নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানা ও জানানোর জন্যই বেচে থাকা। জীবন তো শুধুই কিছু মুহূর্তের সমষ্টি।
মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র চোখ বোলালে দুটি বড় নদী দেখতে পাবে - ইউফ্রেটিস ও টাইগ্রিস। দুটো নদীর উৎপত্তিই তুরস্ক থেকে, এক সঙ্গে দক্ষিনপূর্ব হয়ে ইরাকের দিকে বয়ে চলেছে। কুরনায় এসে এরা এক হয়ে মিশে যে নদীর সৃষ্টি করেছে তার নাম শাত-আল-আরব।
দুই নদীর নিম্ন প্রান্তের মাঝখানে সমভুমি এক সময় পরিচিতি ছিল মেসোপটেমিয়া নামে। এটি গ্রীক শব্দ। অর্থ "দুই নদীর মাঝখানে"। এ অঞ্চলটি খুবই উর্বর। এখানে উত্তর-পশ্চিম ভারত থেকে কালো শরীরের ভারতীয়রা এসে আস্তানা গড়েছিল। নিজেদেরকে তারা পরিচয় দিত "কালো মাথার মানুষ" বা সুমেরের লোক বলে। এদেরকে আমরা বলব সুমেরিয়ান বা সুমের। পৃথিবীতে তারাই প্রথম সভ্য মানুষ বলে বিবেচিত। এরা লেখার আকৃতিতে কিছু রেকর্ড রেখে গেছে।
সুমেরিয়ানরা সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ বছরেরও আগে মেসোপটেমিয়ার সমভুতিতে আসতে শুরু করে। এরা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে জানতো, নানা ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি তৈরিও করেছে। তারা ছিল ছিল দক্ষ কৃষক, মেসোপটেমিয়ার উর্বর মাটিতে দক্ষতার সাথে চাষাবাদ করত। খুব দ্রুতই তারা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত দিয়ে তাদের অদক্ষ প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু করে।
সুমেরিয়রা চাষাবাদের পাশাপাশি দালান-কোঠা নির্মাণেও ছিল পটু। মেসোপটেমিয়ায় দালান তৈরি করার জন্য প্রাকৃতিক পাথর এবং কাঠের অভাব ছিল যথেষ্ট। তখন তারা নদীর তীর থেকে মাটি তুলে এনে ব্লক করে তা সূর্যের তাপে শুকিয়ে ইট বানিয়ে শুরুতে তারা দুই/তিন কক্ষ বিশিষ্ট ঘর বানাত। পরে সমৃদ্ধি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তারা বড় বড় বাড়ি নির্মাণ শুরু করে। কোন কোন বাড়ি ছিল দোতলা, শান বাধানো উঠানের ঐ বাড়িতে ছোট ছোট ঘর থাকত। শিগ্রি তারা আবিস্কার করে কিছু দূরের বসতিতে প্রাকৃতিক পাথর পাওয়া যায়। তখন উদ্বৃত্ত ফসলের বিনিময় পাথর আনা শুরু করে সুমেরিয়ানরা। তাদের বড় বড় অনেক দালানকোঠাই ছিল ইট পাথরের তৈরি।
কিছুদিনের মধ্যে সুমেররা কুমোরের চাক আবিস্কার করে ফেলে, ফলে এর সাহায্যে নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র যেমন বাটি, গামলা, প্লেট, কাপ, জগ ইত্যাদি তৈরি করা সহজ হয়ে যায়। তারা তৈজসপত্র যেমন চমৎকার ডিজাইন করত, আকারেও থাকত বৈচিত্র্য। তারা জানতো কিভাবে ভাস্কর্য তৈরি করা যায়। তামা, ব্রোঞ্জ ও সোনার ব্যাবহারও তাদের অজানা ছিল না।
সুমেরিয়ানরা নলখাগড়া দিয়ে ছোট ছোট নৌকা বানাত, ছই থাকত পশুর চামড়ার। এ ধরণের নৌকা তৈরি তাদের উন্নয়নের প্রমান তুলে ধরে, নৌকা চড়ে তারা টাইগ্রিসের এক তীর থেকে অপর তীরে যেত কিংবা ইউফ্রেটিসের এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। এভাবে প্রতিবেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলত। অন্যভাবে বলা যায় সুমেরিয়ানরা যোগাযোগের নতুন পদ্ধতি আবিস্কার করে যা ছিল সভ্যতার বিরাট একটি ধাপ। ছোট ছোট উপনিবেশগুলো সাথে যোগাযোগের ফলে পরবর্তীতে বড় বড় শহরের সৃষ্টি হয়। আর সুমেরদের এই নগরকেন্দ্রিক অংশগ্রহন ছিল সুবিশাল। এ সময়কালের শুরু প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ বছর আগে, এর ব্যাপ্তি ছিল প্রায় দেড় হাজার বছর।
গত কয়েক শতকে নৃতত্ত্ববিদরা মেসোপটেমিয়ায় খোঁড়াখুঁড়ি করে দারুন সব জিনিস আবিষ্কার করেছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল উর নামে একটি সুমেরিয়ান শহরের ধ্বংসাবশেষ। অন্যান্য শহর যেমন ইরেক, ফিশ, ইরিদু ও লাগাশ- এর কাহিনী বয়ান করলেই সুমেরিয়ান ইতিহাস সম্পর্কে মোটামুটি একটা ধারনা মিলবে। পরবর্তী পর্বে আরও বিস্তারিত আলোচনা হবে
তথ্যসুত্রঃ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড - সামারসেট ফ্রাই
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬
মামুন রশিদ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট । চালিয়ে যান ।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ
ভালো থাকবেন নিরন্তর।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
দরবেশমুসাফির বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট।
সুমেরিয়ানদের গণনা পদ্ধতি ছিল ৬ ভিত্তিক। যা আমরা এখনও ব্যবহার করি সময়ের গননায়।
( ৬০ সেকেন্ড = ১ মিনিট, ৬০ মিনিট = ১ ঘণ্টা )
২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২২
জিএমফাহিম বলেছেন: বাহ !! এটা জানতাম না। ধন্যবাদ তথ্যটি শেয়ার করার জন্য। আগামী পর্বে কিছু বোনাস পয়েন্ট থাকবে। সেখানে সেটাও যোগ করে দিব।
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩১
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনবদ্য পোস্ট। ভালোলাগা রইলো।
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৬
মুদ্দাকির বলেছেন: পরেরটার অপেক্ষায়
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২০
রাসেল বলেছেন: thanks for your writting