![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পিতা মাতার মৃত্যুর পর ‘জিয়াফত’ অনুষ্ঠান !
গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী
পিতা মাতার মৃত্যুর পর ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের নামে একটি সামাজিক অপসংস্কৃতি আমাদের দেশে ইসলামী সংস্কৃতি হিসেবে আসন গেড়ে বসেছে। এই ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ অনুষ্ঠানকে অনেকেই পিতা মাতার ওয়ারিশদের ওপর পিতা মাতার জন্য সর্ব শেষ দায়িত্ব কর্তব্য বলেও মনে করে থাকেন। আমাদের সমাজে ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ র মতো এমন আরো অনেক অপুসংস্কৃতি আছে যা কিনা ইসলামী সংস্কৃতি বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। যেমন, পিতা মাতা বা সন্তানের মৃত্যুর পর ‘চার দিনের খতম’ বা দোয়ার অনুষ্ঠান, মাইক বাজিয়ে কুরআন খতম ইত্যাদি। কারো পিতা মাতা বা সন্তান মৃত্যু বরণ করলে স্বাভাবিক কারনেই পরিবারের লোকেরা শোকাহত থাকেন। তারা পিতা মাতা বা সন্তানের মৃত্যুতে এতোটাই মানসিক ভাবে পর্যুদস্ত থাকেন যে, যে কেহ তখন তার পিতা মাতা বা সন্তানের আত্মার মাগফিরাত বা কবরের আজাব থেকে নাজাতের জন্য যা বলে তাই তারা করতে সম্মত হয়ে যায়। কে কখন কিভাবে বা কি কারণে এই ‘চার দিনের খতম, কুরআন খতম, ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ অনুষ্ঠানের প্রচলন করেছে তার কোন সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারছেন না, তারপরও পিতা মাতা বা সন্তানের মৃত্যুরপর ‘জিয়াফত’ এর উছিলায় নাজাতের নিয়তে ঢাক ঢোল পিটিয়ে গরু জবাই করে ঘটা করে এই ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ অনুষ্ঠান চলছেই চলছে !
আমাদের সমাজে এমন অনেকে পিতা মাতা আছেন যারা তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে জানেন না। যেমন, পিতা মাতার দায়িত্ব হচ্ছে, সন্তানের সুন্দর নাম রাখা, তাদেরকে আদর্শ ও চরিত্রবান রূপে গড়ে তোলা, কুরআন হাদিস তথা দ্বীনি শিক্ষা বা ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া। এমন অনেক সন্তানও আছেন যারা কুরআন হাদিস তথা দ্বীনি শিক্ষা বা ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা লাভের পরও পিতা মাতার প্রতি তাদের দায়িত্ব কর্তব্য সম্পর্কে উদাসিন; আর যারা জানেন না তাদের কথাতো আলাদা। ফলে পিতা মাতার মৃত্যুর পর সন্তানেরা কি করলে পিতা মাতা কবরে ও হাশরে সন্তানদের দ্বারা উপকৃত হবেন বা নাজাতের ব্যবস্থা হবে তা তাদের চিন্তায়ও আসে না। তাই পুর্ব পুরুষদের থেকে চলে আসা এই ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ অনুষ্ঠানই যেন আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে পিতা মাতার নাজাতের জন্য ওয়ারিশদের শেষ ভরসা। অথচ এই ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ফেতনা ফাসাদ আর গীবতের সয়লাব বয়ে যায়। কখনো কখনো মারামারি পর্যন্ত হতে দেখা যায়। আবার অনেকেই সামাজিকথা রক্ষা করতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ এমনকি অন্যের নিকট ধারস্তও হতে হয়, ঋণ গ্রস্থও হতে দেখা যায়। তারপরও ‘জিয়াফত’ ‘চল্লিশা’ মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ র অনুষ্ঠান করতেই হয়।
ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা বা অজ্ঞতার কারণে আমরা এমন সব কাজ বা আমল করছি যার সাথে কুরআন হাদিস তথা ইসলমাী আকীদা, তাহজিব ও তমুদ্দুনের কোন সম্পর্ক নেই। যেমন, কারো পিতা মাতা বা সন্তানের মৃত্যুর পর তাকে গোসল দেয়া, কাফন পড়ানো, দাফন করা ইত্যাদি জরুরী হলেও তাদের মৃত দেহের পাশে কুরআন খতম করা, আগড় বাতি জ¦ালানো, গোলাপের গন্ধ মিশ্রিত পানি ছিটানো ইত্যাদিকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। তাদের মৃত্যুর পর চারদিনের ‘খতম’ বা দোয়ার অনুষ্ঠান আর চল্লিশার ‘জিয়াফত’ ‘মেজবানী’ বা ‘কুলখানি’ র অনুষ্ঠান করাটাকে একটা বড় নেকীর কাজ মনে করা হয়; আর এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই যেন পিতা-মাতার প্রতি সন্তান হিসেবে তাদের দায়িত্ব কর্তব্য শেষ করা হয়। এসকল অনুষ্ঠানের সাথে অবশ্যই আমাদের সমাজের আলেম ওলামা বা মসজিদের ঈমামগণ জড়িত থাকেন। কারণ (১) জ্ঞানের কারণে আলেমদের মর্যাদা যেমন আল্লাহ তায়ালার কাছে অনেক বেশী, তেমনি সমাজের লোকেরাও তাদেরকে মর্যাদা দিয়ে থাকেন, (২) জ্ঞানের কারণেই রাসূল (স) আলেমগণকে তাঁর ওয়ারিশ বা উত্তরাধীকারী বলেছেন। রাসূল (স) আরো বলেছেন যে, আমি আমার ওয়ারিশদের জন্যে কোন বিষয়-সম্পত্তি রেখে যাইনি, আমি রেখে যাচ্ছি আল্লাহর কালাম ও আমার সুন্নাহ। এখন আলেমদের দায়িত্ব হচ্ছে, রাসূল (স) যে কাজ যে ভাবে করেছেন, সে কাজ সে ভাবে করা। যেমন রাসূল (স) মানুষকে আল্লাহ তায়ালার পক্ষথেকে নাজিলকৃত আয়াত গুলো পড়ে শুনাতেন, মানুষের জীবন পরিশুদ্ধ করতেন, উৎকর্ষিত করতেন, কিতাব ও হিকমত শিক্ষাদিতেন, আর মানুষ যে বিষয়ে জানত না তা জানাতেন; যা সুরা আল বাকারার ১৫১ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে।
সুরা আলে ইমরানের ১৮৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করছেন, ‘আর (স্মরণ করো !) আমি এ কিতাবধারী লোকদের (আলেমদের) কাছ থেকে এইমর্মে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে ছিলাম, আমি বলে ছিলাম, তোমরা একে (আমার কিতাবকে) মানুষের কাছে বর্ণনা করবে এবং একে (আমার কিতাবকে) তোমরা গোপণ করবে না।’ আলেম সমাজের দায়িত্ব হচ্ছে রাসূল (স) রেখে যাওয়া আদর্শ বা শিক্ষাকে সমাজের মানুষের কাছে পৌছে দেয়া, ‘মানুষ যা জানে না তা তাদেরকে জানানো’। দৃ:খজনক হলেও সত্যি যে, আলেমগণ রাসূল (স) এর ওয়ারিশ হয়ে যে দায়িত্ব পালন করার কথা তা করছেন না বা করতে পারছেন না। আলেম সমাজ এ দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকা আর সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় আলেম ওলামাগণও পড়েন বড় বেকায়দায়।
জানাযা পড়ানোর হক হচ্ছে মৃত ব্যাক্তির ওয়ারিশ বা উত্তরসুরির অথবা তার কোন নিকট আত্মীয়ের। যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মৃত ব্যাক্তির জানাযার হকদারগণ অজ্ঞ বা মূর্খ তাই তারা ঈমাম সাহেবের ওপরই জানাযার জন্য নির্ভর করেন। জানাযা শেষে কুরআন ও হাদিসে বা ইসলামী শরীয়াতে আর কোন দোয়া নেই; কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঈমাম সাহেবকে বাধ্য করা হয় আলাদা করে জানাযার পর দোয়া করার জন্য। ঈমাম সাহেব এক্ষেত্রে সঠিক কথা বললে ফেতনা সৃষ্টি হবে অন্যথায় তার ঈমামতি বা চাকুরী চলে যায়। পুরো বিষয়টাই হচ্ছে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা বা অজ্ঞতার কারনে।
এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল নরসিংদী জেলার মাধবদী বাজার বড় মসজিদে। ঈমাম সাহেব স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর পিতার জানাযা শেষে দোয়া করতে হয় না বললে বেশ হট্রগোল বাঁধে। ইমাম সাহেব বলতে চাইলেন, জানাযার পুরো বিষয়টাই দোয়া নির্ভর। আমরা জানাযার শুরুতে তাকবীরে তাহরীমার পর সুরা আল ফাতিহা পাঠ করেছি। সুরা আল ফাতিহা পুরোটাই দোয়া, দুরুদ শরীফ পড়েছি তারপর আল্লা হুম্মাগফির লি হাইয়িনা- ওয়া মাইয়িতিনা ওয়া শা-হিদিনা ...... এই দোয়া করেছি।
কিন্তু মৃত ব্যক্তির উপস্থিত আত্মীয় স্বজন তা কোন অবস্থাতেই মানতে রাজি হলেন না। বরং এখানে উপস্থিত অন্য একজন আলেম (মাওলানা!) উত্তপ্ত অনলে আরো একটু ঘৃত ঢেলে দিলেন। সে আলেমের প্রশ্ন ছিল, জানাযায় সুরা আল ফাতেহা পড়তে হবে কেন ? অথচ জানাযায় তাকবীরে তাহরীমার পর সুরা আল ফাতেহা পাঠ করার ব্যাপারে রাসূল (স) এর তিনজন প্রসিদ্ধ সাহাবার কাছ থেকে হাদিস রিওয়াত হয়েছে, (১) উম্মে শারীক আনসারিয়া (ইবনে মাজাহ), (২) উম্মে আফীক নাহদিইয়াহ (তাবারানী কাবীর) ও (৩) আসমা বিনতে ইয়াযীদ ইবনে সাকান আনসারিয়া (তাবারানী কাবীর)। তাছাড়াও হযরত আব্বাস (রা) ও হযরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ প্রমুখ সাহাবী হতে সহীহ আল বুখারী ও মুসতাদরাক হাদিসে সুরা আল ফাতিহা পাঠের পর অন্য সুরা পাঠের ব্যাপারে বর্ণিত আছে।
ইসলাম বিশ^ জাহানের কল্যাণে মানব জাতিকে এমন এক অনন্য আদর্শ শিক্ষা দিচ্ছে যার নজীর পৃথিবীর বুকে আর অন্য কোন ধর্মে বা আদর্শের মধ্যে নেই। সহীহ আর বুখারী ও তিরমিযি শরীফে উল্লেখ আছে, ‘যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের জানাযায় শরীক হয়ে দাফন শেষ হওয়া পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করবে সে দুই ক্কীরাত নেকী পাবে, এক ক্কীরাত পরিমান উহুদ পর্বত সমান’। হযরত আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, তোমরা জানাযায় উপস্থিত হও, এতে পরকালের কথা স্মরণ হবে।
জানাযার পর মূলত আর কোন দোয়া নেই। তবে কবরে দাফনের পর কবর জিয়ারত করা যেতে পারে। কবর জিয়ারত যে কোন সময় যে কোন ব্যক্তিই করতে পারেন। আমাদের দেশে মৃত ব্যক্তির জন্য চারদিনে ‘খতম’ পড়ানোর ও চল্লিশার ‘জিয়াফত’ ‘মেজবানী’ বা কুলখানি’ অনুষ্ঠানের যে রেওয়াজ প্রচলিত আছে, সে এব্যাপারে কথা বলছিলাম, ‘ফয়জুল মতিন মাদানীয়া মাদ্রাসার মুহতামীম (পরিচালক) মুফতি মাওলানা শাহ আলম এর সাথে; তিনি বললেন কুরআন ও হাদিসের আলোকে মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর তার ওয়ারিশদের উচিৎ তাদের পিতা মাতার কোন দায় দেনা থাকরে তা পরিশোধ করা, তাদের নিকট আত্মীয়দের বন্ধু বান্ধবীদের খোজ খবর রাখা, তাদের জন্য নিজেরা প্রত্যেক সালাতে ও সালাতের পর বেশী বেশী দোয়া করা, তাদের জন্য বেশী বেশী দান খয়রাত করা, তারা তা না করে কেন যে চারদিনের ‘খতম’ আর চল্লিশার ‘জিয়াফত’ ‘মেজবানি’ বা ‘কুরআনখানি’ করছে তা বুঝি না।
