নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
অনেকদিন ধরেই একটা দোয়েল পাখি আটকে ছিলো আমার বুক পকেটে।
কিছুটা আকাশ মাঝে মাঝে উপচে পড়ে সেই পকেট থেকে,
দোয়েলটা সেই আকাশে উড়তে উড়তে আমাকে প্রতিদিন তার মৃত্যুর গল্প বলে
তার অসুখের কথা...
শেষ দুপুরে ঘর থেকে বের হতে গেলেই
মা বলতেন,
“মাগরিবের আজানের আগেই ঘরে ফিরিস কিন্তু,
দেরী হলে তোর আব্বা বকবেন।"
পড়ন্ত দুপুরের গরমে বিছানায় শুয়ে
মার হাতপাখার বাতাসে
ভাতঘুমে দুচোখের আঠালো ভাবেও...
পঞ্চাশ পার হলো
মেরেকেটে হয়তো চার-পাঁচ বছর টিকে যেতে পারি।
আজকাল মনে হয় জীবনের বুকপিঠ দেখাতো সব শেষ,
বাকি দিনগুলোতে কী আর করবো!
বাকিটা সময় একটা সাদা বকের জীবন ধার করে পার করে দিতে...
বন্ধ দরজায় বারবার কড়া নাড়ছে কে যেনো!
অথচ আজ শুক্রবার
আমি সারাদিন ঘুমোবো।
দরজা খুলে দেবার মতো একজন মানুষও নেই এ বাড়িতে ,
শত ধাক্কা দিলেও আমি দরজা খুলবো না আজ।
আমি জানি
ভালো...
সাতদিন ধরে বারান্দায় ঝুলছে তোমার হলুদ শাড়িটা ,
তার পাশেই আমার কালো রঙের একটা পাঞ্জাবি।
হলুদ শাড়িটা হঠাৎ করেই মাঝে মাঝে দমকা এক বাতাসে এলোমেলো হয়ে যায়,
আর তখনই সে পাঞ্জাবিটার শরীরে ঝাপটা...
কবি হিসাবে আমি খুবই বিষাদে ডুবেছি,
একটি শব্দের অপেক্ষায় আমার কলম
আজ ধর্মঘট ডেকেছে।
শব্দটি হবে শ্রমিকের ,
শব্দটি হবে মালিকের,
শব্দটিকে বিশ্বাস করবে
রাজনীতিবিদ আর শাসকগণ।
শিক্ষকরা বুকে ধারন করে শব্দটি
তার ছাত্রদের ক্লাসে বিতরন...
খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে ডেকে আমার বিধবা মা যখন বললেন-
একটা ভালো ছেলের খোঁজ কর।
তোর বোনের যে বিয়ের বয়স হয়েছে,
সেটা কি তোকে বলে দিতে হবে?
ঘুম ঘুম চোখে আমি ভ্যাবাচেকা খেয়ে...
মনোলীনা,
প্রতিদিন সকাল থেকে তোমার বাড়ীর ঠিক উল্টোদিকের রাস্তায় দাড়িয়ে থাকি।
দাড়িয়ে থাকতে থাকতে -
কোনদিন ল্যাম্পপোষ্ট হয়ে যাই,
কোনদিন গাছ,
অনেক সময় পাহাড় হয়ে যাই,
রোঁদে হয়ে যাই পিচ্ পোড়া রাস্তা,
বৃষ্টিতে নদী হয়ে যাই,
বাতাসে উড়ন্ত...
আলমারিতে এতো কাপড়,
অনেক’গুলো কখনোই পরা হয়নি ,
বুকের ভিতরে লোভের কোনো জল ঝরে না এতো কাপড় দেখেও,
আমার জল ঝরে শুধু চোখ থেকে,
বাবা,
আমার বোধহয় চোখের ডাক্তার দেখাতে হবে!
এতো কাপড় দেখলেই শুধু তোমার...
কবিতা যদি শহরের ফুটপাতের দেওয়ালে লিখি,
যদি স্লোগানের মতো ভরে দেই এই শহরের পুরো দেওয়াল,
তাহলে কি কারো ক্ষতি হয়ে যাবে?
শহরের চলন্ত মানুষজন
-কেউ হয়তো দু এক লাইন পড়বে,
কেউ দেখবে, কেউ...
তোমাকে দেবার জন্য সারারাত জেগে যে চিঠি লিখেছিলাম,
বেলা করে ঘুম থেকে জেগে দেখি চিঠিটি পালিয়েছে।
ভেবেছিলাম সকাল বেলা সবার অগোচরে তোমার বাড়ীর চিঠির বাক্সে
গোপনে রেখে আসবো আমার প্রথম চিঠি।
অথচ...
যে মানুষটি,
ভর দুপুরে তপ্ত সূর্যের দিকে তাকিয়ে আগুনে চোখ পোড়ায়,
- সেটি আমি।
যে মানুষটি,
প্রচন্ড বৃষ্টিতে ইচ্ছে করে ভুলে ছাতা ছাড়া বের হয়ে আনন্দে জলে ঝরে ঝরে পড়ে,
- সেটি আমি।
যে মানুষটি,
বোকা বিকেলে...
এই পড়তি বেলার আয়নায় নিজেকেই অস্পষ্ট দেখি এক ‘পড়তি চোখে’।
চশমা হলে কাছের সব কিছুই ঠিকঠাক,
খালি চোখে শুধুই দূরের জিনিস খুব স্পষ্ট দেখি আজকাল!
আজ এই পড়তি বেলায় মুখে কথা কম বলি,
সব...
আমি কবি হওয়ার স্বপ্ন বহুকাল যাবত বুকে পালছিলাম।
নিজেকে ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিলাম অসামাজিক ভাবে।
অনেকদিন ধরে হাত পায়ের নখ, চুল-দাড়ি কাটতাম না।
কবি হওয়ার প্রস্তুতিতে এক বিপন্ন বিষন্নতায় জীবনকে উপভোগ...
রাত ঠিক বারোটা এক মিনিটে
চৌরাস্তার মোড়ে-
ট্রাফিক সিগন্যালে লাল বাতি জ্বলতেই
চারজন মানুষ এক সাথে দাঁড়িয়ে পড়ল।
তারা সবাই সবুজ বাতির জন্য অপেক্ষা করছে,
অনেক সময় ধরে লাল বাতি বদলে আর সবুজ হচ্ছে না!!
বিরক্ত...
©somewhere in net ltd.