নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নয়দুয়ারি

গ্রীনলাভার

আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।

গ্রীনলাভার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রেজার হান্ট - সিজন III - দি সিটি মেইজ

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

১ম পর্ব - ট্রেজার হান্ট - Race against you.

২য় পর্ব - ট্রেজার হান্ট - গন্তব্য মিরপুর







প্রথমে আমরা ভাবলাম টেকনিক্যাল মোড়ের পুলিশ বক্সটাই বুঝি দারুস্‌সালাম পুলিশ স্টেশন। ওখানে গিয়ে দেখি পেটমোটা গোফওলা একজন পুলিশ হাতপা ছড়িয়ে বসে আছে। আমরা তিনজন হুড়মুড় করে রুমে ঢুকলাম। সাইদ ভাই চিৎকার দিলেন, চইল্লা আসছি আমরা। কিন্তু কি যেন একটা গন্ডগোল হয়েছে। পেটমোটা বলল, কোথায় আসছেন? আমরা তো মুখ চাওয়াচাওয়ি করছি। সাইদ ভাই তখন বিড়ালের মতো মি্উ মিউ স্বরে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই এইটা কি দারুস্‌সালাম পুলিশ স্টেশন? তখন মনে হল পেটমোটা একটু আস্বস্ত হলেন যে আমরা এই রাত ১০ টায় ওনাকে সুরসুরি দিতে আসিনি। তিনি পথ বাতলে দিলেন। মাজার রোড ধরে কিছুদুর গিয়ে হাতের বামে যেতে হবে।



আবার দিলাম দৌড়। যেইনা জায়গামতো পৌছালাম তখনই কারেন্ট চলে গেল। কিছুক্ষন অন্ধের মতো হাটলাম। চারিদিকে কেমন যেন সুনশান। পুলিশ স্টেশন কই? হঠাৎ অন্ধকার ফুড়ে ভুতের মতো একজন এসে বলল, এইতো পাইছি, চলেন। আমরা তো হতভম্ব। এ আবার কোন উটকো ঝামেলা। সাইদ ভাই পুলিশের মতো করে চিৎকার দিলেন, কি পাইসেন? বলেই আমরা লোকটির হাত ধরে উল্টোপথে টানাটানি শুরু করলাম।



যাই হোক, ঘটনা হল ট্রেজার হান্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজন আমাদেরকে ঠিক পথে আসতে দেখেছে। কারেন্ট চলে যাওয়ার পর আমরা উল্টো পথে আবার রওয়ানা দিয়েছিলাম। তো তারা ভাবলেন রাত অনেক হয়েছে, আজকের মতো এখানেই সমাপ্তি দেয়া হোক। তো একজনকে পাঠিয়েছে আমাদেরকে ডেকে আনতে। ডাকতে গিয়েই এত কান্ড।



পুলিশ স্টেশনের পাশে একটি খালি ফ্লাটে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হল। তিনজনকে তিনটি টি-শার্ট দেয়া হল। ও হ্যা আমরাই প্রথম আজকের টাস্ক সম্পন্ন করলাম। আর কোন টিম এসে এখনও পৌছায়নি। জানা গেল, আমরা সর্বমোট ৪ টি টিম। আর আমরা যেহেতু প্রথমে ৩০ মিনিট পেনাল্টি খেয়েছি সেহেতু বাসায় ঢোকার ৩০ মিনিট পর আমাদের টাস্ক এন্ড টাইম লিখা হবে।



গোসল সেরে সাইদ ভাই কোরআন তেলোয়াতে বসলেন। আমরাও ফ্রেশ হয়ে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। গত ৩ ঘন্টায় যেন ঝড় বয়ে গেল আমাদের উপর। হঠাৎ করে এমন ননস্টপ দৌড়। পুরো শরীরে ব্যাথা বোধ হচ্ছে। কিন্তু উত্তেজনায় চোখের দুপাতা এক হচ্ছে না। একটু ফুসরত পাওয়া গেল। এই ফাকে গেইমটা সম্পর্কে একটা ধারনা দিয়ে দেই।



