নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার অথবা অন্যদের লেখা

নর্দমার রাত, হিরন্ময় তাঁত

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২

i am looking for the face i had before the world was made. -yeats. © নির্ঝর নৈঃশব্দ্য [email protected] ছবি আঁকি আর কবিতা লিখি

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসেন, কবি দীপঙ্কর সেন গুপ্ত'র একটি কবিতার ভিতরে যাই

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

০১.

প্রথমে আমরা কবিতাটি পড়ি। কবিতাটির শিরোনাম:

জরিপ এবং নির্ণয় অভিলেখ

কবিতাটি নিম্নরূপ:



হাড়ের পাশে বেড়ে উঠছে লীন অনুতাপ

মুখের ছায়ায় সরে সরে যায় পতনের মালিকানা

খোঁপে নড়ে চড়ে ঘুঁটি মন্তব্যহীন

প্রাথমিক সংক্রমন গারদ বন্দিপরস্পর



ঠোঁটের কষ ততোক্ষণ ভেজা ক্রিয়াশীল আঙুলে ছোঁয়া-ছুঁয়ি পর্যবেক্ষণ

মাঝবেলার সরাসরি অন্যায় নিরাপদ ঘেরাটোপ কারিগর

বিভাগটান মিশে মিশে নির্ণয়মান ভুল হয়





০২.

আমি কখনোই বলছি না যে কবি কী বলতে চেয়েছেন তা আমি জানি। সেটা কবিও জানেন কিনা সংশয়। তবে সেটা অবশ্যই সাহিত্যের অধ্যাপক জানেন। কেউ সত্যি সত্যি কবির মনের কথা জানতে চাইলে সাহিত্যের অধ্যাপকের কাছে যান।

আমি সাধারণ পাঠক। আমি কবিতাকে নিজের মতো পাঠ করবো। এবং নিজস্ব ব্যাখ্যান প্রকাশ করবো।





০৩.

কবিতা কী? কিংবা পদ্য আর কবিতার মধ্যে পার্থক্য কী? এটা সাধারণ প্রশ্ন। এবং আমি কী মনে করি?

আমি মনে করি পদ্য হলো পদ্যকারের সৃষ্টি করে দেয়া একটি জগত। যেখানে পাঠক বিচরণ করবে। বিচরণ করা আর প্রস্তুতকৃত রস আস্বাদন করা ছাড়া পাঠকের আর কোনো কাজ নেই। যেমন, আমাদের ছোটোনদী চলে বাঁকে বাঁকে শোনার সাথে সাথেই আমরা নদীর বাঁকে চলে যাই এবং পদ্যকারকৃত দৃশ্যে ঘুরাঘুরি করি। নিজে কিছু বানাই না। অন্যেরটা খাই, অন্যেরটা পরি।

আর কবিতা হলো একটা অন্তহীন অভাবনীয় জগতের দরজা। যেটা কবি তৈরি করেন। তারপর তিনি মৃত। পাঠক সেই দরজা দিয়ে ঢুকে নিজের মতো করে জগৎটাকে তৈরি করেন এবং বিরচরণ করেন এবং নিজের সৃষ্ট গাভীর দুগ্ধ পান করেন মানে রস আস্বাদন করেন।





০৪.

মনে করেন কবিতা একটি। দরজাও একটি। কিন্তু পাঠক অনেক। তাহলে কি পাঠক একই জগৎ তৈরি করবে? না, পাঠকের অভিজ্ঞতা আর চিন্তার ভিন্নতার কারণেই পাঠক একই দরজা দিয়ে ঢুকে বিভিন্ন জগৎ তৈরি করবে। পাঠক বেরিয়ে এসে পুনর্বার প্রবেশে তার জগৎ পাল্টেও যেতে পারে। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু পাঠক জানবে না, কবি কী বলতে চেয়েছেন। সোনারতরী কবিতা সম্পর্কে রবিঠাকুর কে জিজ্ঞেস করা হলে বলেছিলেন তিনি এইখানে বর্ষার চিত্র ছাড়া কিছুই বিস্তার করেন নি। অথচ সাহিত্যের অধ্যাপকরা এই কবিতা নিয়ে ইহকাল পরকাল একাকার করেছেন।



০৫.

আমি এইখানে কোনো তত্ত্ব বলবো না। কেননা আমি তত্ত্ব জানি না।



০৬.

অনেকেই কবিতাকে শব্দের খেলা মনে করেন। মনে করেন হাজার হাজার শব্দ, রূপ, অলঙ্কার, মতো মতো মতো ইত্যাদি।অনেকে আবার শব্দমোহে ডুবে থাকেন; শব্দের মায়া কাটাতে পারেন না। চমকপ্রদশব্দ(যথা: যোনি, শিশ্ন, স্তন, পোঁদ, মূত্র, ভগাঙ্কুর, রজঃ, বীর্য, সঙ্গম, শীৎকার, মাস্টারবেট) সহযোগে অসার্থক শব্দবন্ধ তৈরি করে পুরা কবিতার ভারসাম্যকে নষ্ট করে আলোচিত হতে পছন্দ করেন। দাদা, ইহাকেই স্টান্টবাজি বলে।

অনেকেই মনে করেন বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি হেতু তার কবিতাও আবেগে টলটলে দিঘি জলাশয় বাদামক্ষেতবহুল প্রমূখ। অনেকেই আবার ঐতিহ্যের কথা বলে আটশোবছরের ভিনদেশি শব্দ এবং তারও আগের পৌরাণিক শব্দে ফিরে যেতে চান। অনেকেই দশপাতা ভাবালুতা করে বলেন ইহা কবিতা লিখেছি, দাদা; হাহাহাহাহাহ...

