নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
আজকাল জন্মদিন আসলেই প্রায়ই টের পাই
ঘড়ির মিনিটের কাঁটার বড্ড তাড়াহুড়া,
আগের চেয়েও দ্রুত ঘুরছে মৃত্যুর কাছে পৌঁছে দিতে।
হারিয়ে যাবার আগে যদি একটু সময় পাই
তবে জানালার কাঁচগুলো ভালোভাবে আটকিয়ে দেব
যেন হঠাৎ দমকা...
আজকাল কেউ আমাকে দেখলে বিশ্বাসই করবেনা
আমি মেট্রিকে অঙ্কে নিরানব্বই পেয়েছিলাম।
যেকোনো আড্ডায় তখন সবাইকে বলে বেড়াতাম
-“অঙ্কে একশই পেতাম,
শুধু হাতের লেখা খারাপ বলে জ্যামিতিতে হয়তো এক নম্বর কম পেয়েছি”।
অথচ কী...
শুক্রবার দুপুরে আয়েশ করে ঘরের ফ্লোরে খেতে বসেছি,
যেই না মুখে প্রথম লোকমাটা তুলবো ঠিক তখনই
মোবাইল ফোনের রিং বেজে উঠলো।
পর্দায় ভেসে উঠলো ‘সুর’ নাম।
রিসিভ করতেই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সুরঞ্জিত বলল,
“...
পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।
আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!
বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে...
আজকাল যখন তখন মাথার ভিতরে কে যেন ডেকে উঠে জানতে চায়,
“কেমন আছিস?”
চমকে উঠে এদিক ওদিক তাকাই,
কেউ ডাকছে ভেবে আঁতকে উঠি বুকে ভিতর।
কেউ নেই আশেপাশে।
তখনই মনে পড়ে আমার মা বাবা নেই...
অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় সন্ধ্যার পর এই গলিটায় ঢুকি,
অযথা কয়েকবার গলির এক মাথা থেকে আরেক মাথায় চক্কর দেই।
কোনো বারান্দায় বসে থাকেন চায়ের কাপ হাতে বয়স্ক একজন মানুষ,
কোনোটায় সারাদিনের রোদে...
বারান্দায় কিংবা চলন্ত রিকশা থেকে
বাতাসে ছুঁড়ে দেওয়া
সেই চটুল হাসি এখন নিষিদ্ধ হয়ে
আমার বুকে লুকিয়ে আছে।
তুমি কি স্বামী সন্তান আর রান্না ঘরের ফাঁদে আটকা পড়েছ?
আমিও সংসারের ফাঁদে আটকা...
শেষ দুপুরে ঘর থেকে বের হতে গেলেই
মা বলতেন,
“মাগরিবের আজানের আগেই ঘরে ফিরিস কিন্তু,
দেরী হলে তোর আব্বা বকবেন।"
পড়ন্ত দুপুরের গরমে বিছানায় শুয়ে
মার হাতপাখার বাতাসে
ভাতঘুমে দুচোখের আঠালো ভাবেও...
গলির মুখে ঢুকেই অস্থিরতায় পেয়ে বসল,
দরকার ছাড়াই ধুম করে একটা সিগারেট ধরিয়ে বসলাম।
সিগারেট টানতে টানতে দীর্ঘ বিশ বছর ভাড়া থাকা
একশ সাত বাই বারো নং বাড়ির গেটের সামনে এসে...
ইদানীং প্রায় প্রতিদিন অফিস ফেরত বিকেল বেলাগুলোতে পার্কে একা বসে থাকি,
চুপচাপ বিষণ্নতা গায়ে মাখা সূর্যাস্ত দেখি
গাছের পাতার আড়ালে।
একটা অপরিচিত কুকুর প্রতিদিনই আমার আশপাশপ ঘুর ঘুর করে,
আমাকে দেখে।
কেউ যেন...
একদিন স্রেফ হারিয়ে যাবো,
আড়াই কোটি সেকেন্ডেরও অনেক বেশি সেকেন্ড পার করে ফেলেছি এক জীবনে।
হারিয়ে যায়-
সব মানুষই একদিন হারিয়ে যায়।
আমি যেদিন হারিয়ে যাবো ধুলো হয়ে,
সেদিন হয়তো বারান্দায় দড়িতে শুকোতে থাকবে আমার...
একদিন স্রেফ হারিয়ে যাবো,
আড়াই কোটি মিনিটেরও অনেক বেশি মিনিট পার করে ফেলেছি এক জীবনে।
হারিয়ে যায়-
সব মানুষই একদিন হারিয়ে যায়।
আমি যেদিন হারিয়ে যাবো ধুলো হয়ে,
সেদিন হয়তো বারান্দায় দড়িতে শুকোতে থাকবে আমার...
বিশ বছর পর বিদেশ থেকে এসে
আমরা যেখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম
সেই মহল্লায় ফিরলাম পুরনো বন্ধুদের খোঁজে।
সেই বাড়িরই লাগোয়া রাস্তায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারতে মারতে
তোমাকে দেখলাম নীলা’পা।
তোমাদের দোতলা বাড়ির আস্তর খসে পড়া...
রংবেরঙের কাগজ আর রঙিন বাতিতে তোমার বাড়িটা আজ সাজানো,
আর গলির মুখে রাজকীয় ভঙ্গিতে নির্মম অহংকার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি বিয়ের গেট।
সকাল থেকেই মহল্লার আকাশে কালো মেঘ জমে আছে,
এই ঝরবে ঝরবে...
সেই একই শহর
একই রিকশা
একই কোলাহল।
নতুন রিকশা দেখলেই উঠে পড়তে ইচ্ছে করে,
যদি কখনো নতুন রিকশা খালি পাই,
আমি দরদাম ছাড়াই উঠে পড়ি হুট করে।
আমি ডান পাশে বসে রিকশার সিটের বাদিকটা...
©somewhere in net ltd.