নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কারো কাছে নেই কোন অভিমানের দেনাপাওনা, নেই কোন কষ্টের হিসাব, তবুও লুকিয়ে থাকা হাহাকার পরম যতনে আগলে রাখি-- প্রথম পাওয়া চিঠির মত, আমি এই রকমই বন্ধু ।

জিএম হারুন -অর -রশিদ

আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম

জিএম হারুন -অর -রশিদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনটাকে সহ্য করে বেঁচে আছি

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৬


এই পড়তি বেলার আয়নায় নিজেকেই ‌অস্পষ্ট দেখি এক ‘পড়তি চোখে’।
চশমা হলে কাছের সব কিছুই ঠিকঠাক,
খালি চোখে শুধুই দূরের জিনিস খুব স্পষ্ট দেখি আজকাল!

আজ এই পড়তি বেলায় মুখে কথা কম বলি,
সব চিৎকার শব্দহীন থাকে শুধুই বুকে।

মানিয়ে নিই, সব মানিয়ে নিই।

-ভালোবাসা আর অবহেলাকে মানিয়ে এক ঘরেই রাখি,
স্বপ্ন আর দুঃস্বপ্নকে বন্ধুর মতো বসিয়ে দেই গল্প করতে।
পাওয়া না-পাওয়ার আক্ষেপ প্রতিদিনই তুলে রাখি আলমারিতে।
বিশ্বাস আর প্রতারণার রঙের পার্থক্য এখন আর চোখে ধরা পরেনা।

পড়তি বেলায় আনমনে শুধু দূর আকাশে তাকালেই স্পষ্ট দেখি,
-সেখানে আমার রংবেরঙের হাহাকার ভাসছে।
আমি সেই হাহাকারগুলো চিনে ফেলি অনায়াসে

শিশুবেলার
-একটা লাল চকলেট, কুলফি আইসক্রীম কিংবা খেলনা গাড়ির হাহাকার।

বালকবেলার
-একটা সাইকেল,
ঈদে নতুন একটা শার্ট অথবা টাকার অভাবে হেটে হেটে প্রতিদিন স্কুলে যাবার হাহাকার,
অথচ তখন প্রায় সব বন্ধুরা রিকশা অথবা গাড়িতে চড়ে স্কুলে আসতো।

কিশোরবেলায়
- ‘ভাড়াটিয়া’ বলে অনেকবার গালি শুনেছিলাম,
এমনকি এক প্রিয় কিশোরির কাছেও, সেই অস্পৃশ্যতার গোপন অপমান।
টাকার অভাবে মহল্লার বন্ধুদের সাথে পিকনিকে যেতে না পেরে তিনদিন ঘরেই লুকিয়েছিলাম অসুস্থতার ভান করে,
সেই লুকানো হাহাকার।

যুবক বয়সের
-হাকাকার আসলে টেরই পাইনি জীবনের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে!
আশ্চর্য, সেই এক দৌড়েই কখন যে পরতি বয়সে চলে আসলাম বুঝিনি!
তবুও না দেখা হাহাকারে অনেকবার বুকেই মরেছি যৌবনে।

সেই মরন এখন টের পা‌ই প্রতি বেলায়
কাছের জিনিস খালি চোখে আর স্পষ্ট দেখিনা।
আয়নায় নিজেকে স্পষ্ট দেখতেও চশমা হাতড়ে বেড়াতে হয়।

পড়তি বেলায় এসে শুধু বেঁচে আছি
-মানিয়ে, শুধুই মানিয়ে।
চেহারায় সুখী সুখী ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়াই।
আর সুযোগ পেলেই লুকিয়ে লুকিয়ে
দূর আকাশে ভেসে বেড়ানো হাহাকারের সাথে গল্প করি,
-এই পড়তি বেলার এভাবে বেঁচে থাকাটাকে সহ্য করার জন্য।
—————————————
রশিদ হারুন
কাব্যগ্রন্থ- এই শহরের সব ডাকবাক্স চুরি হয়ে গেছে
২৭/০৬/২০২0

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আহারে জীবন!!

কেন এত সহ্য করে থাকা!!

দারুন!!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আহারে জীবন

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪১

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আমি এখন যুবক বেলায় আছি দাদা। মানিয়ে নিতেও শিখে গেছি। চমৎকার লিখেছেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



সুন্দর কবিতা।
শুভ কামনা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৯

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব কবিতা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫৮

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ভালোবাসা নিবেন

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৭

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: আপনার প্রতিটি কবিতাই আমি মুগ্ধ হয়ে পড়ি। এই কাব্যগ্রন্থ কি রকমারিতে পাওয়া যাবে?

১০ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫২

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আমার সব বই রকমারিতে আছে
.১ ভালো থেকো মনোলীনা,
২. সময় ভেসে যায় বৃষ্টির জলে,
৩. আমার মন খারাপের রাতে তুমি ঘুমিয়ো না,
৪. একটি আউলা-ঝাউলা জীবনের প্রার্থনা।
৫. এই শহরের সব ডাকবাক্স চুরি হয়ে গেছে
৬. তুমি ছাড়া আমি এক বিষণ্ন চড়ুই
৭. মনোলীনা একদিন আমাকে দেখতে আসবে
৮. আমি একদিন সমুদ্রের জল হয়ে যাবো
৯. কবিতা সমগ্র

১০-এই শহরে আমার কোন বন্ধু নেই”
১১. বিছানায় পোড়ে আমার মধ্যবিত্ত মুখোশ
১২- “আবৃত্তির কবিতা”

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

সুমিনা বলেছেন: এটি একটি সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি! এবং একটি অসাধারণ উপায় জীবনের মধ্যে চলা হয়। তুমি কীভাবে তোমার প্রতিদিনের অভিজ্ঞানে আনন্দ পাও?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:৫১

জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন:
ভালো থাকবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.