নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধরার ৯৯.৯৯ জন মানুষ ই স্বার্থপর- আল্লহর খাস বান্ধা ব্যাতিত সবাই সব কাজেই নিজের লাভ খোঁজে।

বোরহান উদ্দিন আহমেদ (মাসুম)

বোরহান উদদীন

সুখ শান্তি পৃথিবীতে পাওযার কথা না, সুখ শান্তি তো পরকালের জন্য, এই সুখের জন্য অস্স্থায়ী পৃথিবীতে পাপের পথে পা না বাড়ানোই শ্র্রেও !

বোরহান উদদীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

*** মুর্শিদের অমূল্য বাণী ৫০ টি***

২৪ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

*** শুধু মাত্র বিশ্বাসীদের জন্য***

ইয়া আল্লাহু ইয়া রাহমানু ইয়া রাহিম





1- যত অল্পে তুষ্ট থাকবে, ততই মানসিক স্বাধীনতা ভোগ করতে সক্কম হবে।



2- ক্রোধ মনুষত্বের আলোক শিখা নিরবাপিত করে দেয়।



3- আজকের কাজ আগামীকালের জন্য ফেলে না রাখাটাই প্রকৃত কর্মী পুরুষের পরিচায়ক।



4- আদবই তাছাউফের মুল বস্তু মানে পুঙ্খানুপুখরুপে কোরআন ও হাদিসের রীতি-নীতি অনুসরণ করাই প্রকৃত দরবেশী।



5- এই তিনটিকে পবিত্র রাখুন-শরীর, পোশাক ও আত্মা।



6- টেস্ট করে দেখ অনেক মানুষই বিষধর জন্তুর চেয়ে কম হিংস্র নয়।



7- হামেশা জেকের ব্যতীত আল্লাহ্‌র নৈকট্য কেউ লাভ করতে পারেনা।



8- মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।



9- ক্রোদের সর্বোত্তম চিকিতস্যা হচ্ছে নিরবতা।



10- তিনটি বস্তুই প্রকৃত সম্পদ। বিদ্যা,ভদ্রতা এবং এবাদত।



11- মানুষের সঙে কথা কম বলে সৃষ্টিকর্তার সঙে বেশি কথা বলার চেষ্টা

কর।



12- মহব্বতের সহিত মুর্শিদের চেহারা মুবারক দর্শনে পাপ মোচন হয়।



13- এমন এবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক সাধ আনুভব করতে পার। দুনিয়ার

জীবনে যে এবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।



14- সব কিছুরই স্বাভাবিক পরিবর্তন আছে। কিন্তু সভাবের কোন পরিবর্তন

হয় না।



15- বুদ্ধিমানের সংসারি জীবন বোকার দরবেশীর চেয়ে উত্তম।



16- আত্মাশুদ্ধ করা প্রত্যেক নরনারীর জন্য আদর্শ ফরজ।



17- এলমে তাসাউফ দ্বারা আমাদের আত্মার উন্নতি ও অবনতি বিষয়ে

জানা যায়।



18- আল্লাহ তায়ালাকে মহব্বত কর কেন না তিনি তোমাদিগকে

ভালবাসেন।



19- ঝগড়া চরমে পৌছার আগেই থেমে যাও।



20- দুষ্ট লোককে তার দুষ্টামিই গ্রাস করবে। আপন পাপ রশিতেই সে বাঁধা

পড়বে।



21- যাকে ঘৃণা করবে তাকে ভয় ও করবে।

22- অন্যকে সম্মান করতে শিখ। এর দ্বারা সকলের সাথেই বন্দুত্তের বন্ধন

সুদৃঢ় হবে।



23- যে ব্যক্তি পাপের মত পুন্যকেও গোপন রাখে সেই খাটি লক।

24- মুরিদের পক্কে পীরের উপস্থিতি অনুপস্থিতি উভয় অবস্থা একই প্রকার খেদমত হওয়া উচিত।



25- গীবত করা আর মরা ভাইয়ের গোস্ত খাওয়া একই কথা।



26- কারো নাম যশ শুনেই বিভ্রান্ত হইও না।



27- সর্বদা জেকের করলে শয়তান দূরে থাকে এবং কবর আজাব হয় না ও

জাহান্নাম হইতে নাজাত পাওয়া যাইব।



28- উপবাস আল্লাহ্‌ তায়ালার স্বভাব। আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রিয় প্রেমিকগণ

এই উপবাস দ্বারা ইবাদত সাধনার শক্তি লাভ করেন।



29- মুরিদের কাছে সবছেয়ে কঠিন কাজ হল বিপরীত মনভাপন্ন লোকের

সঙে উঠা বসা করা।



30- এমন ইবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক স্বাদ অনুভব করতে পার। দুনিয়ার

জীবনে যে ইবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।



31- খেদমতে দেহের জ্যোতি এবং বিশ্বাসে প্রানের জ্যোতি বাড়ে।



32- যে নামাজ মানুষকে পাপের কাজ থেকে বিরত রাখেনা, সে নামাজ

নামাজ নামাজ-ই নহে।



33- দিলের কাকুতি মিনুতি ও ভয়ের সহিত সকাল বিকাল মাঝামাঝি শব্দে

তোমার প্রতিপালকের জেকের কর; গাফেলগনের সামিল হই ও না।



34- হে মোমিনগন আল্লাহ্‌কে ভয় কর। ছাদেকীনের সঙ্গ লাভ কর।



35- যাহারা তাহার প্রভুকে সন্তুষ্ট করার জন্য সকাল বিকাল ডাকিয়া থাকে

তোমাদের আত্মাকে তাহাদের সঙে রাখ।



36- আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, বড়ত্ব গর্ভ ও অহমিকা আমারই, আর ক্ষমতা

আমার গোপনীয় ব্যাপার।



37- আজিজী ব্যতীত মহব্বত পয়দা হয়না।



38- নিচ্ছয় জানিও আল্লাহর নিকট কার্জের ফলাফল মানুষের নিয়তানুসারে

হয়ে থাকে।



39- আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের জন্য উছিলা অন্বেষণ কর, এবং তাহার রাস্তায়

পরিশ্রম কর, তা হলে মুক্তি লাভ করবে।



40- নামাজ কায়েম করুন।



41- আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন যে আমার জিকির হতে বিমুখ থাকবে তার

জীবন বিড়ম্বনাময় এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উঠাব।



42- প্রত্যেক নিঃশ্বাস খেয়াল কালবের ভিতর ডুবিয়া রাখ আর না হালকা

হওয়ার ভয় আছে।



43- তরিকত শিক্ষা বা মোরাকাবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে লাভ

করা।



44- নির্জনতাকে পছন্দ করা এবং গোপনে ইবাদত করা, এই দুইটি কাজ

খাটি আবেদের লক্ষণ।



45-সের উপর ছবর করতে সক্ষম ব্যক্তিই মানব জাতির মধ্যে সবছেয়ে

অধিক অগ্রগামি।



46- যে ব্যক্তি জীবনে একবারও নিজের অন্তরে খোদাকে হাজির পেয়েছে,

সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী।



47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া

বন্দিগী হতে উত্তম।



48- বিপদে তীরের লক্ষ্যস্থল হয়ে উঃ শব্দ না করাই প্রকৃত ছবর।



49- যে ব্যক্তি লোভ ত্যাগ করে অল্পে তুষ্টি অবলম্বন করে সে ইজ্জত এবং

মনুষ্যত্ব লাভ করে।



50- এশকের ব্যথায় ব্যাথিত ব্যক্তির ঔষধ মাশুকের দীদার ছাড়া আর কিছু

নাই।

মন্তব্য ৩৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:০১

অন্যায়ের প্রতিবাদী মানব বলেছেন: অলদ্যা বেস্ট

২৯ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৩:২৮

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ধন্যবাদ ভাল লাগার জন্য

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১৬

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: ভাল লাগল।

২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১৮

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাল লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১৬

