![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবি হে “ভালো আছি ভালো থেকো”
আমি যার পার নাই হতাশ। গত ২১ জুন তারিখে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল। মনে করেছিলাম আপনারা কবিতা প্রেমিক কেও না কেও কবিকে নিয়ে কিছু লিখবেন। কিন্তু হতাশ হয়ে দেখলাম কেও এক কলমও লিখলনা। তাই আজ কবির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিয়ে পেশ করলাম এই লিখা:
কবি হে
কবি হে জন্মেছিলে ক্ষণ জন্মা হয়ে
তাতে কি ?
তুমি যা দিয়েছ মোদের
ভুলবনা মোরা সারাটি জীবন।
কি ছিল তোমার লিখনিতে
প্রেমে পড়েছিল আপামর
জনতা যে।
তুমি হারিয়ে গেছ অজানায়
তাতে কি?
তোমার লিখনির মাঝে
থাকবে তুমি বেঁচে
কবিতা প্রেমীদের হৃদয়ে।
কবি হে
তোমার লিখা পড়লে
এখনো প্রেমে পড়তে
ইচ্ছে করে
নাম না যানা কোন তরুণী প্রেমে।
তায় ছোট এই শ্রদ্ধার্ঘ
তোমার প্রতি
এই কবিতা প্রেমীর।
কবি সম্পর্কে: ২১ জুন সত্তর দশকের অন্যতম দ্রোহী ও রোমান্টিক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯১ সালের এই দিনে তারুণ্য দীপ্ত ও সংগ্রামের কবি মাত্র ৩৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।
মাটি ও মানুষের প্রতি আমূল দায়বদ্ধ এই কবির শিল্প মগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি’র স্বীকৃতি। অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্প ভাষ্য।
দেশপ্রেম ও স্বজাত্য মমত্ববোধে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির ক্লান্তি লগ্নে ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন- ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’।
যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাঁকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা।
মাত্র ৩৪ বছরের স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন।
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মংলার মিঠে খালিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি ও স্মরণ সভার আয়োজন করেছিল।
©somewhere in net ltd.