![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সব কাজেই সেরা হতে চেষ্টা করি ।
১. কেউ স্বপ্নে তাকে কোনো বিষয়ে মান্নত করতে দেখলে মনে করে- আমাকে অবশ্যই ওই মান্নত পূর্ণ করতে হবে।
আসলে তা জরুরি নয়।
২. অনেক সংরক্ষিত এলাকায় মসজিদ থাকে, সেখানে নির্দিষ্ট লোক ছাড়া অন্য কেউ নামাজে আসেন না। এ সব মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় সহিহ হবে বলে অনেকে মনে করেন।
হ্যাঁ, এই মসজিদে জুমআর নামাজ জায়িজ হবে; যদি মসজিদের দরজা খুলে দেয় এবং লোকদেরকে ভেতরে ঢুকার অনুমতি দেয়। যদিও জনসাধারণ তার মধ্যে প্রবেশ না করে। নতুবা হবে না।
৩. আমরা কখনো কখনো কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য জানাজার নামাজে বিলম্ব করি।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জানাজা প্রস্তুত হয়ে গেলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা মানুষ বেশি হওয়ার জন্য বিলম্ব করা যাবে না।
৪. অনেকের কাছ থেকেই শুনি ব্যাঙ নাকি হজরত ইবরাহিম আ.-এর আগুন নেভানোর জন্য পেশাব করেছিলো, এজন্য ব্যাঙের পেশাব পাক!
মূলত, ওই কথাটি সঠিক নয়, বরং কুনুব্যাঙের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের কারণে পানিকে নাপাক বলা হয় না।
৫. অনেকের তাবিজের উপরিভাগে আরবী অক্ষরে আল্লাহ লেখা রয়েছে, তা গলায় ঝুলিয়ে পড়তে হয়। প্রায় অধিকাংশ লোকই এক্ষেত্রে তাবিজ পড়েই বাথরুমে যায়।
কিন্তু বাথরুমে যাওয়ার সময় কাপড়ের নিচে তাবিজ লুকিয়ে যেতে হবে। নাহলে তাবিজ খুলেই যেতে হবে।
৬. রাস্তা-ঘাটে অনেক ভেল্কিবাজ ভেল্কির খেলা দেখায়। আর আমরাও তো জোশের সাথে এসব খেলা উপভোগ করি!
অথচ এ সমস্ত ভেল্কিবাজী দেখা জায়িজ না।
৭. জনৈক ব্যক্তিকে শরীয়ত পরিপন্থী কাজ করতে দেখে আরেকজন বললেন, একি করছেন? এটা তো শরিয়ত পরিপন্থী কাজ!
সেই ব্যক্তি জবাবে বললো, রাখেন আপনার শরিয়ত!
উল্লেখ্য, কোনো মুসলমানের জন্য এভাবে শরীয়তের প্রতি তুচ্ছ ভাব পোষণ করা কুফুরি কাজ। এতে ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং, এ অবস্থায় ঈমান নবায়ন করতে হবে এবং বিবাহিত হলে বিয়েও নবায়ন করতে হবে।
৮. প্রায়ই দেখতে পাই, অজু করা অবস্থায় কেউ কেউ অনর্থক কথা বলছে।
আমরা জানি না যে, অজু করা অবস্থায় বিনা প্রয়োজনে দুনিয়াবী কথা বলা মাকরুহে তাহরিমী। তাই অপ্রয়োজনীয় কথা না বলা চাই।
৯. যে সব লোক ওলামায়ে কেরামের সমালোচনা করে, তাদের গালিগালাজ করে, তাদের কি আমরা সালাম দেয়া বাদ দেই?
শরয়ী কোনো কারণ ছাড়া ওলামায়ে কেরামকে গালমন্দকারী ফাসিক। এতে কোনো সন্দেহ নেই। বরং এতে তার ঈমান চলে যাওয়ার সমূহ আশংকা রয়েছে। কাজেই তার প্রতি শ্রদ্ধা বা সম্মান প্রদর্শন হয় এমন যে কোনো কাজ করা মাকরুহে তাহরিমী। কেননা তারা কেবল লাঞ্চনা-বঞ্চনা আর অপমান পাওয়ার যোগ্য। আর ফাসিককে সালাম দেয়া তাকে সম্মান করার নামান্তর। তাই ওলামায়ে কেরামের সমালোচনাকারী ও গালমন্দকারীকে সালাম দেয়া মাকরুহে তাহরিমী। এমন ব্যক্তি সালাম দিলে তার উত্তর দেয়াও জরুরী নয়। (উদাহরণ হিসেবে ড. জাকির নায়েকের সমালোচনাকারী ও গালমন্দকারীদের তুলে ধরা যায়)
১০. হাফহাতা গেঞ্জি পড়ে কে কে একদিনও নামাজ পড়েননি?
হ্যাঁ, পড়া যাবে, মাকরুহ হবে।
১১. অনেকেই নাকি দুধ দিয়ে কাপড় ধোয়!
কিন্তু তৈলাক্ততা থাকার দরুন দুধ দ্বারা কাপড় ধৌত করা যাবে না।
............
দৈনন্দিন এরকম অসংখ্য ছোটখাটো ভুল কাজ আমরা করে থাকি। কিন্তু আমাদের খেয়াল নেই, ছোট্ট ছোট্ট গুনাহের কাজ থেকেই বড় পাপের জন্ম হয়।
আমরা এখন থেকে সব সময় এই ধরণের ছোটখাটো সগীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ....
©somewhere in net ltd.