নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কুকরা

একজন সতর্ক কুকরা।

কুকরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিন্তু অ্যাডভোকেট চন্দন সেখানে ‘আর্গুমেন্ট’ করায় তাকেও হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

০৬ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

আদালতের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, মেজর আরিফের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে এই হত্যার পরিকল্পনাকারী হিসেবে একজন সরকারদলীয় মন্ত্রীর ছেলের নাম। ওই মন্ত্রীর ছেলের মাধ্যমেই নূর হোসেন নজরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। জবানবন্দিতে মেজর আরিফ আরও উল্লেখ করেন, আইনজীবী চন্দন সরকারকে অপহরণের সময় তাকে নজরুলের লোক বলে ভুল করেছিল র‌্যাব সদস্যরা। ওই ৭ জনকে তুলে নেয়ার দায়িত্বে ছিলেন এমএম রানা। অপহরণের পর ঘটনাস্থলেই চন্দন সরকারের পরিচয় জানা যায়। একপর্যায়ে চন্দনকে ছেড়ে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু অ্যাডভোকেট চন্দন সেখানে ‘আর্গুমেন্ট’ করায় তাকেও হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই সূত্র আরও জানায়, অপহরণের বিষয়টি র‌্যাবের উপপরিচালক কনেল জিয়াউল আহসানকে জানানো হয়েছিল। সেখান থেকে গ্রিন সিগনাল পেয়েই বাকি কাজ করা হয়েছে। মেজর আরিফ তার জবানবন্দিতে বর্ণনা করেছেন, কিভাবে ৭ জনকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশের সঙ্গে ইট বোঝাই বস্তা বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলা হয়েছে। ইটগুলো র‌্যাবের আদমজী ক্যাম্পের পাশেই একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য রাখা হয়েছিল।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান আদালতে দেয়া আরিফের জবানবন্দির বরাত দিয়ে বলেন, আরিফ ইতিমধ্যে সাত খুনে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ২০ পাতার জবাবন্দিতে আমরা জানতে পেরেছি যে, পুরো কিলিং মিশন তারেক সাঈদ নিজে উপস্থিত থেকে সম্পন্ন করেছেন। যেভাবে সাত জনকে খুন করা হয়েছে তার রোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছেন মেজর আরিফ। এ হত্যায় পরিকল্পনাকারীর একজন হয়ে তারেক সাঈদ পুরো কিলিং মিশন মনিটরিং করেছেন। জবানবন্দিতে বের হয়ে এসেছে এ হত্যায় নূর হোসেনের হয়ে র‌্যাব কর্মকর্তারা টাকার বিনিময়ে কাজ করেছেন। এ হত্যায় র‌্যাবের উচ্চপর্যায় থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যন্ত কারা কারা জড়িত ছিলেন তাও বেরিয়ে এসেছে।



কার্টেসি: Bangla Joy

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.