ফাহিম আহমদ বলেছেন: অসাধারণ সুজা প্রিয়তে

২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:১৯

বোরহান উদদীন বলেছেন: প্রিয়তে নেবার জন্য ধন্যবাদ।

৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:২৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: 36- আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন, বড়ত্ব গর্ভ ও অহমিকা আমারই, আর ক্ষমতা
আমার গোপনীয় ব্যাপার।

=> আল্লাহর ব্যাপারে এমন দলিলবিহীন লেখা বা যেই কথা আল্লাহ কোরআনে বলেন নাই সেই কথা "আল্লাহ বলেন" বলে চালিয়ে দেওয়া মানে হলো আল্লাহর উপর মিথ্যা আরোপ। কোরআনের রেফারেন্স ছাড়া এমন ভাবে কথা বলা উচিত না।


وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِالْحَقِّ لَمَّا جَاءهُ أَلَيْسَ فِي جَهَنَّمَ مَثْوًى لِّلْكَافِرِينَ 68


সূরা আনকাবুত-৬৮> যে আল্লাহ্ সম্পর্কে "মিথ্যা কথা বানায়" অথবা তার কাছে সত্য আসার পর তাকে অস্বীকার করে, তার থেকে অধিক জালিম আর কে? এরুপ কাফেরদের বাসস্থান কি জাহান্নাম নয়?
--------------------------------------------------------------------------

10- তিনটি বস্তুই প্রকৃত সম্পদ। বিদ্যা,ভদ্রতা এবং এবাদত।

=> এমন ভাবে নির্দিষ্ট করে "তিনটি" বলা এটা শুধু মাত্র আল্লাহ এবং তার রাসুলই বলবেন। কোন ব্যক্তির পক্ষে এমন ভাবে ৩ বা ৪ ফিক্সড করা নিষেধ।

হাদিসে আল্লাহর রাসুল সাঃ বলেছেন, পৃথিবী সম্পদে পরিপূর্ণ। তন্মধ্যে সর্বোত্তম সম্পদ হচ্ছে উত্তম স্ত্রী।

এখন আপনার কথা যদি মেনে নেই তাহলে তো রাসুল সাঃ এর কথা অস্বীকার করতে হবে। আপনিই বলেন কাকে মানবো। আপনার কথা না রাসুল সাঃ এর হাদিস?
------------------------------------------------------------------------

38- নিচ্ছয় জানিও আল্লাহর নিকট কার্জের ফলাফল মানুষের নিয়তানুসারে
হয়ে থাকে।

=> হাদিসের বিকৃত ব্যাখ্যা।

বুখারীর হাদিস, ইন্নামাল আমালু বিননিয়াত। সকল কাজের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল।

আল্লাহর রাসুলের হাদিস বাদ দিয়ে মনগড়া মানুষের বাণীর কোন মূল্য নাই।
--------------------------------------------------------------------------

47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া
বন্দিগী হতে উত্তম।

=> এ কথার কি কোন রেফারেন্স আছে। এটা কি কোন হাদিস বা কোরআনে উল্লেখ আছে। আলেম বা অলী নামকরণ করে এক ব্যক্তিকে এভাবে মর্যাদা দেওয়া নিষেধ। মর্যাদা দেন আল্লাহ যাকে খুশি তাকে। আর "একশত বছর" এমন ডাইরেক্ট নির্দিষ্ট করে কথা কোরআন বা হাদিসের রেফারেন্স ছাড়া কোন মুসলিম বলতে পারে না।
-------------------------------------------------------------------------

৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩৪

বোরহান উদদীন বলেছেন: মাসিক পত্রিকাটা পড়লে সব বুঝবেন। আর ও অনেক ভুল আপনি দেখতে পাবেন

৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫

মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: আচ্ছা মুর্শীদ মানে কি?
বা কে? জানালে উপকৃত হই,
আর ৪২ নং কথার মানে বুঝি নাই, যদি বলতেন...

৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৪২

বোরহান উদদীন বলেছেন:
মুর্শীদ মানে ধর্মীয় শিক্ষা গুরু।

৪২নং -প্রত্যেক নিঃশ্বাস খেয়াল কালবের ভিতর ডুবিয়া রাখ আর না হালকা
,মানে সবসময় আল্লাহ্‌ কে সরণ করা ।

৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৩৩

অনিক আহসান বলেছেন: এইবার দেখি নতুন মেরু করন!..মাজারপন্থি ভার্সেস ট্রাডিশনালিস্ট...!

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৫

ভীরু বলেছেন: ((মূর্শিদের অমূল্য বাণী))


মুর্শিদের বাণী না হয়ে যদি কুরআন বা হাদিস হতো, তাহলে খুবই চমৎকার ছিল। ‎অন্তত সাহাবি বা তাদের পরবর্তী বিশেষ কোন ব্যক্তির আপ্তবাক্য হলেও হতো। ‎আপনার মূর্শিদের পরিচয় উল্লেখ করেননি, অপরিচিত ব্যক্তির বাণী গ্রহণ করা ‎ইসলামে সিদ্ধ নয়। দ্বিতীয়ত এসব বাণী দেখে মনে হল আপনার মূর্শিদ আলেম ছিলেন ‎না, বরং মূর্খ আবেদ ছিলেন, যাদের অধিকাংশ আমল কুসংস্কার ও বিদআত।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভাই আপনাকে এই বইটা পড়ার জন্য অনুরোধ করলাম।
বইটা-র নাম (নুরুল আসরার বা নূর তত্ত)

১০| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৬

ভীরু বলেছেন: ((‎4- আদবই তাছাউফের মুল বস্তু মানে পুঙ্খানুপুখরুপে কোরআন ও হাদিসের রীতি-নীতি অনুসরণ করাই ‎প্রকৃত দরবেশী।))

মন্তব্য : আপনার মূর্শিদের এ কথার সারাংশ হচ্ছে তাছাউফের মুল আদব, আর আদবের মূল কুরআন ‎ও হাদিস, অতঃপর তাছাউফের অনুসারী সূফীই প্রকৃত দরবেশ। সম্পূর্ণ বাজে কথা, বরং কুরআন-‎হাদিসের সমুষ্টি প্রকৃত ইসলাম, যার একটি শাখার নাম আদব।
গুরুত্বপূর্ণ কথা হচ্ছে : ইসলামে তাছাউফের কোন স্থান নেই, তাছাউফ সীমাবদ্ধ ছিল গ্রিক, ইহুদী, ‎খৃষ্টান ও হিন্দু তথা মুশরিকদের মধ্যে, অতঃপর তাদের থেকে সর্ব প্রথম শিয়ারা তাছাউফ গ্রহণ করে, ‎যাদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ইয়ামানী ইহুদী ইসলাম ও মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য প্রকাশ্যে ‎ইসলাম গ্রহণ করে, আর অন্তরে গোপন রাখে কুফরী। এ জন্যই শিয়াদের মূলনীতির অধিকাংশই ‎ইহুদীদের মূলনীতির ন্যায়। অতঃপর সেটাকে মডিফাই করে করে ইসলামী করণ করা হয়। তাই ‎তাছাউফের মধ্যে গ্রিক, ইহুদী, খৃস্টান ও মুশরিকদের আকিদা-বিশ্বাস ও আমলের ছড়াছাড়ি। এখানে ‎বিস্তরিত আলোচনার স্থান নয়, এখানেই শেষ করছি।

