![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপাতত মনে হচ্ছে অ্যাডভেন্চারই জীবন। হাটুভাঙ্গার বাঁকেই আমার বাড়ি। সবাইকে নিমন্ত্রন।
আজকেও চায়ে চিনি কম। নাহ, বুয়াটাকে বদলাতেই হবে। সকালের এই প্রথম চা টা মনমতো না হলে সারা দিনটাই মাটি। কয়েকদিন কলেজের সামনের রমিজ মিঞার দোকানে গিয়ে চা খেয়ে এসেছিলাম। কলেজটার সামনে একসাথে লাগানো ছাপড়া কয়েকটি চায়ের দোকান। তাই কলেজের সব ছাত্ররা, কিছু জুনিয়র টিচাররা এখানটাতেই আসে চা খেতে। সেদিন জুনিয়র একজন টিচার মুখের উপর ফস করে সিগ্রেট ধরাল। এখন অবশ্য সিনিয়র জুনিয়র মেনে চলার বালাই নেই। কিন্তু আমি মানতে পারি না। বড় ছোট মেনে চলার মধ্য দিয়ে একটি জাতির শৃঙ্খলা বোধের পরিচয় পাওয়া যায়। এসব কথা এখন কাউকে বলাও যাবে বলে মনে হয় না। বড় ছোট না মেনে মুখের উপর কথা বলাও এখনকার ফ্যাশন।
গত ৩ মাস ধরে ভাবছি বুয়াটাকে বদলাব। কিন্তু শুধু চায়ের জন্য বুয়াটাকে বদলিয়ে আরেকটা কাজের বুয়া পাওয়া মহা ঝক্কি। বুয়ার অন্যান্য কাজ-কর্ম ভালই। রান্নাটা খাওয়া যায়। অন্তত লবনটা ঠিকঠাক দেয়। এখন পর্যন্ত কাপড় ধুতে গিয়ে কোন শার্ট ছেড়েনি। এর আগের বুয়াটা আমার নতুন একটা শার্ট ধুতে গিয়ে ছিড়ে ফেলেছিল। রাগের চোটে পুরো মাসের বেতন দিয়ে সেদিনই বিদায় করে দিলাম। মাসের তখনও অর্ধেক বাকী ছিল। এরপরই বুয়া খুজতে গিয়ে যে হয়রান টাই না হলাম। এখানে হাতে গোনা ৩/৪ জন বুয়াই পুরো কলেজ কোয়ার্টারটাতে কাজ করে বেড়ায়। সবাই বুকড্। নতুন কোন বুয়াও কোয়ার্টারে আসছে না। তার উপর আমি ব্যাচেলর। সবকিছু মিলে 'বুয়া আর এই জীবনে ভাগ্যে নেই' - এমন অবস্থা। শেষে কলেজের জুনিয়র প্রভাষক আলতাফ সাহেব অনেক চেষ্টা করে এই বুয়াটাকে ঠিক করে দিলেন।
চার মাস হল এই কলেজে বদলি হয়ে এসেছি। কলেজ কোয়ার্টারটা একাডেমিক ভবনটা থেকে বেশ খানিকটা পেছন দিকে। একাডেমিক ভবনটার সামনে মস্ত একটা পুকুর। তারপর মুল রাস্তা। চারপাশে আম-কাঠাল-পেয়ারা আর কাঠের গাছে একেবারে জঙ্গল-জঙ্গল একটা ভাব হয়ে আছে। গাছের ছায়ায় এই বৈশাখেও বেশ ঠান্ডা থাকে গোটা জায়গা। মুল রাস্তার ওপাশে ধান ক্ষেত। এদিক ওদিক ছড়ানো ছিটানো কয়েকটি ঘর-বাড়ি। অধিকাংশই টিন-বেড়া দিয়ে বানানো। কয়েকটি আছে দালান। শুনেছি দালান গুলোর মালিকেরা শহুরে মানুষ। কালে-ভাদ্রে এখানে এসে ছুটি কাটিয়ে যায়। কলেজ থেকে বেরিয়ে মূল রাস্তার ডানে হেঁটে গেলে কিছুদুর পরে বাজার। সপ্তাহে ২ দিন বাজার বসে। মঙ্গলবার আর শুক্রবার। সেদিন টাটকা মাছ থেকে শুরু করে ফ্রোজেন মুর্গীও পাওয়া যায়।
আজকে শুক্রবার। মৌরী আসবে এখানে আজকে। প্রতি শুক্রবারেই আসে। আমি মানা করতে গিয়েও করিনি। এটা ঠিক, ও এখানে আসলে আমার ভাল লাগে। সপ্তাহের একটা দিন ভাল কিছু রান্না করে খাওয়া হয়। কথা হয় অনেক। আমার অন্যান্য সহকারীরা আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে কখনো কিছু জিজ্ঞেস করেনি। কিন্তু প্রায় শুক্রবারেই কেউনা কেউ এসে দুপুরের খাবারের দাওয়াত দিয়ে যায়। মৌরীও বেশ মানিয়ে নিয়েছে। সবাই হয়তো ওকে আমার ভাবি-স্ত্রী বানিয়েছে। কিন্তু আমি মৌরীকে আমার কাছে থেকে কোন কমিটমেন্ট আশা করতে নিষেধ করেছি। তবুও মনে হচ্ছে সহজে হাল ছাড়বার পাত্রী নয়। দেখা যাক.....
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০৪
গ্রীনলাভার বলেছেন:
২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:১১
আমিই মিসিরআলি বলেছেন:
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:৪২
গ্রীনলাভার বলেছেন: হুম। দেখা যাক...
৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩
স্রাবনের রাত বলেছেন: আপনার গল্প টা কেমন জানি হয়ে গিয়েছে ।
চা, কাজের বুয়া আর মৌরি ----- এই তিনটা জিনিষ একসাথে টিক ভাবে মেলেনি ।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৪
গ্রীনলাভার বলেছেন: সব লেজে-গোবরে হয়ে গেছে।
৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
অনন্য ঐশিক বলেছেন:
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৪
গ্রীনলাভার বলেছেন: :!> :!>
৫| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৮
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: "
কিন্তু আমি মৌরীকে আমার কাছে থেকে কোন কমিটমেন্ট আশা করতে নিষেধ করেছি। তবুও মনে হচ্ছে সহজে হাল ছাড়বার পাত্রী নয়। দেখা যাক.....
"
আপনাকে সিরিয়াস হতে হবে, এভাবে ঝুলে থাকর নাম জীবন নয়!
৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:১৫
শরিফুল ইসলাম সীমান বলেছেন: ব্যাচেলরের লাইফে একটু এলোমেলো তো হবেই!
এলোমেলো জীবনকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখেছেন এটাই তো যথেষ্ট। দুইটা এলোমেলো +.../*+
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:০২
খেয়া ঘাট বলেছেন: