নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরেকটা জীবন যদি পেতাম আমি নির্ঘাত কবি হতাম
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।
আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য হচ্ছেন সবাই?
শাহ্পরান হলে থাকতাম তখন-৪৩৯/ডিতে।
একদিন খুব ভোরবেলা ঘুম থেকে তুলে বললো,
-“বন্ধু তোর কাছে একটা জিনিস রাখতে দেবো,
খুবই জরুরি,
তুই কিন্তু কাউকে বলিস না,
আর খুলে দেখিস না।
আমার ব্যাক্তিগত, আমি কয়েকদিন পর তোর কাছ থেকে ফেরত নেবো।”
আমি ঘুমের ঘোরে তাকিয়ে দেখলাম একটা হলুদ রংয়ের চিঠির খাম,
লকারে রেখেই আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
তারপর একেবারেই ভুলে গিয়েছিলাম হলুদ খামটার কথা।
তিন চারদিন পর হঠাৎ গুঞ্জন,
শাহেদকে দেখা যাচ্ছেনা আর ক্যাম্পাসে।
কাউকে না বলে কোথায় যেনো চলে গেছে!
তখন মোবাইলের যুগ ছিলনা ,
তারপর থেকে শাহেদের খোঁজ আর পাইনি।
আমি খুব আশায় থাকতাম,
একদিন খুব সকালে শাহেদ হয়তো আবার আমার রুমে এসে বলবে,
“তোর কাছে যে খামটি রেখেছিলাম -দে তো।"
অনেকদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শাহেদের ঠিকানা নিয়ে ওর বাড়িতে গিয়ে হাজির হলাম,
গিয়ে শুনলাম ও অনেক দিন যাবত বাড়িতেই যায় না!
ওর বাবা মা কেউই জানেনা ও কোথায়।সবার ভিতরেই একটা অপেক্ষার হাহাকার শাহেদের জন্য।
আমি তারপর থেকে শাহেদকে খুঁজছি ওর হলুদ খামটা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।
রাস্তাঘাটে প্রতিটি মানুষের দিকে নজর রাখার চেষ্টা করি,
শুধুমাত্র শাহেদকে দেখতে পাওয়ার আশায়।
হলুদ খামটা আমার জীবনের সব শান্তি নষ্ট করে ফেললো।
মাঝে মাঝে মনে হয় খুলে ফেলি অশান্তির হলুদ খামের মুখটা,
দেখি কি আছে এত জরুরী,
তারপরও বহু কষ্টে নিজেকে দমন করি।
ও বলেছিলো ভিতরে ওর ব্যাক্তিগত জিনিস আছে।
আজকাল মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ-
মোবাইল, সামজিক মিডিয়া।
তবুও শাহেদের খোঁজ কেউই দিতে পারে না!
একদিন খুব সকালে আমার বউ ঘুম থেকে ডেকে বললো ,
"এক ভদ্রলোক তোমার সাথে দেখা করতে এসেছিল ,
নাম বলল শাহেদ।
বসতে বলেছিলাম।
না বসে এই খামটি দিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে গেছে।"
আমি দৌঁড়ে দরজার বাইরে চলে এসেছিলাম ,
গলির এ মাথা ও মাথা খুজঁলাম।
কোথাও নেই শাহেদ।
এক্কেবারে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে!
বাসায় ঢুকেই বউয়ের কাছ থেকে খামটা নিয়ে খুললাম।
ভিতরে লেখা “মন দিয়ে খুঁজলে সবই খুঁজে পাওয়া যায়।
হলুদ খামটা আর দরকার নেই,
ফেলে দিস।"
আমি আলমারি থেকে হলুদ খামটা বের করলাম অস্হির হয়ে,
মনে হচ্ছিল অনেক দিন পর জেল থেকে মুক্ত হচ্ছি ।
ফেলে দেত্তয়ার আগে এতদিনের অপেক্ষা ,
কষ্টের কারণে খামটা খুলে ফেললাম।
খুবই আশ্চর্য্য ,
আশাহত হয়ে দেখলাম ,
ভিতরে চিরকুটের মতো একটি শব্দ লেখা,
“বিশ্বাস”!
আমি শাহেদের এই খেলার মানে বুঝিনি!আমি এখন শাহদকে খুঁজছি তার এই খেলার মানে জানার জন্য।
কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন ?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা।
--------------
রশিদ হারুন
কাব্যগ্রন্থ- সময় ভেসে যায় বৃষ্টির জলে
১০/০১/১৮y
১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৪
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আমি নিজেও জানিনা- মন দিয়ে খুঁজলে বোধহয় সবই পাওয়া যায়-
২| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩৪
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: আপনার প্রতিটি কবিতা পড়লে মনের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা সৃষ্টি হয়।
আপনি আমার দেখা এই ব্লগের অন্যতম সেরা কবি। এত সুন্দর কবিতা উপহার দেওয়ার জন্য আমার তরফ থেকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: আপনার জন্য ভালোবাসা
৩| ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দারুন কন্সেপ্ট।
১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৫
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি নিজেও জানিনা- মন দিয়ে খুঁজলে বোধহয় সবই পাওয়া যায়-
- - হয়তো......হয়তো না।
মন-প্রাণ দিয়ে আপনিও তো শাহেদের ঠিকানা খুঁজছেন, কিন্তু এখনো তো পেলেন না।
এনিওয়েজ, আমার বিদ্রুপাত্মক মন্তব্যে মন খারাপ করবেন না, প্লিজ। ওটা জাস্ট বলার জন্য বলা। রূপকার্থে লেখা আপনার কবিতার অর্থ ঠিকই বুঝেছি।
১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২২
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: শাহেদ আত্মগোপনে আছে।
১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২
জিএম হারুন -অর -রশিদ বলেছেন: হতে পারে
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২০
জনারণ্যে একজন বলেছেন: নাহ - দুঃখিত, জানি না।
বুঝলাম, আপনি শাহেদের ঠিকানা খুঁজে বেড়াচ্ছেন পাগলের মতো। মাগার এত্ত এত্ত বছর পর শাহেদ আপনার ঠিকানা খুঁজে বের করলো কিভাবে?
এই প্রশ্নের উত্তর আমিও একটু বিভ্রান্ত হয়ে খুঁজছি।