১১| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:২৮

ভীরু বলেছেন: ‎7- হামেশা জেকের ব্যতীত আল্লাহ্‌র নৈকট্য কেউ লাভ করতে পারেনা।

মন্তব্য : হাদিসে এসেছে নফল ইবাদাতের মাধ্যমে বান্দারা আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। (বুখারী) ‎আপনার মূর্শিদের এ কথার অর্থ কি ?‎

‎8- মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।
মন্তব্য : হাদিসে এসেছে অন্তর ঠিক হলে সব ঠিক হয়, আর আপনার মূর্শিদ হাদিসের বিপরীত এ কথা ‎বলার অর্থ কি ? মুখের অনুগত অন্তর, না অন্তরের অনুগত মুখ ? হাদিস কিন্তু বলে মুখ অন্তরের ‎অনুগত ! আপনার মুর্শিদ কি হাদিসের বিপরীত বলার জন্য মূর্শিদ হয়েছেন ? তার ইমান, ইলম ও ‎মস্তিষ্ক সুস্থতার খবর নিন।

‎9- ক্রোদের সর্বোত্তম চিকিতস্যা হচ্ছে নিরবতা।
মন্তব্য : এখানেও হাদিসের বিপরীত বলেছেন।

‎11- মানুষের সঙে কথা কম বলে সৃষ্টিকর্তার সঙে বেশি কথা বলার চেষ্টা
কর।

মন্তব্য : আল্লাহর সাথে কথা বলার অর্থ কি ? আল্লাহর সাথে এখন কি মানুষের কথা বলা সম্ভব ? ‎যদি এর উদ্দেশ্য কুরআন তিলাওয়াত হয়, তাহলে সেটা বলতে সমস্যা কি ছিল ?‎

‎12- মহব্বতের সহিত মুর্শিদের চেহারা মুবারক দর্শনে পাপ মোচন হয়।
মন্তব্য : তার মানে আপনার মূর্শিদের চেহারা মহব্বতের সহিত দেখতে হবে, তাহলে পাপ মোচন হবে। ‎অথচ তার কথা দ্বারা স্পষ্ট হচ্ছে সে একটা ভণ্ড ও মূর্খ বিদআতী, যাকে সম্মান করার অর্থ ‎ইসলামকে ধ্বংস করা।

‎14- সব কিছুরই স্বাভাবিক পরিবর্তন আছে। কিন্তু সভাবের কোন পরিবর্তন
হয় না।

মন্তব্য : মানুষের স্বভাবের পরিবর্তন হয় না ? স্বভাবের পরিবর্তন ব্যতীত কাফের মূসলমান হয় ‎কিভাবে ? বদকার নেককার হয় কিভাবে ? খারাপ ভাল হয় কিভা্বে ?‎

১২| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩২

ভীরু বলেছেন: ‎16- আত্মাশুদ্ধ করা প্রত্যেক নরনারীর জন্য আদর্শ ফরজ।
মন্তব্য : আপনার মূর্শিদের আত্মশুদ্ধি প্রথম দরকার। ইসলাম না জেনে নিজের প্রলাপকে ইসলাম হিসেবে ‎প্রচার করছে, ইমানহারা হয়ে তার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

‎17- এলমে তাসাউফ দ্বারা আমাদের আত্মার উন্নতি ও অবনতি বিষয়ে
জানা যায়।

মন্তব্য : হিন্দু-যুগীরা আরো ভাল বলতে পারবে। ইসলামের দৃষ্টিতে আত্মার উন্নতী আল্লাহই ভাল ‎জানেন।

‎22- অন্যকে সম্মান করতে শিখ। এর দ্বারা সকলের সাথেই বন্দুত্তের বন্ধন
সুদৃঢ় হবে।

মন্তব্য : বিতআতীকে সম্মান করা হারাম।

‎24- মুরিদের পক্কে পীরের উপস্থিতি অনুপস্থিতি উভয় অবস্থা একই প্রকার খেদমত হওয়া উচিত।
মন্তব্য : এ ধরণের আদব আল্লাহর সাথে প্রযোজ্য, মানুষের সাথে নয়।

‎26- কারো নাম যশ শুনেই বিভ্রান্ত হইও না।
মন্তব্য : আপনার মূর্শিদের প্যাচাল শোনে তো আরো না।

১৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৫

ভীরু বলেছেন: ‎28- উপবাস আল্লাহ্‌ তায়ালার স্বভাব। আল্লাহ্‌ তায়ালার প্রিয় প্রেমিকগণ
এই উপবাস দ্বারা ইবাদত সাধনার শক্তি লাভ করেন।

মন্তব্য : ভুল কথা, খাদ্যের দ্বারা আল্লাহর প্রেমিকগণ ইবাদাতের শক্তি লাভ করে।

‎30- এমন ইবাদত কর যা দ্বারা আত্মিক স্বাদ অনুভব করতে পার। দুনিয়ার
জীবনে যে ইবাদতে স্বাদ নাই আখেরাতে তা দ্বারা কতটুকু ফায়দা হবে।

মন্তব্য : আপনার মূর্শিদ অমূল্য বাণীর সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে একই কথা দু’বার বললেন। দেখুন : ১৩ ‎ও ৩০ নাম্বার হুবহু এক।

‎34- হে মোমিনগন আল্লাহ্‌কে ভয় কর। ছাদেকীনের সঙ্গ লাভ কর।
মন্তব্য : এটা আল্লাহর বাণী, আপনার মুর্শিদের বাণী হল কিভাবে ?!‎

১৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১০:৩৮

ভীরু বলেছেন: ‎39- আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভের জন্য উছিলা অন্বেষণ কর, এবং তাহার রাস্তায়
পরিশ্রম কর, তা হলে মুক্তি লাভ করবে।
মন্তব্য : উছিলার অর্থ ইবাদাত, পীরধরা বা মুরিদ হওয়া নয়।

‎42- প্রত্যেক নিঃশ্বাস খেয়াল কালবের ভিতর ডুবিয়া রাখ আর না হালকা
হওয়ার ভয় আছে।
মন্তব্য : ইসলামে এসব মুজাহাদা নেই, এটা হিন্দু যুগিদের মুজাহাদা।

‎43- তরিকত শিক্ষা বা মোরাকাবার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহকে লাভ
করা।
মন্তব্য : এসব বাজে কথা, ইসলাম বলে আল্লাহর সৃষ্টিতে চিন্তা করে আল্লাহর কুদরত সম্পর্কে জান ‎এবং তার প্রতি ঈমান মজবুত কর।

‎44- নির্জনতাকে পছন্দ করা এবং গোপনে ইবাদত করা, এই দুইটি কাজ
খাটি আবেদের লক্ষণ।
মন্তব্য : রাসূল সা. নবুওয়ত লাভের আগে নির্জনতাকে পছন্দ করতেন, কিন্তু নবী হয়ে মানুষের ‎সমাজকেই বেশী পছন্দ করতেন, নবী হয়ে তিনি কখনো নির্জনবাসে জাননি।

‎46- যে ব্যক্তি জীবনে একবারও নিজের অন্তরে খোদাকে হাজির পেয়েছে,
সেই ব্যক্তিই প্রকৃত সুখী।
মন্তব্য : অন্তরে আল্লাহ হাজির হন, এর প্রমাণ কি ? রাসূল সা. কি কখনো অন্তরে আল্লাহকে হাজির ‎পেয়েছেন ?‎

‎47- এক মুহর ত কোন কামেল অলীর সংসর্গে থাকা একশত বছর বেরিয়া
বন্দিগী হতে উত্তম।
মন্তব্য : বাজে কথা।

‎48- বিপদে তীরের লক্ষ্যস্থল হয়ে উঃ শব্দ না করাই প্রকৃত ছবর।
মন্তব্য : রাসূল সা. তো উঃ শব্দ করেছেন, যখন তার ছেলে ইবরাহিম মারা যায়, এবং যখন উহুদের ‎ময়দানে তার দান্দান মুবারক শহীদ হয়, তিনি কি প্রকৃত ছাবের ছিলেন না।

