![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
আমার জীবনের প্রথম ধুমপান করার কথা স্পষ্ট মনে আছে। অনেক ছোট বেলার কথা। বয়েস মনে নেই। কোন এক শীতে নানার বাড়িতে গিয়েছি। সকাল বেলায় মামাদের সাথে লাঠি হাতে গরুর পেছন পেছন ছুটতে ছুটতে গড়ের মাঠে হাজির। হাল দেয়া শেষে মামা ক্ষেতের আইলে বসে জিরোচ্ছে আর কয়েকজন পরিচিত নানা বসে হুক্কা টানছে। আমি পাশে দাড়িয়ে দেখছি। ছোট্ট কালো রংয়ের চ্যাপ্টা মতন একটা বল। একদিকে লাগানো লম্বা একটা ডাটির মাথা থেকে ধোঁয়া উঠছে। ঐ বল টাতে একটা ছোট্ট ফুটাও আছে। নানা কয়েক সপ্তাহের না কাটা সাদা দাড়ি-মোছ ওয়ালা ঠোট গোল করে ফুটার উপর চেপে ধরে কষে টান দিচ্ছে। আর বলের ভেতর থেকে ভারি শব্দের একটা গড়গড় আওয়াজ বেরুচ্ছে। কুয়াশা ঢাকা শীতের সকালে শুনা ঐ শব্দে আমি সম্মোহিত হয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ নানা জিজ্ঞাসা করলেন আমিও টানতে চাই কিনা। আমিও হ্যা সুচক মাথা নাড়লাম। নানা কাছে টেনে নিলেন।
এরপর পুরোপুরি ধুমপান ধরি ইন্টারমিডিয়েটে উঠে। হোষ্টেলে থাকতাম। রুমের আর বাকি সব বিড়ি ফুকে। আর আমি বাবু সেজে বসে থাকি। কিছুদিন পর আমারও ধ্যান ভাংল। মনে আছে, একবার কারওর পকেটে টাকা নেই। কোথা থেকে খুজে পেতে ১ টাকা পাওয়া গেল। বিড়ি গবেষক একজন পরামর্শ দিল বিড়ি না কিনে সস্তায় বাজার থেকে পান খাওয়ার সাদা পাতা কিনে আনা যাক। তাই করা হলো। যখন দরকার সাদাপাতা লাইটের তাপে শুকিয়ে গোল করে কাগজে মুড়ে অনেকদিন পর্যন্ত ধুমপান করা গেল।
ভার্সিটিতে উঠে কলেজ বন্ধুর বাসায় হঠাৎ কবে যেন একবার গাজায় টান মারলাম। বন্ধু আমার আগে ঘুমের ঔষধ খেয়ে নেশা করত। ঘুমের ঔষধ খেয়ে ঘুমানোর কোন মানে হয়? তাই ওটা আমাকে দিয়ে হয়নি। কিছুদিন পর ফেন্সিডিল ধরল। আমাকে ও সবসময় ডাকত সাথে যাওয়ার জন্য। আমিও যেতাম। ফ্রি ফ্রি সিগেরেট পাওয়া যাবে। কয়েকবার আমাকে বোতলের অর্ধেকটা দিয়েছিল। ভালই। বন্ধুটি দেখতাম ঘুমে ঢলে পড়ছে। আর আমি মহানন্দে একটার পর একটা বিড়ি পোড়াতাম। সব ফ্রি।
সাথে করে কয়েকবার ঢাকা কলেজের বিপরীত দিকের এক পানশালায় নিয়ে গিয়েছিল। ঐ তিতা পানি আমার কখনই ভাল লাগত না। তবুও সময়টা ভালই কেটে যেত। এরপর কবে যেন বিড়ির মতো দেখতে একটা দোমড়ানো মোচড়ানো সাদা শলাকা হাতে ধরিয়ে দিল। গন্ধে আমার নাড়িভুরি উল্টে যাবার জোগাড়। সম্ভবত দ্বিতীয় দিন ঐ গন্ধে মাথা ঘুরে বমি করে দিয়েছিলাম।
এরপর টানা ছয় মাস শুধু ঘুমালাম। ঐ ছয় মাসের কোন স্মৃতি আমার নেই। কোন স্বপ্নও ছিল না। আপনারাই বলুনতো একজন মানুষ যে সবসময় তার জীবনের অনেকগুলো দিনের স্মৃতি হাতরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কিছুই মনে পড়ছে না। তার সময়গুলো এখন কেমন কাটছে?
