![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি আজ যথেষ্ট ম্যাচিউরড হয়েছ, সেই সাথে দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে তোমার। আগের তুলনায় নিজেকে বড় ভাবতে বেশ ভালো লাগছে তোমার। আজ থেকে বছর তিনেক আগে যখন তুমি ইমম্যাচিউরড ছিলে তখন তুমি এমন ছিলে না, অন্তত বেশী টা নয়। খুব সাহস দেখছি তোমার যেন সাহসের খনি তোমার বুকে। কাউকেই তোমার মানুষ বলে মনে হয় না।
দিনে দিনে তোমার শরীরে মাংস পিণ্ড বাড়ছে, বাড়ছে তোমার প্রতি মানুষের লেলুপ দৃষ্টি। বাবা-মা তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না। তুমি তাদের কে ভয় দেখাচ্ছ না কিন্তু তোমার দৃষ্টিতে হুমকিরা নিজস্ব গতিতে বাসা বেঁধেছে। যে মানুষ টি তোমাকে ভালোবেসে তার ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল এখন তাকে তোমার ভালোবাসার মানুষ মনে হয় না। কেবলই একজন মানুষ মনে হয় যাকে নির্যাতন করে তুমি শান্তি পাও। তুমি না চাইতেই সে মাংসপিণ্ডের রঞ্জিত করার অধিকার দিয়েছে তাই এখন আর সে চাহিদা ও নেই।
তুমি কি চাও নিজেই জানো না। কিন্তু এটুকু জানো যেটা চাও সেটা বড্ড অবৈধ। তুমি যখন নিজেকে ম্যাচিউরড মনে করে নিজেকে রাজা ভাবছ তখন অন্য কেউ নিজেকে ম্যাচিউরড মনে করে তোমাকে তোমার ভুললের জন্য তোমাকে গালি দিয়ে যাচ্ছে। তাহলে ম্যাচিউরিটি মানে কি? মনে রেখ,
-ম্যাচিউরিটি মানে কাউকে শাসানো নয়,
-ম্যাচিউরিটি মানে কাউকে অত্যাচার করা নয়,
-ম্যাচিউরিটি মানে নিজেকে অনেক বড় ভাবা নয়।
-ম্যাচিউরিটি মানে শরীরের বড় বড় মাংসপিণ্ড নয়।
বরং ম্যাচিউরিটি মানে হচ্ছে সব জিনিস সুন্দর ভাবে গুছিয়ে করার মত যোগ্যতা। এর ভিতর প্রেম ভালোবাসা সবই থাকতে পারে। সব কিছু বাদ যেখানে তুমি নিজেকে ম্যাচিউরড ভেবে দিনের পর দিন নিজের বাবা-মার সাথে খারাপ ব্যবহার করে যাচ্ছ তাহলে কিসের ম্যাচিউরড তুমি???
যদি এই হয় তোমার অবস্থা তাহলে আমি বলবো তুমি ম্যাচিউরড না, তুমি বড্ড বড় রকমের বোকা। একদিন ঠিক ই বুঝবে তুমি যেদিন মাথার উপরে বাবা-মা নামের কোন ছাদ থাকবে না। যখন তোমাকে কেউ মেরে ফেললেও কেউ তয়াম্র জন্য কাঁদবে না, একটু কাঁদবে না !!!
---গোলাম রাব্বানী
©somewhere in net ltd.