![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুঁজিবাদের সবচেয়ে অনিষ্টকর ফল হল মানুষের মনুষ্যত্ব বিকাশের সম্ভাবনাকে পঙ্গু করে দেওয়া। আমাদের সব শিক্ষা পদ্ধতিতে এই অমঙ্গল বর্তমান। বেশিরভাগ ছাত্রের মনে একটি তীব্র প্রতিযোগিতার ভাব জন্মায় এবং তাদের শিক্ষালাভের একমাত্র উদ্দেশ্য হল কী করে প্রতিযোগিতায় সিদ্ধিলাভ করে ভবিষ্যৎ জীবনে কর্মক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে আরোহন করা যায়। এরা হল সব ক্যারিয়ারিস্ট, নিজেদের জীবনের উন্নতি করে সুখে ও সম্মানে থাকতে চায়। এদের মন সংকীর্ণ ও স্বার্থপর। - আলবার্ট আইনস্টাইন।
আমরা কীভাবে বর্ণমালা শিখেছি?
আমার নিজের অভিজ্ঞতাই মনে করতে পারি। আমরা কয়েকজন বন্ধুবান্ধব মিলে গোল হয়ে চটের উপর পড়তে বসেছি। শিক্ষিকা বেত হাতে আমাদের মাঝখানে। প্লাস্টিকের বর্ণপরিচয় বই খুলে অক্ষরগুলোর উপর আঙ্গুল রেখে পড়ছি। শিক্ষক বললেন- সরুয়ু।
আমরা চিৎকার করে বললাম- সরুয়ু।
শিক্ষক বললেন- সরুয়ু তে অজগর।
আমরা বললাম- সরুয়ু তে অজগর।
শিক্ষক বললেন- অজগরটি আসছে তেড়ে।
আমরা বললাম- অজগরটি আসছে তেড়ে।
...এভাবে
শিক্ষক বললেন- আমটি আমি খাব পেড়ে।
আমরা সোৎসাহে চিৎকার দিলাম- আমটি আমি খাব পেড়ে। কারণ অজগর তেড়ে আসার বদলে আম পেড়ে খাওয়া অনেক মজার।
মোটামুটি এভাবেই আমাদের বর্ণমালা শেখা চলতো। যার গলায় যতো জোর আছে, সে ততো জোরে পড়তো। কারণ বেশি জোরে পড়লে নাকি তাড়াতাড়ি শেখা হয়। আর গলাটা সবার আগে বেহেশতে বা স্বর্গে যাবে।
পড়ার পর লেখার পালা। শিক্ষক সবার শ্লেটে অ-আ-ই-ঈ বড় করে লিখে দিতেন, আমরা সেগুলোর উপর হাত ঘুরাতাম। এভাবে ঘুরাতে ঘুরাতে বর্ণমালা লেখা শিখে যেতাম।
২.
এই যে পদ্ধতিতে আমরা ছোটবেলায় বর্ণমালা শিখেছি, এটাকে বলা হয় বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতি। এতে প্রথমে স্বরবর্ণ ও পরে ব্যঞ্জনবর্ণ ক্রমানুসারে শিখতে হতো। এখনও বিভিন্ন জায়গায় এই পদ্ধতিতে পড়ানো হয়।
আমরা যখন এভাবে বর্ণমালা শিখছিলাম, তখনই পশ্চিমে বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিতে বর্ণমালা শেখানো সম্পর্কে সমালোচনা শুরু হয়। কারণ এই পদ্ধতিতে বর্ণমালা শিখতে গিয়ে শিশু মূলত বর্ণের বিমুর্ত রূপের সাথে পরিচিত হয় এবং বলা হয় এই প্রক্রিয়ায় শেখাটা শিশুদের কাছে মোটেও আনন্দজনক নয়। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন গবেষণাও রয়েছে।
এই যে এখানে ‘অ’ বর্ণটি শেখানো হচ্ছে, এতে শিশু আসলে কী শিখছে। শিশু শিখছে একটা ‘অ’- আর কিছু না। শিশু শুধু জানে এটা তাকে শিখতে হবে; কিন্তু কেন শিখতে হবে এবং ‘অ’-এর সাথে কীসের কীসের সংযোগ ঘটবে- তা সে জানে না। বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতিতে কীসের সাথে কীসের সংযোগ ঘটানো যায়, সে বিষয়টি শিশুর কাছে অজানা থাকে। ফলে শিশুকে এখানে মোটামুটি আনন্দ ছাড়াই একটা বড়সড় ‘অ’ শিখতে হচ্ছে। শিশু মনস্তত্ব বলে, বর্ণমালা পুরোপুরি শেখার পর শিশু তখনও বুঝে উঠতে পারে না এগুলো সে কেন শিখলো। শিশু শুধু জানে, শিক্ষক শিখতে বলছেন, তাই শিখতে হবে।
৩.
বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতি সমালোচনা আসতে থাকায় শব্দানুক্রমিক পদ্ধতি আসলো। এই পদ্ধতিতে শিশুকে প্রথমে শব্দ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। পরে শব্দের কোথায় বর্ণটি আছে, সেটি দেখিয়ে বর্ণটি শেখানো হয়। যেমন শিশুকে বলা হলো- এটি একটি আম।
এখানে ‘আম’ শব্দটিতে ‘আ’ এবং ‘ম’ দুটো বর্ণ আছে। সুতরাং এই পদ্ধতিতে একটি বস্তুগত বিষয়কে ধরে শিশু একইসাথে দুটো বর্ণ শিখে গেলো।
একটা সময় পরে দেখা গেলো, যতোটুকু ভাবা হয়েছিলো, এই পদ্ধতিতেও শিশুর শিখন ততোটা আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসু নয়। এরই ধারাবাহিকতায় 'বাজারে আসে' বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতি। এবং এই পদ্ধতিই এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুসৃত হচ্ছে। আমাদের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড বা এনসিটিবির বইগুলোও বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতিতে সাজানো। এই পদ্ধতির মূল কথা হচ্ছে, বর্ণ বা শব্দ সম্পর্কে জানার আগেই শিশু অন্যের সাহায্যে বাক্য পড়বে প্রথমে। সেটা একটি সম্পূর্ণ বাক্য হতে পারে; কিংবা ছড়া বা গল্প পড়েও হতে পারে। অর্থাৎ অ বা অজগর শেখার আগেই শিশু পড়বে ‘অজগর সাপ অনেক বড়’ কিংবা ছোট ছোট ছড়া বা গল্পগুলো শিক্ষক বা পিতামাতার সাহায্য নিয়ে আগে পড়বে।
৪.
অন্য আলোচনা বাদ দিয়ে ধরে নিচ্ছি, শিশুকে আমরা বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতিতে বর্ণমালা শেখাবো। সেক্ষেত্রে শিশুকে বর্ণমালা শেখানোর জন্য কিছু উপকরণ হাতে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে পড়া ও লেখার কাজটা একসাথে করতে হবে।
১. বর্ণমালার বই। বইটি কেমন হবে সেই আলোচনা আসবে একটু পরেই। এমনকি এই বই আপনি নিজেও বানিয়ে নিতে পারবেন।
২. সম্ভব হলে শ্লেট ও চকের মাধ্যমে শিশুকে লেখা শেখানো উচিত। শ্লেট না পাওয়া গেলে কাগজ ও পেনসিল। পেনসিলের অবর্তমানে কালির কলম। এবং এর কোনোটিই না পাওয়া গেলে তবে বলপয়েন্ট কলম। কারণ শিশুরা যখন লেখা শেখে তখন যথাসম্ভব খসখসে কাগজ ও কলম ব্যবহার করা উচিত। তাতে তারা সহজে বর্ণের গঠন ও আকার লিখতে পারবে। এক্ষেত্রে কাগজ ও কলম যতো অমসৃণ হয়, ততোই শিশুর জন্য মঙ্গলজনক হবে। খসখসে কাগজে শিশু যতো সহজে সোজা দাগ ও দাগের বাক ঘোরাতে পারবে, মসৃণ কাগজে সেটা ততো সহজে পারবে না। এক্ষেত্রে বর্ণের আকার বেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সুতরাং শ্লেট ও চক যোগাড় করতে পারলে খুবই ভালো।
৩. শিক্ষকের হাসিখুশি মুখ ও সাহায্যকারী মনোভাব। এটা খুবই মনে রাখা দরকার যে, এই শিক্ষক (তিনি আনুষ্ঠানিক শিক্ষকও হতে পারেন, পিতামাতাও হতে পারেন) আসলে শিশুকে পড়াতে যাচ্ছেন না; বরং তিনি ও শিশু মিলে কিছু একটা কাজ করতে যাচ্ছেন। আজকে তাদের কাজ হলো- দুজনে মিলে ‘অ’ ‘আ’ পড়বেন ও লিখবেন।
৫.
এক্ষেত্রে আরেকটা কাজ করা দরকার। আনুষ্ঠানিক পড়ায় আসার আগে শিশুকে দিয়ে কিছু দাগ ও আকৃতি প্র্যাকটিস করিয়ে নিতে হবে। যেমন-
- - - - - - - - - - - - - - - -
| | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | |
/ / / / / / / / / / / / / / / / / / / / /
< < < < < < < < < < < < <
> > > > > > > > > > > > >
[ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [
) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) )
( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( (
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~
এই কাজগুলো করতে গিয়ে শিশু মোটামুটি বর্ণমালা শেখার প্রাথমিক রেখাগুলো আয়ত্ত করতে পারবে। আর একবার আয়ত্ত করতে পারলে শিশু সহজেই বর্ণমালা লিখতে পারবে।
৬.
এখন পড়া ও লেখার কাজটা কোথাও কোথাও একসাথে চলবে, কখনও বা পড়ার কাজটা আগে হবে, কখনও পরে। সেটা নির্ভর করবে পরিবেশ, শিশু কতোক্ষণ পড়তে চায় এবং পড়ালেখার জন্য কী উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর ওপর। আপনার কাছে যদি খুব ভালো বই থাকে এবং আপনি শিশুকে আনন্দসহকারে পড়াতে পারেন, তাহলে এক বসাতেই অনেককিছু শেখাতে পারবেন। মনে রাখতে হবে, শিশু যতোক্ষণ পড়তে চায়, তার বেশি পড়ানোর জন্য জোরাজুরি করা যাবে না। সেজন্য সব বই, উপকরণ ও শ্লেট-পেনসিল একসাথে নিয়ে শিশুর সাথে বসে পড়াটাই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ঐতিহ্য অনুযায়ী ধরা যাক শিশুকে ‘অ’ দিয়ে পড়ানো শুরু করবেন। সেক্ষেত্রে বইয়ের বাম পাশে বা উপরে থাকবে ‘অজগর’-এর ছবি। অজগর সাপ অনেক বড়
এবার আপনি প্রথমে ছবি দেখিয়ে পরে লেখাগুলোর ওপর আঙ্গুল বুলাতে বুলাতে জোরে পড়বেন- অজগর সাপ অনেক বড়। এখানে আপনি যখন যে শব্দটি পড়বেন, কেবল তখনই সেই শব্দের উপর আঙ্গুল রাখবেন। আগের বা পরের শব্দের উপর আঙ্গুল রাখবেন না।
আপনার পড়ার পর শিশু আঙ্গুল দিয়ে পড়বে- অজগর সাপ অনেক বড়। এখানেও শিশু যখন যে শব্দটি পড়বে, সেটির উপর আঙ্গুল রেখে পড়ানোর অভ্যাস করাতে হবে।
আপনি পড়বেন- আমটি তুমি হাতে ধর।
শিশু বলবে- আমটি তুমি হাতে ধর।
এইভাবে পুরোটা শেষ করবেন। প্রশ্ন হলো, শিশুকে এভাবে পড়িয়ে লাভ কী? উত্তর হচ্ছে- এভাবে পড়িয়ে লাভ হচ্ছে, শিশু ছন্দে ছন্দে পুরো বিষয়টি পড়বে এবং এক ধরনের আনন্দ লাভ করবে। সে বুঝবে তাকে আসলে কিছুই শেখানো হচ্ছে না, বরং দুজনে মিলে ছন্দে ছন্দে কিছু একটা পড়ছে। এটিই সবচেয়ে বড় লাভ। শিশু যদি বুঝতে পারে তাকে শেখানো হচ্ছে, তাহলে কিন্তু মহাসর্বনাশ!
