নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী

গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃত্ব ও পেশা

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:০১

ইসলামের দৃষ্টিতে মাতৃত্ব ও পেশা
New 0 0
॥ গাজী মুহাম্মদ শওকত আলী॥
নারীর সম-অধিকারের ব্যাপারে বিশ্ববাসী তথা বিশ্বের মোড়লেরা সোচ্চার। শ্লোগান উঠেছে, ‘নারীর জাগরণ, উন্নয়নের সোপান’ ! বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নারীদের নিয়ে অসংখ্য সংগঠন আর প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। শুধু কি পূর্ণ বয়স্ক নারী ? না। কন্যা, জায়া ও জননীদেরকে নিয়েও অনেক সংগঠন আর প্রতিষ্ঠান আজ গোটা বিশ্বে কাজ করছে। দেশে দেশে পালিত হচ্ছে, নারী দিবস, কন্যা দিবস, মা দিবস, বউ মেলাসহ আরো কতো কি দিবস ও মেলা। আজকের উন্নত ও উন্নয়নশীল বিশ্বে নারী জাগরণের নামে নারীদেরকে দিয়ে চাষাবাদ থেকে শুরু করে রাস্তায় মাটি কাটা, রাস্তা ঝাড়– দেয়া, রাস্তায় ইট ভাঙ্গা, রাজমিস্ত্রীর জোগালীর কাজ করা এমনকি কুলি ও মজুরের কাজও করানো হচ্ছে। নারীরা আজ কল কারখানায়, অফিসে আদালতে, ব্যাংক, বীমা, হোটেল, মোটেল, পর্যটনকেন্দ্র, সংবাদপত্র বা প্রিন্ট মিডয়াসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায়, স্কুল, কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে কাজ করছে। নারীদেরকে করা হয়েছে বাণিজ্যিক পণ্য তথা বানিজ্যের জন্য বিজ্ঞাপনের পণ্য। এরই নাম কি নারীর স্বাধীনতা, নারীর জাগরণ আর নারীর সম-অধিকার ? কে বা কারা কেন নারীদেরকে নিয়ে এতো মাতামাতি করছে ? কি তাদের উদ্দেশ্য ? আর নারীরাই বা কেন এসকল কর্মকাণ্ডকে তাদের অধিকার বলে মনে করছে ?

নারীর অধিকার সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা কুরআনের সূরা আল ইমরানের ৪ নম্বর আয়াতে পুরুষদেরকে নির্দেশ করছেন, ‘আর তোমরা স্ত্রীদেরকে সন্তুুষ্টচিত্তে তাদের মোহর বুঝিয়ে দাও’। উক্ত সূরার ১১ নম্বর আয়াতে পুরুষদের প্রতি আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ করছেন, ‘আর তোমরা তাদের (স্ত্রীদের) সাথে সৎভাবে জীবন যাপন করো’। সূরা আন নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘আর মুহাররাম স্ত্রী লোকদের তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে, তবে অন্যসব নারীদের তোমরা (পুরুষেরা) নিজেদের ধন-সম্পদের বিনিময়ে তাদেরকে (নারীদেরকে) হাসিল করার আকাক্সক্ষা করো তাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য এবং অবাধ যৌন চর্চা প্রতিরোধের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে; সুতরাং তোমরা তাদের কাছ থেকে যে স্বাদ আস্বাদন করছ তার বিনিময়ে তাদের (উপযুক্ত) মোহর তাদেরকে ফরজ হিসেবে দিয়ে দাও’।

সহীহ আল বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে হজরত উকবা ইবনে আমের (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে শর্তে (মোহরানার) তোমরা স্ত্রীদের লজ্জাস্থান হালাল করো তা অবশ্যই তোমাদেরকে পূরণ করতে হবে। রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি মোহর ধার্য করে কোনো মেয়েকে এই নিয়তে বিয়ে করে যে উক্ত মোহর পরিশোধ করবে না, সে (পুরুষ) ব্যভিচারী। বিয়ের ব্যাপারে এই হলো নারীর অধিকার। তদুপরি একজন নারী বিয়ের মাধ্যমে তার স্বামী কর্তৃক অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা লাভ করে। তাছাড়াও একজন নারী তার পিতা-মাতা, ভাই, বোন, স্বামী ও সন্তানের সম্পত্তিরও উত্তরাধীকারী হয়ে থাকে। অতএব, যে কোনো একজন নারীর জন্য খাওয়া, পরা, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার কথা ভাবতে হয় না। এই হলো একজন নারীর বা স্ত্রীর জন্য আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রদত্ত অধিকার।

