নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি যা তা বলি

জি এম আকাশ

আমি গ্রামের কৃষকের সন্তান হঠাৎ পথ ভুলে তোমাদের মাঝে আসা।

জি এম আকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ডাল এর কারিশমা”

২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:২০

“ডাল এর কারিশমা”

(সকলে পড়বেন কারণ খুব গুরুত্বপূর্ণ)



এই ডাল সেই ডাল সেই ডাল নারে ভাই। এই ডাল আমাদের কিছু যুবক-যুবতীর প্রিয় পানিয় ফেন্সিডিল। প্রাথমিক অবস্থায় যাকে সকলে কাশির ঔষধ হিসেবে সেবন করত। পরে এটি একটি নেশার প্রিয় দ্রব্যে পরিণত হয়েছে। আর সেই সময় থেকেই একে বিভিন্ন উপভাষায় সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। আর সবচেয়ে প্রিয় নাম হল “ডাল”, কেও বা সুন্দরী, কেও বা ফেন্সি, কেও বা জিনিস, কেও বা সিরাপ, কেও বা ...... মনে পড়ছে না। আপনারা জানলে কমেন্ট করুন।



৭-৮ বছর আগে আমার মামাতো ভাই এর বাসায় এক ছিপি খেয়েছিলাম,কি রকম বাজে ঔষধের গন্ধ।





( ওরা আবার কাশির ঔষধ হিসেবে খাচ্ছিল, আর কৌতূহল মিটাতে ঐ এক ছিপিই শেষ। আর সেই থেকে আমাদের এলাকায় আজ পর্যন্ত এই মাল খুব পাওয়া যায়। তখন দাম ছিল ৩০-৫০ টাকা, আজ কাল দাম প্রায় ১৫০-৩০০ টাকা। আমাদের এলাকা ভারতের খুব কাছে হওয়ায় এর ব্যবসা রমরমা। আর এর পিছনে শালা হারামি যুবলীগের কিছু নেতার হাত রয়েছে।আমাদের মাননীয় এ ম পি কে বার বার বলেও কিছু ফল পাওয়া যায়নি। শুধু সপ্তাহে একবার পুলিশ টহল ছাড়া। ঐ শালারা কোন ব্যবসায়ীকে ধরলে টাকা খেয়ে দেয় ছেড়ে। আমাদের নওগাঁ জেলার পত্নীতলা ও ধামইর হাট থানার নিরমিল, সিহারা ও আগ্রা দ্বিগুণ ইউনিয়নের কিছু বিশেষ এলাকায় প্রকাশ্যে বিক্রয় হয় এই রহস্যময় সুন্দরী। আর যুব সমাজ হতে শুরু করে অনেক লোক এর নেশার সুরে মত্ত। আমাদের গ্রামেও ২-৩ জন এই ব্যবসায় জড়িত। ৪-৫ বার ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মাগার টাকা দিয়ে আবার বের হয়ে এসেছে। এসে আবার ঐ ব্যবসা। কারণ লাভ যে মেলা রে ভাই। একটা বোতল ওরা কিনে... ১০০ টাকা করে, বিক্রয় করে ১৫০-৩০০ টাকা পর্যন্ত। তো এই লাভের জন্য অনেকে এই ব্যবসায় জড়িত। আর সীমান্ত বাহিনীকে নাম মাত্র মাসহারা দিতে হয়। এই ব্যবসায়ীরা রাতে চলে যায় সীমান্তে, ঐ পার হতে চালান নিয়ে আসে ঐ পারের ব্যবসায়ীরা। টাকা ও মাল হাত বদল হয় দ্রুত। যদি কখন ধরা খায় BGB এর হাতে, তাহলে নাম মাত্র টাকা দিয়ে পার পেয়ে যায় তারা। এর পর রাতের মধ্যে চালান পৌঁছে যায় তাদের গোপন ডেরায়। আর আমাদের এলাকায় এই সব ব্যবসায়ীদের নাম্বার আছে খোরদের কাছে। ওরা ফোন করে বলে অমুক যায়গায় এস। ব্যাস ব্যবসায়ী মাল নিয়ে রেডি, মক্কেল মটর সাইকেল নিয়ে একটু দাড়ায় ঐ লোকের কাছে, মহুরতেয় মটর সাইকেলের ওপর হতেই হাত বদল মাল। মটর সাইকেলেই খেয়ে খালি বোতল রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে ভাল ছেলের মত আবার ফিরে যায় বাড়িতে। কোন রকম ঝামেলা নায় ধরা পড়ার। আমাদের সাপাহার থেকে আগ্রা দ্বিগুণ যেতে রাস্তার দুই পাশে খুঁজে দেখলে হাজার হাজার বোতল পাওয়া যাবে ফেন্সিডিলের)।



আজ এ লিখা লিখার কারণ হল: আমি বাসাবো যে বাড়িতে থাকি তার পরের বাড়ি হল সবুজ বাগ থানা। দুই বাড়ির মাঝে শুধু একটা ওয়াল। এ ওয়াল এর এই পার বেশ একটু ফাঁকা জায়গা। যেখানে আমরা কাপড় শুকাইতে দেয়। আজ সকালে ব্রাশ করতে ওখানে যেতেয় ওখানে দেখলাম এই ডাল এর একটা বোতল। প্লাস্টিকের বোতলে লেবেল আটা। বেশ অবাক হলাম হয় শালা পুলিশের কোন সদস্য নতুবা আমার উপরে থাকা ভারাটিয়ে কেও। তবে আমি ১০০% শিওর এটি পুলিশের কাজ। কারণ আমাদের বাড়িটি এর মালিক ডেভলাপার দের দিয়ে দিয়েছে। আড় ২ মাস থাকতে পারব। তো উপরের সকল ভারাটিয়ে চলে গেছে। তবে পাশের ভারাটিয়েরা আছে। ওদের মাঝে যুবক কেও নাই। সুতরাং এটি এই থানার পুলিশের কাণ্ড।

বোতলের গায়ে লিখা

PHENSEDYL

NEW

COUGH

LINCTUS

100ml

NOW IN PET BOTTLE

Manufactured by

Abbott Healthcare Pvt.Ltd

Village Bhatauli Khurd

P.O. Badoi-173 205.

Dist.Solan

Himacha Praddesh. India

( Earlier Prodeacts of Piramal Healthcare Limited)

Mfg.Lic.No. MNB/06/295

RS :

Batch No : PHB3140

Mfd. : Apr.13

Exp. : Mar.15

তার মানে বোতলটি ২ মাস আগে ভারতে তৈরি।

###বিশেষ কিছু কথা: আমাদের প্রাণ প্রিয় বন্ধু দেশে PHENSEDYL লাইসেন্স দিয়ে উৎপাদন করতে পারলে আমাদের সমস্যা কয়। প্রতি বছর এত গুলি টাকা কেন আমরা হুদায় ভারতে দিচ্ছি। আমরায় তো এর উৎপাদন করতে পারি। যেহেতু এর চাহিদা আমাদের দেশে বেশ।

@@@@আর আমার প্রশ্ন ভারতে কি সত্যি কেও খায় এই PHENSEDYL । না তাদের ডাঃ রা এটির প্রিসকেপশন করে এটির?

না তারা আমাদের বাংলাদেশের তরুণদের টার্গেট করে এটির উৎপাদন করে?

ভারতে যদি কেও না খায় তাহলে তারা এটির উৎপাদন কেন করছে?

এটিই কি তাদের আমাদের প্রতি বন্ধুত্বের নিদর্শন?

প্রশ্ন গুলির উত্তর যানা খুব প্রয়োজন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.