নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপছন্দঃ গদ্যসম মুক্তছন্দ কবিতা।

গুপী গায়েন

সোনার ফসল ফলায় যে তার, দুই বেলা জোটে না আহার। হীরের খনির মজুর হয়েও কানা-কড়ি নাই, ও ভাই রে... [email protected] http://aboutmusicss.blogspot.com/

গুপী গায়েন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় আয়শা (রাঃ) র বয়স ৬ বছর ছিল এটা এক বিরাট ঐতিহাসিক ভ্রান্তি।

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৩০

গত ২১ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর একটা আর্টিকেলের ওপরে পোস্ট দিয়েছিলাম । ইয়েমেনে কচি শিশুদের বিয়ে নিয়ে। তাতে কেউ কেউ এ ঘটনার জন্য মহানবী (সাঃ) ও ইসলাম ধর্মকে দায়ী করেছেন। দেখে মনে হলো এবিষয়ে একটু অনুসন্ধান করি।



রাসুল (সাঃ) এর সম্বন্ধে বলা হয় তিনি হযরত আয়েশা (রাঃ) কে আয়েশার ৬ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। অথচ আমি অনুসন্ধান করে দেখতে পেলাম রাসূল (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় হযরত আয়শা (রাঃ) র বয়স মাত্র ৬ বছর ছিল এটা মস্তবড় এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি।



সহীহ বুখারী, মুসলিম সহ অনেক হাদীস গ্রন্থে হযরত আয়েশা (রাঃ) র বয়স নিয়ে যে রেফারেন্স এসেছে তা হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ কর্তক বর্নিত একটি হাদিসেরই উৎস এবং এটা সম্বন্ধে সংশয় প্রকাশ করবার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে।



তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো হাদীসের কোন বিষয়বা রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা। কাজেই বিবাহযোগ্য বয়সের বিষয়ে আল কোরআনের যে নির্দেশ, এই ঘটনা তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাহলে? উত্তর একটাই, এই হাদীসটা সঠিক নয়, সঠিক হতেই পারেনা।



যা হোক, এবারে আসি ঐতিহাসিক সত্যগুলো নিয়েঃ



রাসুল (সাঃ) এর সাথে আয়েশা (রাঃ) র বিয়ে হয় ৩য় হিজরী সনের সাওয়াল মাসে যা ইংরেজী ৬২৩-৬২৪ সাল।



যদিও বলা হয় হযরত আয়েশা (রাঃ)র জন্ম ৬১৪ খৃষ্টাব্দে কিন্তু সহীহ বুখারীতে এসেছে আল কোরআনের ৫৪ তম অধ্যায় নাজিল কালে আয়েশা (রাঃ) একজন কিশোরী (Jariyah) বয়স্কা ছিলেন। উল্লেখ্য ৫৪তম উক্ত অধ্যায় নাযিল হয় ৬১২ খৃষ্টাব্দের দিকে। সে হিসাবে হযরত আয়েশার বয়স তখন ১০ বছর হলেও ৬২৩-৬২৪ খৃষ্টাব্দ সালে তাঁর বয়স কোনভাবেই ২০ বছরের নিচে নয়।



(Sahih Bukhari, kitabu'l-tafsir, Arabic, Bab Qaulihi Bal al-sa`atu Maw`iduhum wa'l-sa`atu adha' wa amarr)



অধিকাংশ বর্ণনাকারির মতে হযরত আয়েশা (রাঃ) বদরের যুদ্ধ (৬২৪ খৃষ্টাব্দে) ও ওহুদের যুদ্ধে (৬২৫ খৃষ্টাব্দে) অংশগ্রহন করেছেন। উল্লেখ্য যে রাসুল (সাঃ) এর বাহিনীতে ১৫ বছর এর কম বয়স্ক কেউ গ্রহনযোগ্য ছিলনা এবং তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। সুতরাং সেসময় যে হযরত আয়েশার বয়স ৬ বা ৯ ছিলনা তা বলাই বাহুল্য।



A narrative regarding Ayesha's participation in the battle of `Uhud is given in Bukhari, (Kitabu'l-jihad wa'l-siyar, Arabic, Bab Ghazwi'l-nisa' wa qitalihinna ma`a'lrijal; that all boys under 15 were sent back is given in Bukhari, Kitabu'l-maghazi, Bab ghazwati'l-khandaq wa hiya'l-ahza'b, Arabic).



অধিকাংশ ইতিহাসবিদ মতে হযরত আয়েশার বোন আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। ইতিহাস থেকে জানা যায় আসমা ৭৩ হিজরী সনে যখন মৃত্যুবরণ করেন তাঁর বয়স ছিল ১০০ বছর। সে হিসাবে ১লা হিজরীতে তাঁর বয়স হয় ২৭ বছর। তাহলে সে হিসেবে হযরত আয়েশার বয়স যে তখন ১৭ র কম ছিলনা তা বোঝা যায়। তাহলে ৬২৩-৬২৪ খৃষ্টাব্দ তাঁর বয়স ১৮/১৯ বছর।

(For Asma being 10 years older than Ayesha, see A`la'ma'l-nubala', Al-Zahabi, Vol 2, Pg 289, Arabic, Mu'assasatu'l-risalah, Beirut, 1992. Ibn Kathir confirms this fact, [Asma] was elder to her sister [Ayesha] by ten years" (Al-Bidayah wa'l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 371, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). For Asma being 100 years old, see Al-Bidayah wa'l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 372, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933). Ibn Hajar al-Asqalani also has the same information: "She [Asma (ra)] lived a hundred years and died in 73 or 74 AH." Taqribu'l-tehzib, Ibn Hajar Al-Asqalani, Pg 654, Arabic, Bab fi'l-nisa', al-harfu'l-alif, Lucknow).



প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল তাবারী র বই থেকে পাওয়া যায় হযরত আবু বকর (রাঃ) র চার সন্তান ছিলেন যাঁরা সকলেই ইসলামপূর্ব যুগে জন্মগ্রহন করেন। (ইসলামপূর্ব যুগ ৬১০ খৃষ্টাব্দ শেষ হয়)। তাহলে নিশ্চয়ই হযরত আয়েশা (রাঃ) র জন্ম ৬১০ খৃষ্টাব্দ এর পূর্বে। সে হিসাবেও তিনি বিবাহের সময় ৬/৯ বছর বয়স্কা ছিলেন না।



Tarikhu'l-umam wa'l-mamlu'k, Al-Tabari, Vol 4, Pg 50, Arabic, Dara'l-fikr, Beirut, 1979).



আরেক প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ইবনে হাইসাম থেকে জানা যায় হযরত আয়েশা (রাঃ) হযরত উমর ইবন আল খাত্তাব (রাঃ) এর বেশ আগে ইসলাম গ্রহন করেন। (উমর ইবন আল খাত্তাব (রাঃ) ৬১৬ খৃষ্টাব্দে ইসলাম গ্রহন করেন)। আবার হযরত আবু বকর (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করেন ৬১০ খৃষ্টাব্দে। সুতরাং হযরত আয়েশা (রাঃ) ও ৬১০ এর কাছাকাছি সময়েই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। তার অর্থ আবারো দাঁড়ায় যে তিনি ৬১০ খৃষ্টাব্দের আগেই জন্মগ্রহন করেছিলেন এবং কোন ধর্ম গ্রহন করবার নূন্যতম বয়স (৬/৭ হলেও) তাঁর ছিল। তাহলে ৬২৩-৬২৪ সালে তার বয়স প্রায় ১৮-২০ হয়।

(Al-Sirah al-Nabawiyyah, Ibn Hisham, vol 1, Pg 227 – 234 and 295, Arabic, Maktabah al-Riyadh al-hadithah, Al-Riyadh)



হাম্বলি মাযহাবের ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল তাঁর মুসনাদ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন বিবি খাদিযাহ (রাঃ) র মৃত্যুর পরে (৬২০ খৃষ্টাব্দ) হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য খাউলাহ নামের একজন ২টা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন। যার মধ্যে হযরত আয়েশার (রাঃ) র কথা উল্লেখ করবার সময় একজন পূর্ণবয়স্ক যুবতী হিসেবেই উল্লেখ করেন কোন ছোট্ট শিশু হিসেবে নয়।



(Musnad, Ahmad ibn Hanbal, Vol 6, Pg 210, Arabic, Dar Ihya al-turath al-`arabi, Beirut).



আবার ইবনে হাযর আল আসকালানি র মতে হযরত ফাতেমা (রাঃ) আয়েশা (রাঃ) র থেকে ৫ বছর বড় ছিলেন। আর ফাতেম (রাঃ) র জন্মের সময় রাসুল (সাঃ) এর বয়স ছিল ৩৫ বছর। সে হিসেবে আয়েষা (রাঃ) র জন্মের সময় মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স ৪০ হবার কথা। আর তাঁদের বিয়ের সময় আয়েশা (রাঃ) ৬/৯ না বরং ১৪-১৫ বছর বয়স হবার কথা।



(Al-isabah fi tamyizi'l-sahabah, Ibn Hajar al-Asqalani, Vol 4, Pg 377, Arabic, Maktabatu'l-Riyadh al-haditha, al-Riyadh,1978)



ওপরের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলো হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় যে ৬/৯ বছরের শিশু ছিলেননা সেটাই দেখানো। আর কোন হাদীস যদি আল কোরআনের নির্দেশনার সাথে অসামন্জস্যপূর্ণ হয় তাহলে নিশ্চিতভাবেই সেই হাদীসের ওপর ভরসা রাখা যুক্তিযুক্ত না। তা সে বুখারী মুসলিম বা সমস্ত সিহাহ সিত্তাহতেই থাকুকনা কেন। আর এই বৈপরিত্য ধরবার জন্য নিজেদের বিবেককেও ব্যাবহার করা উচিত সকল মুসলমানের।



খোদ আল কোরআনেও যেখানে বিবাহ যোগ্য বয়সের বিষয়ে প্রাপ্তবয়সকে ইঙ্গিত করা হয়েছে সেখানে মহানবী (সাঃ) নিজে কিভাবে তার বিপরীতে যেতে পারেন?

--------------------------



আশা করি যুক্তি সংগত বিপরীত প্রমান উপস্থাপন না করে অযথা এই বিষয়ে কেউ কটু কথা বলবেন না। আমি কোন বিরোধ সৃষ্টির জন্য এই পোস্ট দেই নাই। স্রেফ আমার অনুসন্ধানটা নিজের মতো করে জানালাম। মতের বৈপরিত্য থাকতেই পারে। তাই বলে দয়া করে কেউ অনর্থক গালিগালাজ করবেন না। আমি সকল ব্লগারের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রাখি। আশা করি আপনারাও তার প্রতিদান দেবেন।

মন্তব্য ২৪৯ টি রেটিং +১১৮/-০

মন্তব্য (২৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৪৬

যোগিনী বলেছেন: প্রিয়তে

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

আগামি বলেছেন: ঘবেষণাধর্মী পোস্ট।+++

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫১

শাহ আলম৬৭ বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত, কারন আমিও আয়েশার (রাঃ) শিশু বয়সে বিয়ের কথাটা মানতে পারিনা, যা নবীর সাথে মেলেই না। ধন্যবাদ

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৬

গুপী গায়েন বলেছেন: আসলেই। এই বিষয়টা নিয়ে আমিও দ্বিধান্বিত ছিলাম। এখন অনেক ভারমুক্ত বোধ করছি।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:৫৩

দুরের পাখি বলেছেন: হা হা হা । আল কোরানে বিবাহযোগ্য বয়সের কি নির্দেশ ?

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২১

গুপী গায়েন বলেছেন: দুরের পাখি। আপনি আমার অনেক পছন্দের একজন ব্লগার। আর আমার পোস্টগুলো দেখলে বুঝবেন আমি কতো উদারপন্থি একজন।

সূরা নিসা-
(০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।

এর অর্থ একটাই, অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ বিবাহযোগ্য না যেটা ইয়েমেনের ঐ ঘটনায় পেলাম ও ব্যাথিত হলাম।

৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০২

ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: আপনারে নো-বেইল পুরষ্কারের জন্য মনোনীত করা হইল। তবে এই পুরষ্কার পাইতে চাইলে জলদি আমার মোবাইলে ৯৯৯৯/= ফ্লেক্সি করেন। :P :P পুরষ্কার পাওয়ার আগে কারও সাথে এইডা নিয়া আলাপ কইরেন না। =p~ =p~ =p~ =p~

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

গুপী গায়েন বলেছেন: নো-বেইল প্রাইজের লাইগা ফ্লেক্সি কর্মু। এখন টাইম নাই, ট্যাকাও নাই। /:) /:)

৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৪

কালোপরী বলেছেন: প্রিয়তে

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৩

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৭

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: সোজা প্রিয়তে ;)

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩০

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। ব্যস্ত ছিলাম এতক্ষন। :)

৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১০

তানভীরসজিব বলেছেন: ৮ নং ভালো লাগা। ধন্যবাদ ।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৩

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৪

পারভেজ আলম বলেছেন: হু। এই যুক্তিগুলা আগে পড়েছিলাম, ব্লগেই এই নিয়া আগের পোস্ট আছে। মনে হচ্ছে একেবারে এই পোস্ট বা এর অংশবিশেষ আগে পড়েছিলাম। আপনিই কি দিয়েছিলেন? অন্য কারো কাছ থেকে নিলে সোর্স উল্লেখ করা উচিত।

যাই হোক, ইসলামী ইতিহাসের অন্যতম সোর্স হলো হাদিস, সেইসাথে ইসলামী শরীয়ারও বটে। ঘটনা হচ্ছে যে যেইসব হাদিসে আয়েশার বয়স পাওয়া যায় সেগুলাতে ৬/৯ই উল্লেখ করা হয়েছে। আর এর বিপরিতে যেই যুক্তিগুলা আছে তা আপনি এইখানে উল্লেখ করেছেন। এখন কথা হচ্ছে যে আপনি কোনটা মানবেন এইটা হলো প্রশ্ন। আয়েশার বয়স বিয়ের সময় ৬ না হয়ে ১৮ হলে এখনকার মুসলমানদের জন্য তা গ্রহণ করা সুবিধাজনক বেশি। তবে এই সুবিধাবোধ করা সত্য উদ্ঘাটনে কোন ভুমিকা রাখবেনা। হাদিস গ্রন্থগুলোতে স্ববিরোধীতা, ভুল এবং অবৈজ্ঞানিক তথ্যের অভাব নাই। এই অবস্থায় কোন হাদিসগুলা আপনারা গ্রহণ করবেন, কোনটা গ্রহণ করবেন না, অথবা গোটা হাদিস শাস্ত্রগুলাকেই বাদ দেবেন কিনা, এই স্বিদ্ধান্ত কিন্তু আপনাদের অবশ্যই নিতে হবে। যেইটা সুবিধাজনক মনে হয় তা গ্রহন করা এবং যেইটা সমস্যা মনে হয় তা বাদ দেয়া কিন্তু সঠিক পদ্ধতি হতে পারেনা।

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ আলম ভাই। আগেই বলেছি, আমি গোঁড়া মুসলিম না, আর এই ব্লগে আমার অবস্থান জানতে হলে আমার আগের কিছু পোস্ট ও দেখবেন আশা করি।

হ্যাঁ, আমার মত হলো সকল হাদিসই যে বিশুদ্ধ হে তা নয় এবং যেসব হাদিসের বক্তব্য আল কোরআনের মূল ভাবের সাথে সাংঘর্ষিক তা গ্রহনযোগ্য নয়। কারক হাদিস হলো কোরানের ব্যাখ্যা স্বরুপ এবং ব্যাখ্যাকে অবশ্য্যই মূলভাবের সাথে সঙ্গত করতেই হবে ( গানের মানুষ তাই সঙ্গত টার্মটা ইউজ করলাম)।

১০| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

পারভেজ আলম বলেছেন: ভাল কথা, বিয়ের বয়স বিষয়ে কোরআনে কি আছে সেটাতো বললেন না।

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৯

গুপী গায়েন বলেছেন: সূরা নিসা-
(০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।

এর অর্থ একটাই, অপ্রাপ্তবয়স্ক কেউ বিবাহযোগ্য না ।

১১| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৫

দুরের পাখি বলেছেন: আয়েশার নিজের বর্ণনাতেও বিয়ের কথা এবং বিয়ের বয়সের কথা এসেছে ।

Volume 5, Book 58, Number 234:

Narrated Aisha:

The Prophet engaged me when I was a girl of six (years). We went to Medina and stayed at the home of Bani-al-Harith bin Khazraj. Then I got ill and my hair fell down. Later on my hair grew (again) and my mother, Um Ruman, came to me while I was playing in a swing with some of my girl friends. She called me, and I went to her, not knowing what she wanted to do to me. She caught me by the hand and made me stand at the door of the house. I was breathless then, and when my breathing became Allright, she took some water and rubbed my face and head with it. Then she took me into the house. There in the house I saw some Ansari women who said, "Best wishes and Allah's Blessing and a good luck." Then she entrusted me to them and they prepared me (for the marriage). Unexpectedly Allah's Apostle came to me in the forenoon and my mother handed me over to him, and at that time I was a girl of nine years of age.

১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪০

গুপী গায়েন বলেছেন: :) ঐখানেই তো ঝামেলা। এখন এতোগুলো ঐতিহাসিক রেফারেন্স দিলাম। এখন মনে হতেই পারে হযরত আয়েশার ১৬ কে ৬ বর্ননা করা হয়েছে।

তবু একবার হাদীসটার মূল বর্ননাকারী কে বলবেন কি? মানে Volume 5, Book 58, Number 234: এটা কি বুখারির রেফারেন্স? একটু বলবেন বা লিঙ্ক দেবেন প্লীজ? আমি একটু দেখবো।

এখন এক্টু দৌড়ের ওপর আছি। ফিরে এসে কথা হবে। :)

অনেক ভাল থাকবেন। আর হ্যাঁ, নাস্তিকের নাস্তিক্য নিয়ে আমার কোন কহতব্য নাই কারণ আমার অধিকাংশ বন্ধুজনেরাই তাই। আর আার নিক দেখে নিশ্চয়ই বুঝেছেন আমি কেমন মানুষ হতে পারি।

১২| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৭

নীল_পদ্ম বলেছেন: ভাল লাগলো।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৭

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। আসলে এসব বিষয় নিয়ে সেভাবে কখনো গবেষণা করিনি। তবে নিচে মনে হয় আমার জন্য অনেক প্রশ্ন অপেক্ষা করছে। :( দেখি চেষ্টা করে জবাব দেয়া যায় কি না। :)

১৩| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:১৯

কান্টি টুটুল বলেছেন: খোদ আল কোরআনেও যেখানে বিবাহ যোগ্য বয়সের বিষয়ে প্রাপ্তবয়সকে ইঙ্গিত করা হয়েছে সেখানে মহানবী (সাঃ) নিজে কিভাবে তার বিপরীতে যেতে পারেন?

হ্যাঁ পারেন,
কিছু ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র মহানবী (সাঃ) এর জন্য প্রযোজ্য অন্যদের জন্য নয় ......এমনও হতে পারে।

মেরাজ কোথা থেকে শুরু হয়েছিল ?হযরত উম্মে হানীর বাসা থেকে কিনা আর মেরাজ এর বিস্বয়কর অভিঙ্গতর কথা সর্ব প্রথম কে জানতে পারেন?
একটু অনসন্ধান করে জানালে খুশি হতাম।
সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৯

গুপী গায়েন বলেছেন: হ্যাঁ পারেন,
কিছু ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র মহানবী (সাঃ) এর জন্য প্রযোজ্য অন্যদের জন্য নয় ......এমনও হতে পারে।

কিন্তু সেসব বিষয়ের স্পেসিফিক রেফারেন্সও থাকবে। আমার মনে হয়না এই ক্ষেত্রে সেই স্পেশাল ইস্যুটা প্রযোজ্য।

নিশ্চয় অনুসন্ধান করে জানাবো মেরাজ বিষয়ে। অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২০

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: +

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪১

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

মশিউর মামা বলেছেন: @ পারভেজ আলম , গতকাল এক বাল্মীকির পোস্টে আপনারা সবাই সাম্প্রদায়িকতা নিয়া এক ব্লগারের উপর ঝাপাইয়া পড়ছিলেন | অনেক জ্ঞান তারে দিছিলেন | অনেক কটু কথা তারে বলছিলেন | গিয়া দেইখা আসেন ওই পোস্টে আপনাদের এক বন্ধু মুসলমানদের উম্মতি কুত্তা বলছে | সেই বিষয়ে আপনাদের কারো কোনো মতামত নাই | তাইলে শুধু মুসলমানরা কিছু বললে ঐটা সাম্প্রদায়িকতা হয় আর কোনো নাস্তিক কিছু বললে ঐটা মুসলমানদের জন্য শিরোধার্য বাণী হয় তাই না ? একটু দেইখা আসেন-http://www.somewhereinblog.net/blog/tsuronjit/29395771

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৪

গুপী গায়েন বলেছেন: মামা, আমার পোস্ট নাস্তিক আস্তিক কাদা ছোড়াছুড়ির জন্য না। :(

ভালো করে খেয়াল করেন, অনেক আস্তিকের ভ্রান্ত ধারনা ভাঙ্গার জন্য এই পোস্ট। খুব অবাক হচ্ছি এই বিষয়টা আজ হাজার বছর ধরে বিনা প্রশ্নে মুসলমানরা মেনে নিয়ে আসছে কিভাবে। এসব নিয়ে আরো গবেষণা হওয়া দরকার।

১৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:২৮

দুরের পাখি বলেছেন: বিয়ের বয়সে পৌঁছা পর্যন্ত তাদের দেখাশোনা করতে বলা হইছে । এইখানে প্রাপ্তবয়সের কি আসলো ?

