নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সত্যান্বেষী .। একটি হানাহানি মুক্ত... আর মনবিকতা পূর্ণ বিশ্বের সপ্ন দেখি.।

গ্রেট কাফী

শুধু সত্য অন্বেষন আর প্রচারই আমার সপ্ন

গ্রেট কাফী › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিয়েল Love

০৪ ঠা মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

গল্পঃ পরিণতি.. (সত্য ঘটনা অবলম্বনে)
.
(২২ শে মার্চ, ২০১৪)
ছেলেটির নাম ইমরান। বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিকে পড়ে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক সমস্যার সমাধান ইমরানের নখদর্পণে। সেই সূত্রে অনেকের মোবাইল/পিসি ইত্যাদি সমস্যা হলেই ইমরানের ডাক পড়ে। তেমনি এক কাজে বন্ধুর আত্মীয়ের বাসায় গিয়েছিল ইমরান। ওদের পিসিতে প্রবলেম ছিল। বন্ধুর কাজিনের সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে ইমরানের চোখ পড়ে পাশের রুমের হিজাব পরিহিত মেয়েটির দিকে। অপরূপ সুন্দর মেয়েটি, আল্লাহ যেন জগতের সব রূপ তার মুখে ঢেলে দিয়েছেন। মাত্র ১০ সেকেন্ড তাকিয়েছিল ইমরান আর তখনি মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়, যাকে Love At First Sight বলে। তৎক্ষণাৎ মেয়েটির দিকে চোখ রেখেই ইমরান আল্লাহর কাছে বলে, “হে আল্লাহ এই মেয়েটি যদি গার্লফ্রেন্ড হত? কতই না ভালো হত” ওদের পিসির সমস্যা সমাধান করে ইমরান তার রুমে চলে আসে, কিন্তু মন পড়ে থাকে সেই রুপকুমারীর কাছে।
.
তারপর কেটে যায় ১ টা বছর। একদিন ইমরানের ইনবক্সে নুসরাত জাহান আইডি থেকে একটি মেসেজ আসে, . নুসরাতঃ ইমরান, আমি তোমার ফ্রেন্ডের কাজিন, রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করো” ইমরানঃ কোন ফ্রেন্ড? -তোমার ক্লাসমেট শামিমের। -ওহ! আপনি সেই নুসরাত আপু? -হুম। -সরি আপু প্রথমে চিনতে পারেনি, এখনি একসেপ্ট করছি। - গুড বয়। তোমার নাম্বারটা পেতে পারি? -কেন আপু? -যে এত ভালো লেখে, এত এত উপদেশ মূলক পোস্ট। তার সাথে একটু কথা বলতে ইচ্ছা হল। কেন কোন প্রবলেম? -নাহ আপুকে নাম্বার দিলে আবার কি প্রবলেম? -আমি কাল কল দিব। -ওকে।
.
পরদিন নুসরাত কল করে, ইমরান ওকে গান শুনায়। এরপর থেকে নুসরাতের আচরণ বদলাতে শুরু করে। পরদিন সকালে নুসরাতের কলে ঘুম ভাঙে। আজ ক্যাম্পাসে ওদের দেখা করার কথা, আর ওকে ইমরানের কবিতার খাতা দেয়ার কথা। ইমরান তড়িঘড়ি করে উঠে ফ্রেশ হয়ে কবিতার খাতা হাতে ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে যায়, পাশের দোকান থেকে দুইটা Munch কিনে ক্যাম্পাসে ঢুকে। ক্যাম্পাসের বাগানের সামনে চশমা পড়া নুসরাতকে দেখতে পায়, চোখে চোখ পড়তেই নুসরাত মিষ্টি হেসে ইমরানকে ইশারায় কাছে আসতে বলে। ইমরান এগিয়ে যায়।
.