চারদিনের ‘খতম’ আর চল্লিশার ‘জিয়াফত’ এসব করা যাবে না বললে হট্রগোল ফেতনা ফাসাদ সৃষ্টি হয়। যদি প্রশ্ন করা হয় এসব কোথায় পেয়েছেন ? জবাব দেয় বাপ দাদা পূর্বরুষগণ করেছে তাই আমরাও করবো। উল্টো প্রশ্ন করে, বাপ দাদা পুর্বপুরুষগণ তারা কি ভুল করেছেন ? আরো বলা হয়, আপনারা নতুন নতুন হাদিস আবিস্কার করছেন। যদি বলি আরে ভাই পুরান হাদিসটা কি বলেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে সমাজে আগে থেকে চলে আসছে। সমাজে চলতে হলে এসব সামাজিকথা রক্ষা করতে হয়। মৃত ব্যক্তির জন্য চারদিনের ‘খতম’ আর চল্লিশার ‘জিয়াফত’ অনুষ্ঠান দেখে মনে হয় যেন, ‘মা মরেছে ভাল হয়েছে, মুড়ি নিজে নিয়ে খেতে পারবো’ অবুঝ শিশুর এমন বক্তব্যের মতো অনেকটা আনন্দের !
আজ থেকে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে অর্থাৎ ১০ম হিজরীর ৯ জিলহজ¦ তারিখে আল্লাহ সোবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিব মুহাম্মদ (স) এর মাধ্যমে দ্বীন আল ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করার ঘোষণা করেছেন। সুরা আল মায়েদার তিন নম্বর আয়াতাংশে বলা হয়েছে, ‘আল ইয়াওমা আকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম ওয়া আতমামতু আলাইকুম নিয়ামাতি ওয়া রাদিতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা’ বা “আজকের দিনে আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পরিপূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের ওপর আমার প্রতিশ্রুত নিয়ামতও পূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের জন্য জীবন বিধান হিসেবে ইসলামকে মনোনীত করলাম”।
যেখানে আল্লাহর রাসূল (স) একটি পরিপূর্ণ দ্বীন আল ইসলাম রেখে গেছেন, সেখানে আমরা রাসূল (স) এর দেখানো আমল বা কাজ ছাড়া অন্য কোন কিছু করতে পারি না। কারণ আল্লাহ তায়ালার সুরা মুহাম্মদ এর ৩৩ নম্বর আয়াতে নির্দেশ করছেন, ‘হে মুমিনগণ ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং তাঁর রাসূলে আনুগত্য করো আর তোমাদের কর্মফল বিনষ্ট করো না’।
রাসূল (স) তাঁর সাহাবা, খোলাফায়েরাশেদীনের কেউ কারো পিতা মাতার মৃুত্যুর পর চারদিনে ‘খতম’ আর চল্লিশার ‘জিয়াফত’ অনুষ্ঠান করার কোন দলিল নেই। আমরা যদি নেক নিয়তে এসকল আমল বা কাজ করি তা হলে আমাদের সকল কর্মফলই বিনষ্ট হয়ে যাবে। অতএব, আমরা যে আমল বা কাজই করি না কেন তা হতে হবে কুরআন সুন্নার আলোকে।
আসুন আমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (স) আমাদেরকে যে আমল বা কাজ যে ভাবে করতে বলেছেন আমরা সে ভাবেই তা করি। পিতা মাতার ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালার শিখানো দোয়াগুলো আমরা বেশী বেশী করি। সুরা ইব্রাহীমের ৪১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা শিখিয়েছেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! যেদিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে ও মু‘মিনগণকে ক্ষমা করে দিও।” সুরা বনী ইসরাইলের ২৪ নম্বর আয়াতে শিখানো হয়েছে, “হে আমার প্রতিপালক ! তাদের (আমার পিতা-মাতার) প্রতি তুমি দয়া করো, যেমনি শৈশবে তারা আমাকে লালন পালন করেছেন।”
©somewhere in net ltd.