বুদ্ধিশুদ্ধি হওয়ার পরে তাদের সম্পত্তি বুঝায়া দেয়ার কথা বলা হইছে, বিয়ের কথা না ।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০২

গুপী গায়েন বলেছেন: ভাই আমি ইংরেজী সাহিত্য নিয়ে লেখাপড়া করেছি। এখনো সাহিত্য ও সঙ্গীতের পেছন ছাড়িনি। বিন্দুর মাঝে সিন্ধু খোঁজাই যে সাহিত্যিকের কাজ।

সুইফটের গ্যালিভার্স ট্রাভেলস আর জর্জ অরওয়েলের "এনিম্যাল ফার্ম" কে না পড়েননি। দুইটাই এ্যালেগোরিক্যাল নভেল। ওখানে যেসব চরিত্র রয়েছিল তারা সবাই আমাদের সাধারণ মনুষ্য পৃথিবী সংশ্লিষ্ট না অথচ আমরা পড়েই বুঝি কাহিনীর উপজীব্য সমসাময়িক সমাজ ব্যবস্থার সমালোচনা। কেবল বাচ্চাদের কাছেই সেসব বিচিত্র কিছু লিলিপুট বা অন্য গল্পে কথা বলা প্রাণীদের নিয়ে মজার কাহিনী।

"আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।"

ওপরে কিন্তু কোন এ্যালেগোরিকাল টুইস্টও নাই। সাদা কথায়
যেটা বলা হলো তা হলো

১) বিয়ের বয়স পর্যন্ত দেখাশোনা করতে বলা
২) তখন (বিয়ের বয়স পর্যন্ত সময়কাল) তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি হওয়ার পরে তাদের সম্পত্তি বুঝায়া দেয়ার কথা বলা হইছে।

একই বাক্যে দুই রকম বক্তব্য দেওয়া হয়নাই। সাদা কথা একজন বালেগই সম্পত্তির দ্বায়িত্ব বুঝে নিতে পারে যেটাকে তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি হয়েছে বলে ধরা হয়। যতক্ষন তাদের বুদ্ধিশুদ্ধি না হয় ততক্ষন দেখাশোনা করতে বলা হয়েছে যেটা বিয়ের বয়স দিয়ে বোঝানো হয়েছে। এখানে 'তখন' টার্মটা দিয়েই এই সম্পত্তি স্থানান্তর ও বিয়ের বয়স কে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে।

১৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

শায়েরী বলেছেন: ++++
Sundor ektu info janlam

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:০৩

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। :) ভালো থাকুন।

১৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৪

পারভেজ আলম বলেছেন: মশিউর মামা@ ভাই, আপনের কি মনে হয় আমি সারাদিন ব্লগে পইরা থাকি আর এক পোস্টে ১৪বার জাতায়াত করি?

এনিওয়ে, উম্মতি কুত্তা নিঃসন্দেহে একটা সাম্প্রদায়িক গালি। যে এই গালি দিছে সে ঠিক করে নাই। একটা ধর্ম বা সম্প্রদায়ের সবাইরে এক রকম স্টেরিওটাইপে ফালায়া এই ধরণের গালি দেয়া উচিত না, আশা করি এইটা সে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে বুঝতে পারবে।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:১৯

গুপী গায়েন বলেছেন: কোন মন্তব্য করলাম না। কারন এটা আমার পোস্টের সাথে অপ্রাসঙ্গিক।

১৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৫

রাফি১৯৭১ বলেছেন: মহানবী শুধু ছয় নয় ছয় থেকে ষাট সব ধরণেরই সাদ নিয়েছেন। রুচির সর্বোচ্চ বিকৃতি আর কাকে বলে?

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:২৬

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার বক্তব্যটা মুছে ফেললে আপনার রুচী সম্বন্ধে অনেকেরই জানা হবেনা বলে রেখে দিলাম।

মনে রাখবেন, ঘৃণা দিয়ে যে জয় আসে তা ঘৃণাজাত হয় বলেই তার ফল কখনো ঘৃণা বৈ কিছুই হয়না। প্রথমে স্বজাতিকে ঘৃণা, তারপরে ভিন্নজাতিকে, তারপর বিশ্বকে।

এতা ঘৃণার পরে যখন আর কাওকে ঘৃনা করবার থাকেনা তখন কি হয় জানেন? নিজের ওপরে ঘৃণা জন্মায়। আর তার পরিনতি চরম।

সবাইকে ভালবাসুন। অপছন্দের কথাও সুন্দর করে বলুন, আপনাকেও সবাই তাই ফেরত দেবে।

প্লাটোর ইউটোপিয়াও কিন্তু ভালবাসাতেই ভরা। সেখানে স্রষ্টা না থাকুন, ভালবাসা আছেই।

সো, নো ঘেন্না। মনে রাখবেন, হয়তো আপনার অনেক প্রিয় কোন মানুষ চরম আস্তিক আর আপনার নাস্তিক্য যেমন অপরাধ না তেমন তার আস্তিক্যও।

২০| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮

পারভেজ আলম বলেছেন: (০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।

হুম। কিন্তু বিয়ের বয়স কত? কত বছর বয়স্কে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষের বয়স অথবা বিয়ের বয়স ধরা হয়েছে সেটাকি কোরআনে আছে? আমি তো জানি নাই।

২১| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

পারভেজ আলম বলেছেন: আমি আপনার ব্লগ আগে পড়েছি, আপনি যে কোন গোড়া মুসলমান না, তা আমি জানতাম। গোড়া হলে নিশ্চয় হাদিসের ভুল ধরতে যেতেন না। তবে আমি যতদুর জানি কোরআনে আসলে বিয়ের বয়স নিয়া কিছু বলা হয় নাই। মুসলিম আইনবেত্তারা বিয়ের বয়স নির্ধারণ করেন নাই, তবে কনসুমেট করার বয়স নির্ধারণ করেছেন ৯। আর কোরআনের সাথে বিরোধপূর্ণ হাদিস কিন্তু খুব বেশী না। এর বাইরে যেই বিপুল পরিমান হাদিস আছে সেই বিষয়ে স্বিদ্ধান্ত নেয়ার উপায় কি? দেখেন, আমি মনে করি হাদিস বা কোরআন মানা অথবা না মানা নির্ভর করবে আপনার আমার এইসময়ের যুক্তি এবং জ্ঞানবুদ্ধির উপর। কোনটা কোনটার বিরোধী সেইটা কোন যৌক্তিক মানদন্ড হতে পারেনা।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৪

গুপী গায়েন বলেছেন: ভাই অনেক ধন্যবাদ। খুব ভালো লাগল জেনে যে আপনি আমার সম্বন্ধে ভুল ধারণা পোষন করেননা।

আমি দুরের পাখিকে ১৬ নং কমেন্টে জবাব দেবার চেষ্টা করেছি এই প্রশ্নের। আর এই সব গাঁজাখুরে আইন বেত্তাদের পশ্চাতদেশে বেত্তাঘাত (স্যরি ওটা বেত্রাঘাত হবে :)) করতে পারলে আমার চেয়ে বোধকরি কেউ বেশী শান্তি পাবেনা। এরাই ইবলিশের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি।

ধরেন আমি আস্তিক হিসেবে কোরআনে সন্দেহ পোষন করিনা। তাহলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এর বক্তব্যের বিরোধী কিছুকে অবশ্যই সন্দেহের তুলাদন্ডে তুলবোই।

আমার অবস্থান আশা করি পরিস্কার করতে পারলাম একটু হলেও। অনেক ধন্যবাদ আপনার বস্তুনিষ্ঠ আলাপের জন্য।

২২| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৫

মশিউর মামা বলেছেন: @ পারভেজ আলম গুড, আপনের মইধ্যে তাইলে কিছু চক্ষু লজ্জা আছে বোঝা গেল | তা আপনে ওই ব্লগাররে 'পাকিজাত সাম্প্রদায়িক পশু' বলছিলেন | এই যোবায়েন সন্ধিটা কোন জাত সাম্প্রদায়িক পশু একটু বলবেন দয়া করে |

দুক্ষের ব্যাপার কি জানেন , ওই পোস্টে আস্তিকরা ঠিক ওই ব্লগারের কথার প্রতিবাদ করছিল | কিন্তু কোনো নাস্তিক তাদের বন্ধুর কথার প্রতিবাদ করে নাই | ভালো উধারণ তুইলা ধরতেছেন আস্তিকদের সামনে |

২৩| ১৩ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৮

অযুত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
++

প্রিয়তে।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৫

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২৪| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১০

আমিভূত বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৬

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

২৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭

মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: নাস্তিকেরা যতই গালিগালাজ দেক সেটা আসলে যুক্তিসঙ্গত এবং সময়ের প্রয়োজনে। মাঝে মাঝে ওদের কিবোর্ডে ভুল চাপ পড়েও উল্টা-পাল্টা কথা বের হয়ে যায়। এটা কোন ব্যাপারই না। জ্ঞানীদের ভুল ধরতে নাই।

২৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯

অবাঞ্চিত বলেছেন: ১৪০০ বছর পরে আসছে নতুন হাদিস আমদানি করতে। কয়দিন পরে তো শুনব মোহাম্মদের মাত্র ১টা বৌ ছিল, বাকি ঐতিহাসিক ভিব্রান্তি। জোকারের কপি পেস্ট

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৩৯

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার অবাঞ্চিত কমেন্টের জবাবে মুখ খারাপ করতেই হলো। দুঃখিত।

এটা জাকির বা জোকার নায়েক যাই কন তার কপি পেস্ট প্রমান করতে না পারলে ল্যাংটা কৈরা মান্দারের ডাল দিয়া পাছার ছাল তুইলালামু। রাজী থাকলে আওয়াজ দেন। নাইলে ফুটেন।

২৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

মো: সালাউদ্দিন ফয়সাল বলেছেন: @অবাঞ্চিত তোমার নাম আর কথার সাথে মিল আছে অনেক। ব্লগে আছো ১ বছর দুই মাস কোন পোষ্ট নাই। তা সত্য কথার প্রতিবাদ করতে মূল পরিচয়ে আসো না কেন?? ডর লাগে??

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪১

গুপী গায়েন বলেছেন: জনাব অবাঞ্চিতকে যথাযথ জবাব দিয়েছি।

২৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মুহম্মদ আয়েষার সাথে পুতুল খেলতেন।
Narrated 'Aisha: I used to play with the dolls in the presence of the Prophet, and my girl friends also used to play with me. When Allah's Apostle used to enter they used to hide themselves, but the Prophet would call them to join and play with me. (The playing with the dolls and similar images is forbidden, but it was allowed for 'Aisha at that time, as she was a little girl, not yet reached the age of puberty.) (Fateh-al-Bari page 143, Vol.13)

এটা কি বিয়ের আগে, না পরে? (একটা কথা খেয়াল কইরা, নবীকে দেখলে আয়েষার বান্ধবীরা লুকাত। আয়েষা নিজে লুকাতেন না। কেন?)
========

'A'isha (Allah be pleased with her) reported that Allah's Apostle (may peace be upon him) married her when she was seven years old, and he was taken to his house as a bride when she was nine, and her dolls were with her; and when he (the Holy Prophet) died she was eighteen years old.

Sahih Muslim 8:3311 (এখানে বিয়ের সময় বয়স সাত বলা আছে। ছয় আর সাত নিয়ে এদিক ওদিক হতে পারে। ১৬ কে ৬, ১৭ কে ৭ এত্ত গোলমাল হবে বলে মনে করেন? ১৮ বছর বয়সে বিধবা হবার কথাও আছে।)

===========
Narrated Hisham's father: Khadija died three years before the Prophet departed to Medina. He stayed there for two years or so and then he married 'Aisha when she was a girl of six years of age, and he consumed (sic – consummated) that marriage when she was nine years old.
Sahih Bukhari 5:58:236

===============
Narrated 'Aisha: that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old. Hisham said: I have been informed that 'Aisha remained with the Prophet for nine years (i.e. till his death)." what you know of the Quran (by heart)'
Sahih Bukhari 7:62:65
===============

Narrated 'Ursa: The Prophet wrote the (marriage contract) with 'Aisha while she was six years old and consummated his marriage with her while she was nine years old and she remained with him for nine years (i.e. till his death).
Sahih Bukhari 7:62:88 (বিয়ের চুক্তিপত্র নবী নিজে লিখেছিলেন যখন আয়েষার বয়স ছিল ছয়।)

==================
কোরানে কি বলে দেখুনঃ

Yusuf Ali: Such of your women as have passed the age of monthly courses, for them the prescribed period, if ye have any doubts, is three months, and for those who have no courses (it is the same): for those who carry (life within their wombs), their period is until they deliver their burdens: and for those who fear Allah, He will make their path easy.
সুরা আল তালাক- ৪
(এখানে বলা আছে যে কোর্স শুরু হয়েছে বা হয়নি দুই ক্ষেত্রেই ক্ষেত্রেও তিন মাস নজর রেখে (ইদ্দা) তার পর তালাক কার্যকরী হবে। যদি বিছানায় তোলা হয়ে থাকে।)
পড়তে হলে ক্লিকান
Click This Link

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:০৬

গুপী গায়েন বলেছেন: গাধাকে ভাই বললে গাধার ভাই নিজেও গাধা হয়। /:) /:) /:)

যা হোক, তাও ভালো আপনি গাধা না, গাধ :) আবার দুপেয়েও বটে। জাস্ট ফান কিন্তু, অন্যভাবে নেবেন না। আমি আপনাদের সবার বক্তব্য খুব এনজয় করি কারণ এসব বিবাদের মাঝেই জানার অনেক কিছু থাকে।

আর তাই আস্তিক ( সব ধর্মেরই) নাস্তিক সবাই আমার খুবই প্রিয়। আমি যে গানের মানুষ, তাও আবার গনসঙ্গীত ও রবীন্দ্র সঙ্গীতের মানুষ। তাই সব মানুষকেই ভালবাসি।

আপনার প্রশ্নের জবাব দেবার জন্য আমাকে আরো একটু পড়তে হবে কিছু। আজ চরশ ব্যস্ত আছি। পরে জবাব দেই, কেমন? দরকার হলে আপনার ব্লগে গিয়ে জানিয়ে আসবোখন।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৫১

গুপী গায়েন বলেছেন: আচ্ছা, আমার দেয়া রেফারেন্সগুলো কি ভিজিট করেছেন? একটু করে দেখলে মনে হয় ভালো হতো।

২৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩২

জহির উদদীন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি লেখার জন্য।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৪

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৩০| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিং বলেছেন: বিশিষ্ট কুরান বিশ্লেষক,সহীহ হাদীস বর্ণনাকরী,উলামায়ে কিরাম,আল্লাময়ে মুফাসসির,শানে খুদা,মুবাল্লিগে ইমাণ,জুনাব হযরত আসিফ মাওলানা মহিউদ্দীন ছাহেব কে এ পোস্টে কোন কমেন্টাইতে না দেখে ঝাতি জারপরনাই হতাশ ও দিদ্ধা বিভক্ত।
হুজুর কে অতিসতৃর জাবতীয় রিফারেন্স ও গাইড বই সহ এবং তাহার ভক্তকূল শিরোমনী জুনাব আলহাঝ্ আলবর্ট বালেস্টাইন কে নিয়ে উক্ত মাহফিলে জোয়েন দিয়া দোজাহানের ওশেষ নেকী হাসিলের অনুরোধ করা যাইতেছে। ;)

৩১| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নীরব দর্শক বলেছেন: লেখাটা চমৎকার।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৮

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ জানবেন।

৩২| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:


হাদিস জোগাড় করা শুরু হয় মহানবীর মৃত্যুর প্রায় দুই বছর পর থেকে। সেই জন্য এর সত্যাসত্য নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিশেষ করে একটা সময়ে রাজতন্ত্রের নামে খেলাফত শুরু হলে সব খলিফাই তাদের নিজেদের পক্ষে ক্ষমতা আনতে জাল হাদিস বের করেছিলেন।

লেখক যা লিখেছেন, তা হয় তো সত্য। কিন্তু এগারো নাম্বার মন্তব্যে যে হাদিসটা উল্লেখ করা হয়েছে, সেইটা আমি অনেক জায়গায় পেয়েছি। আর এইতাই আমাদের বেশিরভাগ হুজুরের পছন্দের হাদিস। এইটার মাধ্যমে তারা আমাদের সমাজে বাল্য বিবাহ বজায় [কায়েম] রেখেছেন।

৩৩| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪১

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

[উপরের লেখায় ভুল ছিল, সেইটা নীচে ঠিক করে দিলাম]


হাদিস জোগাড় করা শুরু হয় মহানবীর মৃত্যুর প্রায় দুইশত বছর পর থেকে। সেই জন্য এর সত্যাসত্য নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। বিশেষ করে একটা সময়ে রাজতন্ত্রের নামে খেলাফত শুরু হলে সব খলিফাই তাদের নিজেদের পক্ষে ক্ষমতা আনতে জাল হাদিস বের করেছিলেন।

লেখক যা লিখেছেন, তা হয় তো সত্য। কিন্তু এগারো নাম্বার মন্তব্যে যে হাদিসটা উল্লেখ করা হয়েছে, সেইটা আমি অনেক জায়গায় পেয়েছি। আর এইতাই আমাদের বেশিরভাগ হুজুরের পছন্দের হাদিস। এইটার মাধ্যমে তারা আমাদের সমাজে বাল্য বিবাহ বজায় [কায়েম] রেখেছেন।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:০৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ঐ হাদিসটা যে হুজুরদের আকাম কুকামের অনেক সুযোগ করে দেয়। ওদের পশ্চাতদেশেই আগে দেওয়া দরকার।

৩৪| ১৩ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
++

প্রিয়তে।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫২

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩৫| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:২৫

তারিক হাসান তারিক হাসান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার লেখার জন্য।

এ রকম লেখা ব্লগে পড়তে খুবই ভাল লাগে।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫২

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৩৬| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:২৯

বটতলার টারজান বলেছেন: @ রাফি ১৯৭১, তোর কমেন্ট দেখাও পাপ , এইটা ডেল মারেন @লেখক

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৫৬

গুপী গায়েন বলেছেন: রাফিরে জবাব দিয়েছি। আর উনার লেখা উনি লিখেছেন। আপনি ইগনো করেন।

৩৭| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪৩

দুরের পাখি বলেছেন: ভাই আমি সাধারণত ব্লগে ওভারঅল না দেখে বক্তব্যের মেরিটে আলোচনা করতেই আগ্রহী । আপনে মৌলবাদি হন আর উদারপন্থী হন, আপনার বক্তব্যে মেরিট থাকলে আমার সমস্যা নাই । তাও আপনার ভদ্রতা ভালো লাগলো দেখে খুব বেশি খোঁচা মেরে কিছু বলা বাদ দিলাম । খুব সহজ ভাষায় বলি । গভীরভাবে ভেবে দেখবেন । চিন্তাটাই আসল । চিন্তার অভ্যাস হইলে তথ্য এমনিতেই আসবে ।

আপনার পুরা পোস্ট দাঁড়ায়া আছে তিনটা ধারণার উপর ।


১.

আয়েশার বিবাহের বয়স সংক্রান্ত হাদিস দুর্বল ।

২.
কোরানে বিবাহ নিয়ে বয়স ঠিক করে দেয়া আছে ।

৩.
মোহাম্মদ কোরানের বিপরীত কোন কাজ কখনো করে নাই ।



আয়েশার বিবাহের বয়স সংক্রান্ত হাদিস বেশ কয়েকটা সোর্স থেকে আছে , তার একটা যেটা আপনি ব্যবহার করেছেন সেটারে দুর্বল ধরা যায় । কিন্তু অত্যন্ত সবল আয়েশার নিজের বর্নিত হাদিসেই খুব স্পষ্টভাবে বিবাহের সময়কার বয়স এবং ঘরে তোলার বয়স দেয়া আছে । আমি যেই হাদিস দিলাম সেটা দেখতে পারেন যেকোন অনলাইন সোর্স থেকে । নিচে অন্যদেরও কয়েকটা রেফারেন্স দেয়া আছে । অতএব আপনার পয়েন্ট ১ পুরাপুরি বাতিল ।

আপনার পয়েন্ট ২ নিয়ে যদিও আমি সরাসরি কিছু পাই নাই । তবে বেনেফিট অফ ডাউট পাওয়ার যোগ্য । অর্থাৎ পজিটিভলি নিলে বলা যায় যে বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর বিবাহের বয়স হয় । ফাইন ।

এখন আসেন আপনার পয়েন্ট তিনে । জানেন নিশ্চয়ই কোরান অনুসারে আলী এবং মোহাম্মদ কন্যা ফাতেমার বিবাহ হারাম । কিন্তু তাদের বিবাহ হইছে , কার সাথে বিবাহ যায়েজ আর কার সাথে নাযায়েজ সেই আয়াত নাযেল হওয়ার আগেই । এইজন্য ঐগুলা বৈধ থেকে গেছে । এখন সুরা নিসা নাযেল হইছে হিজরী ৩ থেকে ৫ সনের মধ্যে , আর আয়েশার সাথে মোহাম্মদের বিবাহ হইছে হিজরতের আগেই । অর্থাৎ আপনার পয়েন্ট ৩ পুরাপুরি বাতিল । এবং একি সাথে এইটা পয়েন্ট ২ সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনীয়তারেও বাতিল করে ।


চিন্তা করুন । চিন্তার প্রচেষ্টাই ক্ষমতা বাড়ায় ।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩২

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনি কি হাসিব ভাই? ভুল হলে স্যরি। আপাতত কাট মারবো। পরে সব জবাব দিতে চেষ্টা করবো। ও আপনার কথা পারলে খন্ডন করবো। :)

৩৮| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:০৫

লুকার বলেছেন:
গবেষণা ভাল হৈছে। মন্তব্যগুলাও বেশ হৈছে।
বাল্যবিবাহ একসময় দোষণীয় ছিল না।
রজ:প্রাপ্ত হইলেই মেয়েরা গর্ভধারণ করতে পারে, মানে প্রাকৃতিকভাবে ঐটা বিয়ের বয়স হইতে পারে!
তাছাড়া মেয়েদের আগে পূর্ণাঙ্গ মানুষ মনে করা হইত না, ধর্মেও সে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই। তাই পশুদের থেকে মেয়েরা একটু বেশী অধিকার পাইত, এই যা। তাদের মতামতের কোন দাম দেওয়া হইত না, বুদ্ধিবৃত্তি আছে বইলা কেউ মনে করত না। সেইজন্য নানা পুরুষদের তৈরী নানা একতরফা বিধিনিষেধ তাদের উপর চাপাইয়া দেওয়া হইত।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৮

গুপী গায়েন বলেছেন: কোন আমলে বাল্যবিবাহ দোষনীয় ছিলনা?

তাছাড়া মেয়েদের আগে পূর্ণাঙ্গ মানুষ মনে করা হইত না, ধর্মেও সে স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই। তাই পশুদের থেকে মেয়েরা একটু বেশী অধিকার পাইত, এই যা। তাদের মতামতের কোন দাম দেওয়া হইত না, বুদ্ধিবৃত্তি আছে বইলা কেউ মনে করত না। সেইজন্য নানা পুরুষদের তৈরী নানা একতরফা বিধিনিষেধ তাদের উপর চাপাইয়া দেওয়া হইত।

এইটা কত আগের কথা বললেন ব্রাদার? আরেক্টু ক্লিয়ার করলে জবাব দিতে সুবিধা হইতো। তবে তা এইখানে না। পারলে অন্য কোন পোস্টে। এই পোস্টের ইস্যু এইটা না।

এখানে শুধু রাসুল (সাঃ) ও হযরত আয়েশা (রাঃ) র বিবাহ নিয়া আলাপ হইতেছে। রাসুল (সাঃ) এর অন্য বিবাহ নিয়াও না। কাজেই .... :)

৩৯| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:১৮

রাহীম বলেছেন: আপনাকে পিলাস দিলে ও কম হয়ে যায় আপাতত পিলাস দিলাম ।
ইসলাম কেয়ামত পর্যন্ত আগত সকলের ধর্ম যা সর্ব যুগের জন্য প্রযজ্য । ইসলাম বিবাহের জন্য নারীদের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়নি : দিলে সমস্যা হতো । কিছু দিন আগে ও আমরা দেখেছি আমাদের দেশে খুব কম বয়সে নারীদের বিবাহ দেয়া হতো ।
রবি ঠাকুর বিশ্ব কবি তিনি বিবাহ করেছেন নাবালক মেয়েকে তার মেয়েদের সবাইকে বিবাহ দিয়েছেন নাবালক অবস্হায় , তার মানে এটা নয় যে, আমি নাবালক অবস্হায় বিবাহ দেয়ার পক্ষে । কিছুই তো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছেনা হতে পারে ৫০ বছর পর মেয়েদের খুব কম বয়সে বিবাহ দিতে হবে । বা খুব বেশি বয়সে বিবাহ করতে হবে । কারণ ২০ বছর আগে আমরা ধারণা ও করিনি সবার হাতে মোবাইল পৌঁছে যাবে । আমার শ্রীলংকান এক সহ কর্মীর কাছ হতে শুনেছি শ্রীলংকার কিছু এলাকায় মেয়েরা খুব কম বয়সে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যাচ্ছে । ডাক্তাররা নাকি বলেছে ফার্মের মুরগি খাওয়াতে এমন হচ্ছে । ধন্যবাদ ।

১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:১০

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আমি আসলে একটা গবেষণা টাইপ কাজ করেছি এই বিষয়টার ওপরে এবং আমার মনে হয়েছে রাসুল (সাঃ) হযরত আয়েশা (রাঃ) কে নাবালিকা বিয়ে করেন নি।

আপনার তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪০| ১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৩৪

সাইফুল আকন্দ বলেছেন: আপনার গবেষনা বা পোস্টটা কি আত্মঘাতি হয়ে গেল না? নাস্তিকরা এরকম সুযোগ পেলে ইসলামের তথা মুহম্মদের চরিত্রের তেরটা বাজাতে দেরি করেনা, এই কৌশলি বুদ্ধিটা আপনার থাকা উচিতি ছিল। যাই হোক, অগ্রীম সমবেদনা থাকল।

১৩ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:৪৫

গুপী গায়েন বলেছেন: না ভাই আপনার সাথে একমত হতে পারলামনা।

আর আত্মঘাতি ভাবলে আত্মঘাতি। আমি নাস্তিকদের চেয়েও ভয় পাই সেইসব কাঠ মোল্লাদের যারা ধর্মের নাম ভাঙ্গিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করে। আজ নাস্তিকদের দোষ দিয়ে লাভ নাই, এরাই ধর্মে শত ছ্যাঁদা বানিয়ে ছেড়েছে বলে এই অবস্থা। আমার আগের পোস্টের লিঙ্কে গেলেই আরেকটু টের পাবেন কেন এই পোস্ট।

সুতরাং নাস্তিকরা আমাকে পরাস্ত করতে পারুক আর না পারুক, এসব কাঠমোল্লা সুবিধাবাদী আস্তিকদেরকে যে পাশে পাবোনা তা জানি।

আমি আজ ওয়ানম্যান আর্মি। :)

৪১| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪০

সাইফুল আকন্দ বলেছেন: তাইলে আপনেরে স্যালুট না দিয়া পারলামনা। যুক্তিপূর্ণ চিন্তা করতে পারা মনুষ্য জন্মের বিশাল একটা সার্থকতা। সেটার দিকে এগিয়ে যান। আস্তিক নাস্তিক কোন ব্যাপার না। মনুষত্বের জয় হোক। শুভকামনা থাকলো।

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:১১

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। সবাই পাশাপাশি থাকুন। আস্তিক নাস্তিক ব্যাপারনা। মূল কথা সবাই মানবতার জন্য কাজ করি। তাহলেই মানব জন্ম স্বার্থক হবে। পৃথিবীটা সকলের বাসযোগ্য হবে।

কোনদিন পরকালে আমাকে কি দেয়া হতে পারে এই ভেবে ক্ষুধার্তকে অন্ন দান করিনা। চোখের সামনে দেখি সে ক্ষুধার্ত, তার খাবার প্রয়োজন, ব্যাস, এটুকু কারণই যথেষ্ট আমার জন্য।

৪২| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:১৬

ত্রিনিত্রি বলেছেন: ইনফোটা জানানোর জন্য ধন্যবাদ। আমিও ভুল ইনফো জানতাম। পোস্টে অবশ্যই প্লাস।

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:১২

গুপী গায়েন বলেছেন: ত্রিনিত্রি কে অনেক ধন্যবাদ। (জন্মদিনের কেক কি বাকী আছে? ;) )

৪৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৩২

রাইসুল জুহালা বলেছেন: দুরের পাখি বলেছেন: জানেন নিশ্চয়ই কোরান অনুসারে আলী এবং মোহাম্মদ কন্যা ফাতেমার বিবাহ হারাম ।

এটার রেফারেন্স দিতে পারবেন কি? আলী (রাঃ) মুহম্মদ (সাঃ) এর আপন ভাই না। বিবাহ হারাম হলো কিভাবে?

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:০৪

গুপী গায়েন বলেছেন: প্রশ্নটা করবার এবং আলোচনা আরো এগিয়ে নেবার জন্য ধন্যবাদ। আসে বুঝতে পারছিনা, যখন আলোচনা ক্রসফায়ার স্টাইলে চলছে তখন তারমাঝে আমার কমেন্ট দেয়া ঠিক হবে, না রেজাল্ট দেখা। :)

৪৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫২

পাগলা সন্নাসী বলেছেন: আপনার বিনয় দেখে ভালো লাগলো.....যারা ধর্ম বিষয়ক পোস্ট দেয় তারা বিপরীত মতামত শুনতেই চায় না......।

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনি দেখছেন সন্যাসী, বিনয় কতোবড় ক্ষমতা রাখে? এই পোস্টে আজ বিপরীত ভাবনার মানুষেরাও কেমন ভাবে এসেছেন, এটা কি বিনয়ের কারনেই না?

আরেকটা কথা, যা দেখেছি নিরপেক্ষভাবে বলি, ধর্মবিষয়ক বা ধর্মবিরোধী দুই দলই কিন্তু বেশ গোঁয়ার্তুমি করে। :) আর এর ফলে কাদা ছোঁড়াছুড়িই হয়, সত্য বেরিয়ে আসেনা।

৪৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫২

পাগলা সন্নাসী বলেছেন: আপনার বিনয় দেখে ভালো লাগলো.....ধর্ম বিষয়ক পোস্ট দেয় তারা বিপরীত মতামত শুনতেই চায় না......।

৪৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:০৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পোস্ট টা অবজার্ভে রাখলাম। দূরের পাখির কমেন্টে আয়েশা (র) এর বক্তব্য দেয়া আছে তার উপর কোনো গবেষনা হয়েছে কিনা সেটা নিয়া ভাবা যায়!

যদিও আমার কাছে এসবের কোনো মূল্য নাই। ধর্ম পালন করতে গেলে এত যুক্তি মানতে হবে সেটা হাস্যকর লাগে। এমনেই ধর্মটা বর্বর একটা জাতীর মধ্যে থেকে উদ্ভূত তাই এটার সাথে মেকী কিছু লাগবে না সেটাই অস্বাভাবিক। তাই ধর্ম পালন করি বিশ্বাস থেকে!

তাই লেখকের উত্তর জানার অপেক্ষায় পোস্ট টা অবজার্ভে রাখলাম! যদিও বুঝলাম না এই পোস্টে আমাদের তথাকথিত ইসলামিক গবেষক বোলগার গুলান কই গেলো? শেলীর বক্তব্য শুনা যেতে পারে উনি কোন বর্বর লোকের রেফারেন্স আনেন সেটা দেখতে! ভাবতে অবাক লাগে বর্বর জাতীগুলাও পড়ালেখা করে ইদানিং, তারাও যুক্তি দেবার মতো সামর্থ্য অর্জন করেছে তাহলে!

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:১২

গুপী গায়েন বলেছেন: আমি ধরেই নিচ্ছি আপনি আমাকেও সেই ক্লাসিফিকেশনে ফেলেন নি।

ইসলামী গবেষকরা কেন এই পোস্টে আসবেননা তার আভাস ৪১ নং কমেন্টের জবাবেই দিয়েছি। এটা আমার একক পোস্ট। জবাব আমিই দিতে চেষ্টা করবো। আসলে একটু সময় লাগবে রেফারেন্সগুলো কমপাইল করতে, তাই সময় নিচ্ছি। প্রাইভেট জব করি তো, এর ফাঁকে সময় বের করা একটু টাফই। :(

৪৭| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ২:২৬

বল্টু মিয়া বলেছেন: পাগলা সন্নাসী বলেছেন: আপনার বিনয় দেখে ভালো লাগলো.....ধর্ম বিষয়ক পোস্ট দেয় তারা বিপরীত মতামত শুনতেই চায় না......।

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:১৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার জবাবও সন্যাসীরটাই। :)

৪৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০৩

একলা বাঁশিওয়ালা বলেছেন: গুপী ভাইকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা লেখার জন্য!

১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:১৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সাথে থাকুন, সবাই একসাথে।

৪৯| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ৯:৫০

দুরের পাখি বলেছেন: @রাইসুল জুহালা, আপনার কথা ঠিকাছে । মাই ব্যাড । কাজিনের কন্যা/পুত্র বিবাহ জায়েজ (যদিও সিক, এজ ইট ইজ) । আমার এক মুল্লাহ কাজিন আমারে এই উদাহরণ দিছিলো ।

আমার পয়েন্ট ছিলো কোরানের আয়াত নাযিলের আগে সেই আয়াতের উল্টা কাজ করার নজির বেশ কিছু আছে । বিবাহের মাহরেম গায়ের মাহরেম নিয়া আয়াতেও বলে দেয়া আছে, এই আয়াতের আগ পর্যন্ত যা হইছে সেইগুলা বৈধ থাকবে, তালাক হয়ে যাবে না ।

৫০| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:০৩

মাহফুজশান্ত বলেছেন: What was Ayesha’s (ra) Age at the Time of Her Marriage?

পুরানো কথাগুলো বাংলায় অনুবাদ করে পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ-
এসব সঠিক কিংবা বেঠিক অনেক বক্তব্যই আজকাল ইন্টার্নেট ঘাটলে চোখে পড়ে। তবে এর মধ্যে থেকে অনেক কিছু ঠিক ঠিক বুঝে নিতে হয়-

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:০০

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ এবং আমার মনে হয় ঠিক ঠিক বুঝে নেবার জন্য যে পার্সেপশান প্রয়োজন, আল্লাহ আমাকে তা একটু হলেও দান করেছেন।

৫১| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৪৪

অজানা এক পথিক বলেছেন: @দুরের পাখি:

আপনার পয়েন্ট ২ নিয়ে যদিও আমি সরাসরি কিছু পাই নাই । তবে বেনেফিট অফ ডাউট পাওয়ার যোগ্য । অর্থাৎ পজিটিভলি নিলে বলা যায় যে বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর বিবাহের বয়স হয় । ফাইন ।

আমার পয়েন্ট ছিলো কোরানের আয়াত নাযিলের আগে সেই আয়াতের উল্টা কাজ করার নজির বেশ কিছু আছে ।


বিবাহ সংক্রান্ত আয়াত যেটা লেখক উল্লেখ করেছেন সেটা কি কখন নাযিল হয়েছে সেটা ইমপর্টেন্ট। যদি বিবাহের পরে নাযিল হয়ে থাকে তাহলে বয়স সম্পর্কে আপনি সন্দেহ করতে পারেন। কিন্তু যদি তা যদি আগে নাযিল হয়ে থাকে তাহলে আপনার বেনিফিট অফ ডাউট অনুসারে নিশ্চই বিবাহ আয়েশা (রা:) এর প্রাপ্ত বয়সেই হয়েছে।

আমি আয়াত নাযিল হবার সময়টা জানি না তাই সঠিক ভাবে বলতে পারছি না।

৫২| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৪

দুরের পাখি বলেছেন: @অজানা এক পথিক ।

আয়াতটা যে বিবাহের পরে নাযিল হয়েছে সেটা ঐ মন্তব্যেই উল্লেখ করেছি । নিচের দিকটা ভালো করে দেখুন ।

আর বেনেফিট অফ ডাউট এর কথা আয়েশার বিবাহের ব্যাপারে বলি নাই । যেইখানে আয়েশা নিজের মুখে আরো টুকিটাকি ঘটনা বর্ণনা করেছে সেইখানে বেনেফিট অফ ডাউটের আলোচনাই আসেনা ।

কোরানের আয়াত পরে বিবাহযোগ্য বয়স সম্পর্কে কোন সরাসরি ধারণা পাওয়া যায় না । ঐটা নিয়ে বেনেফিট অফ ডাউটের কথা বলেছি ।

৫৩| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

দুরের পাখি বলেছেন: কোরানের আয়াত *পড়ে (বানানভুল হইছিলো)

৫৪| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৫

অনিক আহসান বলেছেন: ৫৪/৬ এর চাইতে ৪০/১২ কিছুটা শোভন ...! কি বলেন?

৫৫| ১৪ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:৫৭

দুরের পাখি বলেছেন: কোরানের সূরাগুলা ক্রনোলজিকাল (নাযিলের ক্রম) সময় যেকোন কোরান ওয়েবসাইটেই পাওয়া যায় ।

৫৬| ১৪ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:৪৭

অজানা এক পথিক বলেছেন: @দুরের পাখি:


"আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।"


আপনি তো এই আয়াতেই বেনিফিট অফ ডাউটের কথা বলেছেন। আমি আসলে এই আয়াতের সময়কালের কথা বলেছিলাম।

এই আয়াতের সময়কাল যদি বিবাহের আগে হয় তবে আয়েশা (র) এর বিবাহ বোধ জ্ঞ্যান সম্পন্ন হবার পরে হয়েছিল। ৬/৯ বছরে বোধ জ্ঞ্যান তো হবার কথা না।

আয়াত নাযিলের পরে তার উল্টা কিছু করার সুযোগ নাই। আর সেরকম ব্যাতিক্রম কিছু হলে তার রেফারেন্স থাকত। আর বিবাহের পরে নাযিল হলে অন্য কথা।

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৯:০৭

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, আলোচনার ধারা বজায় রাখবার জন্য।

অফিস নিয়ে সাথে জবাব তৈরীতে ব্যস্ত ছিলাম তাই এক এক করে সবার মন্তব্য মন্তব্য করতে দেরী হয়েছে।

৫৭| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪১

দুরের পাখি বলেছেন: @অজানা এক পথিক

শুধু ঐ আয়াত না, পুরা সুরা নিসাই নাযিল হইছে আয়েশা-মোহাম্মদের বিয়ের পরে ।

৫৮| ১৪ ই জুন, ২০১১ রাত ১১:০৫

বাল্মীকি বলেছেন: কমেন্ট চালাচালির ধরণটা খুব ভাল লাগলো, এই রকমই হওয়া উচিত।

১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮

গুপী গায়েন বলেছেন: বাল্মীকি, অনেক ধন্যবাদ। আসলেই এমনটা হওয়া উচিত। সকলের সহনশীলতা দেখে মন ভরে গেছে।

৫৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:৪৯

আমানত হোসেন বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। এ ধরনের লেখা আরো চাই।ধন্যবাদ।

১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। এরকম লেখা আরো আসবে নিশ্চয়ই। অপেক্ষায় থাকুন।

৬০| ১৫ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:৩০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

আমার এই কমেন্টটা যারা পড়বেন, তাদেরকে অনুরোধ করবো ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা কর্তৃক প্রকাশিত, ফক্বীহুল মিল্লাত মুফতি আব্দুর রহমান সাহেব (দাঃ বাঃ ) -এর তত্বাবধানে রচিত কুরআন-সুন্নাহ'র দৃষ্টিতে নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১ঃ পর্যালোচনা, প্রমাণ, সুপারিশ পড়ে দেখার অনুরোধ করছি।

এই পুস্তিকার ২৪ নং পাতায় বুখারি ও মুসলিম শরীফ থেকে উদ্ধৃত করে হাদিস দিয়ে দেখানো হয়েছে যে বিয়ের সময়ে আয়শার বয়স ছিল ছয়। এবং এর পর পরেই লেখকরা দাবী করেছেন, এই হাদিসটি বাল্য বিবাহ বৈধতা প্রমানের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এটাকে অবৈধ করার অর্থ হচ্ছে শরীয়তের হালালকে হারাম করে দেওয়া, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে অসম্ভব।

নিশ্চয় উনারা আলেম-এ দ্বীন। উনারা নিশ্চয়ই ভুল কথা বলেন নাই, তাই না?

লেখক কি দুর্বল হাদিস ব্যবহার করেছেন কিনা সেইটা এখন দেখার বিষয়।

১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৪:০২

গুপী গায়েন বলেছেন: এরকম অজস্র লেখক আছেন যাঁরা হাদিস লিখে তারপর বলেছেন "এটা করা সম্ভবনা"। উদাহরণ, নামাজে পায়ে পা মিণিয়ে কাতারে দাঁড়ানো।

পারলে আপনাকে পরে আমি লিঙ্ক দিয়ে দেখাবো এরকম কিছু নজির। সেসবের ক্ষেত্রে আপনার বক্তব্য কিরকম?

৬১| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩

গুপী গায়েন বলেছেন: গত কয়েকদিন একটু দৌড়ের ওপরে ছিলাম। এখনো যে নাই তা না। তাও চেষ্টা করলাম প্রিয় ব্লগার ভাইদের উত্থিত প্রশ্নগুলোর জবাব দিতে। আবারো বলি, ত্রুটি মার্জনার চোখে দেখবেন। আমি কোন মহা জ্ঞানী পন্ডিত নই। খুবই নগন্য সাধারন একজন মানুষ।

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাথে বিয়ের সময় হযরত আয়েশা (রাঃ) র বয়স কতো ছিল এই প্রসঙ্গে যে সব হাদীসের রেফারেন্স এসেছে সেসব সম্বন্ধে কিছু খোঁজ খবর করেছি। তার সারমর্ম হলো এইঃ

হাদিস সংকলনের প্রথম যুগের ইতিহাস থেকে জানা যায়, হযরত আয়েশা (রাঃ) এর রেওয়ায়াতগুলো তাঁর ভাগ্নে উরওয়া ইবনে যুবাইর লিপিবদ্ধ করেন। সে হিসেবে হযরত আয়েশা (রাঃ) এ রেফারেন্সে যত হাদিস এসেছে তার প্রথম রাবিকারী তিনিই। তাঁর কাছে থেকে দ্বিতীয় ধাপে যায় তাঁর পুত্র হাইসাম (বা হিসাম) বন উরওয়াহ র নিকট। ইনার কথা আমার পোস্টের শুরুতে হাল্কা এসেছে । এবার আরেকটু যোগ করবো ।

উরওয়া ইবনে জুবায়ের (২২ হিঃ - ৯৪ হিঃ) আসমা বিনতে আবু বকর এর সন্তান। তিনি হাইসাম এর পিতা হবার কারনে আবু হাইসাম নামেও পরিচিত ছিলেন।

আসমা বিনতে আবু বকর নিয়ে আগেও বলেছি এবার একটু ডিটেইলে যাবো।

আসমা বিনতে আবু বকর হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বড় বোন এবং দশ বছরের বড় ছিলেন যা আগেই উল্লেখ করেছি এবং এটা ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত সত্য।

আসমা বিনতে আবু বকর হিজরি ৭৩ সন বা ইংরেজী ৬৯৪-৬৯৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ১০০ বছর। সে হিসেবে তাঁর জন্ম সাল হবার কথা ৫৯৪-৫৯৫ সালের দিকে।

যতদুর জেনেছি আসমা বিনতে আবু বকর ইসলাম ধর্মগ্রহনকারী নারি পুরুষের মাঝে ১৮ তম। তিনি ৬১০ খৃষ্টাব্দে ইসলাম গ্রহন করেন। তাহলে তখন তাঁর বয়স হবে প্রায় ১৫ বছর। আর ১লা হিজরীতে তাঁর বয়স ২৭ বছরই হবার কথা।

Click This Link

Click This Link

এখন প্রশ্ন হলো, সে হিসাবে তখন হযরত আয়েশার বয়স কতো হওয়া উচিৎ? ১০ বছর কম। তাহলে হিজরী ১ম সনে তাঁর বয়স হবে ১৭ বছর। বিয়ের সময় (৩য় হিজরী) ১৯/২০। (মূল লেখাতে ১৮/১৯ বলেছি। আসলে হিজরী সন বনাম ইংরেজী সনের বিষয়ে হিসেব করতে গিয়ে এক আধ বছর হেরফের হয়ে গেছে, এটা মনে হয়না ধরবার মতো বড় অপরাধ।)

এখন আমার কথা হলো ঐতিহাসিকভাবে প্রতিষ্টিত এই সত্য কেন উরওয়া ইবনে জুবায়ের সাহেবের মাথায় আসলোনা যখন হযরত আয়েশা তাঁর নিজের খালা!! এটা কি খুব অদ্ভুত বিষয় না? উনি তাঁর মাতা মারা যাবার ২১ বছর পরে মারা যান এবং তাঁর মাতা মারা যাবার সময়ের বয়স বিষয়ে কোন সন্দেহ কোথাও নাই। তাহলে মায়ের ১০ বছর ছোট খালার বয়সের ব্যবধান যে ঝাড়া ১০ বছর বেশী হয়ে যাচ্ছে তা কি উনি খেয়াল করেন নি? তাহলে এতো বড় ফাঁক কিভাবে থেকে গেল?

বিষয়টা নিয়ে আমিও অনেক মাথা চুলকিয়েছি এবং পরিশেষে কয়েকটা অনুসিদ্ধান্ত নিয়েছি।

১) হয়তো তিনি লিখতে ভুল করেছেন (এটা হবার সম্ভাবনা খুবই কম কারণ একই ভুল বার বার হবার কথা না)

২) তাঁর কাছ থেকে এগুলো তাঁর সন্তান হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ র কাছে যায়, সেখান থেকে বর্ননায় কোন বিকৃতি হতে পারে (আমার কথার স্বপক্ষে কারণ নিচে বর্ণনা করেছি)।

৩) হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ র কাছ থেকে যারা পেয়েছিলেন তাঁদেরও কোন ভুল হতে পারে,

৪) হাদীস সংকলনের ৩য় যুগে অসংখ্য ব্যক্তি জাল হাদীস প্রবর্তন করেন। এর পেছনে কতিপয় ব্যক্তি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে; কতিপয় ইসলামে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে আর কতিপয় রাসুল (সাঃ) এর চরিত্রে কালিমা লেপন করতে এসব জাল হাদীস ইচ্ছাকুতভাবে মূল ও বিশুদ্ধ স্রোতের মাঝে মিশিয়ে দিতে চেয়েছিলেন।


এবার হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ সম্বন্ধে একটু আলোকপাত করবো।

হাইসাম (বা হিসাম) বিন উরওয়াহ (৬১ হিঃ - ১৪৬ হিঃ) ৭১ বছর বয়সে মদীনা থেকে ইরাকে যান এবং সেখানেই আমৃত্যু অবস্থান করেন। তাঁর হাদীস বয়ান সম্বন্ধে কিছু সন্দেহ অনেক ঐতিহাসিক এবং তাঁর কিছু বিখ্যাত ছাত্রের মাঝেও ছিল। কারণ শেষ জীবনে তিনি স্মৃতিভ্রষ্টতায় ভুগছিলেন। কাজেই যেসব হাদীস ইরাকে তাঁর ছাত্র বা অনুসারী কর্তৃক প্রাপ্ত সেসব সম্বন্ধে ইতিহাসবিদগনের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। বলাই বাহুল্য শেষ ১৪ বছরে তিনি ইরাকে অগণিত হাদীস বর্ননা করেছেন। সুতরাং তার বর্নিত হাদীসগুলোর বিষয়ে সন্দেহ পোষন করবার যথেষ্ট কারণ আছে বিশেষত সেইসব হাদীস যেগুলো ঐতিহাসিক সত্যের সাথে ও আল কোরআনের মুল ভাবের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

তাঁর সম্বন্ধে পাওয়া কয়েকটা উক্তি কোট করছি।

Tehzibu'l-tehzib, one of the most well known books on the life and reliability of the narrators of the traditions of the Prophet (pbuh), reports that according to Yaqub ibn Shaibah: "narratives reported by Hisham are reliable except those that are reported through the people of Iraq". It further states that Malik ibn Anas (তাঁর একজন সুবিখ্যাত ছাত্র ) objected on those narratives of Hisham which were reported through people of Iraq. (vol11, pg 48 - 51)

Mizanu'l-ai`tidal, another book on the narrators of the traditions of the Prophet (pbuh) reports that when he was old, Hisham's memory suffered quite badly. (vol 4, pg 301 - 302)

মজার কথা হলো হযরত আয়েশা (রাঃ) র বয়স বা এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোন হাদীস মদীনাবাসী তাঁর কোন ছাত্র, অনুসারী বা কারো কাছ থেকেই পাওয়া যায়নি যেখানে তিনি জীবনের প্রথম ৭১ বছর অতিবাহিত করেছেন। সুতরাং ধরেই নেয়া যায় এই হাদীসগুলো তাঁর ইরাকে অবস্থান কালে বর্নিত। সুতরাং তাঁর কাছ থেকে পাওয়া হযরত আয়েশা (রাঃ) র বয়স সংশ্লিষ্ট হাদীসগুলো কতটা সহীহ তা আরেকবার ভাববারই বিষয় বলে মনে করি।

উপরোক্ত আলোচনার পরে আমার মনে বয়স সংশ্লিষ্ট কোট করা হাদিসগুলোর নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে কিছুটা দ্বিধা আসাটা মনে হয়না খুব অস্বাভাবিক। বাকি আল্লাহই ভালো জানেন। নিশ্চয় তিনি মার্জনা করবেন।
--------------

এবার আসি হযরত আয়েশা (রাঃ) র পুতুল খেলা বিষয়ক হাদীস প্রসঙ্গে।

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: মুহম্মদ আয়েষার সাথে পুতুল খেলতেন।
এটা কি বিয়ের আগে, না পরে? (একটা কথা খেয়াল কইরা, নবীকে দেখলে আয়েষার বান্ধবীরা লুকাত। আয়েষা নিজে লুকাতেন না। কেন?)


হাদীসের রেফারেন্সঃ (Fateh-al-Bari page 143, Vol.13) ( দু-পেয়ে গাধ এর দেওয়া রেফারেন্স) এবং Sahih Bukhari 8:73:151 (আলবার্ট আইনস্টাইনের দেয়া রেফারেন্স)

আগেই বলেছি আমি ইংরেজী সাহিত্যের ছাত্র এবং আপনার কোট করা হাদীস পড়ে আমার মনে হয়নি রাসুল (সাঃ) নিজে পুতুল খেলতেন। এমনকি এসব হাদীসের বঙ্গানুবাদ পড়েও এমনটা পাইনি। আপনার কেন এমন মনে হলো বুঝলামনা।

আর যদি আমার ওপরের এ্যানালোজি ঠিক হয় এবং তিনি যদি কেবল বাল্যবয়সেই পুতুল খেলে থাকেন তাহলে বিয়ের আগে না পরে সে বিষয়ে প্রশ্ন আমারো থাকলো। তবে সে পুতুল খেলার বয়স যদি ৬/৭ হয় তাহলে নিশ্চয়ই তা বিয়ের আগেরই ঘটনা। কারণ হযরত আয়েশা (রাঃ) তো রাসুল (সাঃ) কে বাল্যকাল থেকেই চেনেন এবং তাঁদের মাঝে পারিবারিক যোগাযোগ ছিল। তাঁরা খুব দুরেও থাকতেন না। আর এমন ক্ষেত্রে রাসুল (সাঃ) এর বাসায় আসা দেখে আয়েশা (রাঃ) না লুকালে সেটা বিচিত্র কিছু না আবার তার বান্ধবীরা তাঁকে দেখে লুকানো টা বিরাট কিছু ইঙ্গিতও করেনা। অনেক সময়ই এটা হয়, যার বাসায় খেলা হচ্ছে তার পরিচিত কেউ এলে বাইরে থেকে যারা খেলতে এসেছে তারা আড়ষ্টতা বোধ করতেই পারে এবং লুকাতে চাইতে পারে। এর ভেতরে অস্বাভাবিক কিছু আছে বলে মনে হয়নি আমার কাছে। কাজেই এই হাদিস দিয়ে খুব বিশেষ কিছু প্রমান করা যায়না।

এবার আসি পুতুল বিষয়ক আরেক হাদিসেঃ

Sunan Abu-Dawud, Vol. 3, No. 4914 এবং Abu Dawud 41:4914 যে দুইটা রেফারেন্স দিয়েছেন সে বিষয়ে আগে একটু বলি।

এই হাদীসে তাবুক এবং খাইবার এর দুইটা যুদ্ধের বা অভিযানের কথা এসেছে।

খাইবারের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৭হিজরী বা ইংরেজী ৬২৮ সনে।
তাবুকের যুদ্ধ সংঘটিত হয় ৯ হিজরী বা ইংরেজী ৬৩০ সনে।

এখন যদি এটাও কেউ ধরে নেয় যে হযরত আয়েশা (রাঃ) র জন্ম ৬১৪ খৃষ্টাব্দে হয়েছে ( আপনাদের রেফার করা হাদিস অনুযায়ী বললাম)অ তাহলেও ৬২৮ সনেও তিনি ১৪ বছর বয়স্ক ছিলেন। আর আমার হিসবে তো তিনি প্রায় ২৪ বছর বয়স্কা।

এখন যদি বলেন এতো বয়সে পুতুল নিয়া কি করতো? তাহলে বলি পুতুলগুলো ছিলো স্টোর রুমে। আর এরকম অসংখ্য প্রাপ্তবয়স্ক ছেলে মেয়ে পাওয়া বিচিত্র না যারা বাল্যকালের খেলনা অনেকদিন ধরে রেখে দেন। আমার নিজেরই বয়স ৩৫ অথচ আমার ছেলেবেলার অনেক খেলনা এখনো শোকেসে আমার বাচ্চার খেলনার পাশাপাশি সাজিয়ে রাখা আছে। আস সেসময় হয়তো এখনকার মতো খেলনা সহজলভ্য বস্তু ছিলনা। তাই তিনি তাঁর অনাগত সন্তানের জন্যেও যুগিয়ে রাখতে পারেন। এটা আমার অনুমান মাত্র।

=======

@ দু-পেয়ে গাধঃ মনে হয় আপনার সুরা তালাকের রেফারেন্স আমার আলোচ্য বিষয় নয়। তবে আমার এই ধারণা যদি আমার বোঝার ভুলে হয় তবে আমার পোস্টের বিষয় (হযরত আয়েশা (রাঃ) এর বয়স) ও এই রেফারেন্সের প্রাসঙ্গিকতা আরেকবার বুঝিয়ে বলবেন প্লীজ।

@ দুরের পাখিঃ আমার তিন নম্বর পয়েন্ট বাতিল হবার মতো কারণ এখনো ঘটেছে বলে মনে হচ্ছেনা। আপনিই বলুন বিস্তারিত।

এই হলো আমার অভিমত। আর বলে রাখি, আমি হাদিস কোরআন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ না। এটা আমার সারাজীবনের স্টাডি বা বর্তমান পেশার সাথেও সংশ্লিষ্ট না। কাজেই এসব বিষয়ে জানি খুবই কম। তারপরেও আপনাদের কথার জবাব দিতে গিয়ে একটা উপকার হলো, কিছু লেখাপড়া করা হলো। কিছু জানার পরিধি বাড়লো।

আমার ব্যাখ্যায় প্রিয় ব্লগাররা কনভিন্সড কি না জানি না, কাউকে কনভিন্স করা এতা সোজা কাজ না। আর বলে রাখি, আমার লেখা বা এ্যানালোজি ভুল ত্রুটির উর্ধে বলে দাবী করার ধৃষ্টতা দেখাবোনা। কোন ভুল হয়ে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। তবে আবারও সুস্থ্ আলোচনার আহবান জানাচ্ছি।

অনেক ধন্যবাদ

৬২| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:৫৬

গুপী গায়েন বলেছেন: যারা এর মাঝে এসে কমেন্ট করে প্রসঙ্গ চালু রেখে গেছেন সবাইকে ধন্যবাদ। একে একে সবার কমেন্টে আসবো।

আরো লেখা সম্ভব ছিলো কিন্তু তাতে পুরা একটা বই হয়ে যাবে। আর আসলে ততো সময়ও নাই। ধন্যবাদ।

৬৩| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:০৫

ডাইনোসর বলেছেন: গুপী গায়েন ভাল ব্লগার।

১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩

গুপী গায়েন বলেছেন: এইটা কি প্রশংসা ? কেন?

৬৪| ১৫ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫৯

জেমসবন্ড বলেছেন:
.............আপনার গবেষণার জন্য ধন্যবাদ । এটা আসলে তেমন বড় বিষয় না । তবে যারা দোষ খোজার দোষ খুজবেই । তবুও আপনার কাজের প্রশংসা করছি ।

...................

১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনি যে কষ্ট করে এটা পড়েছেন, সে জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

আমি আসলে আত্মতৃপ্তির তাগীদেই খাটুনিটা করেছি।

৬৫| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯

মদন বলেছেন: প্রথমেই বলি অসাধারন কাজ করেছেন, হয়তো আগেও এই কাজ করে গেছেন, কিন্তু আপনারটাই চোখে পড়লো।

৬ বছর নাকি ৬০ বছর এটি খুব বড় বিষয় মনে করার কারন নেই, বুঝতে হবে সম-সাময়িক রীতিনীতিকে। যদি সে সময়ে স্বল্প বয়সীকে বিয়ের নিয়ম থেকে থাকে তাইলে তো কিছুই করার নাই। যেমন নবী(স.) লুঙ্গী পরতেন, আর আমাদের এই সমাজে লুঙ্গি পরে একেবারেই আমজনতা আর প‌্যান্ট-শার্ট পরে ভদ্দরনোকেরা। তাইলে আমাদের এই সময়ের সমাজের সাথে যদি নবীর পোশাকের তুলনা করলে তার অবস্থান খুব সুবিধার হয় না।

নবী(স.) প্রথম বিয়ে করেছিলেন ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী নারীকে। তার সমস্ত বিয়েই ছিলো আমাদের সময়ের অস্বাভাবিক।

মুল পয়েন্টে আসি, যদি আপনার কথাই মেনে নেই যে, নবী(স.) আয়েশাকে বিয়ে করেছিলেন ১৭-২০ বছর বয়সে তাহলে বলতেই হয় আয়েশার ছয় বছর বয়সের বিবাহের কথা কিছু সুবিধাবাদী লোকের বানানো হাদিস। যা হয়তো তাদের মনের খায়েশ চরিতার্থ করার জন্য বানিয়েছে।

সবচেয়ে ভালো আল্লাহ জানেন।

প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪১

গুপী গায়েন বলেছেন: সবচেয়ে ভালো আল্লাহ জানেন।

এটাই আমি বারবার মনে করি। এবং একদিন নিশ্চয়ই সত্য স্বরূপে আবির্ভূত হবে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬৬| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ পারভেজ আলম, দূরের পাখি, আইনস্টাইন

আমি সবগুলো কমেন্ট পড়ার সময় পাই নাই, তবে আপনাদের শুরুর কয়েকটা কমেন্ট পড়েছি। নিজের স্বল্প জ্ঞানে কিছুটা জবাব দেবার চেষ্টা করি।

মোল্লা আর শরীয়াপন্থীরা হাদীসকে কোরানের কতটা উপরে স্থান দেয় (কথায় নয় কাজে) তা শরীয়া আইন দেখলেই বুঝা যায়। এমনকি কোরানের অনুবাদেও হাদীসের প্রভাব প্রবল!! হাদীস শাস্ত্রে এত প্রচুর পরিমানে স্ববিরোধীতা আছে যে (বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক সব দিকেই) আপনারা নিরপেক্ষ ভাবে দেখলে নিজেরাই বলবেন যে এর ভিত্তিতে কোন কিছু বলা ঠিক নয়। তবে আপনারা বলতে বাধ্য হন আমি জানি, কারন এগুলো না বললে মুসলিমদের বিরোধীতা করা যায় না। তবে আপনারা নিজেরা কি মন থেকে বিশ্বাস করেন যে আয়েশার বয়স ৬ ছিল বিয়ের সময়? যদি করে থাকেন তাহলে আপনাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ আছে আমার। আমি হাদীস শাস্ত্রের পুরোটাই বিপক্ষে এখন। আমার কথাতেই তো আর সবাই বিপক্ষে চলে যাবেনা, তবে হাদীসের খুঁত ধরিয়ে দিলে মোল্লাদের প্রতাপ অনেক কমে যাবে এতে আমি নিশ্চিৎ।

কোরানের সুরা নিসার যে আয়াতটা নিয়ে আলোচনা করেছেন তা নিয়ে একটু বলি।

////পারভেজ আলম বলেছেনঃ (০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।

হুম। কিন্তু বিয়ের বয়স কত? কত বছর বয়স্কে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষের বয়স অথবা বিয়ের বয়স ধরা হয়েছে সেটাকি কোরআনে আছে? আমি তো জানি নাই
।/////

এই আয়াতটা একটু ভালভাবে বিবেচনা করে দেখুন। বুদ্ধি বিবেচনার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই, আগের যুগের তুলনায় এখনকার যুগের মানুষের বুদ্ধি বিবেচনা অনেক আগেই উন্নত হয়ে যাচ্ছে। এবার বলুন কোন বয়সে একটা শিশু যথাযথ ভাবে সম্পদের হিসাব রাখতে পারবে আর তা রক্ষণাবেক্ষন করতে পারবে? সময় অনুযায়ী এই বয়স নির্ধারণ করাটা মোটেই কঠিন কিছুনা। বরং এখানে নির্দিষ্ট বয়স ঠিক করে দেয়াটাই অবিবেচক সিদ্ধান্ত হত। ভবিষ্যতে হয়তো এই বয়স ৩৫ এও যেতে পারে। তাই যখন কেউ সম্পদের হিসাব রাখার মত বয়সে পৌছাবে তখনই তার বিবাহের বয়স হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে। যেই শিশু এখনো পুতুল খেলে সে কি এখন তার সম্পদের হিসাব রাখতে পারবে? মোটেই না।

আপনাদের বিরোধ যদি শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে হয় যা কিনা পুরা মাত্রায় হাদীস নির্ভর তাহলে আমার পূর্ণ সমর্থন পাবেন। আমি আপনাদের সাথে কাঁধ মিলিয়েই যুদ্ধ করব। এখন আপনারা যদি বলেন যে আয়েশার বিয়ে হয়েছিল ৬ বছর বয়সে তাহলে তা শরীয়ার সত্যতার পক্ষেই যাচ্ছে কিনা তা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। মুমিন মুসলিমেরা তখন শরীয়াকেই ফলো করবে আপনাদের কথাকে নয়। আপনারা বরং যদি তুলে ধরেন যে শরীয়া কিভাবে নারী অধিকার কে ক্ষুন্ন করে, কিভাবে কোরানের আদর্শকে কন্ট্রাডিক্ট করে তবেই বরং মোল্লাদের ছড়ি ঘুড়ানো বন্ধ হতে পারে।

৬৭| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০০

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ দুরের পাখি , আইনস্টাইন

আপনারা কি দাবী করছেন যে আয়েশা বর্ণিত হাদীস গুলো আয়েশা নিজে এসে বুখারী আর মুসলিম সাহেবের কাছে বলে গিয়েছে? হাসালেন দেখছি। আয়েশার মৃত্যুর কয়শ বছর পরে বুখারী , তাবারী , হাম্বলী এদের জন্ম হয়েছে তা কি কোনদিন খুঁজে দেখেছেন? আয়েশা বর্ণিত হাদিসগুলোতে অন্তত ৪/৫ টা চেইন লিঙ্কার আছে, মানে অমুক বলেছে, তমুক বলেছে করে পাঁচবার হবার পরে আয়েশা বলেছেন। আর যেসব হাদীসে দাবী করা হয়েছে যে আয়েশার বয়স ৬ বা ৭ ছিল সেগুলোর বর্ণনাকারী (বুখারীর বা অন্য সংকলকের কাছে সরাসরী) শুধুমাত্র একজন - ইবনে হিসাম। আর কেউ নাই!!!! আপনারা যেসব হাদীস এখানে কপি পেস্ট করে গেলেন সব গুলোর বর্ননাকারীর চেইন খুঁজে দেখুন আমার কথার সত্যতা পাবেন। এবার বলুন, এত হাজার হাজার সাহাবীর কেউ এই কথা বলতে পারলনা শুধু এক হিসাম তা বলে গেল? সেই হিসামের মিথ্যা সাক্ষ দেবার ইতিহাসও আছে তা জানেন কি? মুসলিমের বিরোধীতা করতে গিয়ে নিজেদেরকে আপনারা কোন স্তরের তর্কে নামাচ্ছেন? আপনাদের সাথে তাহলে অজ্ঞ হাদীস আর শরীয়াপন্থী তার্কিকের পার্থক্য রইল কই? যদি পারেন তো পুরা হাদীসশাস্ত্রকেই ধোলাই দেন না কেন? তাতেই তো কিছুটা উপকার হত। মুহাম্মদের বিরোধীতা করাটাই আপনাদের মূখ্য কাজে পরিণত হয়ে গেছে, নিরপেক্ষতার ধার আর ধারেননা। আপনাদের মুখে সমাজ সংস্কার সব আমাদের হাসিনা খালেদার মত মুখের বুলি।

৬৮| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৭

তন্দ্রাহারা বলেছেন: সোজা প্রিয়তে।

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৩৮

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬৯| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩

আধাঁর রাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চমৎকার লেখার জন্য। সোজা প্রিয়তে।
অনেক কিছু জানলাম।সবচয়ে ভালো লেগেছে কোন গালাগালি শুরু হয়নি দেখে।

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৪৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আমার বক্তব্যে আমি সেই অনুরোধ করেছি সবাইকে। সবাইকে ধন্যবাদ যে সবাই আমার কথা রেখেছেন।

৭০| ১৫ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মেহেদী পরাগ বলেছেন: দূরের পাখি বলেছেনঃ

আপনার পুরা পোস্ট দাঁড়ায়া আছে তিনটা ধারণার উপর ।
১.
আয়েশার বিবাহের বয়স সংক্রান্ত হাদিস দুর্বল ।
২.
কোরানে বিবাহ নিয়ে বয়স ঠিক করে দেয়া আছে ।
৩.
মোহাম্মদ কোরানের বিপরীত কোন কাজ কখনো করে নাই ।



আয়েশার বিবাহের বয়স সংক্রান্ত হাদিস বেশ কয়েকটা সোর্স থেকে আছে , তার একটা যেটা আপনি ব্যবহার করেছেন সেটারে দুর্বল ধরা যায় । কিন্তু অত্যন্ত সবল আয়েশার নিজের বর্নিত হাদিসেই খুব স্পষ্টভাবে বিবাহের সময়কার বয়স এবং ঘরে তোলার বয়স দেয়া আছে । আমি যেই হাদিস দিলাম সেটা দেখতে পারেন যেকোন অনলাইন সোর্স থেকে । নিচে অন্যদেরও কয়েকটা রেফারেন্স দেয়া আছে । অতএব আপনার পয়েন্ট ১ পুরাপুরি বাতিল ।

আপনার পয়েন্ট ২ নিয়ে যদিও আমি সরাসরি কিছু পাই নাই । তবে বেনেফিট অফ ডাউট পাওয়ার যোগ্য । অর্থাৎ পজিটিভলি নিলে বলা যায় যে বুঝ জ্ঞান হওয়ার পর বিবাহের বয়স হয় । ফাইন ।

এখন আসেন আপনার পয়েন্ট তিনে । জানেন নিশ্চয়ই কোরান অনুসারে আলী এবং মোহাম্মদ কন্যা ফাতেমার বিবাহ হারাম । কিন্তু তাদের বিবাহ হইছে , কার সাথে বিবাহ যায়েজ আর কার সাথে নাযায়েজ সেই আয়াত নাযেল হওয়ার আগেই । এইজন্য ঐগুলা বৈধ থেকে গেছে । এখন সুরা নিসা নাযেল হইছে হিজরী ৩ থেকে ৫ সনের মধ্যে , আর আয়েশার সাথে মোহাম্মদের বিবাহ হইছে হিজরতের আগেই । অর্থাৎ আপনার পয়েন্ট ৩ পুরাপুরি বাতিল । এবং একি সাথে এইটা পয়েন্ট ২ সংক্রান্ত আলোচনার প্রয়োজনীয়তারেও বাতিল করে ।
---------------------------------- ------------------------------

১ নং পয়েন্ট বাতিল করেছেন আয়েশা বর্ণিত সবল হাদিসে উদাহরণ দিয়ে। শোনেন পুরা বুখারী শরিফকেই সহিহ বুখারী বলা হয়। কারন সে ৬ লক্ষ হাদীস থেকে মাত্র ৬ হাজারের মত হাদীস বেছে নিয়েছিলেন। উপরে ৬৮ নং মন্তব্যে বুঝিয়েছি যা আয়েশা বর্নীত হাদীসগুলো সরাসরী আয়াশা বর্ণিত নয়। এখন যেখানে পুরা হাদীস শাস্ত্রের মধ্যেই অসংখ্য ডাউট আছে তখন সেইটা যত সহিহ ই হোক তা ১০০% নিশ্চিৎ করে গ্রহণ করার উপায় নেই। শুধু মোল্লারাই তা গ্রহন করতে বলবে, তাই আপনি বরং তাদের সাথেই তর্ক করবেন। আর আপনি যে গ্রহন করে বসে আছেন যে আয়েশার বিয়ে ৬ বছর বয়সে হয়েছিল তাতে বুঝা গেল আপনার মানসিকতা মোল্লাদের মতই, হাদীসে পরিপূর্ণ বিশ্বাসী !!!!!!!!!!!!!!!

