![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুলে পড়ার সময় বিটিভি তে “অলস্কয়ার” নামে একটা নাটক দেখেছিলাম। হালকা যেটা মনে আছে নাটকে এক মা তার মেয়েকে সব বিষয়ে পারদর্শী করতে চাইলেন। মেয়ের নাচ, গান, পড়াশোনা, ছবি আঁকা, অভিনয় সবকিছুর প্রশিক্ষণ চলত। নাটকের শেষটা মনে নেই কিন্তু সেই নাটক এখনো চলে। আমাদের বাবা মায়েরা সেই নাটক এখনো মঞ্চস্থ করে চলেছেন নিয়মত। জীবনবোধহীন, ইসলামের শিক্ষাবিহীন জীবনের পাঠ নিয়ে ছেলেমেয়েরা নিজেরা অধঃপতনের দিকে যায় সাথে থাকে আমাদের দুর্ভাগা বাবা মায়েরা। বাবা মায়েরা ছেলে মেয়েকে নাট্যকলা, নৃত্যকলা, শিল্পকলা হাজারটা কলা শিক্ষা দেয় আর শেষ বয়সে এসে ছেলেমেয়েরা বাবা মায়েদের মাঝারি সাইজের একটা কাঁচকলা ধরিয়ে দেয়।
বৃদ্ধাশ্রম!! কারা যায় ওখানে?? কারা?? রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বাবা মায়েরা?? না। সেই সব দুর্ভাগা বাবা মায়েদেরই সেখানে যায়গা হয় যারা সারাটা জীবন ছেলে মেয়েদের আধুনিক বানাতে, অনেক বড় করতে, সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁদের নিয়ে ছুটেছেন। দায়িত্ববোধহীন জীবনের শিক্ষা নেওয়া সেইসব ছেলেমেয়েরা শেষ বয়সে যে বাবা মায়েদের দেখভাল করতে হয় সেই নুন্যতম “দায়িত্ববোধটুকুও” হারিয়ে বসে। আর সেই দুর্ভাগা বাবা মায়েরা বৃদ্ধাশ্রমের চারদেয়ালে বসে এখনো চোখের পানি ফেলে। কেন?? কেন আপনাদের ভালোবাসার এভাবে অপচয় করেন? কেন এভাবে অকাতরে নিজের সবটুকু ভুল পথে বিলিয়ে দেন??
সন্তানের পরীক্ষা_ জায়নামাজে পড়ে মা কাঁদছে, রেজাল্ট যেন ভাল হয়! পাশের বাড়ির ভাবীদের আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে মায়েরা জানাচ্ছেন তাঁদের কষ্টের কথা__ ছেলেটা “জঙ্গি(!) হয়ে গেল! চায়ের দোকানে বাবাদের মাথা নিচু হয়ে যায়_ ছেলে মেডিক্যালে চান্স পায়নি, A+ পায়নি! Why? ছেলে যখন নামাজ রোজা করেনা তখন কেন আপনাদের চোখের পানি ঝরে না? আদরের মেয়েটা যখন ঢং ঢং করে বেপর্দা হয়ে বাইরে যায় তখন কেন আপনাদের কষ্ট লাগেনা? ছেলে যখন কয়েক পাতা পড়ে “আমি নাস্তিক” হয়ে আল্লাহ রাসুলকে গালমন্দ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস মারে তখন কেন আপনাদের বুক ফেটে যায়না? আধুনিক ছেলেমেয়েদের দামি দামি সার্টিফিকেট, দুইপাতা বিদ্যার চোখরাঙ্গানিতে মাথা নিচু না করে কষে দুইটা থাপ্পড় কেন মারতে পারেন না! কেন পারেন না?
আমাদের মাঝে হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) এর মাতা সাফ্যিয়ার মত মায়েরা কবে আসবে যিনি ছোটবেলা থেকে তার সন্তানকে মারধর এবং কঠোর অভ্যাসে অভ্যস্ত করতেন এই জন্য যে ছেলে বড় হয়ে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। আজ ইসলামের পথে সন্তান কিছু করতে গেলে বাবা মায়েদের চোখের পানি নাকের পানি এক হয় কিন্তু তারা ভাবতে পারেনা এ পথে পরাজয় নেই। তারা ভাবতে পারেনা এই সন্তান মরে গেলে ওপারে জান্নাতের দরোজা ধরে তাঁদের জন্য অপেক্ষা করবে। আমরা ফিলিস্তিনের সেই মায়ের জন্য গর্ববোধ করি যিনি তার সব ছেলেকে ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পাঠিয়েছিলেন। যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল আপনার সন্তানের শহীদ হওয়ার খবর শুনে আপনি কি করেছিলেন! জবাবে তিনি বলেছিলেন, “আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছিলাম আর সবাইকে চকলেট বিতরণ করেছিলাম”। সুবাহানাল্লাহ। আল্লাহু আকবর। প্রিয় বাবা মায়েরা -- জীবন এটাই নয়, আরও কিছু আছে। আরও অনেক কিছু অপেক্ষা করছে আপনাদের জন্য, আপনাদের সন্তানদের জন্য! সেই জীবনের সঞ্চয়ের কথা কোনদিন ভেবেছেন?? সন্তানদের ভাবিয়েছেন??
Collected From
The Page :
"সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, নিশ্চয়ই মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল"
©somewhere in net ltd.