নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।
আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য...
ঢাকা শহরের অলিতে গলিতে
ল্যাম্পপোস্টের গায়ে ঝুলে থাকা
মাকড়সার জালের মতো সারি সারি
...
কাপড়ের এই দোকানটার সামনে আমার ছেলেকে নিয়ে প্রায়ই আসি।
দোকানটা অনেক পুরনো। আগের চেয়েও এখন অনেক সুন্দর করে সাজিয়েছে। গাড়ি থেকে নেমে দোকানটার বাইরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি। কাঁচের ভিতর দিয়ে তাকিয়ে...
আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।
প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।
ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন...
আজকাল কেউ আমাকে দেখলে বিশ্বাসই করবেনা
আমি মেট্রিকে অঙ্কে নিরানব্বই পেয়েছিলাম।
যেকোনো আড্ডায় তখন সবাইকে বলে বেড়াতাম
-“অঙ্কে একশই পেতাম,
শুধু হাতের লেখা খারাপ বলে জ্যামিতিতে হয়তো এক নম্বর কম পেয়েছি”।
অথচ কী...
মধ্য রাতে একা বিছানায় কালো অন্ধকারে যখন ঘুম ভেঙে যায়
ভয় পাই,
আমি প্রচণ্ড ভয় পাই।
পুরো শরীরের উপর চাদর টেনে
আরো অন্ধকারে ঢুকে পড়ি।
একাকীত্বের ভয়ে কোঁকড়াতে কোঁকড়াতে
চাদরের নিচে মরার মতো চোখ বন্ধ...
আমার ভালো লাগে না,
কিচ্ছু ভালো লাগে না।
দিন ভালো লাগে না,
রাত ভালো লাগে না,
সময় যায় না ,
সময় আসে না
আমার ভালো লাগে না,
কিচ্ছু ভালো লাগে না।
প্রতিদিন গভীর রাতে বেড়িয়ে পরছি...
বিকেলে বেলা বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে নিজের ছায়া বড় হতে হতে
হঠাৎ অন্ধকারে হারিয়ে যাবার পর মনে হলো,
আমার কোন বন্ধু নেই
স্বজন নেই
প্রেম নেই
তুমিও নেই
এমনকি আজকাল আমিও নেই আমার নিজের সাথে!
তুমি...
পঞ্চাশের পর থেকেই আর একা থাকা হয় না আমার।
নির্জনে অথবা বন্ধ ঘরে নিঃসঙ্গ হয়ে যখন কিছু ভাবতে শুরু করি
তখনই ফিসফিসানি শুরু হয় সেখানে।
আমার ছায়াটাও শরীর থেকে বের হয়ে এদিক- ওদিক...
একটি অদৃশ্য ভগ্নস্তুপে দীর্ঘকাল দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে,
একটি কথা বুকে পেরেকের মতে গেঁথে গেছে--
-“আমার, তোমাকে এখন ভীষণ দরকার।”
\'দরকার\' এমন একটি শব্দ যা স্থান কাল ভেদে বদলে যায়।
বাজার করতে গেলেই অল্পবয়স্ক মাছওয়ালারা...
অনেকদিন ধরেই একটা দোয়েল পাখি আটকে ছিলো আমার বুক পকেটে।
কিছুটা আকাশ মাঝে মাঝে উপচে পড়ে সেই পকেট থেকে,
দোয়েলটা সেই আকাশে উড়তে উড়তে আমাকে প্রতিদিন তার মৃত্যুর গল্প বলে
তার অসুখের কথা...
শেষ দুপুরে ঘর থেকে বের হতে গেলেই
মা বলতেন,
“মাগরিবের আজানের আগেই ঘরে ফিরিস কিন্তু,
দেরী হলে তোর আব্বা বকবেন।"
পড়ন্ত দুপুরের গরমে বিছানায় শুয়ে
মার হাতপাখার বাতাসে
ভাতঘুমে দুচোখের আঠালো ভাবেও...
পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।
আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!
বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে...
বন্ধ দরজায় বারবার কড়া নাড়ছে কে যেনো!
অথচ আজ শুক্রবার
আমি সারাদিন ঘুমোবো।
দরজা খুলে দেবার মতো একজন মানুষও নেই এ বাড়িতে ,
শত ধাক্কা দিলেও আমি দরজা খুলবো না আজ।
আমি জানি
ভালো...
সাতদিন ধরে বারান্দায় ঝুলছে তোমার হলুদ শাড়িটা ,
তার পাশেই আমার কালো রঙের একটা পাঞ্জাবি।
হলুদ শাড়িটা হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে দমকা এক বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায়,
আর তখনই সে পাঞ্জাবিটার শরীরে ঝাপটা...
©somewhere in net ltd.