নারীর দায়িত্ব সম্পর্কে মিশকাত শরীফের হাদীসে হজরত আনাস (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে নারী (প্রতিদিন) পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করবে, রমজান মাসে সিয়াম পালন করবে, নিজের ইজ্জত আব্রুর হেফাজত করবে আর স্বামীর অনুগত থাকবে; জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে সে নারীর প্রবেশের অধিকার তার থাকবে। নাসাঈ শরীফের হাদীসে হজরত আবু হোরায়রাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা রাসূল (সা.) কে প্রশ্ন করা হলো যে, মহিলাদের মধ্যে কোন মহিলা সবচেয়ে উত্তম ? উত্তরে রাসূল (সা.) বললেন, ঐ মহিলা সবচেয়ে উত্তম, যার দিকে দৃষ্টি করে তার স্বামী আনন্দ পায়, যাকে কোনো হুকুম করলে সে তা মান্য করে এবং এমন কোনো কাজ সে নিজের কিংবা নিজের সহায় সম্পদের জন্য করে না, যা তার স্বামীর পছন্দ নয়। তিরমিযি শরীফের হাদীসে হজরত উম্মে সালামাহ (রা.) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, যে মহিলা তার স্বামীকে সন্তুুষ্ট রেখে মৃত্যু বরণ করে, সে অনায়াসে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

কুরআন ও হাদীসের কোথাও নারীদেরকে উপার্জনের জন্য উৎসাহিত করা হয়নি। বরং পুরুষদের নির্দেশ করা হয়েছে, নারীদের যথাসাধ্য মোহর প্রদানের জন্য আর উত্তম আহার, বাসস্থান, পোশাক এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও নিরাপত্তা বিধান করার জন্য। একজন পুরুষ যখন কোনো নারীকে বিয়ে করে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিশ্চয়তা বিধান করেই একজন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে। তারপরও কেন যে একজন নারী সম-অধিকারের নামে পুরুষের পাশাপাশি বিভিন্ন পেশা বেছে নিচ্ছে ? পুরুষের সাথে বিভিন্ন পেশায় প্রতিযোগিতা করছে! এটা কেমন মানসিকতা আর কেমন প্রতিযোগিতা? আর এ কাজে সহযোগিতা করছে এক শ্রেণীর পুরুষ! এসকল পুরুষগুলো অবশ্যই মানসিকভাবে অসুস্থ না হয় চরিত্রহীন ও লম্পট। তারা নারীদের আধুনিকতার নামে বেপর্দা করে ভোগের সামগ্রী হিসেবে পেতে চায় বা নারীদের উলঙ্গ বা অর্ধউলঙ্গ করে তৃপ্তি পেতে চায়।

পুরুষ যে সকল কাজ করার কথা সম-অধিকারের নামে নারীরা আজ তা করছে। এমনকি কোথাও কোথাও নারীরা পুরুষদেরকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। যেমন বাণিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে পুরুষদের চাইতে নারীর চাহিদা অনেক বেশি। আমাদের দেশের অধিকাংশ বানিজ্যিক পণ্যের বিজ্ঞাপনেই নরীদের বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গীতে দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক খেলা-ধুলায় নারীরা অংশগ্রহণ করছে। যার ফলে নারীদের মাতৃত্ব হুমকির সম্মুখীন। রাজশাহীর আমার এক ঘনিষ্ট পরিচিতজন বিয়ে করেছেন ১৯৯৮ সালে। তার স্ত্রী এক সময় এথলেটিক্স ও মার্শাল আর্ট এর প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন ও প্রশিক্ষক ছিলেন। বিয়ের ১৭ বছর পার হলো এখনও তার গর্ভে কোনো সন্তান আসেনি। দেশ-বিদেশের অনেক ডাক্তার দেখানো হয়েছে। ডাক্তারদের সর্বশেষ বক্তব্য এই মহিলার সন্তান ধারনের জন্য যে স্পার্ম থাকা দরকার তা অসময়ে ক্ষয় হয়ে গেছে। অতএব, তার আর কোনো সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আর একটি ঘটনা এখানে উল্লেখ করতে চাই আর তা হচ্ছে, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, লন্ডনেও লেখাপড়া করেছেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ^বিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। বাবা মা এর একমাত্র ছেলে। তার মা তাকে অনেক সখ করে আমেরিকার সিটিজেন এক মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। উশৃঙ্খল জীবন যাপনের কারণে এই বিয়ে এক মাসও টিকেনি। সে ছেলে অবশ্য আগে থেকেই বেপর্দা মেয়ে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। আমরা এমন হাজারো ঘটনা জানি যা আমাদের সমাজে ও দেশে ঘটেই চলেছে। এটা নারীর সম-অধিকারের নামে বেপর্দা আর বেহায়াপনারই ফল।

নারীদেরকে আল্লাহ তায়ালা মাতৃত্বের জন্যই বিশেষ করে সৃষ্টি করেছেন। নেপোলিয়ন বলেছিলেন, ‘আমাকে একজন উত্তম মা দাও আমি তোমাদেরকে একটি উন্নত জাতি উপহার দেবো’। রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘সন্তানের প্রথম শিক্ষক হচ্ছে, ‘মা’। রাসূল (সা.) আরো বলেছেন, ‘মা এর পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত’। আজকে আমাদের সমাজে পেশার প্রতিযোগিতা ও তথাকথিত সম-অধিকার আদায়ের কারণে নারীরা সেই ‘মা’ আর ‘মাতৃত্ব’ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সম-অধিকার আর পেশার প্রতিযোগিতায় নারীরা আজ মাতৃত্বকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। ‘মা’ আর মাতৃত্বের অভাব পূরণে পুরুষের কোনো অংশীদারীত্ব বা ভুমিকা নেই আর এটা থাকতেও পারে না। যে কোনো নারী ইচ্ছা করলেই পুরুষের স্থলাভিসিক্ত হয়ে খেলতে পারে, দৌড়াতে পারে, ড্রাইভিং করতে পারে, মাটি কাটতে পারে, ইট ভাঙ্গতে পারে যা কিনা পুরুষের জন্যই মানায়। কিন্তুু কোনো পুরুষ ইচ্ছা করলেই ‘মা’ হতে পারে না। সন্তান গর্ভে ধারণ করতে পারে না। সন্তান ধারণের ক্ষমতা ও সন্তানকে দুগ্ধদান করার ক্ষমতা আল্লাহ তায়ালা শুধুমাত্র নারীদেরকেই দিয়েছেন, কোনো পুরুষকে তা দেননি। এটা আল্লাহ তায়ালার বিধান।

একজন নারীর জন্য মাতৃত্ব গ্রহণের উপযুক্ত সময় হচ্ছে, বিশ বছর থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে। এসময়ে একজন নারীর জন্য সন্তান ধারণের প্রয়োজনীয় স্পার্ম পূর্ণ মাত্রায় থাকে। তাতে সন্তান সুস্থ ও সবল হতে দেখা যায়। ত্রিশোর্ধ নারীর ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের ক্ষমতা বা প্রয়োজনীয় স্পার্ম এর স্বল্পতা দেখা দেয়। তাতে করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সন্তান বিকলাঙ্গ বা অপূর্ণাঙ্গ হতে দেখা যায়। তাছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ত্রিশোর্ধ নারীর ক্ষেত্রে সন্তান ধারনের ক্ষমতাও হ্রাস পায়। যার ফলে আজকে পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃত্ব গ্রহণ করা ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরে। আমেরিকা ভিত্তিক বিশে^র সেরা কোম্পানিগুলোর অন্যতম ‘গুগোল’ তাদের নির্বাহী নারী কর্মকর্তাদের মাতৃত্ব ধরে রাখার জন্য ‘স্পার্ম’ ব্যাংক স্থাপনের কথা জানিয়েছে। যাতে বিশ, পঁচিশ বা ত্রিশ বছর বয়সের নারীদের ‘স্পার্ম’ সংরক্ষণ করা হবে। এই সংরক্ষিত স্পার্ম দ্বারা যখন যে নারী ‘মা’ হতে চাইবে বা মাতৃত্ব গ্রহণ করতে চাইবে তখন তার সংরক্ষিত ‘স্পার্ম’ যথাস্থানে স্থাপন করে মাতৃত্ব গ্রহণ করবে। আদৌ এটা কতটা কার্যকর হবে তা সময়ই বলে দেবে। এটা কোনো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন ধারা মনে করা যায় না। মাতৃত্বের এহেন অবস্থার জন্য নারীর সম-অধিকারের নামে পেশার প্রতিযোগিতাই মূলত: দায়ী।

পাশ্চাত্য সভ্যতায় নারীরা যা খুশি তা করতে পারলেও মুসলমান নারীরা তা করতে পারে না। মুসলিম সমাজে নারীরা অবাধ যৌনাচার আর লিভ টুগেদার করতে পারে না। মুসলমান নারীদের কিছু নীতি নৈতিকতা থাকা চাই। এক্ষেত্রে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, যে বা যারা আল্লাহ তায়ালার প্রতিটি হুকুম আহকাম, আইন-কানুন বা বিধি-বিধান শর্তহীনভাবে মেনে চলার অঙ্গীকার করে তাকেই মুসলমান বলা হয়। যেমন সূরা আল বাকারার ১৩১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘ইয ক্কালা লাহু রাব্বুহু-আছলিম; ক্কালা আছলামতু লিরাব্বিল আ-লামিন’ যার অর্থ হচ্ছে, (আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় বান্দা, বন্ধু ও নবী ইব্রাহীম (আ) সর্ম্পকে বলছেন) ‘যখন আমি তাকে বললাম, তুমি আমার অনুগত (বা মুসলিম) হয়ে যাও, সে (ইব্রাহীম) বললো আমি সৃষ্টিকুলের মালিক আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করে নিলাম’ বা আত্মসর্ম্পণ করলাম অথবা মুসলিম হয়ে গেলাম।

নারীকে সম্মানীত করেছে ইসলাম। ইসলাম আগমনের পূর্বের যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগ। তখন মেয়েদেরকে জীবন্ত কবর দেয়া হতো। নারীরা ছিল ক্রীতদাসী আর ভোগের সামগ্রী মাত্র। নারীদের প্রতি যাচ্ছে তাই ব্যবহার করা হতো। ইসলাম নারীদেরকে শুধু সম্মানীতই করেনি, দিয়েছে অনেক অধিকার। ক্রীতদাসীর পরিবর্তে মোহরানার বিনিময়ে অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তার অঙ্গীকারের মাধ্যমে বিয়ের ব্যবস্থা করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। তাছাড়াও পিতা-মাতা, ভাই-বোন আর স্বামী-সন্তানেরও করেছে ওয়ারিশ। ইসলাম এভাবে একজন নারীকে করেছে সম্পদের অধিকারী। তারপরও কেন একজন নারী তার মাতৃত্ব জলাঞ্জলি দিয়ে অর্থ সম্পদ আর বিত্ত বৈভবের পিছু ছুটে পরকালীন মহাসুখের জীবনকে বরবাদ করছে তা চিন্তার বিষয়।

আল্লাহ তায়ালা সূরা আল মায়েদার ৬৬ নম্বর আয়াতে ঘোষণা করেছেন, ‘যদি তারা (জনপদের লোকেরা) তাওরাত ও ইনজিলে আর তাদের ওপর তাদের মালিকের পক্ষ থেকে যে বিধান নাজিল করা হয়েছে তা মেনে নিত ও তা প্রতিষ্ঠা করতো তাহলে তারা রিজিক পেতো তাদের মাথার ওপর থেকে (আসমান থেকে) ও তাদের পায়ের নিচ থেকে (জমিন থেকে), তাদের মধ্যে অবশ্যই একদল ন্যায় ও মধ্যপন্থী লোক রয়েছে, তবে তাদের অধিকাংশই হচ্ছে এমন, যাদের কর্মকাণ্ড খুবই নিকৃষ্ট’।

অতএব, আমাদের উচিত যার জন্য যে কাজ শোভনীয় আর যেভাবে করণীয় তাই যেন আমরা করি। যেমন, হাতের কাজ আমরা হাত দিয়েই করবো আর পায়ের কাজ পা দিয়েই করবো। পা না থাকলে আমরা হাতের ওপর ভর করে অথবা হামাগুড়ি দিয়ে পথ চলি। আবার হাত না থাকলে আমরা পা দিয়েও খাদ্য গ্রহণ করি। এটা অবশ্যই স্বাভাবিক অবস্থা নয়। পুরুষের কাজ পরিবারে চাহিদা মতো ভরণ-পোষণে অর্থের যোগান দেয়া বা অর্থ উপার্জন করা। নারীর দায়িত্ব হচ্ছে পরিবারের ঘর গৃহস্থালীর কাজ করা ও ঘর গৃহস্থালীর রক্ষণাবেক্ষণ সহ মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করা। অর্থাৎ একজন নারী নারীর কাজ করবে আর পুরুষ পুরুষের কাজ করবে। অগত্যা কোনো পরিবারে পুরুষ না থাকলে সে ক্ষেত্রে পেশা বা কর্ম ক্ষেত্র ভিন্ন হতে পারে। তাই বলে কোনো পরিবারে নারী না থাকলে পুরুষ ইচ্ছা করলেও ‘মা’ হতে বা মাতৃত্ব গ্রহণ করতে পারে না বা আমরা কেউ ইচ্ছা করলেও আল্লাহ তায়ালার বিধানের ব্যত্যয় ঘটাতে পারবো না।

- See more at: Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.