নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সেক্যুলারিজম এর অন্তরালে শিক্ষাব্যাবস্থা !!!

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৩

Secularism শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Seculam থেকে এসেছে। যার অর্থ পার্থিব।
ইউরোপ/আমেরিকাতে সেক্যুলারিজম মানে ধর্মহীনতাকে বোঝায়,
ফ্রেঞ্জ ভাষায় সেক্যুলারিজম কে বলা হয় Lacism, যার অর্থ অধর্মীয় অবস্থা,
আরবিতে সেক্যুলারিজম কে ''আল লাদিনাহু'' বলা হয় যার অর্থ ধর্মহীন মতবাদ,
আর বাংলাতে সেক্যুলারিজম বলতে ধর্ম নিরপেক্ষতা কে বুঝায়। এখানে ''নির'' প্রত্যয় যোগ করা হয়েছে যার অর্থ নেই। অর্থাৎ, ধর্মের পক্ষে নেই। বাংলা একাডেমী অভিধানে অপেক্ষার অর্থ ভরসা বা নির্ভরতা। অর্থাৎ যে ব্যাক্তির ধর্মের উপর নির্ভরতা বা বিশ্বাস নেই সেই ধর্মনিরপেক্ষ।

শাব্দিক অর্থ দিয়ে সবকিছুকে বিবেচনা করা উচিত না। আর তাই সেক্যুলারপন্থীদের মতে সেক্যুলারিজম বলতে কেবল ধর্মনিরপেক্ষতাকে বুঝায়। যদিও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা।
ধর্ম কে নিয়ে আজ অনেক কন্ট্রোভারসি। সেক্ষেত্রে অনেকেই হয়তো জানতে চাইবেন ধর্মের জন্ম হয়েছে কবে। উত্তর অনেক সহজ। যখন থেকে মানুষের জন্ম শুরু হয়েছে, তখন থেকেই ধর্মের জন্ম শুরু হয়েছে। কারণ, মানুষের প্রয়োজনে ধর্ম এসেছে, ধর্মের প্রয়োজনে মানুষ নয় !!!

আচ্ছা, সিংহভাগ মুসলমানের দেশে সকল ধর্মের প্রতি সমান শ্রদ্ধা আর সম্মান রেখে এ দেশের সংবিধান বা মূলনীতি কিছুটা হলেও মুসলমানদের'' ফেভারে হবে বলে প্রত্যাশা করাটা কি অপরাধ ???
এটা পরিলক্ষিত হয় যে দেশ স্বাধীন হবার পর ভারতের সংবিধানের আলোকে এদেশের সংবিধানে সেক্যুলারিজম নীতি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে যা বাংলাদেশ থেকে ইসলাম কে নির্মূল করে দেবার প্রয়াস দেখা যাচ্ছে।

সেক্যুলারিজম নিয়ে অনেক বলে ফেললাম। এইবার একটু শিক্ষা ব্যাবস্থার দিকে যাই।

আগেই কিছু উদাহরণ দিয়ে নেইঃ
১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুরআনের আয়াত ''রাব্বি জিদনি ইলমা'', ঢাকা শিক্ষাবোর্ড এর মনোগ্রাম থেকে ''ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক'' তুলে দেওয়া হয়।
২। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল, ফজলুল হক মুসলিম হল, জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি থেকে মুসলিম এবং কবি নজরুল ইসলাম কলেজ থেকে ইসলাম শব্দ টি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথছ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর জগন্নাথ হল কিংবা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম ঠিক ই অপরিবর্তিত আছে।
৩। দেশের প্রথম শিক্ষা কমিশন ড. কুদরত এ খোদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে বলা হয় ''প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী'' পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া যাবে না, তবে তার উপরের শ্রেণীর স্টুডেন্ট রা ইচ্ছা করলে অপশনাল হিসেবে ধর্ম শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। এবং পাঠ্যপুস্তক থেকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনী উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।
৪। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে অসংখ্য মূর্তি,মন্দির স্থাপনা করলেও সিংহভাগ মুসলমানের দেশে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ইসলামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয় নি।

তাছাড়া শিক্ষাবাবস্থার উপর ভ্যাট বসানো, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া, মাধ্যমিক শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে অনৈতিক জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাম্প্রতিক মেডিক্যাল এর টাকার বিনিময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়াতে মেধাবীরা চান্স পাওয়ার বদলে মেধাহীন দের এক বিরাট অংশ মেডিক্যাল এ চান্স পেয়েছে। এ ব্যাপারগুলো শিক্ষাব্যাবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।

আর তারপরেও যদি কেউ যদি বলে থাকেন, বাংলাদেশ অনেক ভালো পথে এগুচ্ছে, তাহলে আমাকে ''আব্রাহাম লিঙ্কন'' এর সেই বিখ্যাত উক্তি দিয়ে লেখা টি শেষ করতে হবে। তিনি বলেছিলেন,
''আপনি কিছু মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন,
আপনি সব মানুষকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন,
কিন্তু আপনি সব মানুষকে সব সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখতে পারেন না !!!''

---গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৫

আধারে আমি৪২০ বলেছেন: ভাই, বাংলাদেশে এখন কোন মাদ্রাসা নেই। এটা জানেন না বোধ হয়?

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৪

প্রিয় বিবেক বলেছেন: আপনি অনেক জানেন সেটা বুঝাই যাচ্ছে।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৫

অেসন বলেছেন: মুসলমানদের ফেভারে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৫

প্রিয় বিবেক বলেছেন: হুম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.