কবিতায় ইতিহাস-পুরাণ যাবতীয় কিছু থাকবে। কেবল ওই সময়কে অভ্যাসে ধরবো না আমি। ভাই, ইহা আমার মত।



কবিতা হবে সমস্ত বাহুল্যবর্জিত, ধনুকের ছিলার মতো টানটান। এবং পরিচ্ছন্ন।



কবিতাকে আমি বৈশ্বিক মনে করি। যেহেতু আমাদের অবিমিশ্র সংস্কৃতির কোনো ইতিহাস নেই।

কবিতা ধরবে সময় এবং সমসাময়িক প্রকরণ। যা প্রথাকে ছিন্ন করে। নতুন প্রকরণ তৈরি করে।





০৭.

আমরা অনেকেই এখনো ন্যারেটিভই লিখি কবিতায়। কবিতাকে যদি বৈশ্বিক ধরি তবে পশ্চিমা কবিরা ন্যারেটিভ ভেঙে দিয়েছে ষাট/ সত্তরের দশকে। এবং প্রতিটি লাইনের পরে যে শূন্যস্থান তৈরি করেছে তা পাঠক পুরণ করার জন্যে।

আসেন আলোচ্য কবিতায় প্রবেশের আগে গ্লোরিয়া গার্ভিজের একটা কবিতা পড়ি:

Immoderate begger

empty-handed hostess



barren mother



the light dims

insidious

as a gadfly



I'm not permitted to understand



-----------------------------------------------------------------------------

(Gloria Gervitz was born in 1943 in Mexico City, where she still lives).





০৮.

আলোচ্য কবিতার আমি এগারোটা ভিন্ন ব্যাখ্যা একটানে লিখতে পারি। কিন্তু তা আমি করবো না। প্রিয় পাঠক, আপনাদের অবগতির জন্যে জানাচ্ছি, আমি এর একটা ব্যাখ্যাও দিবো না। আপনারা আমার সাথে আরেকবার পাঠ করবেন। এবং প্রবেশ করবেন। এবং নিজের মতো জগৎ তৈরি করবেন। এবং তারপর চাইলে হুর পরিবেষ্টিত হতে পারেন কিংবা ইনফার্নো সাজাতে পারেন।



০৯.

আলোচ্য কবিতার প্রতিটা লাইনকে আমরা অলাদা করে পাঠ করবো। যেহেতু কবি এইখানে ন্যারেটিভ ভেঙে দিয়েছেন। সবশেষে আপনারা নিজেরাই সব মিলিয়ে একএকটা ডিসকোর্স তৈরি করবেন। আমি করবো না।



প্রথম লাইন:

হাড়ের পাশে বেড়ে উঠছে লীন অনুতাপ





হাড় আর লীন অনুতাপ। বাকিটা ক্রিয়া। হাড় কেনো? কেনো রক্তমাংস নয়? লীন অনুতাপ মানে কী? কেনো অনুতাপ বিলীন। তারমানে অনুতাপ ছিলো এখন নেই? আর হাড় একদা রক্তমাংস ছিলো...



দ্বিতীয় লাইন:

মুখের ছায়ায় সরে সরে যায় পতনের মালিকানা



মুখের ছায়া আর পতনের মালিকানা। মুখের ছায়া কী? ছায়াকে যদি আমরা বাইনারি অপোজিশন (আলো-ছায়া) না ধরি। যদি ধরি সদর্থক। তাহলে পতিত তার পতনের মালিকানা কি হারায় না?



তৃতীয় লাইন:

খোঁপে নড়ে চড়ে ঘুঁটি মন্তব্যহীন



খোঁপ আর ঘুঁটি। খোঁপ হলো সময়ের গোলকধাঁধা। গোলকধাঁধা প্রথম তৈরি হয় ক্রিটে। তৈরি করেন ইকারুসের বাবা। ঘুঁটি হলেন আপনারা মানুষ। তারা ক্রমশ আত্মকেন্দ্রিক তাই মন্তব্যহীন। তারপর কী হবে...



চতুর্থ লাইন:

প্রাথমিক সংক্রমন গারদ বন্দিপরস্পর



প্রাথমিক অবস্থায় আমরা পরস্পর নিজেদের বন্দি করছি। তারপর...