৭.
এভাবে বেশ কিছুদিন পড়ানোর পর আপনি একেকটা বাক্য বলবেন এবং শিশুকে জিজ্ঞেস করবেন বাক্যটি কোথায় আছে তা বের করতে। যেমন- ‘অজগর সাপ অনেক বড়’- এটা কোন জায়গায় আছে? শিশু আপনাকে দেখিয়ে দিবে এই বাক্যটি কোন ছবির সাথে আছে। যতোক্ষণ না পর্যন্ত শিশু এভাবে সবগুলো বাক্য চিহ্নিত করতে পারে, ততোক্ষণ আপনি তার সাথে ছন্দে ছন্দে বাক্য পড়তে থাকবেন। কখনও শুধু আপনি পড়বেন, কখনও শুধু শিশুই পড়বে। তবে সুখের কথা, এগুলো চিহ্নিত করতে শিশু বেশিদিন সময় নেয় না।
পরবর্তীতে বাক্যগুলো থেকে শিশুকে টুকটাক দু’একটা শব্দ কোথায় কোথায় কোথায় আছে তা জিজ্ঞেস করবেন। যেমন- অজগর সাপ অনেক বড়- এখানে অজগর শব্দ কোনটা? অবাক বিস্ময়ে আপনি লক্ষ করবেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশু নির্ভুল উত্তর দিচ্ছে। তার মানে শিশু ছবির সাথে শব্দের সংযোগ ঘটাতে পারছে, যদিও সে জানে না ‘অজগর’ শব্দটি কী কী বর্ণ দিয়ে গঠিত। এভাবে মোটামুটি অনেকগুলো বলতে পারলে পরবর্তী ধাপে যেতে পারেন।
৮.
এভাবে পড়াতে গিয়ে যখন দেখলেন শিশু মোটামুটি শব্দগুলো পড়তে পারছে, তখন যাবেন বর্ণের দিকে। এক্ষেত্রেও কোনো কিছু খুঁজে বের করার নীতি অনুসরণ করতে হবে। যেমন- অজগর শব্দটি দেখিয়ে এর মধ্যে ‘এই ‘অ’ বর্ণটি কোথায় কোথায় আছে চলো বের করি’ বলে অন্যান্য বাক্যে ‘অ’ বর্ণটি বের করবেন। দেখুন, এতে শিশু প্রথমবারের মতো জানছে এটি ‘অ’ এবং এটাকে বর্ণ বলে। আপনার আর কিছু বলার দরকার নেই। শিশু যদি প্রশ্ন করে বর্ণ কী? তাহলে আপনি বলতে পারেন- এই যে ‘অ’ এটাকে বলে একটা বর্ণ। এরকম এই ‘আ’ এটা হচ্ছে আরেকটা বর্ণ।
ধরে নিচ্ছি মোট দশটি শব্দে শিশু ‘অ’ বর্ণটি খুঁজে পেলো। সেগুলো আপনারা দুজন মিলে দাগ দিয়ে রাখলেন। এখন ওই বই ছাড়াও অন্যান্য উপকরণে এমনকি বাংলা পত্রিকার বড় বড় শিরোনামে দুজনে মিলে ‘অ’ খুঁজতে পারেন। এ সময় দশটি শিরোনামে আপনারা দুজন কয়টি ‘অ’ খুঁজে পেলেন, তা গুনতে শুরু করবেন। দেখবেন, বর্ণ শেখার সাথে সাথে শিশু গুনতেও শিখে যাচ্ছে।
অ-এর পর আ, ই এভাবে এগুতে পারেন, কিংবা যখন যেটা সামনে পড়বে, সেটা নিয়েও এগুতে পারেন। এক্ষেত্রে ক্রম বজায় রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেমন- অজগর শব্দে প্রথমে পুরো বই থেকে ‘অ’ খুঁজে বের করলেন, পরে ‘জ’, ‘গ’ ও ‘র’ খুঁজে বের করতে পারেন। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, ‘অ’ শব্দটি শিশু শব্দের প্রথমেই পাবে। বাকি তিনটি শব্দের ভেতরেও থাকতে পারে। কারণ স্বরবর্ণ সবসময়ই শব্দের প্রথমে বসে। তা থাকুক, খুব সহজেই শিশু এগুলো বের করতে পারবে। এই পর্যায়ে আর কিছু না করানোই ভালো।
৯.
এবার লেখার পালা। আপনি আগেই শিশুকে দিয়ে বিভিন্ন ধরনের দাগ টানিয়েছেন। এখন সেগুলো আবার চর্চা করান। তারপর বর্ণ লিখতে শুরু করুন একটু অন্যভাবে।
প্রথমে সহজ ও একইরকম দেখতে বর্ণগুলো দিয়ে লেখা শুরু করান। যেমন- ব। এটি শ্লেটে লিখে শিশুকে লিখতে দিতে পারেন। যেহেতু শিশু আগেই 'ব' লেখার মতো সবগুলো দাগ আঁকার চর্চা করেছেন, সুতরাং আপনি দু’একবার দেখিয়ে দিলে খুব সহজেই সেটি লিখতে পারার কথা। প্রয়োজনে আলাদা কাগজ-কলমে আপনিও তার সাথে লিখুন। লক্ষ রাখতে হবে, লিখতে গিয়ে শিশু বর্ণের আকৃতি বদলে ফেলছে কিনা বা ভুল লিখছে কিনা। 'ব' লেখার পর ব-এর মতো দেখতে অক্ষরগুলো লেখা শিখান। এভাবে বর্ণমালার পুরো ৫০টি বর্ণই শেখাতে পারেন। আগেই বলেছি, এই পর্যায়ে ক্রমঅনুসারে শেখানোটা গুরুত্বপূর্ণ না। পড়তে ও লিখতে শেখাটাই প্রধান। কোনটির পর কোনটি শেখালে ভালো হয় তার একটি ধারাবাহিক রূপ আমি নিচে দিয়ে দিচ্ছি। তবে এগুলো আপনি নিজেও সাজিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে একেক শিশুর একেক অক্ষরে প্রতি ঝোঁক থাকতে পারে। শিশুর আগ্রহ দেখে এগুলো সাজিয়ে নেওয়াটাই শ্রেয়। পুরো বইয়ে শিশু যদি গরুর ছবি দেখে বেশি আনন্দ পায়, তাহলে ‘গ’ বর্ণটি দিয়েও বর্ণ লেখা শেখানো শুরু করতে পারেন। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় নিচের ক্রমটি অনুসরণ করাই শ্রেয়। এতে সহজ থেকে কঠিন অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।
দ
ব র ঝ ক ধ ঋ
খ ঘ হ থ ফ ম য য় ষ
ড ড় উ ঊ ভ জ ঙ
ত অ আ
ঢ ঢ় ট চ ছ
এ ঐ ঞ
গ প
ণ ন ল শ
ঠ
ই
ঈ
ও ঔ
স
ঃ ং ৎ ঁ
বর্ণগুলো শিশু লিখতে পারলে আবার ‘অজগর’ সাপটি দেখিয়ে ‘অজগর’ শব্দটি বের করতে বলেন। বের করার পর সেটি লিখতে বলুন। দেখবেন, শিশু খুব তাড়াতাড়িই বর্ণের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবে। পাশাপাশি আরেকটি কাজও করতে পারেন- পুরোপুরি না শিখিয়ে কয়েকটি বর্ণ শেখানোর পর সেখান থেকে শব্দ বের করেও শব্দ লেখার চর্চা শুরু করতে পারেন। যেমন- ব ও ক শেখার পর আপনি অনায়াসেই বক লেখাতে পারেন বকের ছবি দেখিয়ে।
আজকে আপাতত শেষ। তবে শেষ করার আগে কিছু সতর্কবার্তা।
সতর্কবার্তা এক. শিশুকে কখনও সরুয়ু, সরায়া শেখাবেন না। সোজাসাপ্টা অ আ বলবেন। হ্রস্বই, দীর্ঘই ইত্যাদি শেখানে পুরোপুরি নিষেধ। শেখাতে হবে আ (আআ), ই (ই), ঈ (ইই), উ (উ), ঊ (উউ)। অর্থাৎ যেখানে স্বর দীর্ঘ, সেখানে দীর্ঘভাবে উচ্চারণ করাতে শিখাবেন, যেখানে স্বর হ্রস্ব সেখানে হ্রস্বভাবেই শেখাবেন।
সতর্কবার্তা দুই. বইয়ের বাক্যগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের সামর্থ ও সুযোগ আছে, তারা নিজেরই কম্পিউটারে বই বানিয়ে নিতে পারেন। যেমন- ব্যক্তিগতভাবে 'অ-তে অজগরটি আসছে তেড়ে' পড়ার পুরোপুরি বিপক্ষে আমি। এই বাক্য দিয়ে ছোটবেলা থেকেই শিশুর মনে সাপের ভীতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা গেছে, ছোট ছোট এসব প্রপঞ্চ শিশুর মনে বিরাট প্রভাব ফেলে। সুতরাং বিতর্কিত বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। বরং আপনি নিজেই 'অজগর সাপটি অনেক বড়' বা এই ধরনের বাক্য বানাতে পারেন। তাতে বিষয় বা বস্তু সম্পর্কে শিশু এক ধরনের আইডিয়া পাবে। অজগর সাপ যে বড় সাপ, সেটি আর শিশুকে নতুন করে শেখাতে হবে না।
সতর্কবার্তা তিন. নিজে নিজে বাক্য বানিয়ে শিশুকে শেখানোর ক্ষেত্রেও সাবধান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে শিশুর রুচি-আগ্রহ ইত্যাদিকে সম্মান জানাতে হবে। আপনি হয়তো ঠিক করলেন শিশুকে শেখাবেন- আপেল খেতে ভারি মজা! কিন্তু দেখা গেল আপেল খেতে শিশুর আদৌ আগ্রহ নেই, বরং আপেলের বদলে আম খেতে তার ভালো লাগে। সেক্ষেত্রে 'আম খেতে ভারি মজা' দিয়ে বাক্যগঠনই শ্রেয়।
সতর্কবার্তা চার. শব্দের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কখনই ভেগ বা বিমুর্ত বিষয় বা উদাহরণ দিয়ে শিশুকে বর্ণ শেখাতে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেমন- 'স' দিয়ে আপনি বুঝাতে চাইলেন সুখী মানুষ। এক্ষেত্রে স-এর পাশে একটি সুখী মানুষের ছবি থাকার সম্ভাবনা বেশি যে কিনা হাসিখুশি মুখে তাকিয়ে আছি। সাবধান! শিশু কিন্তু এক্ষেত্রে ভুল বুঝতে পারে। সে মনে করতে পারে, মানুষ মাত্রই সুখী। কিংবা সে বুঝতেই পারবে না এটি দিয়ে সুখ বুঝানো হচ্ছে। বরং সে মনে করতে পারে, সুখী = মানুষের মুখ। সুতরাং যতোদূর সম্ভব বিমুর্ত শব্দ পরিহার করুন।
আপাতত এইটুকুই। মোটামুটি সহজভাবে বিষয়টা বলার চেষ্টা করলাম। এর মাঝে হয়তো অনেককিছু বলার বাকি রয়ে গেছে। মন্তব্য থেকে বা পরে মনে আসলে সেগুলো যোগ করে দিবো।
নোট: ছবি নেওয়া হয়েছে উইকিপিডিয়া থেকে।
পরবর্তী পর্ব- শিশুকে কীভাবে মাত্রা শেখাবেন?