২ নং পয়েন্ট বেনিফিট অফ ডাউট বললেন, আসলে এখানে ডাউটের কোন অবকাশই নেই। উপরে আমার ৬৭ নং কমেন্টে তা বুঝিয়েছি। কোরানে বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া নাই যে কোন বয়সে বুদ্ধি বিবেচনা হয়। কিন্তু একই আয়াত থেকে এটা পরিষ্কার বুঝা যায় যে সম্পদের হিসাব রাখতে পারা আর তা রক্ষা করতে পারার যোগ্যতাই হল বুদ্ধি বিবেচনা হবার নির্ণায়ক। এখন আপনি কি এই কথাতে দ্বিমত করেন? করে থাকলে নির্ঘাত যুক্তিতে পরাস্থ হবেন।

৩ নং পয়েন্টে এসে একই কথা প্রযোজ্য। আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন যে আপনার কথায় ভুল আছে। মুহাম্মদ কোরানের বিপক্ষে কাজ করলে তা সকলের চোখেই ধরা পড়ত আর তাতে সে আর নবী বলে বিবেচিত হতনা। এখন হাদীস মারফত জানা যায় যে মুহাম্মদ কোরানের বিপক্ষে কাজ করেছেন। কিন্তু হাদীসকে আপনি কেন এত নির্ভরযোগ্য বলে দাবী করছেন? হাদীসের উপর আপনার ঈমান তো দেখি মোল্লাদের চাইতেও বেশী! হাদীসে স্ববিরোধী কথার কোন অভাব নাই। মুসলিমরা মানে বলেই হাদীসকে সত্য ধরে নিবেন কি শুধু মুহাম্মদের খুঁত বের করার জন্য? এটাই কি মুক্তমনার সঙ্গা? যদি নিরপেক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে বুঝে নিবেন যে মুহামদের ইতিহাস সত্য ভাবে জানার জন্য হাদীসকে কোরানের সাপেক্ষে ফিল্টার করতে হবে। যেসব হাদীস আপনারা বলছেন তা কোরানের মূল থীমের সাপেক্ষে অবশ্যই বাতিল হয়ে যাবে।

১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৫৫

গুপী গায়েন বলেছেন: ভাই আপনার জবাব ভাল লাগলেও এ্যাপ্রোচটা একটু ভালভাবে করলে ভালো লাগতো। কারন এই পোস্টে কেউই বিবাদে জড়াক আমি তা চাইনি। দুরের পাখি বা আর কেউই আমাকে বা কাউকেই খুঁচিয়ে কথা বলেননি, তাঁরা সবাই আমার অনুরোধের মান রেখেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ পাবার তাঁরা যোগ্য। আর আমি কিন্তু মোটামুটি জবাব দেবার চেষ্টা করেছি রেফারেন্স দিয়ে।

আমার বক্তব্যের বিষয়ে আপনার কোন মন্তব্য পাইনি। খুব অবাক হয়েছি।

যাই হোক, ভালো থাকুন। তবে এই সূত্র ধরে কোন গোলমাল লাগলে গোলমেলে সব কমেন্ট মুছে দিতে বাধ্য হবো এবং এটা করতে আমার খারাপ লাগবে।

৭১| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ৮:৪২

মারভিন বলেছেন: Click This Link

৭২| ১৫ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:২৩

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ লেখক

আমার এপ্রোচটা যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে দুঃখিত। দুরের পাখি আর আইনস্টাইনের কাছেও দুঃখ প্রকাশ করছি।

আপনার লেখার ব্যাপারে মন্তব্য করিনাই কারন এই রকম লিখা আগে কয়েক বার পড়েছি। এখন আর মন্তব্য করতে ইচ্ছা করেনা। ঠিক আছে, বললেন যখন মন্তব্য করে যাচ্ছি, কিন্তু তা হজম করতে অনেকের কষ্ট হবে।

আপনার পোস্টের রেফারেন্স থেকেই জানা যাচ্ছে যে ইবনে হিসামের মত স্মৃতিভ্রষ্ঠ লোকের কথা সত্য হবার পূর্ন নিশ্চয়তা নাই। আর অন্যান্য অনেক হাদীস থেকে বুঝা গেল যে আয়েশার বয়স ৬-২২ এর মঝে অনেকগুলোই হতে পারে। তাই হাদীস থেকেও পূর্ন নিশ্চয়তা দেয়া গেলনা। সবশেষে কোরানের দারস্থ হলেন যেখানে পরিষ্কার কিছু না বলা হলেও বুঝ যায় শিশু বিবাহ ঠিকনা। আমি সম্পূর্ণ একমত।

এবার আমি যদি বলিঃ আয়েশা (রাঃ) হযরত আবু বকর (রাঃ ) এর কন্যা নন বরং বোন ছিলেন? বিয়ের সময় নবী (সঃ ) এর বয়স ছিল ৫২ আর আয়েশা (রাঃ ) এর বয়স ছিল ৪৮? চমকে উঠবেন কিনা? আমি কিন্তু বানিয়ে বলছিনা সত্যিই বলছি।


নবীর জীবনী লেখক যারা আছেন (প্রথম দিকের) তাদের মধ্যে তাবেরীকে বেশ মূল্য দেয়া হয়। অথচ এই তাবেরী বলে গিয়েছেন যে তিনি যা লিখেছেন তার দায়িত্ব তিনি নিবেন না, কেননা তার সব কথাই শুনা কথা। আমরা নিজেরাই দেখতে পাই তাবেরীর গ্রন্থে প্রচুর কন্ট্রাডিকশন আছে। এছারা ইবনে ইসহাক তাবেরীর আগেই নবীর জীবনী লিখে গিয়েছেন যদিও তার বই এর অস্তিত্ব আর নাই। তবে ইবনে হিসাম ইসহাকের বই এর কথাগুলো রেফারেন্স দিয়ে দিয়ে নিজের বইতে লিখে গিয়েছেন। ইবনে আথির, ইবনে কাথির, ইবনে খালদুন সহ অন্যান্য অনেক লেখকের কথা বাদই দিলাম, এটুকু বলি যে তাবেরী রা মুসলিম ছিলনা বলেই কথা প্রচলিত আছে। এবার আসুন মূল কথায়। আমার উপরের বোল্ড করা কথা গুলা আছে একটা বইতে, লেখক আব্দুল জব্বার ফাতেমী যার বই আপনি চেষ্টা করলেও খুজে পাবেননা। তবে ইসলামিক রাইটারদের নামের তালিকায় তার নাম পাবেন। বইটার নামঃ কিতাব-ই-দলিল-ই-নবুয়্যত। এমন আরও একজন রাইটারের নাম আছে। এই ফাতেমী তার বই লিখে গিয়েছিলেন তাবেরীর ১৫০ বছর আগেই। বই এখনো সংরক্ষিত আছে ইস্তাম্বুল মিউজিয়াম এ, মদীনা ইউনিভার্সিটির লাইব্রেরীতে, তাসখন্দের মুসলিম লাইব্রেরীতে (প্রাক্তন সোইয়েত ইউনিয়ন), কায়রোর জামিয়াহ আল আজহার এ, বৈরুতের মক্তবে আদনান এ, এছাড়া অনেক প্রাচীন স্কলারের পারিবারিক গ্রন্থাগারে। আরবীয়রা কেন এই বই লোকালয়ে ছাড়েনা জানেন? শরীয়ত ধ্বংশ হয়ে যাবে। তাদের একনায়ক সাম্রাজ্য বিনাশ হয়ে যাবে। শেষ দিকের খলিফাদের সময় থেকেই এই বইগুলো ধংশ বা লুকিয়ে ফেলে তাবেরী বুখারী ইত্যাদি লেখকদের বই টিকিয়ে রাখা হয়েছে ইসলামের নামে জুলুম চালানোর জন্যে। এবার আপনাদের মনে জেগে উঠা প্রশ্নের জবাব দেই, সেই বই আমি কিভাবে পেলাম? না আমি পাইনি, তবে একজন লোক কিছু পৃষ্ঠার ছবি পেয়েছেন। তিনি সাব্বির আহমেদ। তার একটা বইতে এই বই এর কথা জানতে পারি। বইটার নামঃ ISLAM: THE TRUE HISTORY AND FALSE BELIEFS
BY: DR. SHABBIR AHMED, M.D., FLORIDA, ISBN 0-9758851-0-5
সাব্বির আহমেদ দীর্ঘদিন সৌদিতে ছিলেন। তার অনেক ছাত্র আছে আরবের বিভিন্ন দেশে। সেই ছাত্ররাই অনেক সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিছু পৃষ্ঠার ছবি তুলে সাব্বির আহমদ এর কাছে পাঠিয়েছিলেন।

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৬

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার কমেন্টে অভিভূত!!!! আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলেই সত্য খোঁজা, খুঁজে পাওয়া ও সে পথে চলা অনেক কঠিন।

৭৩| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০৫

নির্ণয় বলেছেন:

মেহেদী পরাগ আর আপনি বর্তমানের ছাকনিতে ছাঁকা শুদ্ধতাময়(?) যে প্যাটার্নের ইসলাম সমাজে প্রচলিত অবস্থায় দেখতে চান তার জন্য এইসব কথা আগে বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টার টাইপের আলেমদের গেলাতে হবে। আমার ধারণা সেক্ষেত্রে তারা আপনাদের সেইসব দুষ্কৃতিকারীদেরই সমতুল্য হিসেবে দেখবে যাদেরকে আপনার, তাদের নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য জাল হাদিস প্রসবকারী হিসেবে দেখাতে চাইছেন।

এই পোস্টে লাভ এর মন্তব্যগুলো - লেখকর-পাঠকের।

একই বিষয়ে আর একটা পোস্ট কদিন আগেই দেখেছি, যদিও পুরাতন। লিংক রেখে গেলাম আগ্রহীদের জন্য রাসূল (সা.) এর বিয়ে সম্পর্কে মন্তব্য ও তার জবাব

১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:০০

গুপী গায়েন বলেছেন: লিঙ্কটা দেখবো ভাই। কাল মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি নেট গেল।

সকালে এসে দেখি মেহেদী পরাগ ভাই জবাব মোটামুটি দিয়েই দিয়েছেন। তাই আর দ্বিরুক্তি করছিনা।

ভাল থাকবেন।

৭৪| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০৮

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: শেষ অবধি যদি ব্যাপারটা প্রমাণ করা যায় তবে দুনিয়া থেকে একটা মস্ত আপদ বিদেয় হয়। পোস্ট এবং কমেন্টে জাঝা। অনেক দিন পরে একটা সুস্থ আলোচনা দেখতে পেলাম।

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫৬

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।

আচ্ছা বলুনতো, আপনার সাথে আমার বিরোধের জায়গা কোনটা হতে পারে? ধর্ম বিশ্বাস বা অবিশ্বাস? মানুষ কি ধর্মের তরে সৃষ্টি না মানুষের তরে ধর্ম ( রিমেমবারঃ আমি ধর্ম বলতে নীতি, বৈশিষ্ট্য বিশ্বাস সবকিছু ইনক্লুড করেছি, শুধু আসমানী কিতাবে পাওয়া গাইডলাইনকে না)?

আপনার বিশ্বাস/ অবিশ্বাস যদি আপনাকে শান্তি দেয়, বর্তমান ও অনাগত মানবজাতি সহ সকল প্রাণীকুলের জন্য সুন্দর এক দুনিয়া তৈরীতে সাহায্য করে, তবে বিরোধের পয়েন্টটা কি হতে পারে?

ভালো থাকুন।

৭৫| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:২২

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: লেখক@ কোরানের বাণী দিয়েছিলাম বিয়ের বয়স সম্পর্কে আন্দাজ দিতে। ধার্মিক ব্যক্তিরা আরো অনেক কিছু দেখিয়েই আপনাকে ভুল প্রমাণ করতে চাইবে।

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১:৫৭

গুপী গায়েন বলেছেন: ও আচ্ছা।

৭৬| ১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:০২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ নির্নয়

ভাইরে, বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টারের মোল্লা শুধু নয়, দুনিয়ার তাবৎ মোল্লাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। কিন্তু তার জন্যে তো সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। মোল্লারা এত শক্তি কোথায় পাচ্ছে বুঝতেছেন না? সাধারণ মুসলমানের প্রচলিত ধর্ম বিশ্বাস থেকে যা তারাই প্রতিষ্ঠিত করেছে। এখন এদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করার চেয়ে যদি শরীয়া জিনিসটার অসারতা প্রমাণ করা যায় সাধারণের কাছে, তাহলে মোল্লারা আপনাতেই বিলুপ্ত হবে।

আর একটা কথা বলিঃ ইসলাম সম্পর্কে আপনাদের ভুল ধারণাগুলোর সমস্ত দায় মোল্লাদের উপর পড়বে। নবীর দেয়া বিদায় হজ্বের ভাষনটা একবার পড়ে দেখুন, দেখবেন মানবাধিকার নিয়ে লিখা সমস্ত আইন এই ভাষনের কাছে বিবর্ণ মনে হবে। কোরানের যে অনুবাদ আপনারা আমরা পরি তা হাদীস আর শানে নুজুল দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত। কোরান এস ইট এক্সপ্লেইনস ইটসেলফ পড়ে দেখুন, এত চমৎকার গ্রন্থ আর কয়টি আছে? মানবতা আর মানবাধিকার নিয়ে কোরানের কথাগুলোর লিস্ট করলে দেখবেন পৃথিবীর সমস্ত মানবাধিকার আইনের চাইতে এটা আরও বেশী রিচ। এত শত শত মানবাধিকারের কথা যেখানে বলা আছে তার গুরুত্ব শুধু মোল্লা আর হাদীসের কারণে বাতিল হয়ে যাবে? বিখ্যাত একজন স্কলার নাম মনে আসছেনা, তিনি বলেছিলেনঃ ''আমি ইউরোপ দেখে এলাম সেখানে ইসলাম আছে কিন্তু মুসলিম নেই, আমি মিশর দেখে এলাম সেখানে মুসলিম আছে কিন্তু ইসলাম নেই''। খুবই সত্য কথা, ইউরোপে অল্প কিছু ব্যাপার ছাড়া আর সব কিছুই কোরানের আদর্শে চলছে যদিও তারা জানেনা এই আদর্শগুলো কোরানে দেয়া আছে!!

১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৪৫

গুপী গায়েন বলেছেন: প্রবলভাবে সহমত।

৭৭| ১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫৬

মেলবোর্ন বলেছেন: হাদিস তো আছেই আমরা কোরআন ও ঠিক ভাবে পরি না বা বুজিনা । কোরআন কি ভাবে মিস ইউস করা হ্য় আর কি ভাবে পরা উচিত তা পাবেন এই পোস্ট এ

Lesley Hazleton: On reading the Koran
Click This Link

১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৭

গুপী গায়েন বলেছেন: সহমত।

লিঙ্ক এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৭৮| ১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ৮:৫৭

মেলবোর্ন বলেছেন: আর লেখক কে অসংখ ধন্যবাদ এই রকম একটি সুন্দর পোস্ট দেয়ার জন্য।

১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫৬

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

৭৯| ১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:১৯

সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। সামুতে আমার দেখা সব থেকে পরিস্কার যুক্তি তর্ক ও কথা চালাচালি। তার মানে আমরা চাইলেই ব্লগে গালাগালি ছাড়াই যুক্তি তর্ক করতে পারি।

১৬ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:২৬

গুপী গায়েন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

গালাগালি ছাড়াও যে শিক্ষিত মানুষ যুক্তিতর্ক চালাতে পারে তা খুব সত্যি। কিন্তু আমরাই পারিনা তর্কের মান ও গতি নিয়ন্ত্রন করতে। বিশ্বাস করুন, একটা কমেন্টও ডিলিট করবার দরকার পড়েনি।

৮০| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:০৮

প্রজাপতীমন বলেছেন: প্রজাপতীমন বলেছেন: সত্যি অসাধারন একটা পোস্ট।

আসলে আমি জানতামই না যে বিয়ের সময় আয়শা( রাঃ ) বয়স ৬ বা ৭ বা যুক্তি অনুযায়ী ১৯/২০ ছিল । কত কিছুই না অজানা। এই লেখাটার মাধ্যমে অনেক সুন্দর একটা বিষয় জানতে পারলাম। লেখককে অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন।

১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৬

গুপী গায়েন বলেছেন: প্রজাপতীমনের হৃদয়টাও প্রজাপতির মতো সুন্দরভাবে বিকশিত হোক।

৮১| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:১৯

মুর্তজা হাসান খালিদ বলেছেন:
জ্ঞানীদের আশেপাশে থাকাটা সৌভাগ্যর :) পোষ্টের জন্যে ধন্যবাদ, প্রিয়তে

১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩১

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনির বিনয়ে আমি লজ্জা পেলাম কারণ নিজেকে কখনো জ্ঞানী ভাবার মতো ধৃষ্টতা করিনা কারণ সেটা আমি মোটেও নই। তবে হ্যাঁ এই পোস্টে মন্তব্য করা অনেকেই নিশ্চিতভাবে অনেক জ্ঞান রাখেন।

পোস্ট প্রিয়তে নেবার কারণে ধন্যবাদ।

৮২| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
লেখকের যুক্তি ভাল লাগল...
তারপরও আমি এ নিয়ে আরেকটু খোঁজ করার চেষ্টা করব।
@=মেহেদী পরাগ ভাই ও নির্ণয়...
বসুন্ধরার আলেমদের প্রতি এভাবে রাগলেন কেন?

পরাগ ভাই মোল্লাদের বিরুদ্ধে কেন যুদ্ধ করতে হবে...ব্লগে আপ্নাকে যে ভুমিকায় দেখি সে হিসেবে আপ্নার এই কমেন্টা ভাল লাগেনি। আপ্নার কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করিনা।

আর বসুন্ধরার কথা বলি ওরা এখানে রিচার্সৃ করেন। জীবনের প্রায় সবটুকো সময় তারা কোন উচ্চ বিলাসী স্বপ্ন না দেখে শুধু কোরআন হাদীসের খেদমতের জন্য জীবনের পুরোটা সময় ব্যয় করেন। নিজের সার্থে নয়। সেটা আমি ওদের কাছে থেকে দেখেছি।

যদিও দুএকটি বিষয়ে তাদের বাড়াবাড়ি থাকলে থাকতেও পারে।

আর বাল্য বিবাহ নিয়ে বসুন্ধরা পুস্তিকায় যা বলা হয়েছে তা রেফারেন্স দিয়েই বলা হয়েছে। এখন এখানে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা নিয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তখন তাদের মত কী হয় তাদেখে না হয় যুদ্ধের কথা হতে পারে...

পরাগ ভাইয়ের হায়াতে তাইয়্যিবা কামনা এ লেখক কে আবারও ধন্যবাদ...

১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫১

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

বাই দ্য ওয়ে বসুন্ধরা রিসার্চ সেন্টার বিষয়ে আমার কোন ধারণা নাই। একটু জানাবেন কি?

৮৩| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৮

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ওহ হো বলতে ভুলেই গেলাম ...

পোস্ট প্রিয়তে...

১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আবারো অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৮৪| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
ওহ হো বলতে ভুলেই গেলাম ...

পোস্ট প্রিয়তে...

৮৫| ১৬ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:০০

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
বসুন্ধরা রিচার্স সেন্টার হল কওমী মাদ্রাসা কেন্দ্রিক একটা গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এখানে কওমী মাদ্রাসায় পড়া শেষে অনেক ছাত্র ফিকাহ, তাফসীর,হাদীস, সাহিত্য, আরবী ভাষা ও সাহিত্য ইত্যাদী বিয়য়ে গবেষণা ও উচ্চ শিক্ষা নিয়ে থাকে। সব ছাত্রকেই এখানে ফ্রী থাকা খাওয়া দেয়া হয়।

পরে আরো বিষয় খোলা হয়েছে কিনা জানিনা আমি ২০০৫ পর্যন্ত জানি।

ধন্যবাদ...

