নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রিয় বিবেক

প্রিয় বিবেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ থেকে ১৫ বছর আগেও গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতো কিভাবে জানেন?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯

আজ থেকে ১৫ বছর আগেও গ্রামের মেয়েদের বিয়ে হতো কিভাবে জানেন?

বিয়ের পূর্বে পাত্রপক্ষের লোক যখন কন্যা দেখতে আসতো তখন মেহমান হিসেবে নিয়ে আসতো বাদামী বিস্কুট, নোনতা বিস্কুট আর খুব ধনী হলে ১ প্যাকেট মিষ্টি আনত সাথে পান-সুপারি থাকতো। আর কন্যা পক্ষের লোক বিভিন্ন রকমের পিঠা বানাইয়ে পাত্র পক্ষ কে খুশী করতে চাইত যেন তারা খুব সহজেই তাদের মেয়েকে বউ হিসেবে ঘরে তুলে নেয়। কারণ তখন কার সময়ে মেয়েদের একটাই ভয় ছিল তার বিয়ে হবে তো? ভালো ঘরে যাবে কিংবা খারাপ ঘরে যাবে সেটা তেমন একটা ভাবতো না। আর পাত্র যদি বিদেশে থাকে তাহলে তো কথাই নাই যেন সোনার হরিণ।

তারপর শুরু হয় পাত্রপক্ষের দ্বারা পাত্রীর কঠিন ইন্টারভিউ।
--দেখি মা একটু হাঁটো তো !
--দেখি মা তোমার চুলগুলো !
--দেখি মা কুরআন তিলাওয়াত করো তো !
--দেখি মা তোমার নাম টা লিখো তো !
--দেখি মা এদিকে একটু তাকাও তো !
এভাবেই ইন্টারভিউ চলতে থাকে পাত্রীকে অপদস্থ করার আগ পর্যন্ত। গ্রামের মুরুব্বীরা মনে করতেন এ ধরনের প্রশ্ন করলে মেয়ের প্রতিভা ফুটে আসবে। কারণ তারা তখন মেয়েদের প্রতিভা বলতে সুন্দর করে হাঁটতে পারা, সুন্দর করে সূরা মুখস্ত করা, সুন্দর হাতের লেখা কে বুঝাতেন।

তখনকার সময়ে মুরুব্বীরা হাতে তালু দেখে মেয়েদের কপাল নির্ণয় করে দিতেন ভবিষ্যতে সুখী হবে কি হবে না। পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ টার উপরে নির্ভর করতো মেয়েদের স্বপ্ন।
উঁহু, আমি রুপকথার গল্প বলছি না, সত্যিই বলছি।

খুব গর্ব করে বলতে ইচ্ছে করছে আজ আর সে সময় নেই। এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই। এখন আর কেউ পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ এর মধ্য দিয়ে নারীকে বিচার করে না। এখন আর কেউ তাদের হাঁটতে, লিখতে, তাকাতে বলে না।
কারণ এখন সবাই জানে নারীরা নারীর আপন গতিতে এগিয়ে চলছে। তারা নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর বিদেশী ছেলে দেখলে সোনার হরিণ ভাবে না। কারণ তাদের মেয়েরা আজ হরিণী। তারা আজ অনেক উঁচু জায়গায় যেতে চায়।

এখন আর কেউ ভাবে না যে তাদের মেয়ের বিয়ে হবে কিনা? বরং তারা ভাবে যে ছেলে তাদের মেয়েকে বিয়ে করতে আসবে সে তাদের মেয়ের যোগ্য হতে পারবে কি না?
বর-কণে দুজন দুজনের সাথে কাধ মিলাতে পারবে কিনা?

সাবাশ নারী সাবাশ, এগিয়ে যাও আপন গতিতে ঠিক নিজের মত করে !!!

---গোলাম রাব্বানী

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:

" খুব গর্ব করে বলতে ইচ্ছে করছে আজ আর সে সময় নেই। এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই। এখন আর কেউ পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ এর মধ্য দিয়ে নারীকে বিচার করে না। এখন আর কেউ তাদের হাঁটতে, লিখতে, তাকাতে বলে না। "

-শুরু করলেন গ্রামের দু:খী মেয়েদের, শেষ করলেন তাদের নিয়ে, যাদের বিয়ে হয় সোনার গাঁ'য়।

গ্রামের মেয়েদের ভাগ্য বদলায়নি, বদলায়নি গার্মেন্টস'এর মেয়েদের জন্য ভাগ্য।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভাই রাতারাতি সব সম্ভব নয়। তারপরেও ভালই অগ্রগতি হয়েছে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৪

