![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯২ সালের ৪ এপ্রিল জন্ম হয় আমার। বাবা ব্যাংক কর্মকর্তা তাই কদিন পর পরই বাবার ট্রান্সফার হয় আর আমাদের ফেমিলি ও নিত্য নতুন জায়গায় শিফট হতে থাকে। ব্যাপার টি আম্মু-আব্বুর কাছে ভাল না লাগলেও আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগতো। সবসময় নতুনের খোঁজে থাকতাম, তাই। আমার স্টাডি লাইফ চট্টগ্রাম থেকে শুরু হয়েছিলো। বাবার ট্রান্সফার এতই বেশি হয়েছিলো যে আমার নার্সারি থেকে ক্লাস সেভেন পর্যন্ত ৮ টি স্কুলে পড়তে হয়েছিলো। ৪ মাস এই স্কুলে ত পরের ৪ মাস অন্য স্কুলে। আম্মু এখনও মাঝে মাঝে বলে ছোট বেলায় আমি নাকি অনেক বেশি দুষ্ট ছিলাম সেটাও স্কুল চেইঞ্জ করার আরেকটা কারন ছিল।
মাঝে মাঝে ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে আসলে আমি সারাদিন গাছে গাছে নাকি থাকতাম। বাড়িতে আসলে আমার সঙ্গী হত জেঠাতো ভাই Razzak আর রেদোয়ান। ওদের সাথে সারাদিন দিব্বি ঘুরে বেড়াতাম। ওদের জন্য আমি চট্টগ্রাম থেকে লাঠিম নিয়ে আসতাম আর ওরা আমাকে ঘুড়ি উড়ানো শিখাতো। কত মারামারি করতাম অযথাই আবার মিলে যেতাম আর এ দৃশ্য দেখে আমার দাদু অনেক হাঁসতেন।
আর নানার বাড়িতে গেলে আমার সঙ্গী হত Iqbal, Jannatul আর আমার বড় আপু। আমি আর জান্নাত নানাবাড়ির পেছনে সারাদিন টুনটুনি পাখির বাসা খুঁজে বেড়াতাম আর টুনটুনির ডিম পেলে সবগুলো বাসায় নিয়ে আসতাম মুগির ডিমের মত করে ভেজে খাব বলে। জান্নাত আমার কোন কথা না শুনলেই ওকে অনেক মারতাম, আর ও শুধু কান্না করত, ওর কান্না করা দেখে আমি হাঁসতাম আর ওকে আরও বেশি মারতাম। আর ইকবালের সাথে আমার সম্পর্ক অতটা ভালো ছিল না। হুজুর ছিল কিন্তু আমাকে সাথে না নিয়ে মামাদের সাথে যেয়ে ডাব চুরি করতো তাই সে আমার শত্রু ছিল এবং আমি তাকে ভণ্ড হুজুর বলে ডাকতাম। আর বাহিরে কার সাথে ঝগড়া করে না পারলে বাসায় এসে আমার বড় আপুকে শুধু খামচি দিতাম। আম্মু দেখত কিন্তু আমাকে কিছুই বলত না কারণ জানে আমাকে কিছু বললেই আপুকে আরও বেশি মারবো।
আজ খুব বেশি মনে পড়ে Mustafa মামা, Bulu মামা, আব্দুল মামা, শরাফত মামা দের কথা। ছোট বেলায় শুধুই ভয় দেখাতেন আর অনেক বেশি আদর করতেন। বুলু মামা তো নানার নৌকা নিয়ে আমাদের ঘুরতে নিয়ে যেতেন আর মোস্তফা মামার তুলনা হয় না। ছোট বেলায় আমি তাঁর অনেক বড় ভক্ত ছিলাম। উনি অনেক দুষ্ট ছিলেন। রাতের আঁধারে তরমুজ চুরি করে খাওয়া, ডাব চুরি করে খাওয়া আমি তাঁর কাছ থেকেই শিখেছি। উনার মত একজন মামা পেয়ে সত্যিই আমি ধন্য।
আজ জীবনের এ প্রান্তে এসে আমি শুধু ভেবেই যাই কথায় আমার সে সোনালী অতীত, কোথায় আমার সে চিরচেনা গোসাইপুর গ্রাম নামক নানা বাড়ি, কোথায় আমার সে চিরচেনা আমি??? আজ সবাই সবার মত করে অনেক ভালো আছে, কিন্তু দিন শেসে সবাই ক্ষুধার্ত, বড্ড বেশি ক্ষুধার্ত, অতীতের জন্য ক্ষুধার্ত, স্মৃতির জন্য ক্ষুধার্ত, চিরচেনা গ্রামের জন্য ক্ষুধার্ত, হারানো কে ফিরে পাবার জন্য ক্ষুধার্ত।
আমি জানি, রাত পোহালে দিন আসে। এটাও জানি নাটাই বিহীন ঘুড়ি মুক্ত আকাশে উড়ে গেলেও আকাশের মুক্ত বাতাসের সাথে হারিয়ে যাবার আগে সে তার নাটাই এর দিকে মুখ ফিরে চায় অতীতের টানে, অস্তিত্বের টানে, মমতার টানে। কিন্তু আমি জানি না কবে নাগাদ আমরা সবাই আবার এক হয়ে মিলিত হতে পারব। আদৌ কখনও পারবো কি ???
---গোলাম রাব্বানী
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬
প্রিয় বিবেক বলেছেন: কেন ভাই?
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
সুমন কর বলেছেন: ছোটবেলা আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না !!
মাঝে মাঝে ইংরেজি টাইপ, ভালো দেখায় না (কেননা ওগুলো বাংলায় টাইপ করা যায়)।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ওকে ভাইয়া, সামনে থেকে চেষ্টা করব।
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাঝে মাঝে ইংরেজি টাইপ, ভালো দেখায় না (কেননা ওগুলো বাংলায় টাইপ করা যায়)
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৭
প্রিয় বিবেক বলেছেন: ওকে ভাইয়া, সামনে থেকে চেষ্টা করব।
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮
সারোয়ার ইবনে গিয়াস বলেছেন: ''নাটাই বিহীন ঘুড়ি মুক্ত আকাশে উড়ে গেলেও আকাশের মুক্ত বাতাসের সাথে হারিয়ে যাবার আগে সে তার নাটাই এর দিকে মুখ ফিরে চায় অতীতের টানে, অস্তিত্বের টানে, মমতার টানে।''
অনেক সুন্দর কথা।
৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
মোঃহাদী বলেছেন: অতীত ! বেচে থাক স্মৃতিতে
৬| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: যেদিন চলে যায় তা আর ফিরে আসেনা।
এমন শৈশব আমি পার করেছি। যাদের সাথে সেই সময়গুলি পার করেছি তাদের কারো সাথেই এখন আর দেখা হয়না।
৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩২
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: সব অতীত ! সব স্মৃতি । এটাই জীবন
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: হবে না।