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪
গৌতম রায় বলেছেন: ...মন্তব্যেই আপনার পরিচয় পাওয়া গেল। ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৫৩
প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: ইসরে...মাইন্ড খাইয়া ফালাইছে......
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০৪
গৌতম রায় বলেছেন: ??
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৫৭
মাতব্বর বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম, বাচ্চা কাচ্চা হইলে প্রয়োগ করা যাবে।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ, প্রয়োগ করার জন্য এখন বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে ফেলেন।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০৫
স্বদেশ হাসনাইন বলেছেন: এত কথা নি দিয়ে একটা পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন বানায়ে লিংক দিলে এত বড় টেক্স্ট না পড়েও মজা পেতাম ।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:০৯
গৌতম রায় বলেছেন: সামহোয়্যার যে পাওয়ার পয়েন্ট সাপোর্ট করে না!!
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৩
ঝড় বাদল০১ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ, ঝড় বাদল০১।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৫
বিডি আইডল বলেছেন: খুবই ভালো একটা পোষ্ট...এই বিষয়ে পরবর্তীতে আরো লেখা দিবেন পারলে....প্রবাসীদের প্রভূত উপকার হবে...
প্রিয়তে নিলাম
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:২০
গৌতম রায় বলেছেন: চেষ্টা করবো। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
তবে শিশুদের বর্ণ ও ভাষা শেখাতে গিয়ে কী কী অসুবিধায় পড়েন, সেটি জানলে লিখতে সুবিধা হয়। সমস্যাগুলো ধরে ধরে লেখা যায়।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:১৭
হরিপদ দে বলেছেন: অসাধারণ .................................
প্রিয়তে রাখলাম।.............................
আমার বাচ্চাকে শিখাতে কাজে লাগবে।
++++++++++++++
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৩১
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার বাচ্চাকে শেখানোর অনুভূতিটা শেয়ার করবেন কিন্তু।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩
বিডি আইডল বলেছেন: বিস্তারিত পরে কোন এক সময় দিব..এখানে রাত ৩:১৫ বাজে..ঘুমাতে যাব...
মূল সমস্যাটা হয় পড়তে এবং বলতে...যেহেতু সারাদিনের চর্চাটা ইংরেজী করতে হয় তাদের...কি পদ্ধতি ধরে আগালে পড়া এবং বলার অভ্যেসটা পাকাপোক্ত করা যায় এই নিয়ে বিশদ দিতে পারেন
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৬
গৌতম রায় বলেছেন: ওকে, ঘুম থেকে উঠে জানাবেন।
এটা নিয়ে পরে একটা বিস্তারিত পোস্ট দেব বলে ভাবছি। আশা করি কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারবেন। ধন্যবাদ।
৯| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৫৬
কৌশিক বলেছেন: অসাধারণ....আরো আরো চাই..সোজা শোকেজে
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:৫৪
গৌতম রায় বলেছেন: শোকেসে নিয়া কি বন্ধ কইরা রাখলেন?
১০| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
কৌশিক বলেছেন: অসাধারণ....আরো আরো চাই..সোজা শোকেজে
১১| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:২৬
যীশূ বলেছেন: অসাধারণ! এইটা ধারাবাহিক ভাবে চালিয়ে যাও।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:১৬
গৌতম রায় বলেছেন: চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ।
১২| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৫
রিপঅন বলেছেন: অসাধারণ
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:০২
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০৮
শূন্য আরণ্যক বলেছেন: দারুন পোষ্ট ভাই ....
প্রিয়তে
এর পরের ধাপ বা দুইটা ভাষা বাচ্চাদের একসাথে কিভাবে শিখানো যায় এই সম্পর্কে পোষ্ট চাই ~~
+++++
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৩২
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
দুইটা ভাষা শিশুদের একসাথে না শেখানোই ভালো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা সাপোর্ট করি না। এটা তাদের মানসিক বিকাশের পক্ষেও সহায়ক না। একটু বড় হলে একটা একটা করে আপনি তাদের অনেক ভাষাই শেখাতে পারেন।
১৪| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ২:১৩
আলমগীর কুমকুম বলেছেন: লেখাটা তো ভাই দারুন। ... প্রথম প্রথম অবশ্য মনে হৈতেসিল কপিপেস্ট ।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:১২
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ। কপি পেস্ট কেন মনে হয়েছিলো?