১৬ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১১

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। আমার জানা ছিলনা এই প্রতিষ্ঠানটি সম্বন্ধে।

৮৬| ১৬ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @সুপান্থ সুরাহী

আমার মন্তব্যে আপনি আশাহত হয়েছেন বুঝতে পেরেছি। আসলে হুটহাট দুই একটা মন্তব্য লিখলে আমার সমগ্র চিন্তা প্রকাশ পায়না, সে জন্যই আপনারাও আমাকে বুঝতে ভুল করেন, আমিও আমার বক্তব্য বুঝাতে ব্যর্থ হই। এই মন্তব্যে আমার বক্তব্য কিছুটা খোলাসা করছি, তবে পুরোটা খোলাসা এইটুকু মন্তব্যে খোলাসা হবেনা, তাই অনুরোধ রইল, আমার ব্লগে মাঝে মাঝে ঢুঁ মারবেন, যদিও আমি খুবই অলস ব্লগার, নিয়মিত লিখিনা। মোল্লাদের উপর রাগের কারণটা শেষ দিকে বলছি, তার আগে কিছু কথা না বললে আমার অবস্থান পরিষ্কার হবেনা।

একসময় কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা, বিশ্বাস, শ্রদ্ধা আর সমর্থন ছিল আমার। শর্শীনা মাদ্রাসার প্রাক্তন পীর ই মূলত বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোর প্রতিষ্ঠিত হবার পিছনে বড় অবদান রেখেছিলেন। আমি বর্তমান পীরের মুরিদও হয়েছিলাম আজ থেকে আড়াই বছর আগে এবং অনেক ইমপ্রেসড হয়েছিলাম বৈকি কারন প্রচলিত ভন্ড পীরদের মত নন তিনি। এবার মাদ্রাসাগুলো সম্পর্কে কিছুটা আলোচনা করে নেই।

মূলত কওমী হল এমন একটা শিক্ষা ব্যাবস্থা যেখানে মনে করা হয়, ইসলামের মুল ধারার শিক্ষা হতে হবে শুধুই ইসলামের শাখা-প্রশাখার গুলোর উপর ভিত্তি করে, সোজা ভাষায় আরবি হবে প্রধান ভাষা আর পাঠ্য বিষয় বস্তু হবে কুরআন ও হাদীসের উপরে বিশদভাবে। এখানে বাংলা ও সামাজিক শিক্ষা ও বিজ্ঞানের কোন স্থান নাই। আর ইংলিশ হারাম।

আবার আলিয়া হল ইসলাম বিষয়ে শিক্ষার একটা মডিফায়েড রূপ। এখানে ইংলিশ, বাংলা, ইতিহাস যেমন আছে বিজ্ঞান নামে ১টা বিষয় ও আছে। নাহ, এত পুলকিত হওয়ার কিছু নাই, আসল বিষয় এখন বলিনি। এই আলিয়াই হল শিবির প্রণীত পাঠ্য নীতি যার মূল বিকাশ ঘটল গত বিএনপি-জামাআত টার্মে, ঠিক একই ভাবে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার মাজা ভেঙ্গে চূড়ান্ত করে ছাড়ল জামাআত।এভাবে আস্তে আস্তে তারা খুব সহজেই দেশের ইয়াং জেনারেশানকে বোঝাতে সক্ষম হল বেটার পড়াশোনার জন্য এরাবিকের সাথে ইংলিশ এর বিকল্প নাই, কারন বেটার পড়াশোনা মানে মদিনা একাডেমী(সউদি আরব), আল-আজহার(ইজিপ্ট) আর এ সব ইসলামিক প্রতিষ্ঠান আরবির পাশা পাশি ইংলিশকেও গুরুত্ত দেয়। এখন মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীরা পটিয়া-হাট হাজারীর(পটিয়া ও হাটহাজারী চট্টগ্রামে বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় দুটি মাদ্রাসা) গন্ডি ছাড়িয়ে বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। ফলে নেমে যেতে থাকল কওমীর স্থান। কওমীরা বিদ্রোহ করল যখন দাওরা পাশকে(এস এস সি সমমান, কওমী শিক্ষা ব্যাবস্থায়) অবৈধ ঘোষণা করা হল। কিছু ছাত্র আহত-নিহত হল শিবিরের হাতে, যদিও শিবির এর ভাষ্যমতে, তা ছিল কওমীদের অন্তর্কলহ।আলিয়া মানে কিন্তু শিবির না, কিন্তু যাদের জন্ম হচ্ছে আলিয়ার মাধ্যমে তাদের কাছে অজানা না আলিয়াতে জামাআতের ভূমিকার কথা, ফলে স্বভাবতঃই কিছুটা জামাআত পন্থী হয়ে পড়ে তারা ভাব গত দিক থেকে। যার স্ফুরণ ঘটছে ইউনিভার্সিটি লেভেলে এসে, তারা আদর্শগত ভাবেও শিবির হয়ে পড়ছে।

খুবই সূচারুভাবে কওমীদের দমন করল জামাআত-শিবির, যার জন্য কওমীর বলদামীও কম দায়ী না।কিছু করার ছিলনা, শুধু মাত্র ইসলাম বিষয়ে পড়াশোনার লং টাইম ইফেক্ট হিশেবে তারা মোটামুটি পঙ্গু হয়ে পড়েছিল, আর ভিতরে কিছু সংস্কারবাদী সব সময় ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছিল যার ফলে প্রতি বছর অসংখ্য কওমী আলিয়াতে চলে আসছিল।
কওমীদের রাজনৈ্তিক চিন্তা ধারাও যথেষ্ঠ হাস্যকর। তারা নিজেদের ডানপন্থী বলতে সছন্দ্য বোধ করে, কিন্তু জামাআতকে তারা শত্রুর চেয়ে ও খারাপ চোখে দেখে।ইজিপ্টে আজাহারে পড়াশোনা করা ছাত্রদের বিশেষ সুবিধা দেয় কায়রো জামাআত। বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়ার সুবিধার মত আরও অনেক সুবিধা।এ দিক থেকে কওমীরা এতিম।আর তাদের বলদামীও বিখ্যাত রীতিমত।

কওমীকে অনেকেই পুরোনো আর বাতিল শিক্ষা ব্যাবস্থা বলবেন। কিন্তু আমি বলব ভিন্ন কথা, পরিসংখ্যান বলে কওমীর ছাত্ররাই শেষ পর্যন্ত ইসলামিবিদ হিশেবে উঠে আসছে।বাইরেও কওমীরাই আগিয়ে আছে। এরাবিক হোক আর ইএংলিশ…মদীনা একাডেমী আল-আজহারেও শীর্ষস্থান ধরে আছে, বাংলাদেশ, সকল মুসলিম দেশ গুলোর মধ্যে, তাও কওমীদের জন্যই।রাজনীতিতে কোন সম্প্রিক্ততা নেই, কারন ছাত্র রাজনীতিই সাপোর্ট করে না কওমী।সন্ত্রাসবাদী কাজেও তাদের দেখা যায়নি সেভাবে , যদিও শিবির তাদের সময়ে পুরো দোষ চাপিয়ে দিয়েছিল কওমীদের উপরেই।শিবির শুধু নামেই ইসলামি,ব্যানারের নিচে মদ-গাঁজা আর নারী- কোন কিছুতেই কম যায় না শিবিরের নেতারা।একবার ক্ষমতায় এলে তারা দেশটাকে আফগানিস্তান বানাবে, ধর্মের উপর জোড় জবরদস্তি করবে যা কোরানের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তাই যদি সত্যিই ইসলামি ভাবধারাতে পড়াশোনার অবকাঠামো গড়ে তুলতে হয়, তা কওমীর পাঠ্যনীতিতে পরিবর্তন এনে করাই উত্তম বলে মনে করতাম। তবে এখন মনে করী অবুঝ কোন শিশুকে জোড় করে মাদ্রাসায় পড়তে পাঠানো মানবাধিকারের লঙ্ঘন। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা শুরু হওয়া দরকার দ্বাদশ শ্রেনীর পর, শিক্ষার্থীরা নিজ পছন্দে সেখানে যাবে। কাউকে জোড় করে স্কলার বানানো যায়না।

এবার মোল্লাদের উপর রাগের কারণটা বলি। ইসলামকে ছোটবেলা থেকেই এত ভালবাসতাম যে বলে বুঝানো যাবেনা। হাদীসকেও কোরানের চাইতে কোনদিন কম কিছু মনে হতনা। তবে বাংলা মিডিয়াম এর ছাত্র হিসেবে তেমন একটা হাদীস পড়া হতনা, শুধু ভাল ভাল কিছু হাদীসই পড়তাম। তবে এত ভাল হাদীস পড়ার পরেও মনে অনেক সময় অনেক প্রশ্ন চলে আসত। কিন্তু আপনি যদি বুখারী সহ ছিহা ছাত্তার সবগুলো হাদীস বই সম্পূর্ণ পড়েন তাহলে আপনি মুক্ত চিন্তার মানুষ হয়ে থাকলে বড় ধরনের ধাক্কা খাবেন। সেই সব প্রসংগ আর এখানে বলছিনা। এই হাদীসের কারনেই আমার ঈমান চলে গিয়েছিল, নাস্তিকে পরিণত হয়েছিলাম। পরে কোরানই আমাকে আবার সুপথে ফিরিয়ে এনেছিল। এখন কওমী মাদ্রাসার মোল্লাদের কাছে আমার প্রশ্ন, তারা তো হাদীস কোরান নিয়ে প্রচুর গবেষণা করেন, তাদের পক্ষে সহজেই বুঝতে পারার কথা যে হাদীস মোটেই রিলায়েবল কোন ইসলামিক সোর্স না, শুধুমাত্র ইতিহাস জানার জন্যই হাদীস পড়া যায়, তাদের একটা কথা সহজেই বুঝা উচিৎ ছিল যে কোরানের অনুবাদ আর ব্যাখ্যাগুলো (গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে) হাদীস নির্ভর। অথচ হাদীস দিয়ে কোরানের ১০% ও ব্যাখ্যা করা যায় না। কোরান বারবার ঘোষনা করে যে এটা সয়ংসম্পূর্ণ কিতাব। এই হাদীস আর শানেনুযুল নির্ভর কোরানিক অনুবাদ আর হাদীস ফিকাহ মিলেই কিভাবে নারী আর মানবাধিকার ক্ষুন্ন করে তারা গবেষক হয়ে কেন বুঝেনা? দুই একটা উদাহরন না দিলে আমার কথাগুলো বুঝবেননা। ধরেন বেহেশতের হুরের কথা, খালি পুরুষেরাই হুর পাবে তাও আবার ৭২ টা করে, আর নারীরা? আবার হুরদের সৌন্দর্যের বর্ণনা পড়লে মাথা গরম হয়ে যায়, অথচ এগুলো সম্পূর্ণ কোরানের বিপরীত!!! হুর আরবীতে উভলিঙ্গিক!! হুর মানে স্পাউস, হুরের সিঙ্গেল লিঙ্গিক আলাদা আরবী টার্ম আছে!! একজন নারী পুরুষ একজন হুর পাবে। মূল আরবী থেকে থেকে কোরানের একটা আয়াতে বুঝা যায় যে হুর মানে অতি উন্নত চরিত্রের অধিকারী অথচ সেই একই আয়াত হাদীসের প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে অনুবাদ হয় যে হুর মানে উন্নত আর গোল স্তনের অধিকারী!!! তারপর ধরুন চুরি করলে হাত কেটে ফেলার কথা কতটা কোরান বিরুদ্ধ তা কি আপনার মাথায় জীবনেও এনেছে এই মোল্লারা? একই ধরনের কিছু কুরানিক আয়াত পড়লে বুঝবেন হাত কাটার অর্থ চুরি করার ক্ষমতা নির্মূল করা বুঝিয়েছে কোরান!! এর পরের আয়াতেই কোরান বলেছে চুরি করে যদি ক্ষমা চায় তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিতে, কিন্তু বাস্তবে কি তা দেখি সৌদিতে? এটা বুঝার জন্য সবচেয়ে সহজ একটা উদাহরন দেই, কোরানে বলা আছে ইউসুফ (আঃ ) কে দেখে লেবু কাটতে গিয়ে হাত কেটে ফেলেছিল নগরের মহিলাগন। এখানে কি কাটা মানে কর্তন করে ফেলা বুঝানো হয়েছে? অথচ এই হাদীসের কারনে আমরা কোরান নিয়ে কোন চিন্তা না করেই আয়াত দেখে বলে দেই চুরি করার শাস্তি হাত কেটে ফেলা!! এই তো মাত্র দুইটা উদাহরণ দিলাম, এমন শত শত উদাহরণ আছে। কোরান পড়লেই বুঝবেন এর মূল উদ্দেশ্য মনবতা, মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়া, নিছক জিকির করে সোয়াব কামানো নয়। বহুত খারাপ কাজ করে তওবা করে আমি শুদ্ধ হয়ে গেলাম, বা হজ্জ্ব করে গুনাহ ধুয়ে ফেললাম এই ধারণা সম্পূর্ন কোরানের বিপরীত, শুধু মাত্র হাদীস নির্ভর। এই জন্যেই মোল্লাদের উপর রাগ আমার। তারা মানবতার কথা না বলে খালি নামাজ আর জিকির নিয়েই ব্যস্ত থাকার কথা বলে। বিস্তারিত আলাপ করার ইচ্ছা ছিল, তাতে আরও অনেক কিছু খোলাসা করা যেত, কিন্তু কমেন্ট অনেক বড় হয়ে গেল। আপনাকে ধন্যবাদ।

৮৭| ১৬ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৪

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ সুপান্থ সুরাহী

আর মোল্লাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে আমি তেমন কোন যুদ্ধের কথা বুঝাইনাই। বুঝাতে চেয়েছি তাদের ভুল গুলোকে তাদের দৃষ্টিগোচরে আনা। মানুষ জন্মগতভাবেই বায়াসড হতে চায়। সারা জীবন কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে যা শিখা হয় তা হঠাৎ করে ঝেড়ে ফেলতে অনেক মুক্তচিন্তার অধিকারী হতে হয়। কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের উপর আমার বিন্দুমাত্র কোন ক্ষোভ নাই, তারা তো কোন স্বার্থের কারণে এই কাজ করছেনা তা আমি খুব ভাল করে জানি।তাদের উদ্দেশ্য মহৎ, জামাতীদের মত অসৎ নয় তাও আমি জানি। তাদের আর দোষ কি, দোষ তো শুরু হয়েছে সেই ইসহাক,তাবেরী, হিসাম, হানাফি,হাম্বলী,শাফী,মালিক, বুখারী, মুসলিম, তিরমিজি ইত্যাদি ইমাম আর মোল্লাদের থেকে। এখনকার মোল্লাদের একমাত্র দোষ হল তারা গবেষনা করার পরেও খুঁতগুলো ঢেকে রাখে শুধুমাত্র ধর্মীয় গোঁড়ামীর কারনে আর নিজেদের মতাদর্শ টিকিয়ে রাখার কারনে, বুখারী হানাফি দেরকে তারা প্রান দিয়ে বিশ্বাস করে, কিন্তু এসব করতে যেয়ে যে কোরানে বর্ণিত মানবাধিকার কিভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তা তারা বুঝেনা। আফসোস!! উপরে বর্নিত ইমাম আর মোল্লারা যে একে অপরকে কতটা ঘৃণা করত তা আমরা সাধারণ মানুষ না জানতে পারি, কিন্তু এই গবেষকরা কেন জানেনা? নাকি জানে কিন্তু মানেনা? আপনি যদি চান তাহলে এই সব ইমামদের পরষ্পরের প্রতি ঘৃণাভরা কথাগুলো এখানে লিখে দিতে পারি রেফারেন্স সহ। তাহলে বুঝবেন কেমন চরিত্রের ইমামদেরকে আমরা ফলো করছি!! তাদেরকে আমরা মাসুম নিষ্পাপ বলে মনে করছি!!

১৬ ই জুন, ২০১১ রাত ১০:৪২

গুপী গায়েন বলেছেন: ভাই, আরো লিখুন প্লীজ, থামলেন কেন? এসব অবশ্যই জানা জরুরী। আপনার এ বিষয়ে আরো বিষদ রেফারেন্স থাকলে শেয়ার করুন প্লীজ।

খুব ভালো লাগলো আপনার পার্সেপশান।

৮৮| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ১:০৩

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
@= পরাগ ভাই

অনেক কিছুর সাথে একমত আবার বেশ কিছু বিষয়ে আপনার সাথে আমার দ্বিমত ।

কিন্তু কীভাবে যে সেগুলি বলব। সময় নেটের সমস্যা সব মিলিয়ে আজ আর পারছিনা। আবার কথা হবে।

৮৯| ১৭ ই জুন, ২০১১ রাত ৩:৪৭

মুখপোড়া বলেছেন: ভাই গুপী গায়েন, গান চর্চা, ব্লগ চর্চা তার সাথে এমন গবেষণাধর্মী লেখা, , , , , আপনারও যা ধৈর্য, , , , ,
আপনার মতো গবেষক হতে ইচ্ছে করছে তবে প্রচণ্ড অলসতা জন্যে তা হয়ে উঠবেনা মনে হয়। যাই হোক, অনুমতি পেলে আপনার রেফারেন্স দিয়ে এই পোস্টটি অবিকৃতভাবে অপর একটি বাংলা ব্লগে প্রকাশ করতে ইচ্ছে আছে।

১৭ ই জুন, ২০১১ দুপুর ২:১৬

গুপী গায়েন বলেছেন: সাথে বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরি, দুই সন্তান নিয়ে সংসার ধর্ম পালন.. এসব বললেন না? ;)

আসলে প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তিই হলো সব সম্ভবের মূল মন্ত্র। জীবন তো একটাই, আর তো এসব সময় ফিরে আসবেনা। তাইনা?

সানন্দে প্রকাশ করবেন, তবে আমার পোস্টে একটা লিঙ্ক রেখে যেতে অনুরোধ করছি। :)

৯০| ১৮ ই জুন, ২০১১ রাত ১২:২৪

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট।

১৯ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:০১

গুপী গায়েন বলেছেন: সকাল ১১ অনেক ধন্যবাদ।

৯১| ১৮ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৪৯

চল যাব তোকে নিয়ে বলেছেন: গুপী গায়েন ভাই,মুহম্মদকে সঠিক প্রমান করার জন্য আপনি বুখারী হাদিস কে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। নিষ্কর্মা নামের একজন হাদিস সংগ্রহের সময়কালের কথা উল্লেখ করে হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং আপনি তা সমর্থন করেছেন।আপনি মনে হয় জানেন না,বুখারী সাহেব প্রতিটি হাদিস সংকলনের সময় নামাজে দাড়াতেন এবং নামাজ পড়াকালীন সময় তিনি মুহম্মদের সম্মতি পেলে তবেই সেটিকে হাদিসে অতর্ভুক্ত করেছেন।সর্বকালের সব ইসলামী চিন্তাবিদ বুখারী হাদিসকে বিশুদ্ধ হাদিস হিসেবে গ্রহন করেছে আর আপনি তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ করলেন।একবারও কি ভেবেছেন,বুখারী হাদিস যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে মুহম্মদ সম্পর্কে আপনি যা জানেন তার কোন অথেনটিক ভিত্তি থাকে না?
মুসলমান হিসেবে মুহম্মদকে আপনার মূল্যবধ কিংবা নৈতিক মানদন্ডের সাথে মিলানো আপনার দায়িত্ব নয়,আপনার দায়িত্ব মুহম্মদের দেখানো মানদন্ডকে সর্বোত্তম হিসেবে বিশ্বাস করা এবং নিজ জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানো।মুসলমান হিসেবে আপনি মুহম্মদের উম্মত তাই তার কোন কাজ আপাত দৃষ্টিতে বেঠিক মনে হলেও তিনি অনুসরনীয় কাজ করেছেন এমনটা বিশ্বাস করাই আপনার ঈমানী দায়িত্ব।

৯২| ১৮ ই জুন, ২০১১ বিকাল ৫:৫০

চল যাব তোকে নিয়ে বলেছেন: গুপী গায়েন ভাই,মুহম্মদকে সঠিক প্রমান করার জন্য আপনি বুখারী হাদিস কে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। নিষ্কর্মা নামের একজন হাদিস সংগ্রহের সময়কালের কথা উল্লেখ করে হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং আপনি তা সমর্থন করেছেন।আপনি মনে হয় জানেন না,বুখারী সাহেব প্রতিটি হাদিস সংকলনের সময় নামাজে দাড়াতেন এবং নামাজ পড়াকালীন সময় তিনি মুহম্মদের সম্মতি পেলে তবেই সেটিকে হাদিসে অতর্ভুক্ত করেছেন।সর্বকালের সব ইসলামী চিন্তাবিদ বুখারী হাদিসকে বিশুদ্ধ হাদিস হিসেবে গ্রহন করেছে আর আপনি তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ করলেন।একবারও কি ভেবেছেন,বুখারী হাদিস যদি শুদ্ধ না হয় তাহলে মুহম্মদ সম্পর্কে আপনি যা জানেন তার কোন অথেনটিক ভিত্তি থাকে না?
মুসলমান হিসেবে মুহম্মদকে আপনার মূল্যবধ কিংবা নৈতিক মানদন্ডের সাথে মিলানো আপনার দায়িত্ব নয়,আপনার দায়িত্ব মুহম্মদের দেখানো মানদন্ডকে সর্বোত্তম হিসেবে বিশ্বাস করা এবং নিজ জীবনে এর প্রতিফলন ঘটানো।মুসলমান হিসেবে আপনি মুহম্মদের উম্মত তাই তার কোন কাজ আপাত দৃষ্টিতে বেঠিক মনে হলেও তিনি অনুসরনীয় কাজ করেছেন এমনটা বিশ্বাস করাই আপনার ঈমানী দায়িত্ব।

৯৩| ১৯ শে জুন, ২০১১ রাত ৩:৫২

মুখপোড়া বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ।
@ নাগরিক ব্লগ

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৪

গুপী গায়েন বলেছেন: ব্লগটা দেখলাম। ধন্যবাদ। তবে ওখানেও বেশ চলছে দেখছি। :)

৯৪| ১৯ শে জুন, ২০১১ ভোর ৬:০২

মেহেদী পরাগ বলেছেন: @ চল যাব তোকে নিয়ে

ভাই, আপনার জন্য সহিহ মুসলিমের একটা হাদীস দিলাম

''আমার কাছ থেকে তোমরা কোরান ছাড়া আর কিছুই লিখবেনা। যদি কেউ লিখে থাকে তবে অবশ্যই তা নষ্ট করে ফেল।'' -সহিহ মুসলিম, ভলিউম১, পৃষ্ঠা ২১১, হাদীস নং ৫৯৪, প্রিন্টার-মতকবে আদনান, বৈরুত,১৯৬৭।

আপনার জন্য কোরানের একটা আয়াতঃ

৩৯/২৩ আল্লাহ এখন সর্বোত্তম হাদীস নাযিল করেছেন, যা নিজের মাঝেই সামঞ্জস্যপূর্ণ, পূনঃ পূনঃ পঠিত.........(হাদীস শব্দ দিয়ে আল্লাহ কোরান বুঝিয়েছেন)

এই আয়াত ছাড়াও কোরানে আরও অনেক আয়াত আছে যেখানে নিষেধ করা আছে আছে এই হাদীস (আল্লাহ কোরানকেই হাদীস বলেছেন) ছাড়া তোমরা আর কোন হাদীস গ্রহণ করতে চাও?

আপনি জানেন কি প্রথম চার খলিফার সময় যেখানেই হাদীস পাওয়া যেত তা পুড়িয়ে ফেলা হত?

সহিহ বুখারীতে এমন কিছু ভয়ংকর হাদীস আছে যা পড়লে বা বিশ্বাস করলে মনে হবে যে নবী মুহাম্মদ (সঃ) দয়াময় তো ছিলই না বরং অতীব হিংস্র মানুষ ছিলেন। এখন আপনার কথা মত ধরে নিলাম যে আপাত দৃষ্টিতে এটা বেঠিক মনে হলেও এই হিংস্রতা আসলে ঠিক। তাহলে এবার বলুন, বুখারীর মধ্যে যেসব কনট্রাডিকটরী হাদীস আছে তার কোনটা ঠিক আর কোনটা বেঠিক? দুইটাই তো আর একই সাথে ঠিক হতে পারেনা। এই রকম অনেক হাদীস আছে বুখারী শরীফে। এতেই তো বুঝা যায় যে বুখারীর প্রতিটা হাদীস সত্য নয়। তো আপনি কিভাবে বুখারীর হাদীসকে এতটা অথেনটিক বলছেন যে এটাকে প্রশ্ন ও করা যাবেনা? বুখারী কি আল্লাহর মনোনীত নবী? চোখ বন্ধ করে তার কথা বিশ্বাস করা কি ঈমানের অংগ? আল্লাহ আপনাকে চিন্তা করার শক্তি দিয়েছেন তা ব্যবহার করুন। আরও বড় কমেন্ট করার ইচ্ছা ছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে পারলাম না। ভাল থাকুন।

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩৫

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পরাগ ভাই।

৯৫| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ১২:০০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন:

@ চল যাব তোকে নিয়ে

আপনি আমাকে উল্লেখ করে বলেছেন আমি হাদিস সংগ্রহের সময়কালের কথা উল্লেখ করে হাদিসের শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। আপনি তো অনেক জানেন, তা হলে বলেন হাদিস কি নবী করিমের সময় থেকেই সংগ্রহ করা শুরু হয়েছিল? কোন সূত্র থেকেই তা জানা যায় না।

আপনি বুখারিকে সহিহ করতে গিয়ে নামাজকে খাটো করলেন কেন? একজন মুমিন নামাজ আদায় করে আল্লাহ'র সন্তুষ্টির জন্য। আর আপনার বয়ান মত যদি বুখারি সাহেব যদি নামাজ আদায় করে থাকেন মুহাম্মদ (সঃ ) এর সম্মতির জন্য, তা হলে শিরিক-এর সজ্ঞাটা কি হবে ভাই?