মুদ্দাকথা : আপনার এ মূর্শিদের জন্য কি কুরআন ও হাদিস যথেষ্ট নয় ? যদি হয় তাহলে এসব ‎মিথ্যা ও বাজে উক্তি তৈরি করতে তাকে বলেছে ? কুরআনের বাণীকে নিজের বাণী, আবার ‎হাদিসের বাণীর বিপরীত নিজের বাণী তৈরি করার কি দরকার হয়েছিল ?! ইসলাম জানুন এবং ‎ইসলাম মেনে চলুন, এসব ভণ্ডদের খপ্পরে পরে নিজের আখেরাতে বরবাদ করবেন না।

১৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৩৫

বোরহান উদদীন বলেছেন:
ভীরু ভাই আসসালামুয়াআলাইকুম।
আমি ভাই তর্কে যাইতে চাই না।
পারলে আমার মুর্শিদ এর লিখা নুরুল আস্রার বা নুরতত্ত কিতাব খানি
পড়িয়েন।
মাসিক পত্রিকা দেখেন

১৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৪৩

বোরহান উদদীন বলেছেন: এই খানে ও দেখতে পারেন।

দেখেন

১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৩৭

ভীরু বলেছেন: মুখ যদি ঠিক হয়ে যায় তবে আত্মা ও সংশোধন হয়ে যায়।

অথচ রাছুল (সাঃ) বলেছেন:
أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ، أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ

অর্থাৎ: শরীরের ভেতরে একটি মাংসের টুকরা আছে, তা ঠিক হলে পুরো শরীর ঠিক হয়, আর তা নষ্ট হলে পুরো শরীর নষ্ট হয়। জেনে রেখো তা হলো অন্তর। (বুখারী: কিতাবুল ঈমান।)

এবার বলুন: আমাদের কার কথা মানা প্রয়োজন। আপনার কথাকে আপনিই যাচাই করুন। কুরআন সুন্নাহ বিরোধী হলেও কি পীরের কথা মানতে হবে? আপনার পীরকে বা মুর্শিদকে যাচাই করার মানদন্ড কি?

১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ২:৪৪

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ভীরু ভাই। ১০০% কারেক্ট কথা বলছেন। আজকালকার মানুষ গুলো যে জাহান্নামের দাড়প্রান্তে এটা এই লোকগুলোকে দেখলেই বুঝা যায়। আল্লাহ এদের সত্য বুঝার তৌফিক দান করুন। আমীন।

আমি অনেক গুলো মন্তব্য করছি। চাইছিলাম বাকি গুলো পুরো করতে। এখন দেখছি আপনিই বাকী গুলো পুরো কইরা দিছেন। ধন্যবাদ।

১৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ২:৪৭

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: সূরা আরাফ-৩> তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা যা নাজিল হয়েছে (অর্থ্যাৎ কোরআন ও সহীহ হাদিস) তারই অনুসরণ কর। কোন আউলিয়ার অনুসরণ করো না।

যেমন কিছুদিন আগে একজনকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই গাঞ্জা খান কেন? আমাকে বলল ওলী আউলিয়ারাও গাঞ্জা খাইতেন।

কি ডেনজারাস এনসার। আমি তো থ।

২০| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:১৫

দূর প্রবাসী বলেছেন: মাসুম ভাই, ওলী আল্লাহ গনকে বোঝার ক্ষমতা সব মানুষের নাই তাই এই ধরণের মন্তব্য আসাই স্বাভাবিক। আপনি সেই মুর্শিদের অনুসারী যিনি কিনা তার পাক জবানী এবং লেখনী দিয়ে ৪ জন ফাসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে বাচিয়ে দিয়েছিলেন। সেই প্রমানও আছে। সুতরাং এই সব লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের কাজ করে জান, মালিক অবশ্যই আপনার সাথে আছেন।ধন্যবাদ

২৫ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

বোরহান উদদীন বলেছেন:
দূর প্রবাসী ভাই অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। চলার পথে উৎসাহ দেওয়ার জন্য। অনেক জানতে ইচ্ছা হয়। আপনি কোন তরীকার অনুসারী।
যদি বলতেন ভালই লাগতো। ভাই মালিকের দয়া যদি থাকে আর আপ্নার
মত দুই একজন বন্দুবান্দব সাথে থাকে তো আর কি চাই। আল্লাহ্‌ হাফেজ
ভাল থাকবেন।

২১| ২৫ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

বোরহান উদদীন বলেছেন: দূর প্রবাসী ভাই আর এক টা কথা হল উপরের মন্তব্য গুলার উত্তর দিতে পারি
কিন্তু এতে তর্ক বেশী হবে বলে মনে হয় তাই দিলাম না। আল্লাহা হাফিজ।

২২| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:০০

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: ওকে তাহলে চলেন

আমি আপনাকে কোরআনের রেফারেন্স দিলাম। কিন্তু আপনি মানলেন না। মানলেন আপনার মনের অনুমান এবং অনুসরণ করলেন মনের অনুমানের। কিয়ামতের দিন আপনি যদি সত্যবাদি হন তাহলে আপনি আমার নামে আল্লাহর কাছে মামলা করবেন। আর আমি যদি সত্যবাদী হই তাহলে আমি আল্লাহর নিকট আপনার বিরুদ্ধে মামলা করব।

আপনি যেই তাসাউফ মারেফাত ইত্যাদি যে বলতেছেন এমন কথা তো আল্লাহর রাসুল, তার সাহাবারা, তাবেয়ী-তাবে-তাবেয়ীরা কেউ দেন নাই। আল্লাহর রাসুল যেখানে আল্লাহকে দেখেন নাই, কোন সাহাবা দেখেন নাই, সেখানে আপনি তাসাউফ মারেফাত দ্বারা এবং এক ব্যক্তির মুরিদ হয়ে দেইখা ফালাইছেন। কোরআনে আছে চোখ আল্লাহ কে দেখতে পায় না।

আপনি তো আল্লাহর রাসুল সাঃ কেও টপকাইয়া ফালাইছেন। নাউযুবিল্লাহ।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৪৪

বোরহান উদদীন বলেছেন: আরিফ ভাই কি বলেন এইসব
আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি তর্কে যাবনা
কোন দলিল ও আপনাকে দেখাবনা। আপ্নার প্রতিটা কথার জবাব
আমার কাছে আছে। কিন্তু দেব না আমি। আপনি যদি ঢাকা মিরপুর
এর আশে পাশে থেকে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে একটা
এড্রেস দিব............................... যদি আপনি আগ্রহী হন/
ঐ খানে যাইয়া দেখবেন সব পানির মত পরিষ্কার হইয়া যাইব
ইনশাল্লহ।

২৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:০৮

দূর প্রবাসী বলেছেন: আমি নিজেই এদের সাথে তর্ক করেছি কোন লাভ হয়নাই। সমস্যা হলো এরা শুধু শরীয়ত পড়েছে মারেফত (তাসাউফ) পড়েনাই বা সাধনা করেনাই। তাই তারা ইসলামকে মাপার চেষ্টা করে শুধু কিতাব দিয়ে (হাস্যকর) এইসব মানুষদের উচিৎ কিছুদিন মারেফত সাধনা করে তারপর কিছু বলা যে, আমি আগেও বলেছি এখন মারেফত চর্চা করেও দেখলাম ( কোন কামেল ওলীর কাছে গিয়ে) সব ভুয়া। তা কিন্তু তারা বলেনা।এদের কাছে বেহেশত আগে তারপর অন্য কিছু। কিন্তু ওলীদের অনুসারীগন আল্লাহকে ভালোবাসার এবং তাকে কাছে পাওয়ার চেস্টা করেন, আল্লাহকে পাওয়া হলে উনি কোথায় রাখবেন এটা উনার ব্যপার। সুতরাং আপনার কাজ আপনি করে যান। এদের দৌড় কিছুদিন চিল্লাচিল্লি, গালিগালায করে তারপর আর কিছু করতে পারেনা।নফসের তাড়নায় করে তো সুতরাং অসুস্থ মানুষ মনে করে মাফ করে দেন। ধন্যবাদ

২৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৫

বোরহান উদদীন বলেছেন:
দূর প্রবাসীঃ ভাই আমি ভাল ভাবে জানি এদের কে বুঝান
আমার পক্ষে সম্ভব না, যত দলিলই দেখাই লাভ হবেনা।
তাই তো বললাম বাবাজানার লিখা নুরুল আস্রার বা নূর তত্ত
বই টা পড়ার জন্য।

২৫| ২৬ শে মার্চ, ২০১১ রাত ১:৫২

দূর প্রবাসী বলেছেন: ফেসবুকে আপনাকে কিছু ছবি পাঠিয়েছি। দেখবেন আশা করি।

২৬ শে মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৫৪

বোরহান উদদীন বলেছেন:
আশরাফ ভাই ছবি গুলা দেখলাম
ধারুন লাগলো। ধন্যবাদ।

২৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরিফ ভাই কি বলেন এইসব আমি আপনাকে আগেই বলেছিলাম আমি তর্কে যাবনা কোন দলিল ও আপনাকে দেখাবনা।

=> আপনারা কি আর দলিল দেখাবেন। আপনাদের কোন দলিলই নাই। যা আছে তা হলো অন্ধ অনুকরণ ও অনুসরণ, মনের কামনা বাসনা, মানষিক উপলদ্ধি ইত্যাদি।

আপ্নার প্রতিটা কথার জবাব আমার কাছে আছে। কিন্তু দেব না আমি।
=> আমার কোন কথার জবাব আপনি দিতে পারবেন। আমার কথা তো কোনটাই না। আপনার প্রকাশ্য কোরআনের আয়াতের বিরোধিতা করতে হবে যদি আমার কথার উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেন। আর সেটা আপনি করবেন না।

আপনি যদি ঢাকা মিরপুর এর আশে পাশে থেকে থাকেন তা হলে আমি আপনাকে একটা
এড্রেস দিব...............................
=> ভাই আমরা কোরআন রিসার্চ করি। আর কোরআন যারা পড়ে এবং কোরআন নিয়ে রিসার্চ করে তাদের কাছে সব তরীকাই প্রকাশ্য। সূফীবাদ, রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, পীরতন্ত্র, অলী আউলিয়া, মুরিদ, দেহলভী, বেরলভী সব বিষয়ই আমরা জানি। কারণ আমরা কোরআন নিয়ে চলি। তাই যেকোন বিষয় যখনই কোরআনের বিপরীতে দাড় করানো হয় সেটাই ডাইরেক্ট চোখে পড়ে যেমন ভীরু ভাই আপনার ভূল গুলো ধরিয়ে দিয়েছেন।

আর কোরআনের দলিল দিয়ে সত্য প্রকাশের পর সেটা থেকে মুখ ফিরানো হল জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। দেখুন- সূরা আনকাবুত-৬৮

২৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম এবং ভীরু ভাই...

আপনাদের প্রশ্ন অনুসন্ধিৎসা সবই পড়লাম।
লেখক মহোদয় কোন কারণে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত রইছেন। সেইক্ষেত্রে আপনি উনাকে বিনয়ের সাথে বলব- তবে বোধকরি প্রকাশ্যে এইটা আনা আপনার উচিত হয় নি। কারণ প্রকাশ্য হবার সাথে সাথে তথ্য, প্রমাণ, যুক্তি দিয়েই তাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আরিফ এবং ভীরু ভাইকে বলছি-
আপনারা আপনাদের কথায় কথায় কোরআন এবং হাদীসকে টেনে আনছেন। এটা ভাল। সকল কিছূর সমাধান একমাত্র কোরআনেই আছে। না বুঝদের জন্য হাদীস, ইজমা এবং কিয়াস।

এখন কোরআন কি?
ঐশি বাণী। মহান রাসূল সা: এর নিকট জিব্রিল আ: মরফত অবতীর্ন। কোথায় অবতীর্ন হয়? হেরা পর্বতের গুহায়।
গুহায় কেন?

আপনারা বারবার বলছেন তাসাউছ, বা মা'রেফত অর্থহীন। এটাকে কি জ্ঞানারে অজ্ঞানতা বলব না না জানা বলব?

রাসূল সা: জীবনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতে যে সাধনা করেছেন তাকে কি বলে?

শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত, মারেফত চারটা শাখা মিলেই পূর্ন জীবন। তাই কোনটাকে বাদ বা অনাবশ্যক বলা যাবে না। তবে কেউ কেউ অনুসরনে বা জীবন যাপনে হয়তো কোনটাকে অধিক গুরুত্বদিয়ে অন্যটা বাহ্যত কম গুনরুত্বদিচ্ছে বলে মনে হয়, সেই ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যাক্তির ব্যক্তিক আমল হিসেবেই বিবেচিত হবে।

==
এইবার আসুন.. চলমান ইসলাম এবং সউদ তথা ওহাবি বা চলতি জামাতি ইসলাম নিয়ে সংক্ষেপে বলি-

ইসলাম কারবালার ময়দানে ২ ভাগ হয়ে যায়। হোসাইনি বা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতী ইসলাম.. অন্যটা ইয়াজিদী.. .. ওহাবী.. ইসলাম।

এই দুইটার পার্থক্যই আপনাকে সত্য বুঝতে সাহায্য করবে যদি আপনি সত্যান্বেষী হন।

তারা সবাই কথিত আবরনী ধারন কারী, দাড়ি, টুপি, আচকান, জোব্বা, আল্লাহ রাসূল.. মূখে বলছৈ.. ইয়াজিদও বলেছে কিন্তু রাসূল সা: এর দৌহিত্রকে শহীদ করেছে!!

একই ভাবে আত্ম সন্ধানের জ্ঞানহীন, বহু কথিত মোল্লা গং ইহুদীবাদের হাতেও ব্যবহৃত হচ্ছে!!

এবং বর্তমান সউদ সরকারের ইতিহাস এবং ক্ষমতা গ্রহনের কাহিনী জানা থাকলে তো জানেনই নয়তো জেনে নেবেন.. এবং তার ধারাবাহিকতায় ওহাবিজমের ব্যাপক প্রসার মানুষকে দ্ধীধায় ফেলে দিচ্ছে সত্যগ্রহনকারীদের ব্যতিত। তাই এক ইসলামের নামে এত বিভক্তি এত বিতর্ক!

==
আসুন মানদন্ডের কথায়। একই বিষয়ের উপর দুইটা বা বহু তত্ত্ব এবং তথ্য আপনার সামনে উপস্থিত। আপনি কিভাবে সমাধান করবেন? কিভঅবে সত্যকে বেছে নেবেন?

বলবেন কোরআন এবং হাদীছের আলোকে।

এইক্ষনে সমস্যা দাড়ায় তাফছীর সমূহ নিয়ে। কারণ তাফছীর কারকের ব্যাক্তি অনেক ধারনা, অনুভব, অভীব্যাক্তি বা মত সেখানে উপস্থিত।

হাদীস সংকলেন নিয়েতো কথাই নেই। লক্ষ কোটি বিভেদের পর ৬ টি ছেটে কেটে রাখা হয়েছে যাতেও আছে অনেক ওজর আপত্তি।

এইবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। রাসূল সা: কে স্বপ্নে দেখা এক চরম ও পরম সৌভাগ্য । এবং এও জানি শয়তার কখনোই রাসূল সা: এর পরিচয় ধারন করতে পারে না।

চলুনতো এই পথে কোন সমাধান মেলে কিনা?

