নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

‘লাশ!’

০২ রা মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬

‘লাশ!’
গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী

জর্ম্ম-মৃত্যু এটা একটা চিরন্তন সত্য ও স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পৃথিবীতে জর্ম্মের পর মৃত্যুকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। সকল প্রাণকেই মৃত্যুর সাধ আস্বাধন করতে হয়। আমাদের চোখের সামনে হরহামেসা জর্ম্ম ও মৃত্যুর অসংখ্য ঘটনা ঘটছে। আমরা সকলেই আমাদের অনেক আপনজন ও নিকট আত্মীয়কে মৃত্যু বরণ করতে দেখেছি। মৃত্যুর সাথে সাথে তাদের দুনিয়ার নাম-ডাক, জশ-খ্যাতী, শান-শওকত, অর্থ-সম্পদ, বৃত্ত-ভৈবব সব কিছু থেকেই অধিকার বঞ্চিত হতে দেখছি ! কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার পিতা মাতা রাখা পরিচিত নাম পর্যন্ত মুছে যাচ্ছে, আর নতুন পরিচয় ধারন করছে, সে পরিচয় হচ্ছে ‘লাশ!’। আমরা পরিচিত মৃতজনদেরকে নিজ নিজ ধর্মের রীতি নীতি অনুযায়ী শেষ কার্য্য সম্পাদন করছি ও করতে দেখছি। কেউ আপনজনকে নিজ হাতে সাদা কাপড় মুড়িয়ে ঋক্ত হ¯েত কবরস্থ করছি, কেউ আবার আগুন দিয়ে পুড়াচ্ছি ! কি ভয়ঙ্কর ঘটনাই না আমরা নিজ হাতে ঘটাচ্ছি। তারপরও আমাদের মধ্যে কোন হুশ বা চেতনা জাগ্রত হয়নি দুনিয়াতে আমরা কি করছি ? কেন করছি ? আর কার জন্য করছি ? মানুষের দুনিয়ার জীবনে এমন হাজারো প্রশ্ন আছে, কিন্তু জবাব মিলছে না।

সাম্প্রতিক সময়ে পথে-ঘাটে, ঝোপ-ঝাড়ে, নালায়-নর্দমায়, খালে-বিলে, পুকুর-জলাশয়ে, নদ-নদী, সাগর ও সমুদ্র সৈকতে ‘লাশ’ পাওয়া যাচ্ছে। অনেক ‘লাশ’ এর পরিচয় পর্যন্ত মিলছে না। আমরা মানুষ ! ¯্রষ্টা তাঁর পৃথিবীতে মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রাণ বা জীব হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানুষের অনেক গুলো দায়-দায়িত্ব বা কাজের মধ্যে অন্যতম কাজ হচ্ছে মানুষের কল্যাণে কাজ করা। হয়তো বা আমাদের মধ্যে অনেকেই এমনটি করেও থাকি; কিন্তু আর যারা একাজটা করছে না তাদের ব্যাপারে আমাদের কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে করতে পারছি না। ফলে ¯্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মানুষগুলো পৃথিবীর কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে।

পৃথিবীতে মানুষের মাঝে দু‘টো শ্রেণী বা বিভাগ লক্ষ্যণীয়। কেউ আছে ¯্রষ্টাকে স্বীকার করছে আর এদুনিয়ার জীবনের পর আরো একটা জীবনের প্রত্যাশা করছে, আবার কেউ আছে ¯্রষ্টাকে স্বীকার করছে না, আর এদুনিয়ার জীবনটাকেই ভোগের জন্য নির্ধিারণ করে নিয়েছে । যারা ¯্রষ্টাকে স্বীকার করছে না তারা দুনিয়াটাকেই ভোগ বিলাসের আবাস বানিয়ে নিয়েছে। আর যারা ¯্রষ্টাকে স্বীকার করছে তারা দুনিয়াটাকে পরকালের শষ্যক্ষেত্র হিসেবে মনে করছে। যারা ¯্রষ্টাকে স্বীকার করছে তারা ধর্ম বিশ^াসী বা আস্তিক, আর যারা ¯্রষ্ট্রাকে স্বীকার করছে না তারা ধর্ম বিশ^াসী নয় তারা হচ্ছে নাস্তিক। ¯্রষ্ট্রাকে স্বকিার করা আর অস্বীকার করা, ধর্মে বিশ^াস করা আর না করা অথবা আস্তিক আর নাস্তিক হওয়া এটা মানুষের ইচ্ছাধীন বলা চলে। ¯্রষ্ট্রা মানুষকে এমন ইচ্ছা এখতিয়ার দিয়েই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