নুসরাতঃ কি খবর, মিস্টার রাইটার সাহেব? ইমরানঃ ভালো, আপনার? -আবার? -সরি তোমার কি খবর? -ভালো, তৃণা Meet Nihad… তৃণা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে নুসরাতের দিকে তাকিয়ে বলে, -কে ও? -রাইটার, কবি, শিল্পী আমার লাভার ইমরান হি হি হি। নুসরাতের জবাব শুনে ইমরান পুরা স্ট্যাচু অফ লিবার্টি হয়ে যায়। নুসরাতের ডাকে ধ্যান ভাঙে, -হা, করে কি দেখ? -কিছুনা । -কবিতার খাতা এনেছো? -হে, এই নাও। খাতার সাথে দুইটা Munch নুসরাতের হাতে দেয় ইমরান। -এগুলা কার জন্য? -তোমার জন্য। -আমি কি বাচ্চা? -নাহ, ইচ্ছে হলে খাবেন নয়তো ঐ আপুকে দিয়ে দিয়ো।
- না কাউকে দিবোনা, এটাতো স্পেশালি আমার জন্য।
.
তারপর প্রতিদিন ফেসবুক চ্যাট, মোবাইলে কথা বলা, সুযোগ পেলেই দেখা করা চলতে থাকে। একদিন ফোন কলে কথা বলার এক পর্যায়ে, .
নুসরাতঃ ইমরান আজ তোমাকে একটা জিনিস ডাকতে ইচ্ছে করছে। ইমরানঃ কি? -তোমাকে......... যাহ আমার লজ্জা লাগে। -আরে বাবা, লজ্জার কি আছে, বল। -তোমাকে জান বলে ডাকতে ইচ্ছে করছে। . নুসরাতের কথা শুনে ইমরান যেন ৪৪০ ভোল্টের শক খায়। জানুয়ারি মাসের তীব্র শীতেও সে ঘামতে শুরু করেছে। -কি হল কিছু বলছো না যে? -নুসরাত আসলে আমি তোমাকে ভালবাসি, সেই প্রথম দিন থেকে কিন্তু কখনো বলার সাহস পায়নি। -তাই? -হুম, তোমাকে অনেক ভালবাসি । -আমিও... .
এরপর থেকে এক নতুন পথচলা শুরু হয় তাদের। ইমরান নুসরাতকে রাজকুমারী বলে ডাকতো, আর নুসরাত ডাকতো রাজকুমার বলে। ইমরান সবসময় নুসরাতকে ফোন দিত, রাতে ঘুমাবার আগে একবার, সকালে ঘুম থেকে উঠে একবার, দুপুরে খাবার আগে একবার, সন্ধার নাস্তার সময় একবার, ইমরান অনেক টেককেয়ার করতো নুসরাতের। এই অল্প সময়ে অনেক বেশী ভালবেসে ফেলেছিল সে তার রাজকুমারীকে। রাজকুমারীর জন্য কবিতা লিখতো, গান লিখতো, তারপর সেগুলো তাকে শোনাতো, আর রাজকুমারী অনেক প্রসংশা করতো। একদিন রাত ১ টায় কবিতা লেখার পর ইমরান রাজকুমারীকে শোনাবে বলে কল দেয়, কিন্তু ফোন ওয়েটিং। ১০ মিনিট পর আবার কল দেয়, কিন্তু ওয়েটিং। এভাবে ১ ঘণ্টা ওয়েটিং থাকার পর নুসরাত কল রিসিভ করে। কারণ জিজ্ঞেস করায় সে বলে, দুলাভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। এভাবে কয়েকদিন নুসরাতের কল ওয়েটিং পাওয়া যায়।
. (১২-০২-২০১৫) “Rag Day”
ইমরানের অনেক অভিমান জমে আছে নুসরাতের প্রতি। নুসরাত কল করে ওকে বিকেলে ক্যাম্পাসে আসতে বলে। রেডি হয়ে বিকেলে ক্যাম্পাসে যায় ইমরান, আর গেটের সামনে তার রাজকুমারী নুসরাতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এরপর এসে ইমরানের সাথে কয়েকটা ছবি তুলে নুসরাত। তারপর ঘণ্টাখানেক পর ইমরান ফোন করলে নুসরাত ওকে বাগানের সামনে যেতে বলে। এখন ওরা দুজন বাগানের সামনে দাঁড়িয়ে..
নুসরাতঃ আমি অনেক সরি। -হুম, - I love You…
-কি?
-ইমরান তাকাও। I love You রাজকুমার। ইয়েস চোখে চোখ রেখে বলতে পেরেছি। - I love you too. ###গরেত কা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.