১৫| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯
গিল্টিমিয়া বলেছেন: সুন্দর লিকেচেন। বাচ্চাদের জন্যে প্রয়োজোন আচে।
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭
গৌতম রায় বলেছেন: বাচ্চাদের জন্য না। বাচ্চাদের বাপের, বাচ্চাদের মায়ের প্রয়োজন আচে।
১৬| ৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
হাল্ক বলেছেন: শিশু যদি বুঝতে পারে তাকে শেখানো হচ্ছে, তাহলে কিন্তু মহাসর্বনাশ!
আপনি যে কৌশলে ব্লগারদের শিক্ষা দিচ্ছেন-সেইটা কেউ ধরতে পারল না। যারা পারছে তারা কিন্তু না পইড়াই চইল্লা গেছে।
+
৩১ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
গৌতম রায় বলেছেন: এহ্হে, আপনি তো ধরে ফেললেন! এখন কী করি?
যাই হোক, আপনি যে না পড়ে চলে যান নি সেজন্য ধন্যবাদ। তবে কৌশলে ব্লগারদের যে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে, সেটা কিন্তু কাউকে জানাবেন না। কেমন?
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৪
ভিয়েনাস বলেছেন: শিক্ষানীয় পোস্ট । বাচচাদের যত কোমনীয় ভাবে শিখানো যায় ততই ভালো । যাকে বলে খেলতে খেলতে শেখা ।
২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:২৮
গৌতম রায় বলেছেন: ঠিক তাই। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮| ২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:০৮
শত রুপা বলেছেন: জাস্ট প্লাস।
২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৪
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:১৪
গিফার বলেছেন: ধন্যবাদ...
২৩ শে মে, ২০০৯ রাত ১২:৩৫
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২০| ২৬ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১২:৫৭
ক্যানন কার্ণেগী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার সময় ব্যয় ও পরিশ্রমের প্রশংসা করছি।
২৬ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৫১
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২১| ২৮ শে জুন, ২০০৯ দুপুর ২:৫৮
সহীদুল হক মানিক বলেছেন: অসাধারণ ,ধন্যবাদ।
২৮ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪৯
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্য।
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৪৭
ভবঘুরে ছেলেটি বলেছেন: অসাধারন পোস্ট...+
৩১ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১১:৫৯
গৌতম রায় বলেছেন: আপনি যে ভবঘুরে, ঘুরতে ঘুরতে এখানে চলে এসেছেন, তাতেই অনেক ধন্যবাদ।
২৩| ১১ ই জুলাই, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মনুমনু বলেছেন: অনেক দেরি হইল নাকি .।তয় কমে লাগব।
১৪ ই জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৩
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ৯:২৪
হিমচরি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ! দারুন পোষ্ট!
১৬ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১১:৩৬
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৫| ১১ ই আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৫:১৮
আহাসান বলেছেন: এমন কিছুই খুঁজি সবসময়...
১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ৮:৫৩
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
২৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:৫১
কাঠঠোক্রা বলেছেন: শিক্ষানীয় পোস্ট..
শিখে রাখলুম..... যদিও প্রয়োগের ক্ষেত্র আসিতে এখনো প্রায় ৭-৮ বছর দেরি
৩১ শে অক্টোবর, ২০১০ রাত ১০:১৫
গৌতম রায় বলেছেন: সাত-আট বছর!!!! ভাইজান তো তখন বুড়া হয়ে যাবেন!
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:২০
ম.শরীফ বলেছেন: খুবই ভাল লিখা। আমি আমার ভাতিজীকে লিখায় আগ্রহ আনার জন্য না না কৌশল অবলম্বন করি , য়েমন তাকে বলি ঘোড়ার ডম আকতো, সে খুবই আনন্দের সাথে গোল গোল বৃ্ত্ত আকে,
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
গৌতম রায় বলেছেন: দারুণ কৌশল। এরকম আরো কিছু কৌশল বের করে জানান। আসলে শিশুদের শিক্ষাটা নানা উপায়ে আনন্দদায়ক করা যায়। সেক্ষেত্রে একজনের প্রয়োগ করা উপায় আরেকজনের জানা থাকলে খুবই ভালো হয়।
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৩৪
আহাদিল বলেছেন: খুব উপকারী পোস্ট অনেকের জন্যেই।
মনে আছে ছোটবেলায় প্রথমে 'কাক' দেখলাম, 'কাক' বলা শিখলাম, তারপর জানলাম ওতে দুটো 'ক' আছে- 'ক' লেখা শিখলাম- হয় তো এর মাঝে বাবা অনেকগুলো 'ক' নিয়ে কোন ছড়া তৈরী করে তা শুনাতেন; অক্ষরজ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়ে গেছিল মুখে বোল ফোটার সাথে সাথেই।
আর খুব দুঃখিত হতাম প্রাইমারী স্কুলে 'শিশুশ্রেণী' নামক ক্লাশে অক্ষরজ্ঞান দানের পদ্ধতি দেখে, অনেক বাসায় বাবা-মায়েরাও সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করেন না, জানেন না বলেই। এক সময় স্বপ্ন ছিল বাচ্চাদের স্কুলের শিক্ষক হবো- খুব ছোট থেকে যেন তাদের সঠিক জ্ঞানটা দেওয়া যায়!
