নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
মদে আমার নেশা হয় না
কথায় নেশা হয়!
শুধু কথার নেশার মাতলামিতে
আমার দু’পা টলমল করে,
মাথা চরকির মতো ভনভন করে ঘোরে;
বুকের ভিতরে জ্বলে যায়- অদৃশ্য আগুনে ছ্যাত ছ্যাত করে।
কখনো...
ভিজতে থাকা রাতের আকাশে
জানালা দিয়ে
কবি তার সারা জীবনের অসমাপ্ত কবিতাগুলো খুঁজছিল।
ঘরের কোনে আগোছালো কাপড়চোপড় ,
বিছানায় ফুলছাপা চাদর,
থমকে থমকে ঘরে ঢুকে পড়া বৃষ্টির ছাঁট,
জ্বলন্ত কয়েলের মাঝেও মশার কামড়।
গোসলখানায় নষ্ট...
ছেলেবেলা আমরা খুব গরিব ছিলাম বলা যাবেনা,
তবে তিনবেলা পেট ভরে সবাই খেতে পারতাম না,
রোজকার খাবারে সংসারের কারো পেটই ঠিকমতো ভরতো কিনা জানিনা।
আমার পেট ভরে খাওয়া হয়নি কখনোই ছেলেবেলায়।
জামা কাপড়ের...
শাহবাগের মোড়ে সকাল দশটায় যখন একাকী একজন যুবক হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে নিঃশ্চুপ শান্তভাবে দাঁড়াল।
ওর দাঁড়াবার ভঙ্গিটা কেউ খেয়ালই করেনি,
ওর চোখের জেদী দৃষ্টি কারো নজরেই পড়েনি।।
যদি নজরে পড়ত,
তাহলে বুঝতে পারত বিকেলের...
অফিসে আসা যাওয়ার পথে
নতুন মহল্লার
একটি পাঁচতলা বাড়ির তিনতলায় চোখ আটকে যায় আমার প্রতিদিনই।
বারান্দায় একটি হলুদ শাড়ি ঝুলছে কয়েকদিন ধরে।
আমি প্রায়ই কিছুক্ষণ থমকে দাঁড়িয়ে শাড়িটা দেখি-
মাঝে মধ্যে দমকা হাওয়ায় উড়ে...
‘বেঁচে আছি এখনো\'
নিজেকে নিজে শুনিয়ে প্রতিদিনই বলি,
অথচ আমারতো মরে যাবার কথা ছিল বাইশ বছর আগেই,
শুধু বৃষ্টির জল পান করে
ঘুরে বেড়াচ্ছি এই শহরে
আর ভান করছি এমন যে সুখেই ভিজছি।
বাইশ বছর আগে
এক বৃষ্টির...
আইজুদ্দিন,
আপনি কোথায়?
ঢাকা শহরে এমাথা থেকে ও মাথা
আমি হন্য হয়ে আপনাকে খুঁজছি;
ঘরে বাইরে শরীর মনে সব জায়গায় অদৃশ্য ঝরো হাওয়ার সাথে
বিপন্ন বৃষ্টির জলে ডুব যাচ্ছে আমার সব সুখ,
আর আমি ডুবে...
আজকাল জন্মদিন আসলেই প্রায়ই টের পাই
ঘড়ির মিনিটের কাঁটার বড্ড তাড়াহুড়া,
আগের চেয়েও দ্রুত ঘুরছে মৃত্যুর কাছে পৌঁছে দিতে।
হারিয়ে যাবার আগে যদি একটু সময় পাই
তবে জানালার কাঁচগুলো ভালোভাবে আটকিয়ে দেব
যেন হঠাৎ দমকা...
আজকাল কেউ আমাকে দেখলে বিশ্বাসই করবেনা
আমি মেট্রিকে অঙ্কে নিরানব্বই পেয়েছিলাম।
যেকোনো আড্ডায় তখন সবাইকে বলে বেড়াতাম
-“অঙ্কে একশই পেতাম,
শুধু হাতের লেখা খারাপ বলে জ্যামিতিতে হয়তো এক নম্বর কম পেয়েছি”।
অথচ কী...
শুক্রবার দুপুরে আয়েশ করে ঘরের ফ্লোরে খেতে বসেছি,
যেই না মুখে প্রথম লোকমাটা তুলবো ঠিক তখনই
মোবাইল ফোনের রিং বেজে উঠলো।
পর্দায় ভেসে উঠলো ‘সুর’ নাম।
রিসিভ করতেই কাঁপা কাঁপা কন্ঠে সুরঞ্জিত বলল,
“...
পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।
আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!
বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে...
আজকাল যখন তখন মাথার ভিতরে কে যেন ডেকে উঠে জানতে চায়,
“কেমন আছিস?”
চমকে উঠে এদিক ওদিক তাকাই,
কেউ ডাকছে ভেবে আঁতকে উঠি বুকে ভিতর।
কেউ নেই আশেপাশে।
তখনই মনে পড়ে আমার মা বাবা নেই...
অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় সন্ধ্যার পর এই গলিটায় ঢুকি,
অযথা কয়েকবার গলির এক মাথা থেকে আরেক মাথায় চক্কর দেই।
কোনো বারান্দায় বসে থাকেন চায়ের কাপ হাতে বয়স্ক একজন মানুষ,
কোনোটায় সারাদিনের রোদে...
বারান্দায় কিংবা চলন্ত রিকশা থেকে
বাতাসে ছুঁড়ে দেওয়া
সেই চটুল হাসি এখন নিষিদ্ধ হয়ে
আমার বুকে লুকিয়ে আছে।
তুমি কি স্বামী সন্তান আর রান্না ঘরের ফাঁদে আটকা পড়েছ?
আমিও সংসারের ফাঁদে আটকা...
শেষ দুপুরে ঘর থেকে বের হতে গেলেই
মা বলতেন,
“মাগরিবের আজানের আগেই ঘরে ফিরিস কিন্তু,
দেরী হলে তোর আব্বা বকবেন।"
পড়ন্ত দুপুরের গরমে বিছানায় শুয়ে
মার হাতপাখার বাতাসে
ভাতঘুমে দুচোখের আঠালো ভাবেও...
©somewhere in net ltd.