কথিত কোটি কোটি মুসলমান হাজার বছর ধরে প্রাণহীন ইবাদাত আচার সর্বস্ব আহকাম পালন করছে বলেই না ইসলামের আজ এত অধোগতি!!
বুকে হাত দিয়ে বলুনতো আপনার মোনাজাত আর জীবনাচারে ন্যায় নিষ্ঠতা কতটুকু। তবে কেন বিজয় আসে না? তবে কেন লাঞ্চনা আর অপবাদে ইসলাম জর্জরিত???

কারণ মুক্তির মূল সোপান রেখে বাক্য আর কথার, স্বার্থ আর মোহের মাঝে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় অজ্ঞানতায় বা মূর্খতায় ডুবে আছে। যে চারিপ্রকারে মৌলিক সত্যের উদ্বোধন তাকে খন্ড বিখন্ড করে সকলেই শক্তিহীন, নির্জীব, দুর্বল হয়ে মূল কাজ রেখে পরস্পরকে আক্রমনে ব্যাস্ত।
সেই সমস্য থেকে মুক্তি পেতে হায়াতুল মুরসালীন নবী, আউয়াল ইয়া আখের নবী, ণূরে মুজাস্সাম, জগতের আলো ..লাকাদ জা আকুম রাসূলুম মিন আনফূছিকুম রাসূল ..তাঁর সন্দানে ব্রত করি। এত কিছূ অর্জন করতে পারছি.. তাঁর সাক্ষাতের জন্য ভূরি ভূরি হাদীস থেকে যে কোন একটাই অনুসরন করি... তাঁর পবিত্র সাক্ষাতে জেনে নিই আসল সত্য কোনটি? ..

তবেই বোধকরি আমরা সকল দ্বিধা আর শংকা মুক্ত হয়ে সত্যালোকে আলোকিত হয়ে মূল সত্য পথের সন্ধানে সক্ষম হব।
রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই শক্তি এনায়েত করুন।



২৮| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৩২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ আবদুল্লাহ আরিফ মুসলিম এবং ভীরু ভাই...আপনাদের প্রশ্ন অনুসন্ধিৎসা সবই পড়লাম। লেখক মহোদয় কোন কারণে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত রইছেন।

=> উনি বিরত থাকছেন কারণ উনার কোন উত্তর নাই। উত্তর থাকারও কথা না। কারণ উনি করেন তাকলিদ (অন্ধ অনুকরণ), অনুমান। উনি কিতাবের অনুসরণ করেন না। অথচ

সূরা আরাফ-৩> ইত্তাবিউ মা উনজিলা ইলাইকা, ওয়ালা তাত্তাবিউ মিন দুনিহি আউলিয়া।
অর্থ্যাৎ অনুসরণ করো যা তোমার প্রতি নাজিল হয়েছে (কোরআন ও সহীহ হাদিস) এবং অনুসরণ করো না আউলিয়াদের।

(এখানে আউলিয়ার তাফছীর করা হয়েছে পোরহিত, আলেম, বুজুর্গ ইত্যাদি টাইপের লোকদের)
--------------------------------------------------------------------

আরিফ এবং ভীরু ভাইকে বলছি-আপনারা আপনাদের কথায় কথায় কোরআন এবং হাদীসকে টেনে আনছেন। এটা ভাল। সকল কিছূর সমাধান একমাত্র কোরআনেই আছে। না বুঝদের জন্য হাদীস, ইজমা এবং কিয়াস।

=> আমরা "কথায় কথায়" কোরআন আনব। কারণ এখানে একটা ঝামেলা হইছে। আমরা মুসলিম রা নিম্নোক্ত আয়াতের অনুসরণ করে সেটা আল্লাহর কোরআন এর দিয়ে বিচার করছি।

সূরা নিসা-৫৯> হে ঈমানদারগণ। আল্লাহর আনুগত্য কর, আল্লাহর রাসুল এর আনুগত্য এবং আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যকার নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের। """(তারপরও) যদি কোন বিবাদে লিপ্ত হও, সেটা ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ও তার রাসুলের (কোরআন ও হাদিস এর) দিকে যদি তোমরা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস করে থাক""। এটাই কল্যানকর ও পরিণতির দিক থেকে উত্তম।

"যদি তোমরা আল্লাহ ও কিয়ামত দিবসে বিশ্বাস করে থাক": শর্ত হিসেবে দেওয়া হইছে।
আপনি বললেন "সকল কিছূর সমাধান একমাত্র কোরআনেই আছে" তাহলে কোরআন দিয়েই যাচাই করি।
--------------------------------------------------------------------
আপনি বললেন,
এখন কোরআন কি? ঐশি বাণী। মহান রাসূল সা: এর নিকট জিব্রিল আ: মরফত অবতীর্ন। কোথায় অবতীর্ন হয়? হেরা পর্বতের গুহায়। গুহায় কেন?

=> গুহায় কেন সেটা আল্লাহর রাসুল কে জিজ্ঞেস করলেই ভালো হতো। যাহোক রাসুল সাঃ এর উপর প্রথমদিকে স্বপ্নের মাধ্যমে ওহী নাজিল হতো। স্বপ্নে উনি যা দেখতেন তাই বাস্তবে সত্যি হয়ে যেত। এর পর থেকেই তিনি নির্জনতা প্রিয় হতে শুরু করলেন। এগুলো আল্লাহ তার নবী কে নবুওয়াত এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার জন্য গড়ে তোলার জন্যই করেছেন। যেমন করে ১০-২০ বয়সে নবুওয়াত না দিয়ে ৪০ বছরে তাকে নবুওয়াত দিয়েছেন তাকে পূর্ণভাবে গড়ে তুলে। তার মানে এই না যে আল্লাহর রাসুল তার সাহাবাদের বলছেন তোমরা মোরাকাবা কর, পাহাড়ে গিয়ে ধ্যানমগ্ন হও কিংবা বাসা বাড়িতে ধ্যানমগ্ন হও। এভাবে স্রষ্টাকে পাওয়ার কথা আল্লাহর রাসুল কখনো বলেন নাই। তিনি বলছেন তাসবীহ তাহলীল করতে কোরআন পড়তে। ধ্যানমগ্ন হয়ে আল্লাহর দীদার লাভের কথা বলেন নাই। এ ব্যাপারে আল্লাহ ই এ ব্যাপারে ভালো জানেন।
--------------------------------------------------------------------

আপনারা বারবার বলছেন তাসাউছ, বা মা'রেফত অর্থহীন। এটাকে কি জ্ঞানারে অজ্ঞানতা বলব না না জানা বলব?

=> তাসাউফ কি আল্লাহর কোরআন ও রাসুল সাঃ এর হাদিস দ্বারা স্বীকৃত? রাসুল সাঃ কি বলছেন তাসাউফ কর? নাকি আপনারা নিজেরা একটা নতুন সিস্টেম তৈরী করছেন?
--------------------------------------------------------------------

রাসূল সা: জীবনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতে যে সাধনা করেছেন তাকে কি বলে?

