্তু এই সব লাইব্রেরীতে বই পড়তে সদস্য হতে হত। আমি কেবল পদ্মা ও বরেন্দ্র কলেজের ওখান কার লাইব্রেরীর সদস্য ছিলাম( নামটা মনে করতে পারছিনা) । এই সব লাইব্রেরীতে পেতাম সব পুরাতন লেখকদের বই ও কিছু আধুনিক কালের লেখকদের বই। পড়তে চাইতাম হুমায়ূন, জাফর, সুনীল, মিলন, হক, নিষাদ,............ ইত্যাদি লেখকের বই কিন্তু পেতাম বিমল, শরত, সুনীল, বঙ্কিম, যহির, ইমদাদুল, বসু, ................................................ ইত্যাদির বই। এমন সময় বিশ্ব সাহিত্যের একটা প্রেস নোট পেলাম আমাদের কলেজ এর দেয়ালে: সেটি ছিল বিশ্ব সাহিত্যের “বই পড়ার কর্ম সূচী”।

রাজশাহীতে বিশ্ব সাহিত্যের সংগঠক ছিলেন “সাপ্তাহিক দুনিয়া” পত্রিকার সম্পাদক। উনার নামটাও আমার মনে নেই। একমাসে আমাদের ১০-১২ টি বই পড়তে হবে এবং সেই পড়া বই গুলির ভাল লাগা বিশেষ লাইন গুলি লিখে আনতে হত একটি খাতায়। প্রতি শুক্রবার সাহেব বাজারের বর্তমান গ্রামীণ পোশাক সেন্টারে ( হার্ডওয়্যার পট্টির দিকে যাবার ও ছেন্ডেল পট্টি হতে আসবার রাস্তার কোনায় রাজশাহীর বিখ্যাত পানির ঢোপ কলের পাশের বিল্ডিং এ ২য় তলায়) বসত পাঠচক্র, ১৫-২০ জন পাঠক ছিলাম আমরা তখন। শুক্রবারের এই পাঠচক্র ছিল সে সময় আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন।পাঠচক্রে বই সম্পর্কে আলোচনা , গান গাওয়া, কবিতা আবৃতি, মুক্ত আলোচনা সহ হরেক বিষয়ে আলোচনা হত ।আর বিশেষ মনে পড়ে শেষের দিকে নাটরের উত্তরা গণভবন ও পুঠিয়া রাজবাড়ি ভ্রমণ।আর সাপ্তাহিক দুনিয়াতে আমাদের লিখা বিভিন্ন বিষয়ে ছাপা আর্টিকেল।

একমাস পর আমাদের বই পড়া শেষ এর পর নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজে পড়া বই এর MCQ টেস্ট দিয়ে, আমাদের প্রথম ব্যাচের বই পড়া কর্ম সূচির সমাপ্তি। ১৫-২০ দিন পর আমাদের পুরুষকার বিতরণী। আর এতদিন শুনে আসা বিশ্ব সাহিত্যের পুরোধা পুরুষ আবদুল্লা আবু সাইদ সার এর আগমন রাজশাহীতে এবং তার হাত হতে সাটেফিকেট নেবার আনন্দ। সেদিন খুব আনন্দের সঙ্গে গেছি নিউ গভঃ ডিগ্রি কলেজে অডিওটারে-মে কিন্তু শুনলাম তিনি কি যেন কাজে আটকে পড়ার কারণে আসতে পারেননি। মনটা বেশ খারাপ হলেও কি আর করা। শেষ পর্যন্ত ৩ টি বই ও সাটেফিকেট নিলাম আমাদের সেই সময় কার কিংবদন্তি জব্দুল হক সারের কাছ হতে।

বিঃদ্রঃ পরে ঢাকায় এসে বিশ্ব সাহিত্যের মুল ভবনে( বাংলা মটর) বেশ কবার গেছি আবদুল্লা আবু সাইদ সার এর সঙ্গে সামনা সামনি দেখা করতে। কিন্তু একবারও তার দেখা পাইনি। সার সে সময় রাজশাহীতে যাননি, এর পর বেশ কবার গেছি আপনাকে দেখার লোভে, কিন্তু আফছুস একবারও দেখা পায়নি আপনার।

>>এই মানুষ টার প্রতি এত ভালবাসা আমার জন্মে যখন শুনছিলাম যে, তিনি বেশি ছাত্রকে পড়াবেন বলে ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে যোগ না দিয়ে কলেজে যোগ দান করেন।

গোলাম মাওলা, রাজশাহী, সাধুর মোড়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.