ইমাম হোসাইন শাকিল বলেছেন: ভাই আপনার কথাট সঠিক এখন আার ইন্টার ভিউ নেওয়া হয়না মেয়েদের তাইতো বিয়ে গুলো টিকে না বেশি দিন, আমার মা আর আপনার মায়ের ইন্টার ভিউ নেওয়া হয়েছে দেখে তাদের সংসার গুলো সুখের হয়েছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

প্রিয় বিবেক বলেছেন: যৌক্তিকতার মাঝেও কিছুটা অযৌক্তিক আমার কাছে ভাইয়া।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

প্রিয় বিবেক বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

কিরমানী লিটন বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:

" খুব গর্ব করে বলতে ইচ্ছে করছে আজ আর সে সময় নেই। এখন আর নারীরা পিছিয়ে নেই। এখন আর কেউ পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী এই ৪ এর মধ্য দিয়ে নারীকে বিচার করে না। এখন আর কেউ তাদের হাঁটতে, লিখতে, তাকাতে বলে না। "

-শুরু করলেন গ্রামের দু:খী মেয়েদের, শেষ করলেন তাদের নিয়ে, যাদের বিয়ে হয় সোনার গাঁ'য়।

গ্রামের মেয়েদের ভাগ্য বদলায়নি, বদলায়নি গার্মেন্টস'এর মেয়েদের জন্য ভাগ্য।

চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ অশেষ....

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২

প্রিয় বিবেক বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

প্রামানিক বলেছেন: এরকম কাহিনী আমি নিজেও দেখেছি। ধন্যবাদ

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২

প্রিয় বিবেক বলেছেন: আপ্নাকেও ধন্যবাদ।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সাবাশ নারী সাবাশ, এগিয়ে যাও আপন গতিতে ঠিক নিজের মত করে !!! মেয়েরা আজো পারে না।।এটা ওের চন্দনতিলক।।
দুঃখিত ভিন্ন মতের কারনে।।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৩

প্রিয় বিবেক বলেছেন: বুঝলাম না ভাই।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বদলায়নি ভাই এখনো ঐ রীতি। এখনো রয়েই গেছে। হয়তো কমেছে। কিন্তু রয়েই গেছে।

আর এখন তো, সবাই নিজেরটা নিজে পছন্দ করেই বিয়ে করে ফেলে - এসবের ঝামেলায় পড়তেই হয় না। কিন্তু, এটার ফলে পরিবার তো ভাঙছে। এইটা হয়ে গেছে এখনের রীতি।

আমাদের এক সমস্যাপূর্ণ রীতি সরে গিয়ে আরেক সমস্যাপূর্ণ রীতিকে জায়গা করে দেয়। কিন্তু আড়ালে আড়ালে রীতিটা থেকে যায় ঠিকই, বিলীন হয় না।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রিয় বিবেক বলেছেন: যথার্থ বলছেন ভাইয়া।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৬

মিন্টুর নগর সংবাদ বলেছেন: এখনকার মাইয়ারা ভালই আছে বিয়ের আগেই কেউ কেউ দু চারটির মাও হয়ে যায় কিনা :P

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১১

প্রিয় বিবেক বলেছেন: গুলো আগেও ছিল এখনও আছে এবং সামনেও থাকবে।

৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: শুধু কনে দেখার রীতি পাল্টেছে| অবস্থান পরিবর্তন হয়নি| তবুও আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা| এটা খুব ভাল দিক

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩

প্রিয় বিবেক বলেছেন: থার্থ বলছেন ভাইয়া।

১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

রোষানল বলেছেন: শহরের কিছু স্কাট পড়া মেয়েদের দেখে আপনার হয়তো এরকম মনে হয়েছে... গ্রামে এখনো এ রেওয়াজ চালু আছে । আমি এখনো অনেক গ্রামের কথা জানি যেখানে সন্ধ্যা হলে কুপি জ্বলে । সাজেশন একটায় বি টি ভি একটু কম দেখুন...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৬

প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভালো বলছেন ভাইয়া, ভালো লাগলো আপনার কথা গুলো।

১১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

আহলান বলেছেন: আগে ছিলো লাজ শরমের যুগ। পর্দা পুষিদার যুগ। তাই কোন পাত্রীকে বুঝতে হলে ওরকম কিছু পরীক্ষা নেয়া হতো ....... আমি এমনও শুনেছি যে দেখিয়েছে এক মেয়ে, আর বিয়ে দিয়ে দিয়েছে আরেক জনকে। এসব নিয়ে কত ঝগড়া বিবাদ ..... এখন তো আর সেই পর্দা পুষিদার যুগ নাই। হটা চলা ফেরা চুল আছে কিনা পড়তে পারে কিনা তা আশে পাশে খোজ খবর নিলেই জানা যায়। তবে গ্রামঞ্চলে এখনো আপনার বাতলে দেওয়া পদ্ধতির কিছুটা প্রয়োগ প্রচলন এখনো আছে ...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