শিশুকে কখনও সরুয়ু, সরায়া শেখাবেন না। সোজাসাপ্টা অ আ বলবেন। হ্রস্বই, দীর্ঘই ইত্যাদি শেখানে পুরোপুরি নিষেধ। শেখাতে হবে আ (আআ), ই (ই), ঈ (ইই), উ (উ), ঊ (উউ)। অর্থাৎ যেখানে স্বর দীর্ঘ, সেখানে দীর্ঘভাবে উচ্চারণ করাতে শিখাবেন, যেখানে স্বর হ্রস্ব সেখানে হ্রস্বভাবেই শেখাবেন।
এই ব্যাপারটা একদমই ফলো করে না গ্রামের স্কুলের বেশীর ভাগ শিক্ষক।
প্লাস আপনাকে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৩৭
গৌতম রায় বলেছেন: আপনি কিছুটা হলেও ভাগ্যবান যে কাক শিখে তারপর ক শিখতে পেরেছেন। তবে আপনার স্বপ্নটার কী হলো তা তো জানালেন না!
উৎসাহদানের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২৯| ২০ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৪৩
আব্দুল্লাহ (রাইয়ান) বলেছেন: আগে আম দেন তারপর পড়ব।
২১ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১০
গৌতম রায় বলেছেন: আপনার জন্য তো আমগাছকেই জাতীয় গাছ বলে ঘোষণা কর্লাম।
৩০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
যাররিনের বাবা বলেছেন: চমৎকার লেখা, প্রিয়তে রেখে দিলাম।
বর্ণমালা শেখানোর বাজারে পাওয়া বইগুলো দেখে বিতশ্রদ্ধ হয়ে একসময় ভেবেছিলাম একটি বই নিজেই বানিয়ে নেবো, কম্পিউটার থেকে প্রিন্ট করে...
আপত্তিগুলো নিজের কাছেই পরিষ্কার ছিলোনা, খালি বুঝতাম যে ঠিক মানসম্মত নয়। আপনার লেখা পড়ে রহস্যটা পরিষ্কার হলো।
ধন্যবাদ আপনাকে!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ রাত ১০:৪৩
গৌতম রায় বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। যাররিন কী করে? কী পড়ে? ওকে আমার আদর পৌঁছে দিবেন।
৩১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
প্রিয়তে নিলাম।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫১
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ সালাহউদ্দীন আহমদ।
৩২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪২
স্বপ্নসারথী বলেছেন: চমৎকার!! খুবই উপকারী পোস্ট তো ... !! যদিও এখন আমার কোনই কাজে লাগবে না...
০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:৫২
গৌতম রায় বলেছেন: কাজে লাগবে না কেন?
৩৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩৭
শায়েরী বলেছেন: প্রিয় তে
১৬ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৫০
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১১
বাজেকাম বলেছেন:
চমৎকার!! খুবই উপকারী পোস্ট তো ... !!
আমার খুব কাজে লাগবে। বাচ্চার বয়স সাড়ে তিন।
অ দিয়ে অজগর ছাড়া আর কী সহজ বিশেষ্য শব্দ আছে?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:০৬
গৌতম রায় বলেছেন: ধন্যবাদ।
অ দিয়ে অনেক শব্দ আছে। সবচেয়ে ভালো হয় নিজে নিজে কিছু ছড়া বানিয়ে নিলে, যেগুলোর সাথে শিশুদের ভালো লাগাটা মিশে থাকবে। যেমন, শিশুর বড় বোনের নাম যদি হয় অপলা, তাহলে ছড়াটি অপলা দিয়েও শুরু করতে পারেন।
৩৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫৬
জনদরদী বলেছেন: আপনার এই পোষ্টটি আমার খুব ভাল লেগেছে । অনেকের খুব কাজে আসবে আশা করি ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৪৯
গৌতম রায় বলেছেন: আপনারও কাজে আসুক!
৩৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:০৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার!! খুবই উপকারী পোস্ট ।
আমার খুব কাজে লাগবে। বাচ্চার বয়স ৪।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫০
গৌতম রায় বলেছেন: চমতকার! আপনার বাচ্চার শেখানোর অভিজ্ঞতাগুলো আশা করি শেয়ার করবেন!
৩৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
সচেতন বলেছেন: বেশ চমৎকার গৌতম ভাই! কিছুটা আমিও জানতাম আর পুরোটা পড়ে নতুন কিছুও জানলাম। সত্যিই ভালো লাগলো। ভালো কাজের প্রচার আর প্রসারের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই বলেই আমি মানি। তাও আপনাকে জানিয়ে রাখছি যে, আপনার এই লেখা বা শিশুদের নিয়ে যে কোন লেখা আমি এই সাইটে (ই.আর.এল কেন ঠিক মতো নিচ্ছেনা বুঝলাম না) সংগ্রহ করে রাখবো।
কষ্ট করে আরেকটা কাজ করবেন গৌতম ভাই? যে সকল মন্তব্য অযথাই করা হয়েছে সেগুলি মুছে ফেলুন। খেয়াল করে দেখুন, একদম প্রথম ২টি মন্তব্যই বিরক্তকর। লেখাটা পড়তে যতোটা ভালো লাগলো, মন্তব্য পড়তে গিয়েই মেজাজটা গরম হলো। তাই ভবিষ্যত পাঠকদের সময় ও মেজাজ বাঁচাবার জন্য দয়া করে ফালতু মন্তব্যগুলি ডিলিট করে দিন। ভালো থাকবেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:১৯
গৌতম রায় বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। আপনার ওয়েব সাইটটি দেখলাম। বেশ সুন্দর। আশা করি নিয়মিত ভিজিট করবো।
আমি আসলে এখানে এখন খুব একটা সময় দিই না। কারণ শিক্ষা বিষয়ক দুটো সাইট চালাতে গিয়ে প্রচুর সময় যায় (ইংরেজি সাইট: http://www.bdeduarticle.com/, বাংলা সাইট: http://www.bn.bdeduarticle.com/ )। তারপরও আপনার পরামর্শের কথা মাথায় রেখে ঝাড়পোছ করার চেষ্টা করবো।
৩৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
স্বপনীল জলরং বলেছেন: hats off!!!!