"ট্রেজার হান্ট বেসিক্যালি একটা এডভেন্চার বেইজড স্পোর্টস। এটাকে আমরা রেসের দৃষ্টিতে দেখতে পারি আবার গেইমের দৃষ্টিতে দেখতে পারি। আসলে এক কথায় ডিফাইন করা একটু টাফ হয়ে যায় ব্যাপারটা। যেটা হচ্ছে, আমরা একই সাথে রেসে আছি অন্য পার্টিসিপেন্ট টিমদের সাথে। তো রেসের মাঝখানে আমরা নিজেরা নিজেদের মতো গেইম খেলে যাচ্ছি।



এটা একই সাথে একটা গেইম এবং একটা রেস। রেস যেটা হচ্ছে যে, এট-এ-টাইম আমরা একটা টিম যে ক্লুগুলা সলভ্‌ করে যাচ্ছি, সাথে সাথে আরও বেশ কয়েকটা টিম একই কাজগুলা করে যাচ্ছে। তো দেখা যায় এখানটাতে আমি আরেকজন থেকে বেটার কোন ক্ষেত্রে? একমাত্র ডিসটিংগুইসিং পয়েন্ট হচ্ছে টাইম। মেইনলি টাইম। কারন যে টাস্কগুলো থাকে কম বেশী সবগুলোই করার মতো। যাদের ইন্টাররিলেশন যত ভাল থাকবে, যারা যত সুইফ্ট্‌ হবে, যারা যত কুইকলি ডিসিশন নিতে পারবে, একটা চেক পয়েন্ট থেকে আরেকটা চেক পয়েন্ট সর্টেস্ট ওয়েতে খুজে বের করতে পারছে - এখানেই একটি টিমের সাথে কম্পিটিটর টিমগুলোর গ্যাপটা এই জায়গায় হচ্ছে। রেসটা তৈরী হয় এই জায়গাটাতে। আমি আমার নিজের সাথে রেস করি। আমি আমার পারটিসিপেন্টদের সাথেও রেস করি।



ট্রেজার হান্টে মুলত আমরা ক্লু সলভ্‌ করতে করতে এক স্পট থেকে আরেক স্পটে যাই। স্টার্টিংটা এভাবে হয় যে আমাদেরকে একটা এনক্রিপ্টেড ক্লু দেয়া হয়। অর্থাৎ নেক্সট্‌ ডেস্টিনেশনটা কি? এবং অলমোষ্ট পুরোটা গেইমে এই লেআউটই থাকে। আমরা একটি চেক পয়েন্ট থেকে আরেকটি চেক পয়েন্টে যাই এবং প্রতিটা চেক পয়েন্টে আমাদের জন্য অপেক্ষা করে কোন না কোন টাস্ক। এটা ফিজিক্যাল, মেন্টাল যে কোন একটা হতে পারে। এবং যে টাস্কই দেয়া হোক - এটাতে পুরো টিমকে ইনভল্ভড করতে হয়। অর্থাৎ এখানে একার কোন আধিপত্য থাকে না। অর্থাৎ আমাদেরকে মুভ করতে হয় এজ এ টিম হিসেবে।" - এটাই ট্রেজার হান্টের অফিসিয়াল ডেফিনিশন।





:-< ঘুম পাচ্ছে খুব। আগামী কাল আবার কথা হবে। নতুন গেইম। নতুন টাস্ক। আবার রেস......







মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪৪

নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: এটা কখনের ঘটনা? এখন কি হয়? চট্টগ্রামেও কি হয়? AXN এ গেমটা দেখেছিলাম

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

গ্রীনলাভার বলেছেন: ২০১০ এর ঘটনা লিখছি। এখনও হয়। এই বছরেও হবে -
TREASURE HUNT (S-VI)- LOST IN THE CROWD
না চট্টগ্রামে হয় না। পার্টিসিপেট করতে চাইলে ঢাকায় আসতে হবে।

ফেসবুকের Travelers of Bangladesh
- এই গ্রুপের ইভেন্টগুলোতে চোখ রাখুন।

২| ১০ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৪০

সোহাগ সকাল বলেছেন: ভালো লিখেছেন তোহ! :)

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ২:৩০

গ্রীনলাভার বলেছেন: :!> :#>

৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:১১

আরজু পনি বলেছেন:

সিরিজ দেখা যাচ্ছে...তবেতো শুরু থেকেই পড়তে হয় ...

১২ ই জুন, ২০১৩ ভোর ৬:১৩

গ্রীনলাভার বলেছেন: পনিপু যে :-B
ব্লগাররা সব কিপ্টুস হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। কমেন্টই করতে চায় না। :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.