![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার যেমন ইচ্ছে লেখার খাতা
গতবছরের রেজাল্ট দেওয়ার আগের দিনের কথা মনে হলে এখনো অস্বস্তি লাগে!! কারন রেজাল্ট দেয়ার আগের দিনই যে মিষ্টি কিনে রেখেছিল!! সবাই ধরেই নিয়েছিল আমি জিপি ফাইভ পাবো!! আমি চিন্তায় ছিলাম এটা ভেবে যে, যদি জিপিএ ফাইভ না পাই তাহলে হবেটা কি!! এতোগুলো মুখ,এতো এতো আশা!! যাই হউক ভাগ্য ভালো, কোনো মতে একটা জিপিএ ফাইভের সিল পড়েছিল আমার নামের পাশে আর তাই সেবারের মতো বেঁচে গিয়েছিলাম!! যদি সিল না পড়ত তাহলে লজ্জায় মুখ লুকানোর জন্য কি করতে হতো আল্লাহ জানেন!!
একটা জিপিএ ফাইভের মূল্য কি তা আমি বেশ ভালোই টের পেয়েছিলাম!! যদিও জিপিএ ফাইভের দরকার আমার চাইতে আমার পরিবারের বেশি ছিল... শুধু আমি না প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই এমনটা ঘটে...সব বাবা-মা'র ধারনা একটা জিপিএ ফাইভ দিয়েই একটা শিক্ষার্থীকে পরিমাপ করা যায়,বুঝে নেওয়া যায় ছেলেটার ভবিষ্যত কি,মেয়েটার ভবিষ্যত কি,তাদের পড়ালেখার দৌড় কদ্দূর পর্যন্ত তা টের পাওয়া যায়!!
ভাগ্যিস আমাদের জিপিএ ফাইভের স্বপ্নে বিভোর অভিভাবকদের মতো অভিভাবক পাননি টমাস আলভা এডিসন,স্টিফেন হকিং,স্টিভ জবস,বিল গেটস,ওয়ারেন বাফেট,শচীন টেন্ডুলকারের মতো মহারথীরা!! কারন কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাদের রেজাল্ট এতোটাই বাজে ছিল যে, আমাদের বাবা মা হলে ঘর থেকে বের করে দিতো লাত্থি দিয়ে!! ভাগ্য ভালো, তাদের বাবা মা তাদের রেজাল্ট কার্ডকে গুরুত্ব না দিয়ে গুরুত্ব দিয়েছিল তাদের মেধাকে...
জিপিএ ফাইভ পেলেই কেউ মেধাবী হয়ে যায় না...জিপিএ ফাইভ পেলেই কারোর জন্য সুন্দর ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়ে যায় না, খুলে যায় না নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা!! হাজার হাজার ডাবল জিপিএ ফাইভ পাওয়া শিক্ষার্থী আছে যারা কিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নাম্বার তুলতে পারে না...আবার হাজার হাজার সাধারন মানের রেজাল্টধারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ইউনিটের মেরিট লিস্টের প্রথমে থাকে...একটা জিপিএ ফাইভ কখনো একটা মানুষকে এক্সট্রা অর্ডিনারি করতে পারে নাহ...কিছু সাদা কাগজ দিয়ে কখনো কারোর মেধার মূল্যায়ন করা যায় না...
পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষ মেধাবী...সবাই কোনো না কোনো ভাবে এক্সট্রা অর্ডিনারি...জিপিএ ফাইভ পেলেই কি আর না পেলেই বা কি...
তবে এটা ঠিক যে, ভালো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য ভালো জিপিএ এর বিকল্প নাই...তবে জীবনে ভালো কিছু করার জন্য নয়!!
যারা ফলাফলের অপেক্ষায় আছো তাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা
২| ১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫
রন৬৬৬ বলেছেন: I did my SSC back in 1985. At that time passing rate was roughly 37%. Two years after HSC in 1987, passing rate was 39% (approx).
Those were the days of Dhaka Board. Golden era of education system of Bangladesh during 1980-1990.
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অদ্ভুত এক গ্রেডিং সিস্টেম। ৯১% পাশ! মূল্যস্ফীতির মতো শিক্ষাস্ফীতির ফলও ভালো হবে না।