৩৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৮
নাশাত আনান বলেছেন: ধন্যবাদ।জানলাম অনেক কিছুই।
স্বরবর্ণের বেলায় শুধু বর্ণের উচ্চারণ দিয়ে অ/আ শেখানো যায়।কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণের বেলায় একইভাবে শেখাতে গেলে বিপাকে পড়তে হবে। যেমন- স/শ/ষ, র/ড়/ঢ়, জ/য, ন/ণ -ইত্যাদি বর্ণের বেলায় শুধু উচ্চারণ দিয়ে শিশুদের বর্ণ শেখাতে গেলে ওদের জন্য অনেক confusing হয়ে যাবে বিষয়টা।
৪০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৯
সুমন্ত পাল চৌধুরীর বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ জানাই, অনেক আগের পোস্ট, জানিনা গৌতম বাবু জবাব দেবেন কিনা । লেখটি পড়ার পর কিছু share করার ইচ্ছা নিয়ে লিখছি ভারত থেকে,
আমি সহ আমার সময়ের সহপাঠীরা সকলেই বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতি তেই বাংলা এবং হিন্দি শিখেছি। সেই সঙ্গে English টাকেও আমাদের একই ভাবে সেখান হতো।
ছেলের বাবা হওয়ার পর অনুভব করেছিলাম what is the correct or perfect way of learning?
বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতিতে English শেখানো হয়তো easy ; কিন্তু বাংলা কিংবা হিন্দি পাঠদানে এটা ততটা কার্যকর কি ?
ইংরেজি বর্ণের মাত্র দুটি রূপ capital ও Small। বাংলায় বড় হাত-ছোট হাতের বর্ণ নেই সত্য, কিন্তু বর্ণের বহু রূপ আছে।
ইংরেজি বর্ণগুলো পাশাপাশি বসে শব্দ তৈরি হয়। সেখানে স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ পাশাপাশি বসে। বাংলায়ও পাশেই বসে, কিন্তু তার নানা রূপ।
সাধারণভাবে শব্দের প্রথমে স্বরবর্ণের রূপ অপরিবর্তিত থাকলেও মধ্যে এবং শেষে তার রূপবদল ঘটে। স্বরবর্ণ শুধু পাশেই বসে তা নয়, বর্ণের ওপরে-নিচেও বসে।
ব্যঞ্জনবর্ণও যুক্ত হতে পারে পাশে এবং ওপর-নিচে, গায়ে গায়ে।
বাংলা স্বরবর্ণের রূপান্তরকে বলি ‘কার চিহ্ন’।
আর ব্যঞ্জনবর্ণের যুক্ত হওয়াকে বলি ‘ফলা চিহ্ন’।
এই কার চিহ্নে এবং ফলা চিহ্নে স্বর ও ব্যঞ্জনবর্ণের রূপ বদলে যায়।
বর্ণভেদে যুক্ত হওয়ার ধরন আলাদা হতে পারে। যেমন কৃ=ক+ঋ, হৃ=হ+ঋ, রু= র + উ, রূ = র + ঊ , গু= গ + উ , ঙ্গ=ঙ্ + গ,ঙ্ক= ঙ + ক, ক্র= ক + র ইত্যাদি ।
বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতি শিক্ষার ফলে শিশুরা বাক্য শিখছে একথা সত্যি, কিন্তু বানান শিখছে না। ফলে তারা লিখতে পারে না। যুক্তাক্ষর তাদের জন্য একটা বড় সমস্যা।
তবে English এর জন্য বাক্যানুক্রমিক পদ্ধতি নিসন্দেহে perfect ।
কিন্তু বাংলার জন্য আজও বর্ণানুক্রমিক পদ্ধতিই best বলে আমার মনে হয়।
কারণ প্রতিটি ভাষার আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। প্রতিটি ভাষা শিক্ষার আছে আলাদা পদ্ধতিও।
বাংলা ভাষা শেখাতে ইংরেজির অন্ধ অনুকরণ তাই বাঞ্ছিত কি ? কিন্তু এই সহজ সত্যটি হয়তো আমরা বুঝি না।
খুব ভালো লেগেছে :
""শিশুকে কখনও সরুয়ু, সরায়া শেখাবেন না। সোজাসাপ্টা অ আ বলবেন। হ্রস্বই, দীর্ঘই ইত্যাদি শেখানে পুরোপুরি নিষেধ। শেখাতে হবে আ (আআ), ই (ই), ঈ (ইই), উ (উ), ঊ (উউ)। অর্থাৎ যেখানে স্বর দীর্ঘ, সেখানে দীর্ঘভাবে উচ্চারণ করাতে শিখাবেন, যেখানে স্বর হ্রস্ব সেখানে হ্রস্বভাবেই শেখাবেন।"
লেখার পালা তে "- - - - - - - - - - - - - - - -
| | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | | |
/ / / / / / / / / / / / / / / / / / / / /
< < < < < < < < < < < < <
< < < < < < < < < < < < <
[ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [ [
) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) ) )
( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( ( (
~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~ ~"
আমার ছেলেকেও শিখিয়ে ছিলাম, যেকোনো (বাংলা, হিন্দি কিংবা English) লেখার জন্য খুব কাজে লাগে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০০৯ সকাল ১০:৪০
প্রশান্ত শিমুল বলেছেন: ভাই এত পড়ার সময় নাই ..তুই আমারে ক..আমডা কই পাইলি......