=> রাসূল সা: জীবনের সুদীর্ঘ ১৫ বছর হেরা পর্বতে সাধনা করেছেন। ভালো কথা। কিন্তু আল্লাহর রাসুল সাঃ কি তার সাহাবাদের এমনটি করতে বলছেন কখনো? কখনো কি পাহাড়ে ধ্যানমগ্ন হতে বলছেন? নাকি আপনারাও নবুওয়্যাত পাওয়ার আশা করছেন? নাকি নিজেরা অনুমান করে নিয়েছেন যে রাসুল সাঃ যেহেতু হেরা পর্বতে বসে নবুওয়্যাত পেয়েছেন আমরাও সেরকম একটা জিনিস পাব? আল্লাহই ভালো জানেন।
--------------------------------------------------------------------

শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত, মারেফত চারটা শাখা মিলেই পূর্ন জীবন। তাই কোনটাকে বাদ বা অনাবশ্যক বলা যাবে না। তবে কেউ কেউ অনুসরনে বা জীবন যাপনে হয়তো কোনটাকে অধিক গুরুত্বদিয়ে অন্যটা বাহ্যত কম গুনরুত্বদিচ্ছে বলে মনে হয়, সেই ক্ষেত্রে তা ঐ ব্যাক্তির ব্যক্তিক আমল হিসেবেই বিবেচিত হবে।

=> ভাই কি নতুন ভাবে ফতোয়া দিচ্ছেন। শরীয়ত, তরিকত, হাকিকত, মারেফত চারটা শাখা মিলেই পূর্ন জীবন। এ রকম কথা (চারটা শাখা) আল্লাহ ও তার রাসুলই নির্দিষ্ট করে বলতে পারেন। মুমিনের জীবন ইসলামের ৫টা রুকন এর উপর প্রতিষ্ঠিত। কালেমা, সালাত, সাওম, হজ্ব, যাকাত।

মুসলিমদের শরীয়ত হলো কোরআন ও সুন্নাহ।

আমাদের তরীকত হলো আমরা মুসলিমরা নবীর তরীকা অনুযায়ী চলি। নবীজি সাঃ ঈদে মিলাদুন্নবী করেন নাই আমরা তার তরীকায় থেকে তা করি না। নবীজি সাঃ সালাতের পর সম্মিলিত ভাবে মুনাজাত করেন নাই। আমরাও তার তরীকার অনুসরণ করে তা করি না।

আর মারেফাত মানে আল্লাহর পরিচয়। আর আল্লাহর পরিচয় জানতে হলে কোরআন থেকে উত্তম গ্রন্থ আর কোনটা আছে। সূরা বাকারাহ-২৫৫, সূরা লুকমান-৩৪, সূরা ইখলাস-১-৪, সূরা মুজাদালাহ-৬-৭, সূরা নাবা-৩৯ সহ অসংখ্য আয়াতে আল্লাহর মারেফাত উল্লেখ করা আছে।

এগুলো বাদ দিয়ে ধ্যান করে মোরাকাবা করে যে আল্লাহর পরিচয় বা মারেফাত লাভ করতে চায় তার পাগলের ডাক্তার দেখানো দরকার।
--------------------------------------------------------------------

২৯| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১১ রাত ৮:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء قَلِيلاً مَّا تَذَكَّرُونَ

03তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না।

ইউসুফ আলীর অনুবাদ থেকে কোটকৃত।

আপনার দেয়া অর্থ আর এই অর্থকে একটু গভীরভাবে পর্যালোচনা করুন।

এখানেই দেখূন কত সুন্দর ভাবে অনুবাদে আপনি হয় না জানা থেকে কিংবা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অনুবাদ টেম্পারিং করেছেন!!!

আপনার দেয়া অর্থটাতে আরও বিষমাবস্থা দেখূন....
"অর্থ্যাৎ অনুসরণ করো যা তোমার প্রতি নাজিল হয়েছে (কোরআন ও সহীহ হাদিস) এবং অনুসরণ করো না আউলিয়াদের।"

অনুসরন কর যা তোমার প্রতি নাজিল হয়েছে.. এরপর আপনি ব্রাকেটে লিখলেন কোরআন ও সহীহ হাদীস!!!!!
কোরআন নাজিল হয়েছে জানি। চিরন্তন সত্য। কিন্তু হাদীস আবার নাজিল হল কোথায়? হাদীসতো মহানবী সা: এর জীবন কর্ম, বাক্য অনুমোদন ইত্যাদি। এখানে নাজেলের সাথে এটি কি আপনি ইচ্ছামত মন মত সংযোগের অধিকার রাখেন???

তারপর বলছেন আউলীয়াদের কথা যা স্পষ্টত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ আউলিয়া একটা সম্মানীত গোত্র হিসেবেই গণ্য। অথচ ইউসুফ আলী তাঁর অনুবাদে বলছেন..অন্য সাথীদের...কথা। মূল আরভীতে ভাল করে ভাবুন.. কি বলতে চাইছে..
তাত্তাবিউনি মিন দুনিহী আউলীয়া...

যে তোমরা আল্লাহর সংগী সাথীদের বাদ দিয়ে ভোগবাদী দুনিয়াবি, গায়রুল্লাহর সাথীদের সাথে চলবে না। দেখূনতো ..এটি সামঞ্জস্যপূর্নও বটে। দেখূন কি পূর্ণতায় উদ্ভাসীত হয় বিষয়টি।

অথচ উপস্থাপনা এবং কোন উদ্দেশ্যহাসীলের জণ্য তা কতটা ভিন্নরুপ ধারন করে!!!!
===============

এতো কোরআন। অনেক উদ্ধের জিনিষ।

আসুনতো অন্য একটা বিষয়ে দেখী..

নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটা নিশ্চয়ই পড়েছেন।

-- আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে একে দেব পদচিন্হ।

তার অসংখ্য লাইনের একটা লাইন। এর ব্যাখ্যাটা দয়া করে জানাবেন?

===========

এর উত্তর পেলে বাকী বিষয় নিয়ে বিস্তর আলাপের আশা আছে মনে। যদি উত্তেজিত না হন। আলোচনার ভাব বজায় থাকে।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৩০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৪:১২

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আপনি বললেন - অনুসরন কর যা তোমার প্রতি নাজিল হয়েছে.. এরপর আপনি ব্রাকেটে লিখলেন কোরআন ও সহীহ হাদীস!!!!! কোরআন নাজিল হয়েছে জানি। চিরন্তন সত্য। কিন্তু হাদীস আবার নাজিল হল কোথায়? এখানে নাজেলের সাথে এটি কি আপনি ইচ্ছামত মন মত সংযোগের অধিকার রাখেন???

=> আমরা যে সালাত পড়ি সেটা রাসুল সাঃ তিনি নিজেই কিভাবে শিখলেন? কারণ জিব্রাইল আঃ আল্লাহ থেকে আদেশপ্রাপ্ত হয়ে তিনি নিজে রাসুল সাঃ কে ইমামতি করে দেখিয়েছেন। রাসুল সাঃ আমাদের শিখিয়েছেন। সালাত কয় রাকাত এবং কিভাবে পাঠ করতে হবে সেটা রাসুল সাঃ আল্লাহ থেকে জিব্রাইল আঃ মারফত শিখছেন। ওহী হলো দুপ্রকার। একটা লিখিত অন্যটা অলিখিত। লিখিতটা কোরআন আর অলিখিতটা সহীত সুন্নাহ বা হাদিস।

কোরআনে
সূরা নাজম-৫৩: ৩>وَمَا يَنطِقُ عَنِ الْهَوَى তিনি কোন মনগড়া কথা বলেন না।

রাসুল সাঃ যাই বলতেন তা আল্লাহ থেকে আদেশ প্রাপ্ত হয়েই বলতেন। তাই হাদিসও ওহী এবং এটাও নাজিল হয়েছে বিভিন্ন প্রয়োজনে।
-------------------------------------------------------------------

তারপর বলছেন আউলীয়াদের কথা যা স্পষ্টত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ আউলিয়া একটা সম্মানীত গোত্র হিসেবেই গণ্য।

=> অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোরআনে যেই আউলিয়ার কথা বলা হইছে আপনারা সেই আউলিয়াকে মানছেন না। আউলিয়া হিসেবে মানছেন পেটমোটা সেই সব হুজুরদের যারা অন্যায়ভাবে নজরানা হিসেবে আদায় করে সাধারণ মানুষের নিকট থেকে অর্থ অন্যায় ভাবে। যাদের নিজেদের আধ্যাত্বিক ক্ষমতার অধিকারী বলে প্রকাশ করে। যারা বলে যে তারা গায়েব জানে। তাদের মুরীদ হলে জান্নাত পাওয়া যাবে। আউলিয়ারা একটি সম্মানিত গোত্র। ১০০% একমত। সূরা নিসার ৭৫ নং আয়াত অনুযায়ী মুজাহিদগণ আউলিয়া। অবশ্যই মুসলিম মুজাহিদগণ সম্মানিত গোত্র।

------------------------------------------------------------------

অথচ ইউসুফ আলী তাঁর অনুবাদে বলছেন..অন্য সাথীদের...কথা। মূল আরভীতে ভাল করে ভাবুন.. কি বলতে চাইছে..
তাত্তাবিউনি মিন দুনিহী আউলীয়া...

=> আউলিয়া মানে সাথী, বন্ধু, অভিভাবক, উপদেষ্টা, পথনির্দেশক ইত্যাদি। এখানে ইউসুফ আলী বলেছেন অন্য সাথী। কিন্তু মূল আরবী শব্দ আছে আউলিয়া। এই আয়াতের তাফসীর পড়েন। দেখবেন পীর পোরহিত টাইপের লোকদের কথাই বলা হইছে।
--------------------------------------------------------------------


আসুনতো অন্য একটা বিষয়ে দেখী..
নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতাটা নিশ্চয়ই পড়েছেন।
-- আমি বিদ্রোহী ভৃগু ভগবান বুকে একে দেব পদচিন্হ।
তার অসংখ্য লাইনের একটা লাইন। এর ব্যাখ্যাটা দয়া করে জানাবেন?

=> এটার ব্যাখ্যা আমার জানা নাই। তবে কবিদের ব্যাপারে কোরআন কি বলছে সেটা জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে সূরা শোয়ারা-২২৪ নং আয়াত। অবশ্যই তাফসীর সহ।

সূরা শোয়ারা-২২৪-২২৫-২২৬> বিভ্রান্ত লোকরাই কবিদের অনুসরণ করে। তুমি কি দেখ না যে তারা প্রতি ময়দানে উদভ্রান্ত হয়ে ফিরে এবং এমন কথা বলে যা নিজেরা করে না।

আমিতো কবিদের ঘৃনা করি। রাসুল সাঃ ও ঘৃনা করতেন।
--------------------------------------------------------------------

ইনশাল্লাহ আমি উত্তেজিত হবো না। আপনি কথা চালিয়ে যান।

জাজাকাল্লাহ।

৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৪:৩৬

বোরহান উদদীন বলেছেন: উপযুক্ত পীরের লক্ষণ

(১) যিনি কামেল মোকাম্মেল পীর হবেন, হাদিস, তফছির, ফিকাহ ইত্যাদিতে তাহার জ্ঞান থাকিবে। কমপক্ষে শরীয়তের বিধান সমূহ ভাল রুপে জানা থাকিবে।

(২ )শরীয়তের আদেশ নিষেধ পালন ও তদনুযায়ী কাজ করিবেন। শরীয়ত বিরুদ্দ কাজ হইতে দূরে থাকিবেন। খোদাকে ভয়কারি লোক ও পরহেজগার হইবেন।

(৩) কামেল বা মোকাম্মেল পীরের ভিতর এই তিনটি গুন থাকা একান্ত অবশ্যক - পীরের নিকট হতে ছবক সমূহ আয়ত্ত করা, ফায়েজ হাছিল করা ও মুরিদ দিগকে ফায়েজ পোঁছানোর ক্ষমতা থাকা।

(৪) যিনি কামের হইবেন তিনি লোভ শুন্য হইবেন। কেননা লোভী ব্যক্তি কখনো ফকির হইতে পারেন না।

(৫) কত্তলুল জামিল কিতাবে আছে, কামেল পীর হলে বার মাস রোজা রাখিতে হইবে, স্ত্রি হইতে দূরে থাকিতে হইবে, খানা খাইবেনা ও জঙ্গলবাসী হইতে হইবে এই সব শর্ত নহে।

(৬) রসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানায় যেমন অজদ, গোলবা, ছকুর ও বেখুদী ইত্যাদি নানা প্রকার জজবা ছিল, কামেল পীরের মুরিদানের মধ্যেও রসুলুল্লাহ (দঃ) এর জামানার ন্যায় মাঝে মাঝে দুই এক জনের ঐ হালাত হইবে। কেন না আওলিয়াগন রসুলুল্লাহ (দঃ) এর গুন পাইয়া থাকেন।

*এহহিয়া উলুমদ্দিন কিতাবের দ্বিতীয় খণ্ডে অজদের বয়ানে দেখুল যে আছহাবগনের কি রুপ অজদ হইয়া ছিল। এই জমানার মমেনগনের তাহাদের চেয়ে ছবুরের শক্তি শত শত গুন কম মানে (আত্মার শক্তি কম থাকার কারনে ফায়েজের ও এশকের তেজ ধৈর্য ধারন করার শক্তি কম।) কাজেই এ জামানার জেকেরকারিগনের তাহাদের ছেয়ে শত শত গুণে বেশী বেকারর মানে অস্তির হওয়ার কথা।

X( ভন্ডপীর চিনার উপায় X(

বর্তমান সময়ে ভন্ডপীর হইতে রক্ষা পাওয়া বড়ই কঠিন হইয়া দাঁড়াইয়াছে। কারন এক দল নামদারি পীর আছে, যাহারা আমেল সিফলি আম্লিয়াতের সাহায্যে জিন পরী আবদ্ব করিয়া উহার সাহায্যে কাশফ, বা কেরামত ও বিভিন্ন আলোকিক ক্ষমতা ও বুজরগি দেখাইয়া লোকদিগকে বাধ্য করিয়া থাকে, এবং রোগ ব্যাধির জার-ফুক করিয়া জনসাধারনের নিকট(অশিক্ষিত মূর্খ লোকের) পীর সাজিয়া রুজির পথ করিয়া থাকে। আর বলিয়া বেড়ায় রোজা নামাজ কিছু না, এই সকল ইবাদত কোন অবশ্যক নাই, আমার নিকট মুরিদ হইলে এইসব ইবাদত করা লাগবেনা। এবং এই সম্বন্দে নানা প্রকার কুতর্ক করিয়া থাকে। ইবাদতের দায় হইতে রক্ষা পাওয়া যাবে ভাবিয়া অনেক অশিক্ষিত লোক তাহাদের মুরিদ হইয়া থাকে। কেবল গান বাদ্যই তাহাদের ইবাদত ধারনা করে থাকে।
বেশরিয়া লোক দিগকে কখনো কামেল বলিয়া বিশ্বাস করিতে নাই। তীর যেমন ধুনুক হইতে ভাগে , তাহাদের হইতে ও এইরুপ ভাগা একান্ত অবশ্যক। কিতাবে আছে কেহ যদি বাতাসের উপর দিয়া ও উড়িয়া যায়, অগ্নির ভিতর ও বসিয়া থাকে বা পানির উপর দিয়া ও হাঁটিয়া যায় আর যদি সর্বদা শরীয়তের খেলাফ কাজ করে তবুও তাকে বিশ্বাস করিও না।

৩২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

রুপসী2012 বলেছেন: বাহ!দুপক্ষের তর্কের কারণে অনেক কিছু জানা হলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.