![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"হাসো বাঙালি হাসো"।
সেক্টর কমান্ডার গ্রুপ ক্যাপ্টেন(পরে এয়ার ভাইস মার্শাল) এ কে খন্দকার বীর উওম।যিনি মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশ বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্ণেল এম এ জি ওসমানীর সার্বক্ষনিক সহকারী ছিলেন।যিনি ২০১১সালে স্বাধীনতা পদক লাভ ও হাসিনা সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।১৯৭৫ সালে বিমান বাহিনীর প্রধান থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর তিনিই প্রথম প্রতিবাদ স্বরুপ সরকারি পদ ত্যাগ করেছিলেন।
এ কে খন্দকার খুব কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সফলতা ও ব্যর্থতাগুলো অবলোকন করতে পেরেছেন।কর্মজীবনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা।"১৯৭১: ভেতরে বাইরে"শীর্ষক সেই স্মৃতি কথাই গ্রন্হাকারে প্রকাশিত হয়েছে।এতে মুক্তিযুদ্ধকালের জানা-অজানা কাহিনী ও তথ্য নিজস্ব অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেছেন তিনি।
স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে তাহার উক্ত বইতে এ কে খন্দকার লিখেছেন,"৭ মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু "জয়-বাংলা,জয়-পাকিস্তান" বলে তাঁর ভাষণ শেষ করেছিলেন।৭২-এর পর থেকে "জয়-পাকিস্তান" বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ প্রচার করা হচ্ছে।২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীনতার ঘোষণাই দেবেন,তবে তিনি ৩২নম্বর সড়কের বাসায় থাকবেনই বা কেন?অনেকে বলেন,বঙ্গবন্ধু ২৫শে মার্চ রাতে এক হাবিলদার মারফত চিরকুট পাঠিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।অনেকে বলেন,বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমদ চৌধুরীকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য পাঠিয়েছিলেন।কেহ আবার বলেন,বঙ্গবন্ধু ইপিআরের বেতারযন্ত্রে বা ডাক ও তার বিভাগের টেলিগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা বার্তা প্রচার করেন।এগুলোর কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ আমি কোথাও পাইনি।আর যা প্রমাণ হিসাবে উপস্হাপন করা হয় তার বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাইনি।বরং মুক্তিযুদ্ধকালে আমরা সবাই আলোচনা করতাম যে,বঙ্গবন্ধু কেন স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে গেলেন না।দিলে কি ক্ষতি হতো"?
"আসল সত্য হচ্ছে,২৫শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীরা প্রায় শেষ পর্যন্ত ৩২নম্বর বাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন।তিনি তো কাউকে কিছু বলে গেলেন না।এ সময় আওয়ামী লীগের প্রথম সারির নেতা তাজউদ্দিন আহমদ একটি টেপ রেকর্ডার এবং তাহার নিজের হাতে লেখা স্বাধীনতার ঘোষণার একটি খসড়া বঙ্গবন্ধুকে দেন এবং তাঁকে তা পড়তে বলেন।বঙ্গবন্ধু তখন প্রত্যুওরে বলেছিলেন,"এটা আমার বিরুদ্ধে একটা দলিল হয়ে থাকবে।এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের বিচার করতে পারবে"।এ কথায় তাজউদ্দিন আহমদ অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হয়ে রাত নয়টার পর পরই ধানমন্ডির ৩২নম্বর ছেড়ে চলে যান"।
এ কে খন্দকার লিখেছেন, "রেডিওতে আমি নিজে মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি।এই সময় আমি জিয়াকে চিনতাম না।মেজর জিয়ার ঘোষণায় মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে,হ্যাঁ এইবার বাংলাদেশ সত্যিই একটা যুদ্ধে নেমেছে।মেজর জিয়া যে কাজটি করতে পেরেছিলেন,তা করা উচিত ছিল জাতীয় পর্যায়ের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের"।
মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী এ কে খন্দকার এই ঐতিহাসিক সত্য কথাগুলো বলাতে ভন্ড ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারী আওয়ামী কুলাঙ্গারদের গাএদাহ শুরু হয়ে গেছে।ভোটারবিহীন নির্বাচন নামক নাটকের সরকারি ও ঘরজামাই এমপিরা,গতকাল বৃহষ্পতিবার মহান সংসদে "১৯৭১:ভেতরে বাইরে"বইটি বাজেয়াপ্ত এবং এ কে খন্দকারের মত বীর উওম খেতাবধারী মুক্তিযুদ্ধের একজন সেক্টর কমান্ডারকে "দেশদ্রোহী" আখ্যায়িত করে তাঁর বিচার দাবি করেছেন।
হাসো বাঙালী হাসো। ইতিহাস কথা বলে,কুলাঙ্গাররা ভয়ে মরে।
--- Mohammed Tareque Zaman
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:১৫
কলাবাগান১ বলেছেন: হাসো বাংগালী হাসো আর এর ফাকে ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে বাংলার বুকে চেপে বসতে সাহায্য কর
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
সরদার হারুন বলেছেন: যাদের বয়াস ৬০-৭৫ বছর তারা জানে এবং শুনেছে এতদভিন্ন যারা জনসভায় হাজির ছিলেন তাদের কাছে জানতে চাইলেই আপনারা সত্য কথা জানতে পারবেন।
সলমান রুসদির মত নিজের বই বিক্রির জন্য বা টাকার বিনীময় খন্দকার
সাহেব এমন মিথ্যাচার করেছেন।
এখন যে ভাষন আপনারা শুনেন অবিকল একই কথা শেখ সাহেব বলেছেন ।
আপনার দাদার কাছে জানতে চান।
যাদের জন্ম ৭১ এর পরে তাদের বোকা বোঝানো হয়েছে। একটা কথা মনে রাখবেন যে রাজনীতি শয়তানের দাবা খেলা।
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২১
দাকুড়াল বলেছেন: আম্লীগারদের পশ্চাদেশে এ কে খন্দকার বীর উত্তম আগুন দিছে।
ভালোই লাগতাছে।
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৪
মুদ্দাকির বলেছেন: বাংলাদেশ জিন্দাবাদ
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ জিন্দাবাদ
জিয়া জিন্দাবাদ
তারেক জিয়া জিন্দাবাদ
৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৮
ইমরান আশফাক বলেছেন: প্রকৃত ইতিহাস বের হয়ে আসছে।
৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কলাবাগান১ বলেছেন: হাসো বাংগালী হাসো আর এর ফাকে ৭১ এর পরাজিত শক্তিকে বাংলার বুকে চেপে বসতে সাহায্য কর
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৭:৫৬
হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: মানুষ পাকীদের বিপক্ষে দাঁড়ায়েছিল, মানুষের একাংশ যুদ্ধ করেছেন; মানুষ জয়ী হয়েছেন; শেখ সাহেব ও জিয়া ভুল করেছিলেন প্রশাসনে; উনাদের ভুলের জন্য সাধারণ মানুষের জয় আজ পরাজয়ে পরিণত হয়েছে।