![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অবশেষে জয়ের ধারায় ফিরলো কাতালানরা। গতকাল বার্সেলোনার স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু হয়ে রইলো আরেক দৈত্যবধের সাক্ষি। শর্ট পাস আর নিজেদের কাছে বল রেখে খেলার এক ইউনিক স্টাইল বহুদিন ধরেই ফুটবলে অবলম্বন করে আসছে কাতালানরা। এতে সাফল্যও তাদের দিয়েছে ধরা অহরহ। কিন্তু বিগত কয়েকটা সপ্তাহ যেন দুঃস্বপ্ন আর হতাশায় ডুবিয়ে রাখলো স্প্যানিশ জায়ান্ট এফ সি বারছেলোনাকে।
দুঃসময়টা শুরু হয় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেকেন্ড রাওন্ডের ফার্স্ট লেগের খেলা থেকে। খেলার আগে বুক ভরা আত্নবিশ্বাস আর গত বছরে এই মিলানকে হারানোর টগবগে স্নৃতি নিয়ে যখন বারছা শিবিরের সবাই অনেকটা তাছ্যিল্যের সুরেই বলছিলো যে এইবারো তারা মিলানকে হারিয়ে দেবে। আর তাদের সমর্থকরা তো ৮/১০ ধাপ এগিয়ে। তাদের মুখে ছিলো কেবল একটাই কথা “খেলবো না তগো বালোতেল্লি, গোল দিমু আমরা তাই দুই হালি।“ তারা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলো এই মিলানই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে রিয়াল মাদ্রিদের পর সবচেয়ে সফল দল। সাত বার ইউরোপ সেরা হবার গৌরবে তারা মহিমান্বিত। যাইহোক সানসিরো তে প্রথম লেগের খেলায় ২-০ গোলে নির্মম পরাজয় বরন করে নিলো কাতালানরা। তাদের খেলায় সেদিন ফুটে উঠছিলো ইটালিয়ান ডিফেন্সের সামনে তাদের অসহায়ত্ব। সেদিনও কিন্তু বারছা তাদের শর্ট পাসের মহড়া সাজিয়ে বসেছিলো। তাদের দখলে ছিলো বল খেলার ৭৭% সময়। কিন্তু হায়! এই ৭৭% বল দখলে রেখেও তারা টার্গেটে শট নিতে পেরেছিলো মাত্র একটি! আর টার্গেট বাদ দিলে খেলায় টোটাল শট ছিলো দুইটি। অন্যদিকে ২৩% সময় দখল রেখে মিলান টার্গেটে শট নিয়েছিলো ৩টি যার দুইটিই লক্ষ্যভেদ হয়। বারছা প্লেমেকার জাভির মতে বিশ্বসেরা গোলকিপার বালধেজ দুইবার হয় পরাস্ত।
যাইহোক, ঐ একটা ম্যাচকে স্রেফ দুর্ঘটনা হিসেবে আক্ষ্যায়িত করে কাতালান শিবিরের সবাই ঘোষনা দিলো পরের খেলা থেকে স্বরূপে ফেরার। কারন পরের গুরুত্বপূর্ন খেলাটা ছিলো স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। তাও নিজের মাঠে। কোপা দেল রের ২য় লেগে মুখোমুখি হলো মাদ্রিদ-বারছা। নিজের মাঠের সুবিধা নেওয়ার ঘোষনা আগেই দিয়ে রেখেছিলো বারছা শিবির। কিন্তু খেলায় দেখা গেলো পুরাই বিপরীত চিত্র। কিসের কি স্বরূপে ফেরা! খেলার পুরো ৯০ মিনিটই আধিপত্য বিস্তার করলো রিয়াল মাদ্রিদ। জিতলো ৩-১ গোলে। তবে পিকে-আলভেজ-পিন্টো নিজেদের মধ্যে পাস পাস খেলে বলের দখল নিজেদের কাছে বেশিই রেখেছিলো। যাইহোক, রেফারি কোটায় গোল না পাওয়ায় আর মাদ্রিদ দলের অতিমানবীয় খেলায় আবারো অসহায়ত্ব ফুটে উঠলো ভিনগ্রহবাসীদের চেহারায়।
তিনদিন পর আবার এল ক্লাসিকো। লা লিগার ২য় লেগ। স্থানঃ সান্টিয়াগো বার্ণাব্যু। কাতালান শিবির ঘোষণা দিলো প্রতিশোধ নেয়ার। আগের ম্যাচ ৩-১ গোলে হারার পর পরের ম্যাচ ২-১ গোলে হেরে বারছা নিলো যথাযথ প্রতিশোধ। এইবার বারছা শিবিরে অন্য সুর। মানুষ মাত্রই নাকি অফফর্মে থাকে। একজন প্লেয়ারের কয়েকটা ম্যাচ খারাপ যেতেই পারে এ টাইপ কথা তারা বলতে শুরু করলো। তারা নিজেদের যে ভিন্নগ্রহের খেলোয়ার দাবি করে তা তারা বেমালুম ভুলে গেলো। সারা ফুটবল বিশ্ব শুরু করে দিলো কানাঘুষা “বারছার দিন শেষ” ঠিক তখনই হরমোন বয় মেষী বললো, “এই দলটা এমনই। দুইটা ম্যাচ হারলেই পাহাড়সম বোঝা। আবার পরের দুইটা ম্যাচ জিতলেই সব কিছু স্বাভাবিক।“
আর নিজের কথার সত্যতা প্রমান হয়েই গেলো গতকালের ম্যাচে। বিগত তিন ম্যাচের হারের যে পাহাড়সম বোঝা তা নিমিষেই স্বাভাবিক হয়ে গেলো ঘরের মাঠে দেপোর্তিভো লে কারুনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়ে। এই দেপোর্তিভোর বিপক্ষেই প্রথম লেগে ৪-৫ গোলের ঘাম ঝড়ানো জয় পেয়েছিলো বারছা। পরের লেগে ২-০ গোলের সহজ জয় পেয়ে তাই পুরা কাতালান শিবির কাল উল্লাসে মেতে উঠেছিলো আরেকবার। শক্তিশালি দেপোর্তিভো কে হারিয়ে ঘরের মাঠে দৈত্যবধের ইতিহাস রচিত হলো আরেকবার। এখন অপেক্ষা শুধুই ১২ মার্চের। অপেক্ষা আরেকটা ইতিহাস রচনার।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৬
গজ-কচ্ছপ বলেছেন: আয়-হায় তাই নাকি? আগে কইবেন ? তাইলে এমনে দিতাম না।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৩৩
অগাস্টাস লিওনাইডাস বলেছেন: প্লাশ++++++++
১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৭
গজ-কচ্ছপ বলেছেন: ধইন্যা ভ্রাতা।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৬:৪৪
রিফাত হোসেন বলেছেন: হাহাহাহা
গট আপ ম্যাচের কথা কেন বাদ দিচ্ছেন ?
জুয়াড়ীদের কি আপনি খাতায় যোগ করতে নারাজ
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪
বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: পচায়া মাইরালছেন মিয়া। এমনে দেওন ঠিক হয় নাই। পুলাপাইন কানবো পরে।