নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
হ্যালো ঢাকা,
কেমন আছো?
আমি ভালো নেই তোমাকে ছাড়া,
তোমার শহরের সব কিছু বদলে গেছে
আমার বুকের ভিতর হঠাৎ করেই এই মন্ট্রিয়াল শহরে!
হ্যালো ঢাকা,
পিছন থেকে আচমকা আমার নাম ধরে চিৎকার করে ডাক দেবার...
যৌবনে আমার যে চোখ দুটোতে আগুন জ্বলতো
পড়তি বেলায় আজকাল আমার সেই চোখ দুটোতেই একটা ছলছল নদী পালছি।
সেই কবেকার জন্ম নেওয়া নদী
বুক থেকে চোখে আশ্রয় নিয়েছে
আর জীবনের পাওয়া না পাওয়ার...
কেউ যদি জানতে চায় আমার বয়স কত,
আমি কিছুক্ষণ তার চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকি।
তারপর একসময় আনমনে হয়ত বলে ফেলি
বেশি না,
এই ধরুন হাজার হাজার জীবন।
মানুষটি আমাকে পাগল ভাবতে পারে
এই আবোল-তাবোল উত্তরে,
অথচ...
জীবন নতুন করে শুরু করতে হবে,
পুরনো জীবনের সব ফেলে দিতে হবে,
বুক হাতরে দেখতে হবে তন্নতন্ন করে,
বারবার যাচাই করে দেখতে হবে
বুকের সিন্দুকে পুরোনো জীবনের কিছু ভুলে রয়ে গেলো কিনা।
বাবা-মার বিয়ের...
হারুন সাহেব আপনাকে এমন উসকো-খুসকো দেখাচ্ছে কেন?
আপনার বাড়িতে কেমন গরম পড়েছে?
দিন দুপুরে লাল সূর্যের মতো চোখও লাল হয়ে আছে আপনার?
মানুষতো ভুল বুঝবে আপনাকে,
ভাববে দিনদুপুরে এই গরমে ছাইপাঁশ খেয়ে আছেন বোধ...
বৃষ্টির দিন সকাল সকাল দরজা জানালা খুলে বসে আছি
কে যেন আসবে বলেছিলো?
দরজায় একটা বিড়াল একবার মাত্র উঁকি দিয়েছিল,
এছাড়া কোনো মানুষের ছায়া এখনো পড়েনি দরজার ঠিক আশপাশে।
দখিনের জানালা দিয়ে ফেরিওয়ালাদের হাঁকডাক...
বৃষ্টি শুরু হলেই পাশের বাড়ির ছাদে
এক অচেনা নারী
শাড়ির আঁচলে বৃষ্টির জল কুড়োতে চেষ্টা করে!
আমি জানলার পাশে বসে বৃষ্টির জলের ঝাপটায় ভিজতে ভিজতে
প্রচন্ড রকম তৃষ্ণার্ত হয়ে তাকিয়ে...
প্রতিটা মানুষ দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার আশায় জীবনের কোনো একসময় ফিরে আসতে চায়
ফেলে যাওয়া কোনো কিছুর কাছে।
কেউ ফিরে আসতে চায়
সারাজীবন ধরে বুকে পালতে থাকা ফসলের মাঠটির কাছে,
সারা জীবন বুকে...
আমার জীবন উড়ছে মোবাইল ফোনে খুঁজতে থাকা এক সিগন্যালে
আমি তাকিয়ে আছি বিরহী ঘুঘুর মতো হাতে ধরা মোবাইলের পর্দায়।
চারিদিকে অন্ধকার করে সূর্য ডুবছে
বৃষ্টির জলে ভিজতে ভিজতে,
দুটি কাক বিদ্যুৎ এর তারে বসে...
পারিবারিক কবরস্থানটা আগের জায়গাতেই আছে
আর আমরা এখনও একই বাড়িতেই থাকি;
দাদাদাদি মারা যাবার পর প্রায়ই বাবার সাথে
হেঁটে হেঁটে যখন কবর জিয়ারতে যেতাম
তখন অনেক অনেক দূরে মনে হতো কবরস্থানটা।
অনেক সময় হাঁটতেও আলসেমি...
বয়স কালে মানুষ ধীরে ধীরে নিজের চেহারাও ভুলেতে থাকে।
টানের বয়সে মানুষ নিজেকে দেখতে আয়নায় তাকালেও আয়নাও কেঁপে উঠে জলের মতো
নিজেকেই সবচেয়ে বেশি অপরিচিত মনে হয়।
পড়তি বয়সে তাই আমার চেহারা দেখতে
মন...
গাড়ি থেকে নামলেই
নাকে ভেসে আসে পোলাও এর গন্ধ,
চারিদিকে পাকের ঘরের পাতিল আর চামচের ঠুনঠান শব্দ।
আমি শুধু এদিক ওদিক থাকাই,
খুঁজে পাই মা বিহীন আমাদের নিঃসঙ্গ বাড়ি।
আমার অপেক্ষায় দরজায় কেউই দাঁড়িয়ে নেই
দরজায়...
এখনো মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে তুলে কেউ যদি বলে,
‘বন্ধু ওঠ, চল ঘুরে আসি।’
আমি বিরক্ত না হয়ে
চোখেমুখে পানি দিয়ে তৈরি হয়ে যাই - একটুও দেরি করি না,
একবার জানতেও চাই না,
চেহারার দিকে...
সারাজীবনের জমানো টুকরো টুকরো সুখগুলো
অবসর সময়ে বুক থেকে বের করে একটু ঘসামাজা করতে গেলেই
একটা দুইটা সুখ প্রায়ই চুরি হয়ে যায়।
ছোট্ট বেলার জ্যামিতি বক্স থেকে স্কেলটা হারালো একদিন,
নীল ঘুড়িটা কে...
খুব ভোরে বারান্দায় বসে মনচোরা আলোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে
মনে হলো পৃথিবী আর আমি একই সাথে জন্মেচ্ছি
তারপর দেহ বদলে বদলে আমি বারবার ফিরে এসেছি পৃথিবীতে।
জলে নিজের চেহারা দেখে পৃথিবীতে যে...
©somewhere in net ltd.