আস্তি আর নাস্তিক সকলেই স্বীকার করে যে হযরত আদম (আ) ই পৃথিবীর আদি মানুষ বা মানুষের আদি পিতা। আস্তিকগণ বিশ^াস করে যে, হযরত আদম (আ); যার সৃষ্টি কোন পিতা বা মাতা ব্যতীত এবং তিনি পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও প্রথম নবীও ছিলেন। অর্থাৎ পিতা মাতা ব্যতীত পৃথিবীর প্রথম মানুষ ও নবী হচ্ছেন হযরত আদম (আ) ও তাঁর স্ত্রী হযরত হাওয়া (আ); আর পিতা ব্যতীত মানুষ হচ্ছেন হযরত ঈসা (আ); যদিও খৃষ্ট্রধর্মালম্বীগণ তাঁকে এড়ফ ঝড়হ ইশ^রের পুত্র বলে মানে আর মুসলমানগণ তাঁকে আল্লাহ তায়ালার একজন নবী বলে মানে । আর আমরা যারা মানুষ হিসেবে দুনিয়া এসেছি, আমাদের পূর্বে যারা এসেছিল আর পরে যারা আসবে তারা সকলেই পিতা মাতার সন্তান।
আস্তিকদের বিশ^াস যে, ¯্রষ্ট্রা হযরত আদম (আ) কে সৃষ্টির পর তাঁর ডান ও বাম পাশ থেকে আদম (আ) এর পরবর্তী বংশধর অর্থাৎ মানুষগুলোকে সৃষ্টি করেছেন। তাদেরকে সৃষ্টির পর একটা রূপদান করে ‘রূহ’ এর জগতে দুনিয়ার ¯্রষ্ট্রা তাঁর অন্যসব সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষকে জ্ঞান দান করেছিলেন। অত:পর, আদম সন্তানদের সকলকে একত্রিত করে একটি প্রশ্ন করেছিলেন; আর সে প্রশ্নটি হচ্ছে, ‘আল আস্তুু বি রাব্বি কুম’ বা আমি কি তোমাদের প্রভু নই ? এমনি ভাবে তিন তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তখন পর্যায়ক্রমে সকল মানবাত্মাই জবাবে বলেছিল, ‘ক্কালু বালা’ বা নিশ্চয়ই আপনি আমাদের প্রভু।

দুনিয়ার যখন যে মানুষটির জর্ম্ম হয় তখনই ‘রূহ’ এর জগতে ¯্রষ্টার সাথে কৃত ওয়াদা বা প্রতিশ্রুতি বা স্বীকারোক্তি স্মরণ করানোর জন্যই মুসলমানগণ তাদের ধর্মীয় রীতি নীতি অনুযায়ী ‘আল্লাহু আকবার’ বা আল্লাহ সবচেয়ে বড় আর মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল বলে ঘোষণা করা হয় বা আযান দেয়া হয়; আর হিন্দুগণ তাদের ধর্মসাস্ত্র অনুযায়ী শঙ্খ বাজায় বা উলোদ্ধনী দেয় অন্যান্য ধর্মের অনুসারীগণও তাদের ধর্মীয় রীতি নীতি মেনে দুনিয়ার আদম সন্তানদের আগমন বার্তা ও ¯্রষ্টার সাথে কৃত স্বীকেিরাক্তির কথা জানিয়ে দেয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.