পঞ্চম লাইন:

ঠোঁটের কষ ততোক্ষণ ভেজা ক্রিয়াশীল আঙুলে ছোঁয়া-ছুঁয়ি পর্যবেক্ষণ



এই লাইনের আগে কবি একটা স্পেস রেখেছেন। এটাও পাঠকের জন্যে।

মাটির মূর্তি ততোক্ষণ ভেজা থাকে যতোক্ষণ ভাস্কর সেটা গড়েন ক্রমে। শেষে শুকাতে থাকে।



ষষ্ঠ লাইন:

মাঝবেলার সরাসরি অন্যায় নিরাপদ ঘেরাটোপ কারিগর



মধ্যবয়স। অন্যায়। নিরাপদ। ঘেরাটোপ। কারিগর।

মাঝবয়েসিকে কেউ কি সন্দেহ করে নাকি?



সপ্তম লাইন:

বিভাগটান মিশে মিশে নির্ণয়মান ভুল হয়



বিভাগটান। মিশে। ভুল। নির্ণয়।



জমিনের আইল ভেঙে দেন। আপনার জমি কোনটা আর বুঝতে পারবেন না।

এইটা গেলো শেষ লাইল। আবার সমস্ত কবিতা:



হাড়ের পাশে বেড়ে উঠছে লীন অনুতাপ

মুখের ছায়ায় সরে সরে যায় পতনের মালিকানা

খোঁপে নড়ে চড়ে ঘুঁটি মন্তব্যহীন

প্রাথমিক সংক্রমন গারদ বন্দিপরস্পর



ঠোঁটের কষ ততোক্ষণ ভেজা ক্রিয়াশীল আঙুলে ছোঁয়া-ছুঁয়ি পর্যবেক্ষণ

মাঝবেলার সরাসরি অন্যায় নিরাপদ ঘেরাটোপ কারিগর

বিভাগটান মিশে মিশে নির্ণয়মান ভুল হয়



১০.

কবি দীপঙ্কর সেন গুপ্ত।

জন্ম: আগরতলা, ত্রিপুরা, ভারত। কাকশালিখচড়াইগাঙচিল, তার ব্লগিয় নাম। তার অন্যলেখা পড়ুন এইখানে:

Click This Link

Click This Link

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +১৭/-২

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৮

জটিল বলেছেন: একজন প্রিয় মানুষ তিনি

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, তিনি আমারও প্রিয়।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: হুমম ...

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: উমম...


রূপকথা

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

সত্যান্বেষী বলেছেন: কাকশালিখের অধিকাংশ কবিতাই আমার মাথার একহাত ওপর দিয়া যায়।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২৮

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: সবই আল্লার ইচ্ছা;)

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: আমার বুজে ধরেনা...

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২৮

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: :)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:৪৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: আইছেন এইটাই বড় কথা। আপনেরে ধইন্যা

৫| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:০৬

ফিরে এসো চাকা বলেছেন:
কবিতাটি পড়ে আমি কোন ভাবেই সহজ কোন ব্যখ্যা নিজেকে দিতে পারছিলাম না।
শ্রদ্ধা রইল আপনার প্রতি।

আমার প্রতিক্রিয়ায় আমি নিজের কাছে লজ্জা পাই !

এই কবিতায় শব্দের ব্যাবহার নিয়ে কৌতুহল আছে আমার, এই বিষয়ে আপনার অভিমত আশা করছি।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: কী রকম শব্দের ব্যবহার? উদাহরণ দিয়ে বললে আমার জন্যে সুবিধা হয়।
পাঠ করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৩০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: ফিরে এসো চাকা

৬| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৩

সবাক বলেছেন:
এই কবিতা পড়ে আমি একটা গল্প লিখছি....

Click This Link

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৩২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: যাইতাছি যাইতাছি

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১০:১২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: তুই একটা জিনিশ

৭| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:১৭

না বলা কথা বলেছেন: ইহাকে প্যাচানো স্ক্রু সাহিত্য বলে।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:২৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: বস্! আপনি যা বলেন।

০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:০৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠ করার জন্যে

৮| ০২ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:১৩

বৃত্তবন্দী বলেছেন:
নির্ঝর...

নৈঃশব্দ্য...

-২...

দীপংকরের ডিলেমা??? নাকি আরো বেশি???


আবেগ, তীব্রতা, উর্ধ্বপাতনে...

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: বস্! :( :)

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৬

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: কবিতা এবং পদ্য বিষয়ক আমার অনুভূতিটা এরকমই!

আপনি তত্ত্ব জানেন না, কিন্তু ০৬ এর 'বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি কিন্তু তাত্ত্বিক। গীন্সবার্গ এর দৃষ্টিভঙ্গি-ও এরকম ছিল। তবে এই পাঠাংশে একমত নই। কবিতাকে আমি ফুলের রাজ্য হিসেবে নিতে আগ্রহী। নানা কিছিমের ফুল- কারো ঘ্রাণ আছে, কারো ঘ্রাণ নেই। তেমনি আমি রজনীগন্ধা পছন্দ করি বলে গোলাপপ্রেমীর আগ্রহে হরতাল ডাকতে উৎসুক নই। কবিতা একেক জন একেক ভাবে নেন। কেউ শব্দখেলা হিসেবে, কেউ ভাববোধ প্রকাশ হিসেবে। এসব ভিন্নতাই কবিতা মূলজীবনি শক্তি। সময়ের সাথে কবিতার রূপভেদের যেমন হয় তেমনি কবিতার সাথে সময়ের পরিবর্তন হয়। সাম্যবস্থার মতো।
পাঠকই আজলা ভরে তুলে নিবেন প্রকৃত পাথরখণ্ড।