নিজেদের পক্ষে যুক্তি দিন, কিন্তু সেইটা গ্রহনযোগ্য হতে হবে তো, তাই না?

আরেকটা কথা। মেষ মানে কি জানেন তো? তো আপনার দাদা বুড়া কালে একটা মাঝারি সাইজের মেষ কোলে তুলে নিতে পারতেন। এইটা আপনি দেখেছেন। উনি এখন আর নেই।

আপ্নারও বয়েস হয়ে গেছে, আপনি ধরা যাক বৃদ্ধ হয়েছেন। সে সময়ে গল্প করলেন আপনার নাতি-নাতনিদের কাছে যে, আপনি দেখেছেন আপনার দাদা একটা মেষ কোলে তুলে নিতে পারতেন। আপনার এক নাতির মনে সেইটা গেঁথে গেল। কিন্তু সে এ-কারকে ও-কার দিয়ে বদল করে দিল, যাতে তার উর্দ্ধতন পুরুষের মহিমা প্রচার পায়

ফলে আপনার সেই নাতি যখন বৃদ্ধ, তখন আপনার দাদা সমন্ধে লোকে জানলো যে, আপনার দাদা বৃদ্ধ কালে আস্ত একটা মোষ কোলে তুলে নিতে পারতেন।

লক্ষ্য করুন, আপনার থেকে আপনার নাতির ভেতরে গড়ে ষাট বছর করে তফাৎ ধরলে আপনার থেকে আপনার নাতির ভেতরে প্রায় ১২০ বছরের ফাঁক হয়ে গেল।

আমি হাদিস সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই সময়ের বিস্তার এবং তার থেকে উদ্ভুত এই সত্য থেকে ব্যতয়কেই বুঝিয়েছি। এই ভুল তো মানুষ মাত্রেরই হতে পারে, নাকি?

আর নবী করিমের মৃত্যুর পরে যারা ধর্মের নামে রাজতন্ত্র কায়েম করেছিল, তারা কিন্তু অনেক জাল হাসিদের জন্মদাতা। নাকি এইটাও ভুল কথা? সেই হাদিসগুলা কিন্তু রয়েই গেছে, এবং মাঝে মাঝে সেইগুলা আমরা ব্যবহারও করি।

তাই এই কথা ভুল না যে, হাদিসের উপরে নির্ভর করে যে শরিয়ৎ বা ইসলামী নিয়ম-কানুন গড়ে উঠেছে, তার অনেকটাই ভুল।

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩০

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার মেষ বনাম মোষ এর উদাহরনটা বেশ লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ।

৯৬| ২১ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০৬

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহ সুওজা পিরিওতে। তবে এ ব্যাপারে আমিও সন্দিহান। দেখি আরো কিছু দলিল এবং বিজ্ঞ জনের সাথে আলাপ করে তারপর ডিসিশন নিব।

২১ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৩২

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৯৭| ২২ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৫০

মেঘনা পাড়ের ছাওয়াল বলেছেন: ভালো লেখা

২২ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১০

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯৮| ২২ শে জুন, ২০১১ রাত ১১:৩১

আমি কেউ না বলেছেন: Just infinite '+'

২৮ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৫

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কদিন ব্যস্ত থাকায় ব্লগে বসতে পারিনি।

৯৯| ২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:২৭

শুধু প্যচাল বলেছেন: আপনার বিশ্লেষন ভাল লাগল। যদি আপনে গোড়া, বা অতিব আস্তিক টাইপের মুসলিম হতেন তাহলে এই গবেষনা মনে হয় এত সুন্দর হত না।

মন্তব্য এখন সব পড়তে পারিনি। পড়ব।

দেখি সামনে কেউ আসে নাকি এর বিপক্ষে সুস্থ ব্যাখ্যা নিয়ে। আলোচনা চলুক।

ধন্যবাদ

২৮ শে জুন, ২০১১ সকাল ১০:৩৭

গুপী গায়েন বলেছেন: নিশ্চয়ই। সুস্থ্ আলোচনা সবসময়েই সাদরে গৃহিত হবে।

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১০০| ০১ লা জুলাই, ২০১১ রাত ১২:৩৫

মাসুদ১আলম বলেছেন: অসাধারণ.....

০৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৫০

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। কদিন ধরে খুব দৌড়ের ওপরে আছি। তাই জবাব দিতে দেরী হলো।

১০১| ০১ লা জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: পড়বো

০৭ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:৫২

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। কদিন ধরে খুব দৌড়ের ওপরে আছি। তাই জবাব দিতে দেরী হলো।

১০২| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:০১

প্রিয়ংবদা বলেছেন: দারুণ গবেষণাধর্মী পোস্ট। সোজা প্রিয়তে।

১৪ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৩৮

গুপী গায়েন বলেছেন: প্রিয়ংবদা কে 'প্রিয়' তে নেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ। :) ভালো থাকবেন।

১০৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১০

নাস্তিকের ধর্মকথা বলেছেন:
ভালো পোস্ট। যুক্তি আছে।

আবার, প্রচলিত হাদীসগুলো থেকেও দেখা যায়- নবী (সা) ৬ বছরে বিয়ে করলেও বাসর হয়েছে ৯ বছর বয়সে। ফলে- ৬ বছরেই শিশু আয়েশার সাথে নবী (সা) এর শারীরিক সম্পর্ক হয়নি।

আবার উল্লেখিত কোরআনের আয়াতে বিয়ের সুনির্দিষ্ট বয়স বলা না থাকলেও- বিয়ে করার জন্য এট লিস্ট 'বিয়ের বয়সে' পৌঁছতে হবে- এটা পরিস্কার বলা হয়েছে এবং যেখান থেকে বুঝা যায়- যেকোন বয়সে তথা শিশু অবস্থায় বিয়ে করা যাবে না। আমি এটাকে পজিটিভলিই দেখতে চাই।

লেখকে ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টের জন্য।

পরাগ এবং মেলবোর্ণ@ আপনাদের দেয়া তথ্যে চমৎকৃত। তবে, আয়েশা আবু বকরের কন্যা নন বোন, তার বয়স ৬-৯-২২ নয় ৪৮, এতখানি ইতিহাস বিচ্যুতি হওয়া খুব বেসম্ভব কাজ বলে মনে হয়।

২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪০

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার একজন প্রিয় ব্যক্তিত্ব আরজ আলী মাতুব্বরের সাথে আপনার নিকের সংশ্লিষ্টতার কারণে নিকটা আমার খুব প্রিয়।

আমার ব্লগে আপনার উপস্থিতি ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১০৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ৯:৫১

আইয়ুবজািহন বলেছেন: আমি অবশ্য নিয়মিত ব্লগে ঢুকিনা। আর ব্লগে পোস্ট ও দিইনা। আজই প্রথম আপনার ব্লগে ঢুকলাম। ইনশআল্লাহ চেষ্টা করব নিয়মিত আপনার পোস্টগুলো পড়তে। তাহলে অনেক কিছু জানতে পারব।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক বড় একটা ভুল ভাঙল। আয়েশার বয়স ৬ অবস্থায় রাসূল (সঃ) এর সাথে বিয়ে হয়েছিল এটা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হতো। কিন্তু এই নিয়ে নিজে কখনো বিস্তারিত পড়ি নাই। এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটির জন্য অসংখ্যা ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১০:৪৩

গুপী গায়েন বলেছেন: আমার কাছেও এই বিষয়টা অনেক পীড়াদায়ক ঠেকতো। এই বিষয়ে পোস্ট দিতে পড়াশুনা করতে গিয়ে অনেক কিছু জেনেছি যা শেয়ার করতে চেষ্টা করেছি। আপনার ভুল ভাঙাতে পেরে আমার ভাল লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।

১০৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৬

সজীব আকিব বলেছেন:
//যদিও বলা হয় হযরত আয়েশা (রাঃ)র জন্ম ৬১৪ খৃষ্টাব্দে কিন্তু সহীহ বুখারীতে এসেছে আল কোরআনের ৫৪ তম অধ্যায় নাজিল কালে আয়েশা (রাঃ) একজন কিশোরী (Jariyah) বয়স্কা ছিলেন।//

>> কোরানের কোন আয়াত কখন নাজেল হয়েছে তা বলা বেশ মুশকিল। আর সহিহ বুখারিরি কোন হাদিসে এসেছে যে আল কোরআনের ৫৪ তম অধ্যায় নাজিল কালে আয়েশা (রাঃ) একজন কিশোরী (Jariyah) বয়স্কা ছিলেন তা বলেন নি। একদম হাদিস নম্বর চাই। আর কিশোরী বয়স বলতে কি বুঝানো হয়েছে তাও পরিষ্কার করা চাই।

//অধিকাংশ বর্ণনাকারির মতে হযরত আয়েশা (রাঃ) বদরের যুদ্ধ (৬২৪ খৃষ্টাব্দে) ও ওহুদের যুদ্ধে (৬২৫ খৃষ্টাব্দে) অংশগ্রহন করেছেন।//

>> এই অধিকাংশ বর্ণনাকারি কারা? আর মুহাম্মদ যুদ্ধে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে যেত। সেই কারণে সে আয়েশাকে হয়ত সাথে নিয়েছিল।

//অধিকাংশ ইতিহাসবিদ মতে হযরত আয়েশার বোন আসমা ছিলেন তাঁর চেয়ে দশ বছরের বড়। ইতিহাস থেকে জানা যায় আসমা ৭৩ হিজরী সনে যখন মৃত্যুবরণ করেন তাঁর বয়স ছিল ১০০ বছর। সে হিসাবে ১লা হিজরীতে তাঁর বয়স হয় ২৭ বছর। তাহলে সে হিসেবে হযরত আয়েশার বয়স যে তখন ১৭ র কম ছিলনা তা বোঝা যায়। তাহলে ৬২৩-৬২৪ খৃষ্টাব্দ তাঁর বয়স ১৮/১৯ বছর।//

>> আবার অধিকাংশ ইতিহাসবিদ!! এই ধরণের হিসাব নিকাশ স্রেফ হাস্যকর। আর এরও কোনো রেফারেন্স দেন নাই।

//প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল তাবারী র বই থেকে পাওয়া যায় হযরত আবু বকর (রাঃ) র চার সন্তান ছিলেন যাঁরা সকলেই ইসলামপূর্ব যুগে জন্মগ্রহন করেন।//

>> আল তাবারী ঠিক কিরূপ বলেছেন তা পরিষ্কার হল না। হয়ত তিনি এ বর্ণনায় আয়েশাকে বাদ রেখেছেন। আর আল তাবারীর অনেক বিবরণই অসত্য, উদ্ভট।


যেসব হিসাব দেখিয়েছেন সেগুলো পরস্পর বিরোধি। কখনো ২০ বছরের বেশি, কখনো ১৮ আবার কখনো ১৪/১৫।

এখন অধিকাংশ মুসলমানইরাই সিহাহ সিত্তাহ, বিশেষ করে বুখারিকে অবশ্য পালনীয় বলে মনে করে। তাদের নিয়েই সমস্যা। আসলে ধর্মই একটা বিরাট সমস্যা। সেখানে শেষ পর্যন্ত "বিশ্বাস' - ই সব। যেমন ধরেন কেউ যদি একজন মুসলমানকে কোরান কিভাবে আল্লার বাণী হল সে বিষয়ে প্রশ্ন করেন তবে যে জবাব পাবেন তাতে শুধু আপনার হাসিরই খোরাক যোগাবে । আরেকটি কথা। কোরানের চেয়েও হাদিসকে আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। কারণ কোরানের কোনো সাক্ষী নেই, আর হাদিসের একজন হলেও সাক্ষী আছে। ধন্যবাদ।

১০৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

মদন বলেছেন: মোবাইল হারাইসি :(
আপনার ফোন নাম্বার নাই, পারলে একটু কল দিয়েন।

১৩ ই আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৪৪

গুপী গায়েন বলেছেন: আপ্সুস......

এইটা আপনার এই পোস্টের ফল :-B :D :D :D

১০৭| ১৭ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:০৮

মোরশেদ পারভেজ বলেছেন: বাংলা ভাষায় যারা কথা বলি তাদের জন্য বাংলায় কোরআনের মর্ম বানী।

নিচের লিংক এ যান। ডাউনলোড করেন যতখুশী ততবার।

http://quantummethod.org/mobile

ডান দিকে নিচে ডাউনলোড অপশন আছে।

১৮ ই আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:১৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪০

কাক নং ৭৯৯ বলেছেন: সত্য তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০৯| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:৩৭

বালক বন্ধু বলেছেন: পোস্ট দেওয়ার অনেকদিন পর আমি মন্তব্য করছি।

সামুতে আসার পর এত সুন্দর পোস্ট আমার পড়া হয়নি। পোস্টটি সুন্দার লাগার কারন এখানে মন্তব্যকারীদের সুন্দর ও গবেষণামূলক মন্তব্য। মন্তব্যগুলো থেকে বেশি করে সত্য বের হয়ে এসেছে। আমার যারা বিরোধীতা করেছেন তারাও গালাগালি না করে সুন্দর ভাবে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর জন্য সবাইকে এবং বিশেষ করে লেখককে বেশী করে ধন্যবাদ।


অনেকেই দেখলাম একটি কথা বলার চেষ্টা করছে যে হাদিছ সঠিক বলে কিছু নেই বা এরকম কিছু কথা।

এটি ঠিক নয়। কিছু কিছু হাদিছ নিয়ে সন্দেহ আছে কিন্তু সব হাদিছ নিয়ে নয়। হাদিছ কয়েক ধরনের হয়। তার মধ্যে এক ধরনের হাদিছ হল হাদিছে কুদস যেখানে 'আল্লাহ্ বলেছেন' বলে কথা শুরু করা হয়। এই হাদিছ সবগুলোই সঠিক এবং এগুলো কেউ জাল করার সাহস দেখায়নি।

এভাবে অনেক হাদিছ রয়েছে সেগুলো সন্দেহাতীত ভাবে সঠিক।

হাদিসের পরিমান লক্ষ লক্ষ। সেখান থেকে গুটিকয়েক হাদিসের কারনে সবগুলোকে মিথ্যা ভাবা অনুচিত।

আয়েশা রা: এর বিয়ের বয়স নিয়ে নানা পানি ঘোলা করা হয়। কিন্তু যাই হোক না কেন রসূল সা: কে বিশ্বাস করা এবং তার অনুসরন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। তবে সত্য জ্ঞানীদের কাছেই আলোকিত হয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫১

গুপী গায়েন বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক ভালো থাকুন।

১১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন: সহীহ বুখারী, মুসলিম, তিরমীজী শরীফ। এই হাদিস গুলো মেনে নিয়েই কথা বলবেন। যে মানুষ সকল পাপ এবং অপবিত্রতার উরধে তাকে নিয়ে এত কথা বলা কি প্রয়োজন।

প্রেসিডেন্ট বারেক এর মাথা ব্যাথা, কে দায়ী ? মুসলমানেরা। অবস্থা এখন এরকম দারাইছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৮

গুপী গায়েন বলেছেন: দেখুন এটা অনেকটা একপেশে মন্তব্য হয়ে গেলো। ইসলাম ধর্ম মতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হলেন আখেরী নবী। সুতরাং তাঁর রেফারেন্সেই হবে ধর্মের প্রচার প্রসার; কেয়ামত অবধি। আর তা করতে গেলে বারে বারে বিরোধিতার কষ্টিপাথরে তাঁকে যাচাই করে শুদ্ধতার পরীক্ষা দিতে হতেই পারে। কারণ তিনি আমাদের কাছে বিশুদ্ধ হলেই হবেনা। আপনি কাউকে উনার শুদ্ধতার কথা বলে কনভিন্স করতে গেলে তার যথাযথ যুক্তি আপনাকে পেশ করতেই হবে।

আর অধিকাংশ তালকানা মুসলমান এটা করতে পারেননা বলেই ইসলাম আজ নিগৃহিত।

আশা করি বোঝাতে পারলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৩:৪০

370H55V 0773H বলেছেন: খুব ভাল লেখা। প্রিয়তে। (y)

১১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:০৮

নরাধম বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে। সব কমেন্ট পড়িনি, পরে সময় করে পড়ব, যদিও মোটামোটি ধারণা আছে কি বলা হবে যেহেতু এ বিষয়ে অনেক লেখা পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।

এখানে আরেকটা ব্যাপার উল্লেখ্য যে, হযরত আয়েশা (রাঃ)-র বিয়ে মুহাম্মদ (সাঃ) এর সাথে ঠিক হওয়ার আগে আরো একজনের সাথে ঠিক হয়েছিল, সে কাফের ছিল এবং বিয়ে ভেঙ্গে দিছিল এরপরেই প্রফেটের সাথে বিয়ে হয় এবং তারও তিনবছর পর কনজুমেইট হয়। কনজুমেইট হওয়ার আগে আবু বকর নিজেই কয়েকবার প্রফেটকে হযরত আয়েশা (রাঃ)কে বাসায় তুলে নিতে অনুরোধ করেছিল বলে জানি, তার মানে আবু বকর (রাঃ) তার মেয়ে বড় হয়ে গিয়েছে বলে মনে করেছিলেন। তাছাড়া এর তিন বছর আগেই যেগেতু বিয়ে ঠিক হয়ে ভেঙ্গে গিয়েছিল, তাই সে সময়ের স্ট্যান্ডার্ডের অনেক পরেই প্রফেটের বিয়ে কনজুমেইট হয়। মক্কার কাফিররা প্রফেটের বিরুদ্ধে সবরকম অস্ত্র ব্যবহার করলেও পিডোফিলিয়ার অভিযোগ কোনদিন করেনি, অথচ তারাও প্রফেটের সবচেয়ে বড় শত্রু ছিল। এই তথ্য উপরে কমেন্ট এসেছে কিনা জানিনা, আসলে রিপিট হয়ে গেল, নাহয় তো একটা পয়েন্ট যোগ হল।


হযরত আয়েশা (রাঃ) -র বয়স সংক্রান্ত হাদিসগুলাতে ব্যাপক গড়মিল থাকলেও আর এটা কোন সন্দেহ ছাড়াই বুঝা যায় যে আয়েশা (রাঃ)-র বয়স অন্তপক্ষে ১৭/১৮ ছিল, তবুও অরথডক্স মোল্লারা এই তথ্য মানতে চায়না তার কারন উপরে ব্লগার "চলে যাব তোকে নিয়ে"-র কমেন্ট বুঝা যায়। এরকম বুখারী নিয়ে সন্দেহ করলে অন্যান্য শরীয়ার বিষয়াদি নিয়েও দ্বিধাদ্বন্ধ শুরু হবে এই ভয়ে তারা সহিহ হাদিসের ১০০% কোন সন্দেহ ব্যাতিরেকেই সঠিক, কোন ভুল নেই সেটা আরোপ করতে চায়। এই ভয়টা লজিকাল এবং ভিত্তি আছে। এখানে আমার নিজের পড়াশুনা থেকে ধারণা হচ্ছে যেসব হাদিসের শুধুমাত্র ঐতিহাসিক মূল্য ছাড়া ব্যবহারিক বা প্রায়োগিক কোন মূল্য ইলসামে নেই, সেসব হাদিসের ক্ষেত্রে বর্ণনাকারীরা, চেইন, আর হাদিস সংকলনকারীরা তেমন সতর্ক ছিলেন না, যা তারা ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহারিক বিষয়ে। যেমন আয়েশার বয়স শুধু ঐতিহাসিক একটা তথ্য, এর কোন ব্যবহারিক মূল্য নেই। কিন্তু যাকাত কেমনে দিতে হবে বা নামাজ কিভাবে পড়বেন এসব ব্যবহারিক তথ্য এবং এসবে হাদিস সংকলনকারীরা খুবই সতর্ক ছিলেন। সব সতর্কতা ধরলেও হাদিসগ্রন্থ ১০০% সঠিক মনে করা বা প্রমাণ করতে চাওয়া নিতান্তই বোকামি, সেটা কোনদিনই সম্ভব না। যে হাদিসটাকে মুসলিম সহিহ মনে করেনি সেটা বুখারী সহিহ মনে করেছেন বা ভাইস-ভার্সা। আবার সহিহ হাদিসের মধয়েও জয়ীফ হাদিস ঢুকিয়েছেন।
কিন্তু সহিহ হাদিসের বেশিরভাগ হাদিসই সঠিক বা সহিহ এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই। সমস্যা হচ্ছে সহিহ হাদিসগ্রন্থের মধ্যে কোনগুলা সহিহ আর কোনগুলা সহিহ না সেটা বুঝার পথই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইজতিহাদ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর। হাদিস শাস্ত্রের স্কলারশিপ ৪০০ বছর চলেছিল, এরপরে হাদিস নিয়ে গবেষণা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, মেইনলি শাসকদের স্বার্থেই। কিন্তু এ নিয়ে গবেষণা করার ব্যাপক দরকার আছে।

কোরান অনলি লোকেরা আবার হাদিসকে পুরাই বাতিল করে দেয়, সেটা একদম এবজার্ড পজিশান। আবার অর্থডক্স মোল্লারা হাদিসের কোন ভুলই ধরা যাবেনা মনে করেন,খাদিসক কোরান থেকেও বেশি গুরুত্ব দেন। সেটাও এবজার্ড। সঠিক পজিশান মাঝামাঝি। এর জন্য দরকার আছে ট্যালেন্টেড মানুষের ইসলাম নিয়ে গবেষণা করা এবং চেষ্টা করা একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে। তুরস্কের ইসলামী সরকার হাদিস শাস্ত্রগুলোকে পূনরায় নিরীক্ষা করার একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিল, সেটা কদ্দুর এগিয়েছে জানিনা। কিন্তু এ রিভিশান আবার আরবরা গ্রহণ করবেনা। বেশ তালমাতাল অবস্থা।

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৬

গুপী গায়েন বলেছেন: সহমত। গবেষণা দরকার আছে। ইসলামের স্বার্থেই তা প্রয়োজন। অনেক ধন্যবাদ।

১১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৩:১৮

নরাধম বলেছেন: উল্লেখ্য আয়েশার বয়স কত সেটা ইসলামের বিশ্বাস, প্রচার প্রসার এসবের জন্য একদমই অপ্রাসংগিক একটা ব্যাপার। আবার হাদিস সংকলন মূলত ঐতিহাসিক ডকুমেন্ট। মূল সোর্স অবশ্যই কোরান এবং হাদিসের যে অংশ কোরানের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ সেটাই গ্রহণ করা হবে।

পরিশেষে আল্লাহ তাআলাই ভাল জানেন, আমরা শুধু চেষ্টা করে সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার কোশিশ করতে পারিমাত্র।

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১৯

গুপী গায়েন বলেছেন: ঠিক একেবারে অপ্রাসঙ্গিক যে না তার প্রমান ব্লগে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আপনাকে এসবের সঠিক জবাব দিতে হবে। ধর্মকে ও নবীজি (সাঃ) কে নিয়ে বিশুদ্ধতার প্রশ্ন উঠলে তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আর তা করতে হলে সঠিকভাবে ইতিহাসটাও তুলে নিয়ে আসতে হবে।

বাকী আল্লাহর ইচ্ছা।

১১৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

অসমাপ্ত ফিরদ বলেছেন: আপনি কী সরকার প্রচরিত আইন কে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন ?

