নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যা তা বলি

জি এম আকাশ

আমি গ্রামের কৃষকের সন্তান হঠাৎ পথ ভুলে তোমাদের মাঝে আসা।

জি এম আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“একটি নয় ৩৬৫ দিন হক মা দের”

১২ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩

“একটি নয় ৩৬৫ দিন হক মা দের”

অবাক করার মত একটা বিষয়। আমরা আমাদের জাতীয় দিবস, ভাষা দিবস, সহ অন্যান্য যে কোন দিবস গুলি খুব ঘটা করে পালন করি। এই সব দিবসে আমরা যখন যা প্রয়োজন তা সাজতে বা ভাঁড়ামি করতে একেবারে ওস্তাদ। যেমন ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার গুন গান স্তুতি আর মুক্তিযোদ্ধা দের গুন গান গেয়ে , টকশো বা অনুষ্ঠান এ মুখে ফেনা তোলার মত অবস্থা হয় আমাদের। ভাষা দিবসে ভাষা সৈনিক দের গুন গান গেয়ে অস্থির। কপালে গায়ে মুখে চোখে বর্ণ মালা এঁকে শহীদ বেদীতে সকাল বেলা ফুল দিতে যাওয়া সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মাতৃভাষার গুন গান গাওয়ার ভাঁড়ামি বেশ ভালয় চালায় আমরা। সে রকম ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে বিজয়ের গান, ফাকিস্তানি হানাদার, রাজাকার, আলবদর সহ বিভিন্ন দেশ বিদ্রোহীদের তুলা ধুনা সহ দেশ প্রেমের অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করতে আমাদের মত আর কারও জুড়ি নেই। এই তো গেল পহেলা বৈশাখে বাঙ্গালি সাজার কি নিদারুণ চেষ্টায় আমরা কত কিছুই না করলাম। ঠিক আছে মানলাম এগুলি আমাদের জাতীয় দিবস, আমাদের সংস্কৃতি ঘরনা দিবস।

কিন্তু মা, বাবা, চাচা, খালা....................................... দিবস গুলি তো আমাদের না, এগুলি পশ্চিমা সংস্কৃতির অবক্ষয় ও পারিবারিক বন্ধন শিথিলতার চিত্র,পুংটাপনার প্রকাশ । তবে এই অবক্ষয় এর পিছনে আমরা কেন দৌড় ঝাপ, এই নিয়ে মত্ত। পশ্চিমা সংস্কৃতির যা পাই আমরা হাভাতের গিলি। আমি বলছিনা পশ্চিমাদের সব কিছু খারাপ। আরে ভাই, গ্রহণের আগে খোঁজ নিয়ে দেখ না এর ইতিহাসটা কি? যেমন এপ্রিল ফুল, এটি মুসলিমদের আজইরা বাঁশ দেবার ইতিহাস। ও আমরাও কি আনন্দের সঙ্গে পালন করছি তা।

আরে ভাই, পশ্চিমা সংস্কৃতির ভাল গুলি গ্রহণ কর না কেন? যেমন উদাহরণ দেওয়া যায়:

১। ওদের দেশে ডলার/ ইউরো ভর্তি অর্থ থলে ( মানি ব্যাগ) হারিয়ে গেলে, যদি আপনার ঠিকানা থাকে ওর ভিতরে, ১০০% সেটি আপনি ফেরত পাবেন।

১। হায় আমরা মসজিদে নামাজ পড়তে জেয়ে অন্যের জুতো চুরি করে ভাগি। এর টাকা ভর্তি থলে............।

এরকম হাজারটা উধাহরন খুঁজে পাব আমরা। যেগুলি পশ্চিমাদের নিকটে হতে আমরা শিখতে এবং তাদের কাছ হতে আমরা গ্রহণ করতে পারি। ( আমাদের ইসলাম ধর্মের এই সব অনেক ভাল শিক্ষা তারা গ্রহণ করেছে, মাগার আমরা আজকাল শুধু নাম ধারি ডক ডক সিজদা ধারিতে পরিণত হয়েছি)

এবার দেখি মা, খালা বাবা, চাচা দিবস পালনে পশ্চিমাদের পিছনের কাহিনী। এতে যদি আমাদের একটু হুস হয়। হবেনা ১০০%, তবুও চেষ্টা করছি ১-২ টা পোলাপান যদি এই সব হাভতি দিবসে শুধু মা- বাবাদের I LOVE YOU...... or.......... or............. না বলে প্রত্যেক দিন বলে প্রত্যেক সময় অনুভব করে। YES, I LOVE MY MOTHER.............. OR................OR..............

কাহিনী: এই ভণ্ড মানবতার ধারক বাহক পশ্চিমারা বৃদ্ধ মা বাবা কে বোঝা মনে করে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দিয়েয় তাদের দায়িত্ব খালাস করে। যে বছরের পর বছর তাদের আর খোঁজ নেয় না। তো এই সমস্যার সমাধানে (তাদের বুদ্ধি জীবীরা বের করল) বছরে অন্তত একবার তাদের ছেলে মেয়েদের সঙ্গ দানের এই কূট বুদ্ধি বিভিন্ন চাচা খালু দিবস।

সারা বছর মায়ের কোনও খোঁজখবর নেই। তখন তারা মায়ের জন্য একটি দিন বেঁছে নিয়েছে । সে দিনটির নাম দিয়েছে '”মা” দিবস্ অর্থাৎ বছরের একটি দিন মায়ের জন্য রাখা হবে।

কিন্তু আমরা যারা মুসলিম তাদের মায়েদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায়্না,আমরা তো আমাদের মাকে পরিবারের অন্তর্ভুক্ত রাখি।আমরা তো আমাদের মাকে প্রত্যেক মহুর্তে ভালোবাসি।দুঃখজনক হলেও সত্য পশ্চিমা দেশ গুলোর মত আজ আমাদের দেশে অনেক পশ্চিমা দেশ গুলির মত জনপ্রিয় না হলেও অনেক গুলিই আমাদের অগোচরে গড়ে উঠেছে বৃদ্ধাশ্রম যা খুব কষ্টের।

মরাল: মাতার পায়ের নীচে বেহেস্ত। এই সত্য বাণী যারা মানেন, আজ আমাদের কাছের কারো বাবা মা যদি বৃদ্ধাশ্রমে থাকে আজই যান ভাই। নিয়ে আসুন, দুটি ডাল ভাত, যা দিবেন এতেই তাঁরা খুশী।

>> বউ গেলে বউ পাবে মা গেলে আর পাবেনা। এই যে সব মা বাবা আজ বৃদ্ধাশ্রমে তার প্রধান কারণ, পাজী বদ , খাটাশ বউ- আর বোকা, রাম পাঁঠা, গাধা, (মনে পড়ছেন ১০০০ টা গালি) ছেলে। ভাই রে বৃদ্ধা কিন্তু তুমিও হবা, তোমার বউ ও হবে। কিন্তু ওটি তো তোমার বাবা মা।

সবশেষে নচিকেতার কাল জয়ী গান দিয়ে শেষ করছি যদিও তোমাদের একটু হুশ হয়।

ছেলে আমার মস্ত বড়

মস্ত অফিসার.........।।

........................।।

১০০ বছর...............।

গোলাম মাওলা, বাসাবো, ঢাকা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.