=====================
কাকশালিকের কবিতাটি আসলেই চমৎকার।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
যাক, অভি। আমি আপনার পরিচ্ছন্ন আবেগেকে আহত করে প্রতিযুক্তি উপস্থাপন করতে চাই না। হয়তো কোনোদিন আমার সাথে একমত হবেন। আবার নাও হতে পারেন।

এলেনের দৃষ্টিভঙ্গি বৈশ্বিক ছিলো। কারণ তার জানাশোনার পরিধি ব্যাপক ছিলো। কিন্তু তিনিও কবিতা নিয়ে এক অর্থে স্টান্টবাজিই করেছেন। সুতরাং তার কবিতা টিকবে না (মলয়ের ক্ষেত্রেও একই কথা আমার)। যেহেতু তিনি একটা সময় কবিতা লিখেছেন তাই নথিভূক্ততো অবশ্যই থাকবেন। কিন্তু ইয়েট্স বোদলেয়ার, নের্ভাল, জীবনানন্দ, সিলভিয়া প্লাথ, এমিলি ডিকিনসনের মতো মানুষের বুকের ভিতর তার কবিতা লেখা থাকবে না।

আর কবিতা আমার কাছে সংগ্রাম। আমার রক্তের ভিতর কথা বলে। এটা খুবি সিরিয়াস বিষয়। খেলা অবশ্যই নয়। তাই খেলা আর ভাবালুতা সমর্থন করলাম না।

আমি কখনোই হরতালের কথা বলি নি। কবিতা আমার কাছে পরম। পরম মানে নিত্য। পরমের কাছে আমি রক্তাক্ত হয়েই যাবো।


শুভ কামনা। অভি।

* অন্যত্র বস্ বলার জন্যে লজ্জিত। আমি মিন করি নি।


০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
"পাঠকই আজলা ভরে তুলে নিবেন প্রকৃত পাথরখণ্ড"


আপনার এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।

আবারও ধন্যবাদ।

১০| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৩৮

আকাশ অম্বর বলেছেন:

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল উচ্চমার্গীয় কিছু একটা ! উনাকে ভুই পাই ! :)

ধন্যবাদ, নির্ঝর।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ অম্বরে অম্বর।

১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:০৬

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: তবে এই পাঠাংশে একমত নই।

-------এখানে আমি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি বুঝাই নি। পাঠের (০৬ এর কবিতার রূপ বিষয়ক) অন্য অংশের কথা বুঝিয়েছি। তাই ফুলরাজ্যের অবতারণা।

বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই প্রশংসনীয়। কারণ আমরা ক্রমশ বিশ্বায়নের ফলে একমুখী রাস্তাতে চলছি। সংস্কৃতির মিশ্রণে এখন বাঙালী-ইংরেজ-ফরাসী ইত্যাদি বাছবিচার অদূর ভবিষ্যতে আরো গাঢ় হয়ে যাবে- অর্থ্যাৎ- একটি মাত্র সংস্কৃতি; মানবসংস্কৃতি।
কিন্তু অনেক প্রকরণ, রূপ বিদ্যমান। মলয় খারাপ লিখেন নি। তার অনেক 'কবিতা' অশ্লীল লাগে আমার কাছে, তার মানে এই নয় যে তিনি কবিতা লিখেন নি; ওই যে বল্লাম পাঠকই খুঁজে নিবেন প্রকৃত এবং মৌলিক পাথরখণ্ড।
এখানে আমার সিঁড়ি বিষয়ক ধারণাটা-ও উল্লেখ করা যেতে পারে (আপনি জানেন)।
আর কবিতা আমার কাছে নিজস্ব হাড়-মাংশ। কিন্তু আমার রক্ততে অনেক নদীর জল মিশেল।

=====================
আমি কিছু মনে করি নি। :)

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
ধন্যবাদ, অভি।
আমি ওখানে "অসার্থক শব্দবন্ধ" বলেছি। সার্থক হলে কবিতা সবকিছুই হজম করতে পারে, মূত্র থেকে মধু পর্যন্ত। যেসব ছন্দমূর্খ কবিতায় শব্দের প্রয়োগ জানে না, আমি তাদের নির্দেশ করেছি। পড়তে গেলে চোখা পেরেকের মতো লাগে শব্দ-- তখন পিটাইতে মন্চায়।

আর মলয়ের ক্ষমতা আছে সন্দেহ নাই। কিন্তু মলয়ের অধিকাংশ কবিতা পাঠ করেন দেখবেন, কবিতায় নানা নিরীক্ষা করতে গিয়ে তিনি কবিতার কী দশাটা করেছেন। আপনার মনে থাকার কথা তার "প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতা" কবিতাটির আমি প্রশংসা করেছিলাম। এখনো করি। কেননা সেই কবিতার মধ্যে তিনি যে প্রচণ্ড গতির সঞ্চার করতে পেরেছিলেন-- সেই গতি তার বাক্যস্থ শব্দ ছাপিয়ে অবয়ব নিয়ে তীব্রবেগে প্রবাহিত হয়েছে।
হাংরি জেনারেশন ফাউল। শক্তি আর সুনীল বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তাই শক্তি সার্থক। সুনীলেরও কিছু কবিতা খুবি ভালো। সুনীল যদি কেবল কবিতাই লিখতেন, তাহলে অনেক ভালো কবি হতেন। তিনি একই সাথে সবকিছু হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবাই রবীন্দ্রনাথ হতে পারে না। জীবনানন্দও পারেন নি। তাই তার গল্প আর উপন্যাস ব্যর্থ।
হাংরি জেনারেশনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কবি উৎপলকুমার বসু।

