নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন সত্যান্বেষী .। একটি হানাহানি মুক্ত... আর মনবিকতা পূর্ণ বিশ্বের সপ্ন দেখি.।

গ্রেট কাফী

শুধু সত্য অন্বেষন আর প্রচারই আমার সপ্ন

গ্রেট কাফী › বিস্তারিত পোস্টঃ

লাশ কাহিনি

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

কোন এক বাংলা উপন্যাসে একবার একটা ডায়ালগ পড়েছিলাম.."""লাশের ওজন অনেক বেশি ভারী"" .
পুরা উপন্যাস ভুলে গেছি কিন্তু এই কথাটা ভূলি না.
আসলেই এটা চিরন্তন সত্য.. যে যত বেশি লাশের ভার নিজের কাধে তুলে নেয়.. তার পতন ও ততবেশি তারাতারি হয়.. যেমন বলা যেতে পারে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের কথা.. সারা বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয় কিভাবে কিছু ছাত্র জনতার দাবীর মুখে তৎকালীন বিশ্বের সেরা সুপার পাওয়ার দের মধ্যে অন্যতম সামরিক শাসক নতি স্বীকার করেছিলো...
হ্যা.. সেই নতি স্বীকার এর ও অন্যতম কারন ছিলো লাশ.. যতদিন পর্যন্ত লাশ পড়ে নি ততদিন পর্যন্ত শত আন্দোলনেও শাসন কর্তারা কান দেয় নি. কিন্তু যখনই লাশ পড়লো তখন তারা এই নিয়ে নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলো...

পৃথিবীর সমস্ত দেশের বিপ্লবের ইতিহাস এমনই..
ইরানের কাহিনি টা আরো বেশি চমকপ্রদ..
তৎকালীন ইরানী সৈর শাসক ""রাজ্বেসা পাহলবি""
দেশের ইসলামিক স্কলার.. আর গন মানুষের নেতা
আয়াতুল্লাহ খোমেনি কে তার স্বদেশ থেকে বিতাড়িত করেছিলো.. তারপর জনতার উপর একে একে চাপিয়ে দিলো শোষন আর নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার..
আয়াতুল্লাহ খোমেনি জার্মানি থেকে দেশে স্বীয় রাজনৈতিক দল গঠন করলেন.. হঠাৎ করে একদিন দুপুরের দিকে সমস্ত কর্মীকে নির্দেশ দিলেন.. আজ রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে হবে ..., সৈরাচার হটাতে হবে..
কর্মীরা বিনা বাক্য ব্যায়ে আদেশ পালনের জন্য প্রস্তুত হলো .এবং বেরিয়ে পড়লো.. প্রেসিডেন্ট "রাজ্বেসা পাহলভি" প্রথমেই সেনা বাহিনি কে ""ওপেন ফায়ার এন্ড মার্ডার"" এর আদেশ দিলেন .. সেনা বাহিনি মিছিলেই গুলি করলো... ইতিমধ্যে আছরের সময় অর্থ্যাৎ বিকাল হয়ে গেলো মিছিল থেকে প্রতিনিধি কল করলো আয়াতুল্লাহ খোমেনির কাছে.. বল্লো.
""আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ সেনা বাহিনি নির্বিচারে গুলি করছে""
আয়াতুল্লাহ খোমেনি কর্মীদের নির্দেশ দিলো .. তোমার সেনা বাহিনি কে গুলির বদলে ফুল ছিটিয়ে উপহার দাও!!! তাজ্জব হয়ে গেলো কর্মীরা.. তারপর ও লিডারের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলো.

এক পর্যায়ে গুলি থেমে গেলো. সেনা বাহিনি চিন্তা করলো আমরা কাকে?? আর কেন?? গুলি করবো.
আর কত লাশ পেলবো. এতিমধ্যে ১০ হাজার লাশ জমা হয়েছে...
সেনা প্রধান প্রেসিডেন্ট "রাজ্বেসা পাহলভি"" কে বল্লো..
স্যার আমরা দূঃখিত. এভাবে আর লাশ আমরা পেলতে পারি না.. আপনি যদি বাচতে চান তাহলে এখনই দেশ ত্যাগ করুন...
তখনই প্রেসিডেন্ট গোপনে দেশ ত্যাগ করলো..
আর তার একটু পরেই আয়াতুল্লাহ খোমেনি দেশে আসলো.. আর শান্তি প্রিয় মানুষের বিজয় হলো.
....
এসব ঘটনা দ্বারা বুঝা যায়.. লাশ এর উপর থেকে কেও কখনো জয়ী হতে পারে না...
আসলেই লাশ খুবই ভারী.
.
তদ্রুপ বর্তমান সময়েও আমরা যারা মনে করি যে আমার বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকেই... শেষ! !!..
তাদের একটু সতর্ক থাকা দরকার ..
এসব বাস্তব ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া উচিৎ..

পরম করুণাময় অসীম দয়ালু.. মহান সৃষ্টি কর্তা আমাদের সকলকেই সঠিক বুঝি দান করুক...
...লেখক:--#গ্রেট__কাফী...
ব্লগার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫১

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: ভালো লাগলো। :)

২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৫০

গ্রেট কাফী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.