মা মারা যাবার পর আমার নেশাটা কেটে গেল। হতাশায় ডুবে যাবার কথা ছিল। নেশাটাকে আকড়ে ধরার কথা ছিল। কিন্তু কেন যেন উল্টোটা ঘটল।
বাংলার মেয়েরা মনে হয় কেউ ধুমপান পছন্দ করে না। ভার্সিটিতে একটা মেয়ে প্রায় সময় আমার পাশে বসত। তার মনে অনেক দু:খ ছিল। ওগুলো আমার সাথে শেয়ার করত। আমিও ভাল শ্রোতা ছিলাম। এজন্যে মনে হয় কথা বলতে পছন্দ করত। যখন আমি বিড়ি ফুকে ডেস্কে ফিরতাম, ও অন্য দিকে ফিরে থাকত। আর এখন বাসায় তো চোর পুলিশ চোর পুলিশ খেলা চলে। মুখে গন্ধ পেলেই হল। সেদিন আর.....
অনেকবার ধুমপান ছেড়ে দেবার চেষ্টা করেছি। যখন একা থাকি তখন মনে হয় একটু ভাবের জগত থেকে ঘুরে আসলে কেমন হয়? তাই আর ছাড়া হয়নি। এখন অবশ্য পয়সা বাচানোর চেষ্টায় আছি। আর দোয়া করছি। পকেটে আর একটু পয়সা হলেই কিনে আনব কয়েকটা শলাকা। এখানে বাসস্টপেজে আমার পাশে দাড়িয়ে থাকা কোন সুন্দরী যখন সিগারেট ধরায় তখন বুকের ভেতরটা টন টন করে উঠে। একটা সুখটানের অভাব বোধ করি খুব তখন....
(আমার এই লেখাটি বন্ধুবর হাসান আর রাসেলকে উৎসর্গ করছি। আমার হাত ধরে যাদের ধুমপান করতে শেখা। পারলে ক্ষমা করিস। আর রাসেল ভাইকে। যিনি ঘন্টায় ঘন্টায় আমার ধুমপান করা দেখে আমার উপর মহাবিরক্ত ছিলেন.....)
যে কথা বলিনি কাউকে - সিরিজ লিন্ক।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
গ্রীনলাভার বলেছেন: ওরে বাপস্। কঠিন ছড়া ভাই। একটা সহজ ছড়া যদি দিতেন।
ভালো থাকবেন।
২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ছড়া , ব্যঙ্গচিত্র
উৎসর্গ গ্রিন লাভারের সৌজন্য
ভাল থাকা এখন আজব
জগত বড় বিচিত্র
নিত্য তাই ভাসে চোখে
বেরসিক নানা চিত্র
মঞ্চ সাজায় রাস্তায়
গান শুনে সস্তায়
শিল্পিরা তা দেখে
হিজিবিজি ভেংচায়
নেতাগণ দাবি লয়ে
আওয়াজ দেয় ভয়ে
যদি পুলিশ বেখাপ্পা
এসে ধরে লয়ে যায় ।
ছাত্ররা দেখে সব
করে বসে অনুভব
উল্টায় লেখার খাতা
লেখে এই কি স্বাধীনতা ।
আমজনতা না বুঝে
স্বাধীনতা খুজে
গাড়ি পুড়ে ভাংচুরে
রসিক সব দেখে চোখ বুঝে ।
প্রেমিকেরা বেকার
ছেড়ে শ্বাস অতি
ডেটিং টাই হয় মাটি
এ কেমন রাজনীতি > ।
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০০
গ্রীনলাভার বলেছেন:
:>
৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: সুন্দর লিখসেন।
++++++++++++++++
১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪৭
গ্রীনলাভার বলেছেন: আর সুন্দর ভাই। অগোছালো কিছু ভাবনা আর স্মৃতি বেরিয়ে গেল আরকি।
আপনার একটা লিখা আমার প্রিয় পোষ্ট তালিকায় আছে দেখেছেন?
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৪
কালা মনের ধলা মানুষ বলেছেন: মাত্রই দেখলাম ভাই। কৃতজ্ঞ বোধ করছি।
অনেক ধন্যবাদ।
০৭ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১৭
গ্রীনলাভার বলেছেন:
৫| ১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২১
অবচেতনমন বলেছেন: বেশ হয়েছে, আপনার লেখার ধরন বেশ বাস্তবিক তালে নিজ প্রসঙ্গ,আমার বেশ ভাল লাগে ভাল থাকবেন।
১০ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
গ্রীনলাভার বলেছেন:
৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০
বেলা শেষে বলেছেন: Click This Link
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৪
গ্রীনলাভার বলেছেন: হুম, নারী এবং ধুম-নেশা - সোনায় সোহাগ
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শিখলে কিয়া পারলে টেকা
দেখলেই মাইয়ার নয়ন বাঁকা
বুঝল কি সেটাই ফাঁকা
আচ্ছা কথার ধুয়া লেখা ।
শুভেচ্ছা