আর মলয় এখন পোস্টমর্ডানিজমের রাসুল। কবিতা লেখেন আমেরিকান রন প‌্যাজেটদের অনুকরণে।

আর প্রকৃতপ্রস্তাবে যিনি কবিতার পাঠক তিনি কখনোই মাথামোটা গাভী নয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: *প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার হবে

১২| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৯

নাজনীন খলিল বলেছেন:
এত চমৎকার করে ব্যাখ্যা করেছো এরপরে অতি নির্বোধও এই কবিতার ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।

কবিতাটি আমি আগেই পড়েছিলাম খুব ভাল লেগেছে।সব কবিতায় এমনকি আমি প্রবেশ করারও চেষ্টা করিনা।শুধু কবিতার বোধটুকুকে অনুভব করার চেষ্টা করি। যখন পারি তখনই কবিতাটি আমার কাছে একটি উপভোগ্য কবিতা হয়ে উঠে।অন্যভাবে বললে কিছু কবিতা আমাকে কোনভাবেই স্পর্শ করতে পারেনা। অন্যের কাছে যাই হোক সেসব আমার কাছে কবিতা হয়ে উঠেনা।
এটা ও ঠিক -কবিতা সবসময়ই বহুমাত্রিক।যে যেভাবে নিতে পারে।

লেখাটি প্রিয়তে যাচ্ছে। আলোচনাটি চমৎকার এবং প্রয়োজনীয়।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা, দিদি। ভালো থেকো।

১৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৩৩

শূন্য আরণ্যক বলেছেন: মাঝখানের ব্যাখাটুকু চমৎকার লেগেছে।

উচ্চমার্গের জিনিস মাথাতে ধরে না ।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, শূন্য।

১৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৪৯

সবাক বলেছেন:
দোস্ত আকি কি কবিতাটি বুঝতে পেরেছি? গল্প কি বলে?

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: তোর গল্প অসাধারণ। তুই একটা জিনিশ।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: ধইন্যা

১৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:৫৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: কাখশালিকের বেশিরভাগ কবিতাই বুঝিনা। তয় পড়তে কেন যানি ভালা লাগে। আমার কাছে এই কবিতার ব্যাখ্যার চেয়ে কবিতার ব্যাপারে তমার দৃষ্টিভঙ্গিটা পড়তে ভালো লাগসে, বিশেষ করে ৩ এবং ৪ নং প্যারা।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা, দোস্তো

১৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:০৪

আইসিস বলেছেন: নিঝু,জটিল কথা বার্তা কইছস । এই ঘিলু তে কত টা ঢুকছে , ভগবান ই মালুম ।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: ভগবান, না মালুম। ভালো থাকিস।

১৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১১:২৮

সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
কবিতা পড়তে ভালো লাগে। এ বিষয়ক প্যাঁচাল এড়িয়ে চলি। আপনার চিন্তা ভাবনা ভালো লাগছে। কিন্তু কবিতা আর পদ্য এইদুটো ক্লাসিফিকেশন কিসের উপর ডিপেন্ড করে করলেন বোঝা গেলো না। আপনি কি বলতে চাইছেন রবিঠাকুর মানে পদ্য , জীবনানন্দ মানে কবিতা বা এরকম কিছু?

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:২০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
সুদীপ,
কবিতা বিষয়ক প‌্যাঁচাল আমারও ভালো লাগে না। কিন্তু একটি কবিতা যখন অনেকের কাছে দুষ্প্রবেশ্য হয়ে উঠে তখন কষ্ট হয়। তাই নিতান্ত বাধ্য হয়ে আমার নিজস্ব পাঠ প্রক্রিয়া ব্যক্ত করলাম। কবিতার ব্যাখ্যা অবশ্যই করি নি।

আর রবিঠাকুরকে পদ্যকার বলার স্পর্ধা আমার নেই। তবে এইটা সত্য তিনি পদ্য আর কবিতা দুটোই লিখেছেন। কবিতা আর পদ্যের সংজ্ঞা দেয়ার কারণ অধিকাংশ পাঠক কবিতাকে পদ্য হিশেবে পেতে চায়। যেখানে কবি সবকিছুই বলে দেবে।

আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা।

১৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:০৮

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: কবিতাপাঠের আলোচনায় সবসময়েই আমি মনোযোগী পাঠক। কিন্তু সেই আলোচনাগুলো কেন ঘুরে ফিরে সংজ্ঞায়নের দিকে যায়? কবিতা কী। পদ্য কী। কবিতা কেমন হওয়া দরকার। কোনটি কবিতা নয়। কার কবিতা টিঁকবে না। এগুলো কথা কিন্তু মূলত আলোচ্য কবিতার থেকে আলোচনার ফোকাস সরিয়ে নেয়।

আমি জানি, আপনার প্রয়াস দীপঙ্করের কবিতাটির আলোচনা। একটা কবিতাপাঠের উন্মাদনা বা পাঠ-পরবর্তী অনুভব অনেক সময়েই সাধারণ মাত্রাকে ছাড়িয়ে যায়। অভূতপূর্ব অনুভূতিকে প্রকাশের জন্য কবিতাটি আলোচনা হতেই পারে।
দীপঙ্করের রচনা আমার কাছে সবসময়েই রহস্যময় মনে হয়। এবং সে পাঠানুভূতি আমি সহসাই তাঁর সাথেও শেয়ার করি না (তাঁর ব্লগে আমার করা মন্তব্য গুটিকতক)। এর পেছনে একটি কারণ হলো আমি চাইনা কথার পিঠে কথা চড়ে কবিতার পাঠ-আনন্দ বা অনুভবটি হারিয়ে যাক। আরেকটি কারণ হলো আমি যে বোধ পেলাম তা ভাষায় উপযুক্তভাবে প্রকাশ করা সম্ভব হয় না।

[লেখার কয়েকটি বিষয়ে আপনার সাথে আমি দ্বিমত করি, তবে সে কথাগুলো তুলে আনলে কবিতাটির থেকে ফোকাস সরে যাবে বলেই বোধ করি। সে জন্য সেটা বাদ দিচ্ছি। ]

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:১৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
অনিক,
আপনি অবশ্যই দ্বিমত করতে পারেন। এইটা যে একান্তই আমার মত সেই কয়েক জায়গায় উল্লেখ করেছি। তাই আমার মত কারো উপর চাপিয়েও দেয়া হয় না।

ফোকাস সরে যায় কথাটিও ঠিক। কিন্তু একটি কবিতা যখন অনেকের কাছে দুষ্প্রবেশ্য হয়ে উঠে তখন কষ্ট হয়। তাই নিতান্ত বাধ্য হয়ে আমার নিজস্ব পাঠ প্রক্রিয়া ব্যক্ত করলাম। কবিতার ব্যাখ্যা অবশ্যই করি নি।


পাঠ করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।

১৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৪

সাইলেন্সার বলেছেন:

হা.......হা............হা

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: হো হো হো

২০| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ দুপুর ১:০৫

ছন্নছাড়ার পেন্সিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নির্ঝর।

দুষ্প্রবেশ্য হোক না, সমস্যা তো নাই। আমার তো দেখা যায় জনপ্রিয় কবিতা ভালো লাগে না। খুঁজে খুঁজে আমি অপাংক্তেয় কোণে পড়ে থাকা কবিতাগুলোই পড়ি। তেমন পাঠক আরো আছেন নিশ্চয়ই!(কথাটা আবার সেই পিঠে তোলা কথা হয়ে গেল)

দীপঙ্করের কবিতা নিয়ে শুক্রবারে আন্দালীব একটা কথা বলছিলেন, খুব কাছ থেকে দেখলে দীপঙ্কর কবিতার মাঝে অ্যাবসার্ডিটি নিয়ে খেলা করেন। এই আচরণ তার ব্লগাচরণ, মন্তব্য থেকেও ফুটে বের হয়। আমি প্রথম দিকে এজন্য তাঁকে বুঝে উঠতে পারি নাই ঠিক মত। সেটাই স্বাভাবিক। তবে প্রাথমিক ধন্দ কেটে গেলে, দীপঙ্করের কবিতার মোচড় যে কোন মনোযোগী পাঠকের মনে অপূর্ব আনন্দ দিবে বলেই আমার ধারণা। সেটাই বা কম কী, সেটাই বা কয়জন পারেন?

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
আন্দালীব কবির সাথে আমিও একমত।

অনেক শুভেচ্ছা, বস্।

২১| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৫

নম্রতা বলেছেন: মৃত নগরের কবি

হরিণের লাল মাংস
যার পাজরে সাথে মিশে আছে..

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:

নম্রতাকবির কবিতা:
---------------------------------

মৃতনগরের কবি

হরিণের লালমাংস
যার পাজরে সাথে মিশে আছে..

মৃতনগরের কবি

হরিণের লালমাংস
যার পাজরে সাথে মিশে আছে...



অন্যরকম সুন্দর

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভেচ্ছা, বস্।

২২| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:১৪

ব্যতিক্রমী বলেছেন: ওয়াউ!!!!!!!!! লেখাটা খুবই ভালো লাগলো।

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:২৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভেচ্ছা, আশু

২৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:২৪

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
নির্বাহী গুণহীন ছাঁটাই পরিধি নিয়ে চলে যাই অন্ধকারে
এসো, কিছু সাধারন কথা বলি

০৩ রা আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৫:৩০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
চলো যাই অন্ধকারে

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৩:১৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: তারপর

২৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:০৬

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
কবিতা পড়া আর কবিতার ভিতরে চলে যাওয়া.......

