![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
বৃষ্টির দিন সকাল সকাল দরজা জানালা খুলে বসে আছি
কে যেন আসবে বলেছিলো?
দরজায় একটা বিড়াল একবার মাত্র উঁকি দিয়েছিল,
এছাড়া কোনো মানুষের ছায়া এখনো পড়েনি দরজার ঠিক আশপাশে।
দখিনের জানালা দিয়ে ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক...
বৃষ্টি শুরু হলেই পাশের বাড়ির ছাদে
এক অচেনা নারী
শাড়ির আঁচলে বৃষ্টির জল কুড়োতে চেষ্টা করে!
আমি জানলার পাশে বসে বৃষ্টির জলের ঝাপটায় ভিজতে ভিজতে
প্রচন্ড রকম তৃষ্ণার্ত হয়ে তাকিয়ে...
প্রতিটা মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আশায় জীবনের কোনো একসময় ফিরে আসতে চায়
ফেলে যাওয়া কোনো কিছুর কাছে।
কেউ ফিরে আসতে চায়
সারাজীবন ধরে বুকে পালতে থাকা ফসলের মাঠটির কাছে,
সারা জীবন বুকে...
আমার জীবন উড়ছে মোবাইল ফোনে খুঁজতে থাকা এক সিগন্যালে
আমি তাকিয়ে আছি বিরহী ঘুঘুর মতো হাতে ধরা মোবাইলের পর্দায়।
চারিদিকে অন্ধকার করে সূর্য ডুবছে
বৃষ্টির জলে ভিজতে ভিজতে,
দুটি কাক বিদ্যুৎ এর তারে বসে...
পারিবারিক কবরস্থানটা আগের জায়গাতেই আছে
আর আমরা এখনও একই বাড়িতেই থাকি;
দাদাদাদি মারা যাবার পর প্রায়ই বাবার সাথে
হেঁটে হেঁটে যখন কবর জিয়ারতে যেতাম
তখন অনেক অনেক দূরে মনে হতো কবরস্থানটা।
অনেক সময় হাঁটতেও আলসেমি...
বয়স কালে মানুষ ধীরে ধীরে নিজের চেহারাও ভুলেতে থাকে।
টানের বয়সে মানুষ নিজেকে দেখতে আয়নায় তাকালেও আয়নাও কেঁপে উঠে জলের মতো
নিজেকেই সবচেয়ে বেশি অপরিচিত মনে হয়।
পড়তি বয়সে তাই আমার চেহারা দেখতে
মন...
গাড়ি থেকে নামলেই
নাকে ভেসে আসে পোলাও এর গন্ধ,
চারিদিকে পাকের ঘরের পাতিল আর চামচের ঠুনঠান শব্দ।
আমি শুধু এদিক ওদিক থাকাই,
খুঁজে পাই মা বিহীন আমাদের নিঃসঙ্গ বাড়ি।
আমার অপেক্ষায় দরজায় কেউই দাঁড়িয়ে নেই
দরজায়...
এখনো মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কেউ যদি বলে,
‘বন্ধু ওঠ, চল ঘুরে আসি।’
আমি বিরক্ত না হয়ে
চোখেমুখে পানি দিয়ে তৈরি হয়ে যাই - একটুও দেরি করি না,
একবার জানতেও চাই না,
চেহারার দিকে...
সারাজীবনের জমানো টুকরো টুকরো সুখগুলো
অবসর সময়ে বুক থেকে বের করে একটু ঘসামাজা করতে গেলেই
একটা দুইটা সুখ প্রায়ই চুরি হয়ে যায়।
ছোট্ট বেলার জ্যামিতি বক্স থেকে স্কেলটা হারালো একদিন,
নীল ঘুড়িটা কে...
খুব ভোরে বারান্দায় বসে মনচোরা আলোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে
মনে হলো পৃথিবী আর আমি একই সাথে জন্মেচ্ছি
তারপর দেহ বদলে বদলে আমি বারবার ফিরে এসেছি পৃথিবীতে।
জলে নিজের চেহারা দেখে পৃথিবীতে যে...
বালক বেলায় একবার মাছরাঙা পাখি ধরবো বলে
দাদুর বাড়ির পুকুর পাড়ে ফাঁদ পেতে চুপচাপ বসে ছিলাম সারাদিন
একটাও মাছরাঙা ধরা দেয়নি সেদিন;
শুধু আমগাছের ডালে বসে এক মাছরাঙা আমার দিকে একনজরে অনেকক্ষণ তাকিয়েছিল,
কাউকে...
মনোলীনা,
তুমি কখনো আমার মৃত্যুর চেয়েও কাছে আসতে পারলে না,
কালো মেঘের মতো কী এক জীবন পালছি আমি-
করুণ অদ্ভুত বিলাপে সেই মেঘের মাঝে অহরহ ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে
কখন যে তোমার বুকের গৃহস্থবাড়িতে আছড়ে...
অনেক দিন নিজের কোনো গল্প না থাকলে
তখন অন্য মানুষের গল্প উড়ে উড়ে আপনার শরীরে পড়বে
সেদিন পার্কে হাঁটতে গিয়ে একটি একটি পকেট ডায়েরি কুড়িয়ে পেলাম,
কোনো নাম ঠিকানা নেই
প্রথম পৃষ্ঠায় বড় করে...
একটা না-লেখা কবিতার প্রথম পঙক্তিতে হঠাৎ চোখ আটকে গেল কবির,
কবিতাটার প্রথম পঙক্তিটা শুয়েছিল কলকাতার বালিগঞ্জে এক ট্রাম লাইনের উপর ১৯৫৪ সালের ১৪ই অক্টোবরে।
কবির চোখের সাথে শরীরও পাথর হয়ে গেল সেই...
সদ্য পঞ্চাশ পার হওয়া ছয় বন্ধু কক্সবাজারে এসেছেন সমুদ্র দর্শনে।
তাদের মধ্যে একজন ব্যাংকার আর একজন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক,
এ দু’জনেই - জীবনে এই প্রথম আসলেন সমুদ্রের কাছে!
ব্যাংকার সমুদ্রের ঢেউয়ের দিকে...
©somewhere in net ltd.