প্রিয় বিবেক বলেছেন: সেটা কিছুটা থাকবেই ভাইয়া।

১২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

একলা চলো রে বলেছেন: এরাঞ্জ ম্যারেজ আগে যেমন ছিল, এখনও মোটামুটি একই আছে। সেই পুরনো চাল, নতুন পাতিলে রান্না হচ্ছে। সে জন্যই আমার সব সময় মনে হয় এরাঞ্জড বিয়ে মানে হলো এক ধরনের প্রয়োজন শুধু, হৃদয় এখানে তুচ্ছ ব্যাপার। জানি এ কথাটা বললেই মানুষ বলবে, প্রেমের বিয়ের চেয়ে এমনি বিয়ে টেকে বেশি। আমরা মনে করি‚ বিয়েটা যেহেতু অনেকদিন টিকছে‚ কাজেই এই দম্পতি অনেক বেশি সুখী। বিষয়টা এত সহজ নয়। আগেকার দিনে মেয়েদের বিয়ে হতো অল্প বয়সে‚ তাদের কোন ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকত না। কাজেই স্বামী যেমনই হোক‚ তাকে ত্যাগ করে স্বাধীন হবার ইচ্ছে বা ক্ষমতা তাদের ছিল না। নারী নির্যাতনের হারও কিন্তু সে কারণে আগে অনেক বেশি ছিল।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪০

প্রিয় বিবেক বলেছেন: ভালো বলছেন ভাইয়া, ভালো লাগলো আপনার কথা গুলো।

১৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

নয়ন01 বলেছেন: হম এখন মাইয়ার সাথে সন্তান ফ্রী :#)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

প্রিয় বিবেক বলেছেন: একটু পজিটিভ কি হওয়া যায় না ভাইয়া?

১৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: পোস্টটা ভালো লেগেছে।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রিয় বিবেক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।

১৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: বিয়ে নামক নাটক দৃশ্যপট শহরে বদলে গেলেও
গ্রামে কিন্তু এখনও দেখা যায় সনাতন রীতি।
তবে
বলতে দ্বিধা নাই যতই আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে
বিয়ের সংস্কৃতিতে প্রাণহীন হয়ে উঠছে এই বন্ধন।
যতই আধুনিক আর উদার মনোভাবাপন্ন হোকনা কেন
একটা কথা তারা কিন্তু এখনো লালন করেন সবাইঃ
"নদীর জল ঘোলাও ভালো আর
"জাতের মেয়ে কালোও ভালো"।

সুতরাং বাছবিচার আগেও ছিলো,
আছে এবং থাকবেও অনন্ত কাল।
ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টি তুলে ধরার জন্য।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রিয় বিবেক বলেছেন: যথার্থ বলছেন ভাইয়া।

১৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

রংহীন-পানি বলেছেন: ডিজিটাল জমানায় এখন আর আগের মতো পাত্রী দেখা হয় না....
তয় ডিজিটাল ভাবে দেখা হয়.... এই যেমন রেস্টুরেন্টে,পার্কে,হোটেলে.....এফবিতে,স্কাইপিতে..!!! বিস্কিটের বদলে মিষ্টি,রুটি,ফাস্টফুড কতোকি...?

আসল কথাটা হলো... আগে এরেঞ্জটা বেশি ছিল আর এখন লাভ মেরেজটা বেশি। তাই... আর ঐ রকম দেখাদেখি তেমন হয় না বললেই হলো...

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৭

প্রিয় বিবেক বলেছেন: কটু পজিটিভ কি হওয়া যায় না ভাইয়া?

১৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে মানাবে, একটু পড়ুন http://www.community.skynetjp.com/id2000.htm

১৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

আব্দুল্যাহ বলেছেন: "এখন সবাই জানে নারীরা নারীর আপন গতিতে এগিয়ে চলছে। তারা নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর বিদেশী ছেলে দেখলে সোনার হরিণ ভাবে না। কারণ তাদের মেয়েরা আজ হরিণী। তারা আজ অনেক উঁচু জায়গায় যেতে চায়।"
সুন্দর কথা

১৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৪

সাথিয়া বলেছেন: আমাদের গ্রামের মেয়েদের ভাগ্য বদলায়নি

২০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এরকম আমিও দেখেছি অনেক মেয়েদের।তবে গ্রামে এসব নিয়ম এখনো আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.