অসম্ভব সুন্দর।
অনেকদিন পর এমন একটা লেখা পড়লাম।
সাথে নিয়ে গেলাম।
মরচে পড়া বোধগুলোকে জাগাবে কখনো।

"শুধু দেখা পাওয়া শুধু ছুঁয়ে যাওয়া
শুধু দুরে যেতে যেতে ফিরে যাওয়া"...........
কত যে আলাদা বোধের জন্ম দেয়...........

শুভেচ্ছা রইলো নৈঃশব্দ্য.......।
ও বাড়ি গেলে নৈঃশব্দ্যের নিজস্ব রচনা.........
এখানে নানাবিধ।

এ যেনো একটা বাড়ির ভিতরে এবং বাহিরে ঘুরেফেরা।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা সাজি, শুভভোর।

২৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১৪

মুয়ীয মাহফুজ বলেছেন: কাকশালিখচড়াইগাঙচিল এর কবিতাটি খুবই ভাল লাগলো।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:১৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা, মুয়ীয

২৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৩৬

কালিদাস কবিয়াল বলেছেন: ''কবিতা ধরবে সময় এবং সমসাময়িক প্রকরণ। যা প্রথাকে ছিন্ন করে। নতুন প্রকরণ তৈরি করে।''

কবিতা বিষয়ে আপনার এই ওহীখানা আমার লেখার পাথেয় হয়ে থাকবে। চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী কবিতাবিষয়ক লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সময় পেলে আমার ব্লগে এসে একটু ঘুরে যাবেন। দাদা, আমার লেখা পড়ে সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্ণিত করে এবং সমাধানের উপায় জানালে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:০২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
কা-ক!
অবশ্যই পড়বো আপনার কবিতা। তবে সীমাবদ্ধতা চিহ্নিত করার মতো সীমা এখনো অতিক্রম করি নাই, দাদা। তবে একটা ছোট্ট পরামর্শ দিতে পারি, নার্সিসাস হইছেন তো মরছেন। নিজের লেখা যতোবার পড়বেন ততোবার ফাঁক পাবেন। নিজের সদ্য লেখা কবিতাটি বিরতি দিয়ে অন্তত তেইশবার পড়েন নিজেই বুঝতে পারবেন, কী সমস্যা।


অনেক ধইন্যা, ওহিপ্রাপ্ত হওয়ার লাইগা।

২৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৫

নীরজন বলেছেন: দাদা...............আজ আজমিশালী তে আপনার একটা লেখা পড়লাম.....

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:


হ্যাঁ, দেখলাম। ওটা আমার গল্প। আমার ব্লগেও আছে।

Click This Link


নীরজন! ভালো আছেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৩:৫৪

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভেচ্ছা

২৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৩৭

মনির হাসান বলেছেন:
চান্দু ... তুমি যতই দাবী করনা ক্যান, তুমি ক্ষ্যাত ... আমি তোমারে হিংসাই। তোমার ভিতর যে বারুদ আছে, আমার কাছে তার দুর্ভিক্ষ ।

স্যালুট ... কবিতা/পদ্যের ব্যাখ্যাটা অসাধারণ । ঈমানে কইতাছি , হেয়ালি কইরা কবিতা ছুই'না ... অথচ একটা সময় হাংরী জেন'দের কবিতা'গুলা ব্যাপক খাইতাম ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৭

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
আরে বস্! আপনে কইতাছেন? আমি কৃতার্থ। :D
আপনেরে ডাবলস্যালুট।

জীবননান্দুর কবিতা আমারে শান্তি দেয়। ঘোর দেয়। হাহাকার দেয়।

কিন্তু হাংরির কবিতা হাংরি কইরা দেয়। মন্চায় আকাশ কামড়াই, বাতাস কামড়াই।

২৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:১১

মনির হাসান বলেছেন: একটি ভুল পাওয়া গেছে .... আমি ভাবছিলাম পোস্ট'টা দোস্ত মানুষ বৃত্তবন্দী'র । তাই গাইল্লাইছিলাম ... :D
কমেন্ট হয়া যাওয়ার পরে দেখি আপনে নি.নৈ.-২ ।
যান্ত্রিক ত্রুটি'র জন্য দুঃখিত ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:
বস্! ব্যাপার না। আমারে তুই/ তুমি যা ইচ্ছা কইবার পারেন। আর রায়হাত রে আমিও ভালা পাই।
গাইল খাইয়া নাহয় আমিও দোস্তো অইয়া গেলাম।
;)

১০ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভেচ্ছা

৩০| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৪:১২

গায়ত্রী সান্যাল বলেছেন:
কবিতাটি খুবি ভালো।

"অনেকে আবার শব্দমোহে ডুবে থাকেন; শব্দের মায়া কাটাতে পারেন না। চমকপ্রদশব্দ(যথা: যোনি, শিশ্ন, স্তন, পোঁদ, মূত্র, ভগাঙ্কুর, রজঃ, বীর্য, সঙ্গম, শীৎকার, মাস্টারবেট) সহযোগে অসার্থক শব্দবন্ধ তৈরি করে পুরা কবিতার ভারসাম্যকে নষ্ট করে আলোচিত হতে পছন্দ করেন।"



আর আপনার আলোচনার এই অংশটি খুব ভালো লাগলো।
প্লাস।

ভালো থাকুন।



*ভাষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক বক্তব্যে খানিকটা দ্বিমত আছে। এইখানে না করি।
আপনাকে সাধুবাদ।

০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ ভোর ৫:৪০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: পাঠ করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ, গায়ত্রী গায়ত্রী

৩১| ০৫ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১১:৩৩

প্রণব আচার্য্য বলেছেন:
আলোচনা প্রয়াস ভালো লাগলো কমরেড। কবিতা বা শিল্পে কখনোই সহমত কামনা করিনা। এক একটি কবিতা এক একটি কবিতার সংজ্ঞাকে ধারন করবে।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:০৬

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন:

আপনার কথা অবশ্যই ঠিক, কমরেড।

অনেক শুভেচ্ছা।

৩২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ৭:৪৭

মুক্তি মণ্ডল বলেছেন: আলোচনা হচ্ছে এইটাই তো আশার..কবিতা নিয়ে গদ্য ভাল লাগছে নির্ঝর।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫২

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা, মুক্তি দা

৩৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ সকাল ১০:৩৬

অদৃশ্য বলেছেন: নির্ঝর দা................. আমি গতকালকেই এই লিখাটা পড়েছি। আপনি যেভাবে এই কবিতাটিকে খুলে খুলে খেয়েছেন তা আমার বেশ ভালো লেগেছে............

এবং এটা অবশ্যই ঠিক যে কবিতা একেকজন একেকভাবে গ্রহোন করবে, ভাববে..............তবে আপনার এই খুলে দেখানোই গমন পথটা সরল হলো.........

শুভকামনা.........

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৩

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: লেখক বলেছেন:

আপনার কথা অবশ্যই ঠিক, কমরেড।

অনেক শুভেচ্ছা।

৩৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৮

নীরজন বলেছেন: Click This Link

দাদা..........নতুন লেখা দিলাম.............পড়ে দেখবেন।

০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৮:৫৫

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: অনেক ভালো, নীরজন

৩৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ৯:০৭

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: ভালো প্রয়াস। কবিতার অনেক দরজা থাকে।

ভালো থাকুন।

০৭ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ১২:৫৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: Thanks boss

১২ ই আগস্ট, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:২৩

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: কেমন আছেন?

৩৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০০৯ রাত ২:২৮

কৃষ্ণ তরুণ বলেছেন: পড়েছি অনেকবার, বেশ ভাল লাগলো।

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৮

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভেচ্ছা, কৃষ্ণ

৩৭| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:০২

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: কাটাছিঁড়া কইরা তো ছদর-বদর কইরা দিলেন! :P

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৪৯

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: সবি আল্লার ইচ্ছা:)

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০০৯ বিকাল ৪:১৪

ভাঙ্গন বলেছেন: কবিতার ভিতর দিয়ে শুধু হেঁটেই যাওয়া হয়নি
একই সাথে সাথে বিদ্যমান বটবৃক্ষ তলে একটু জিরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারপর ছায়াগুলোর দিকে তাকিয়ে গাছের পাতার ফাঁকে পক্ষীদর্শন হয়েছে। নিদ্রাযাপন,স্বপ্নশিকার আর বিহ্বলতার অপূর্বসব নিরীক্ষণ হয়েছে।
পথিক কখনো চেপে যায়নি কিছূই। এমনকি হেঁটে যেতে যেতে যা বলেছে,সেটা গান হয়ে পাখির মুখে সুরে-শব্দে জেগে উঠেছে।
দীপঙ্কর কবির এমন কবিতার নীড়ে এমন পালক ঝাপটানো আরেক কবি নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-!

২১ শে আগস্ট, ২০০৯ রাত ১:৫১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: নৈঃশব্দ্যের ভিতর বিবাগী ভাঙন

৩৯| ১৪ ই মার্চ, ২০১০ দুপুর ২:৩১

অমিত চক্রবর্তী বলেছেন:
দুঃখ একটাই কবিতা বুঝতেও পারলাম না কোনদিন আর লিখতে পারলাম না একটাও।

ভালো লাগল আলোচনা ও মন্তব্যাদি।শুভকামনা কবিষাদ।

২৯ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:০০

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভ বিকাল অমিত

৪০| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:৩৬

সোমহেপি বলেছেন: কবিতা হবে সমস্ত বাহুল্যবর্জিত, ধনুকের ছিলার মতো টানটান। এবং পরিচ্ছন্ন।

কবিতাকে আমি বৈশ্বিক মনে করি। যেহেতু আমাদের অবিমিশ্র সংস্কৃতির কোনো ইতিহাস নেই।
কবিতা ধরবে সময় এবং সমসাময়িক প্রকরণ। যা প্রথাকে ছিন্ন করে। নতুন প্রকরণ তৈরি করে

সহমত

০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভরাত্রি

৪১| ২৩ শে জুন, ২০১০ রাত ৯:২৫

তৃণ বলেছেন: এতো ব্যাখ্যার পরও কঠিন লাগলো কবিতা!

০১ লা জুলাই, ২০১০ রাত ১১:০১

নির্ঝর নৈঃশব্দ্য-২ বলেছেন: শুভরাত্রি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.