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

গুপী গায়েন বলেছেন: ভাই এর মধ্যে সরকার কোত্থেকে এলো বলেনতো? সবতাতেই পলিটিক্স এর গন্ধ শুঁকবেননা দয়া করে। আমি রাজনীতিমুক্ত একজন মানুষ।

১১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৬

ফারাবী১৯২৪ বলেছেন: আরজ আলী মাতুব্বরের বিরুদ্ধে আমার কিছু Note আছে Facebook এ, নাম হলো- " আরজ আলী মাতব্বরের যুক্তি খন্ডন" পড়লে ভালো লাগবে। in Facebook i have an account by that- [email protected]

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২৫

গুপী গায়েন বলেছেন: দেখবো। ধন্যবাদ।

১১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৫০

Eisenheim বলেছেন: সৈয়দ ফয়সল রেজা বলেছেন: অসাধারন পোস্ট। সামুতে আমার দেখা সব থেকে পরিস্কার যুক্তি তর্ক ও কথা চালাচালি। তার মানে আমরা চাইলেই ব্লগে গালাগালি ছাড়াই যুক্তি তর্ক করতে পারি।
-----------
সহমত :) :)

১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৭

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। :)

১১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:০৮

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে এসেছি। অনেকের কমেন্টের জবাব দিতে পারিনি। দুঃখিত। :(

১১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১

যাযাবরমন বলেছেন: ইসলাম মতে ১জন নারী ও ১জন পুরুষ যদি বলে আমরা বিবাহিত এবং প্রয়োজনে ২ জন পুরুষ সাক্ষি আনতে পারে তাহলে আর কারো কিছু বলার থাকে না।
একারনে আমি বলব বিয়ে একটা সামাজিক আচার, দর্মাচার নয়।

আমাদের প্রজন্ম আর আমাদের ঠিক আগের প্রজন্মের জীবন যাত্রা এক না। তাদের সময়ে সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য অনেক কিছুই বর্তমানে গ্রহনযোগ্য নয়। আবার আমাদের সময়ে সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ্য অনেক কিছুই তাদের সময় অগ্রহনযোগ্য ছিলো।
এখন থেকে কয়েক প্রজন্ম আগেও এই অন্চলে ৭০-৮০ বছরের ঘাটের মরা ব্রাম্ষন ৫-৮ বছরের মেয়েদের পন নিয়ে বিয়ে করতো, এটাকে কেউই দোষনিয় মনে করতাম না।

তাহলে ১৪০০ বছর আগের সামাজিক একটা ঘটনার নিয়ে এত বিশাল আলোচনার কি কোন প্রয়োজন আছে? আপনি সর্বোচ্চ যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে তখনকার সামাজিক ব্যবস্থায় ব্যাপারটা কেমন তা দেখাতে পারেন।

আপনি আপনার কথা ঠিক প্রমান করার জন্য র‌্যাফারেন্স আছে এমন অনেক হাদিসকে মিথ্যা বলেছেন। আর আপনি নিজে পক্ষে যেসব হাদিস দিয়েছেন সেগুলোর সুনির্দিষ্ট কোন র‌্যাফারেন্স নাই।
(কমেন্ট: ১০৬. ২৭ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১:০৬ সজীব আকিব)

এছারা পোস্ট পড়ে বোঝা যায় যে কোরআনে বিয়ে সম্পর্কে দেয়া নিয়ম কানুন আপনি ভালভাবে জানেন না। কারন ৩৮ নং কমেন্ট দুরের পাখি বলেছেন -
জানেন নিশ্চয়ই কোরান অনুসারে আলী এবং মোহাম্মদ কন্যা ফাতেমার বিবাহ হারাম ।

আলী এবং ফাতেমার বিবাহকে হারাম বলল, আর আপনি কিছুই বললেন না। তারমানে আপনি জানেনই না কার সাথে বিয়ে জায়েজ কার সাথে না।

ইসলামে মহিলারা পিতা বা তার আপন ভাইদের(একই পিতা/ মাতা) এবং তার উর্ধ পুরুষদের বিয়ে করতে পারে না। একইভাবে নিজের ছেলে বা স্বামীর অন্য ছেলেদের বা তাদের অধ পুরুষদের বিয়ে করতে পারে না।

এই আইনে কোথাও বাবার চাচত ভাইয়ের কথা বলা হয়নাই। তাহলে কিভাবে ফাতেমা এবং ফাতেমার চাচত চাচা আলীর বিবাহকে হারাম বলল পরও আপনি কিছু লিখলেন না। অনতত সবগুলো কমেন্ট পড়ে কোথাও এমণ কিছু আমার চোখে পরে নাই।

নবীজীর(সা: ) যুগ আর এখন কখনও এক হবে না। নবীজীর ব্যক্তিগত দাস ছিলো, ফাতেমা (রা: ) নবীজীর(সা: )-এর কাছে দাস চেয়েছিলেন, তাই বলে আপনি দাস দাবি করতে পারেন না।

সেরকম এখনকার সমাজ ব্যবস্থা দিয়ে সেই সময়ের সমাজ ব্যবস্থাকে বিচার করার জন্য স্পস্ট র‌্যাফারেন্স আছে এমন হাদিসকে মিথ্যা প্রমান করার দরকার দেখিনা।

এই বিষয়ে আমার এই গল্প পোস্ট Click This Link দেখতে পারেন।

১১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪

যাযাবরমন বলেছেন: ইসলামে রক্তের সম্পর্কে যাদের সাথে বিয়ে করা হারাম, দুধের সম্পর্কে তাদের সাথে বিয়ে করা হারাম।

১২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২৬

নিকো৮১২৩ বলেছেন: ভাই প্রথমেই ধন্যবাদ দেই এই প্রথম একটা ধর্মতাত্ত্বিক পোষ্টে পুরা আলোচনায় গালাগালি ছাড়া সবার আলোচনার চেষ্টা চোখে পড়লো ... ... অনেক ধন্যবাদ .... একটা বিষয় আপনার পোষ্ট পড়তে গিয়ে মনে হলো ... সেটা হলো - এথিকস টাকে আপনি একটা কনষ্টেন্ট বিষয় হিসেবে ট্রিটমেন্ট করছেন ... কিন্তু মরালিটি আর এথিকস তো টাইম রিলেটেড ... যে কোন মানুষের আলোচনাই তো তার টাইম এর এথিকস এবং মরালিটির পরিপ্রেক্ষিতে করতে হয় ... নয়তো আমরা আমাদের কনটেকস্ট এ আলোচনা করে সবাইকেই বাতিল করে দিব .. তাতে আমাদের অর্থাৎ মানব সভ্যতার অগ্রগতির চিত্রটা অপরিষ্কার হয়ে যাবে ... হযরত মুহাম্মদ সাঃ এবং আরও অনেকেই (পূর্ববর্তী ও পরবর্তী) তাদের সময়ে যে পরিবর্তনগুলো এনেছিল তা ঐ সময়ে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে অধিকার দিয়েছিল যার উপর দাড়িয়ে পরবর্তী প্রজন্ম আরও বিকশিত ও উন্নত মানবিক অধিকারের ধারণার বিকাশ ঘটিয়েছিল তাই না .... সমস্যা হলো কোন এক সময়ের চিন্তা ও আদর্শবোধকে সর্ব সময়ের জন্য ধ্রুবক হিসেবে ভাবা ... আর যে কোন আদর্শকে ধ্রুবক হিসেবে তুলে ধরা ঐ আদর্শের পান্ডাদের জন্য যত জরুরী ... ঐ আদর্শের প্রচারকদের জন্য তা না ... ওনারা মানবিক গুনকেই সবচেয়ে বড় বলে মানতন ... আপনি যেই বিশ্বাসেরই হোন না কেন ... আপনার পোষ্ট পড়া ও এখানে কমেন্ট করতে পাড়ায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি ... আপনাকে ধন্যবাদ।
সুমনের নতুন একটা গানের দুটা লাইন এরকম

"চেতনার রং যা ইচ্ছে হোক
ভাবনায় হও স্রোতস্বিনী ... "

আমার মতে এটা খুব দরকার।

১২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৮

নিকো৮১২৩ বলেছেন: আপনার সাথে আমার বিরোধের জায়গা কোনটা হতে পারে? ধর্ম বিশ্বাস বা অবিশ্বাস? মানুষ কি ধর্মের তরে সৃষ্টি না মানুষের তরে ধর্ম ( রিমেমবারঃ আমি ধর্ম বলতে নীতি, বৈশিষ্ট্য বিশ্বাস সবকিছু ইনক্লুড করেছি, শুধু আসমানী কিতাবে পাওয়া গাইডলাইনকে না)?

আপনার বিশ্বাস/ অবিশ্বাস যদি আপনাকে শান্তি দেয়, বর্তমান ও অনাগত মানবজাতি সহ সকল প্রাণীকুলের জন্য সুন্দর এক দুনিয়া তৈরীতে সাহায্য করে, তবে বিরোধের পয়েন্টটা কি হতে পারে? -
যে কোন যু্ক্তিবাদী মানুষ - নাস্তিক বা আস্তিক - এর সাথে যে কোন বিশ্বাসীর (আস্তিক বা নাস্তিক) বিরোধ হতে পারে একটা মাত্র যায়গায় - তা হলো নিজের বিশ্বাসটাকে চূড়ান্ত বলে মনে করা ... সে যেই হোক না কেন -

১২২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৮

নিকো৮১২৩ বলেছেন: একই সাথে নিজের বিশ্বাসটা অন্যর উপর চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করা .. ..

১২৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৭

ভারসাম্য বলেছেন: অনেক আগে শুরু হওয়া একটা পোষ্ট এ এখনও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য চলছে দেখে ভালই লাগছে।

শুধু পড়ার জন্যই পড়ছিলাম। কিন্তু অনেক আগে দূরের পাখির একটা মন্তব্যে "আলী-ফাতেমার বিবাহ হারাম" সংক্রান্ত একটা ডাহা মিথ্যা তথ্যের পক্ষে-বিপক্ষে কারো কোন কথা ( অতি দুঃখজনক ভাবে লেখকেরও) না পেয়ে মনটা খচখচ করছিল।শেষের দিকে একজন এটা বলায় কিছুটা ভারমুক্ত লাগছে।

ইতিহাসের প্রয়োজনেই হাদীসের (সহিহ,হাসান,জয়িফ বা জাল সবগুলোরই) প্রয়োজন আছে। তেমনি হাদীসের জন্যও অন্যান্য ঐতিহাসিক তথ্যের প্রয়োজন আছে। কিন্তু ধর্মের পক্ষে-বিপক্ষে উভয়ের ব্যবহার নির্মোহ ভাবে করা হয়না বলেই এই ধরণের গবেষণার প্রয়োজন পড়ে। যদিও অনেক আগেই Quran Only গ্রুপ এর লেখাতেও এসব পড়েছিলাম কিন্তু বাংলা একটা ব্লগে এই ধরণের প্রসঙ্গ আসায় আরও ভাল লাগল।

আর আলোচ্য প্রসঙ্গের ব্যাপারে আমার ব্যাক্তিগত অবস্থান নয়-ছয়ের পক্ষেও না আবার উনিশ-বিশ এও রাজি না। এ ব্যাপারে আমরা কেবল ধারণা করতে পারি।যে ব্যাপার নিয়ে তৎকালীন সমাজ ব্যাবস্থায় কোন প্রশ্নই উৎথাপিত হয়নি এবং সমকালীন সমাজে যে ধারণার কোন প্রায়োগিক প্রয়োজন নাই সেটার প্রচার-অপপ্রচার কোনটাই কাম্য না। কিন্তু তারপরও যখন ধারণাপ্রসূত অপপ্রচার চলতে থাকে তখন এমন গবেষণাধর্মী পালটা ধারণার প্রয়োজন পড়ে। শুধু এ জন্যই লেখককে সাধুবাদ।

১২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১:৫০

ছোটমির্জা বলেছেন: কি বলব , বুজতে পারছি না।
দারুণ আলোচনা হয়ে গেল একচোট।

প্রিয়তে।
আমাকে আরো পড়তে হবে।

১২৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৫

আশিকুর রহমান অমিত বলেছেন: দারুন একটা কাজ করেছেন, ধন্যবাদ।
আর কিছু ব্যক্তি আছে যারা সর্বদা বিরোধিতা করবে, এদের কে পূর্ব চিনালে এরা উত্তর দিকে তাকিয়ে থেকে বলবে কোথায় পূর্ব!

১২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৬

আবদুস সামাদ আজাদ বলেছেন: যাদের রক্তে ইসলাম বিদ্বেষ তাদের আপনি বোঝাবেন কেমন করে। স্বয়ং আল্লাহ বলেছেন, হে রাসুল আপনি যতই তাদের জন্য দোয়া করেন কোনো কাজ হবেনা......

১২৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৫:১৯

ফেরীওয়ালা বন্ড বলেছেন: অসাধারণ..

১২৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৭

অবাঞ্চিত বলেছেন: আপনার ঈমানে সমস্যা আছে। বুখারী শরীফে আছে রাসূলের সাথে কবে বিয়ে হয়েছিল। বুখারী শরীফ সবচেয়ে শুদ্ধ হাদীস। পারলে বুখারী শরীফ কিভাবে সংকলন করা হয় সেটা জেনে এসে তারপর কথা বলবেন, আধুনিক কালের জাকির নায়েকদের এসব ফালতু যুক্তি দিয়ে হাদীস অশুদ্ধ প্রমানের চেস্টা করবেন না

১২৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৪৬

প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্লগ লিখেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৩০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:৫৯

ইফতেখার মাহ্দী বলেছেন: ভাইরে গানে ছিলেন ভালো ছিলেন !
কেন যে লাইন ক্রস করতে যান !!

১৩১| ২০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:২৩

মামদোভুত বলেছেন: বুখারী শরীফকেও মানেনা!

ছাগ্লামীর সর্বশেষ পর্যায়!

১৩২| ২০ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৩০

অনিক আহসান বলেছেন: মাওলানা সামুরাই অনেক আগেই প্রমান করে দিছেন বিবি আয়েশার বয়স ১২ বছরের বেশি ছিলো। =p~

১৩৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৫৫

সেলিম জাহাঙ্গীর বলেছেন: আপনি বলেছেনঃ হাদীসের কোন বিষয়বা রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা। কাজেই বিবাহযোগ্য বয়সের বিষয়ে আল কোরআনের যে নির্দেশ, এই ঘটনা তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাহলে? উত্তর একটাই, এই হাদীসটা সঠিক নয়, সঠিক হতেই পারেনা।

আপনার কথা শুনে বড় অবাক লাগলো যে, যখন আপনাদের ব্যাডে বলে মিলে তখন সেটা সহীহ্ আর যকন মেলে না। তখন সেটা ঠিক নয়। আরে ভাই হাদীস মানে, গল্প,কথা,উপকথা। হাদীসের নামে ধর্মে প্রবেশ করেছে অনকে কেচ্ছা কাহিনী।

১৩৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১০

সংবাদ বলেছেন: খুব ভাল লাগল তথ্যটা জানতে পারে প্রকৃত পক্ষে এটা একটা বিভ্রান্তি যা কোরআনের সাথে মিলে না তাই এই দরনের হাদিস গুলোর ময়না তদন্ত চাই

১৩৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৮

বিভ্রান্ত নাগরিক বলেছেন: এই হাদিসটা কি তাইলে মিথ্যা
The Prophet engaged me when I was a girl of six (years). We went to Medina and stayed at the home of Bani-al-Harith bin Khazraj. Then I got ill and my hair fell down. Later on my hair grew (again) and my mother, Um Ruman, came to me while I was playing in a swing with some of my girl friends. She called me, and I went to her, not knowing what she wanted to do to me. She caught me by the hand and made me stand at the door of the house. I was breathless then, and when my breathing became Allright, she took some water and rubbed my face and head with it. Then she took me into the house. There in the house I saw some Ansari women who said, "Best wishes and Allah's Blessing and a good luck." Then she entrusted me to them and they prepared me (for the marriage). Unexpectedly Allah's Apostle came to me in the forenoon and my mother handed me over to him, and at that time I was a girl of nine years of age. (Sahih Bukhari 5.234)

১৩৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:০৮

এ কে সুমন বলেছেন: খুব সুন্দর একটি পোস্ট ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

গুপী গায়েন বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৪

দুরন্ত সাহসী বলেছেন: বিষয়টা আরও ভালো ভাবে জেনে তারপর বলি।খুব গুরুত্বপূর্ন টপিক

১৩৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২২

ফারজানা শিরিন বলেছেন: অসম্ভব ভালো একটা লেখা ! কৃতজ্ঞতা ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

গুপী গায়েন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: আমার মনে হয় এটা সূক্ষ সাপোর্টিং হিসেবে কাজ করবে । ইন্টারনেট ঘাটলেই কেন সূক্ষ সাপোর্টিং বলেছি আশা রাখি সেই দূরবর্তি লিঙ্কটা ধরা যাবে ।

তোমাদের স্ত্রীদের মধ্যে যাদের ঋতুবর্তী হওয়ার আশা নেই, তাদের ব্যাপারে সন্দেহ হলে তাদের ইদ্দত হবে তিন মাস। আর যারা এখনও ঋতুর বয়সে পৌঁছেনি, তাদেরও অনুরূপ ইদ্দতকাল হবে। গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তানপ্রসব পর্যন্ত। যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন। [সুরা তালাক: ৪]

And those (F) who became infertile/despaired* يءسن from the menstruation* المحيض from your women, if you became doubtful/suspicious, so their term/count* فعدتهن (is) three months, and those (F) who did not menstruate, and (those) of the pregnant* الأحمال , their term/time (is) that (E) they (F) give birth/drop* يضعن their (F) off spring/loads/pregnancies* حملهن , and who fears and obeys God, He makes/puts* يجعل from his matter/affair ease/flexibility.


Yusuf Ali
Such of your women as have passed the age of monthly courses, for them the prescribed period, if ye have any doubts, is three months, and for those who have no courses (it is the same): for those who carry (life within their wombs), their period is until they deliver their burdens: and for those who fear Allah, He will make their path easy.

Pickthal
And for such of your women as despair of menstruation, if ye doubt, their period (of waiting) shall be three months, along with those who have it not. And for those with child, their period shall be till they bring forth their burden. And whosoever keepeth his duty to Allah, He maketh his course easy for him.
At-Talaaq: 4

১৪০| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: এই রেফারেন্সগুলোর ব্যাপারে আমাদের করণীয় কি ।


'A'isha (Allah be pleased with her) reported: Allah's Apostle (may peace be upon him) married me when I was six years old, and I was admitted to his house when I was nine years old. Muslim 8. 3310

Narrated 'Aisha:that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years (i.e., till his death). Bukhari 7. 62. 64

Narrated 'Aisha:that the Prophet married her when she was six years old and he consummated his marriage when she was nine years old. Hisham said: I have been informed that 'Aisha remained with the Prophet for nine years (i.e. till his death)." what you know of the Quran (by heart)' Bukhari 7. 62. 65

Narrated 'Ursa:The Prophet wrote the (marriage contract) with 'Aisha while she was six years old and consummated his marriage with her while she was nine years old and she remained with him for nine years (i.e. till his death). Bukhari 7. 62. 88

Narrated 'Aisha:
I used to play with the dolls in the presence of the Prophet, and my girl friends also used to play with me. When Allah's Apostle used to enter (my dwelling place) they used to hide themselves, but the Prophet would call them to join and play with me. (The playing with the dolls and similar images is forbidden, but it was allowed for 'Aisha at that time, as she was a little girl, not yet reached the age of puberty.) (Fateh-al-Bari page 143, Vol.13) Bukhari 8. 73.151

Narrated Aisha:
The Prophet engaged me when I was a girl of six (years). We went to Medina and stayed at the home of Bani-al-Harith bin Khazraj. Then I got ill and my hair fell down. Later on my hair grew (again) and my mother, Um Ruman, came to me while I was playing in a swing with some of my girl friends. She called me, and I went to her, not knowing what she wanted to do to me. She caught me by the hand and made me stand at the door of the house. I was breathless then, and when my breathing became Allright, she took some water and rubbed my face and head with it. Then she took me into the house. There in the house I saw some Ansari women who said, "Best wishes and Allah's Blessing and a good luck." Then she entrusted me to them and they prepared me (for the marriage). Unexpectedly Allah's Apostle came to me in the forenoon and my mother handed me over to him, and at that time I was a girl of nine years of age. Bukhari 5.234

১৪১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০১

মেলবোর্ন বলেছেন: প্রথমত গুপী গায়েন আপনাকে অনেক ধণ্যবাদ আপনার এই পোস্ট অনেক আগের আমার প্রিয়তে ছিল আজ রেফারেন্সের প্রয়োজনে এসে আবার পড়ি এবং আপনার প্রতি বিরাগ কিছু মন্তব্য গুলো দেখে মন্তব্য না করে পরলাম না

প্রথমত আসি : হাদীসের কোন বিষয় বা রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা। কাজেই বিবাহযোগ্য বয়সের বিষয়ে আল কোরআনের যে নির্দেশ, এই ঘটনা তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাহলে? উত্তর একটাই, এই হাদীসটা সঠিক নয়, সঠিক হতেই পারেনা। এবিষয়ে আপনার সাথে সম্পুর্ন ভাবে একমত

এ বিষয়ে অনেকে আপনার সাথে দ্বীমত পোষন করেছেন অনেকে আপনি হাদিস জাল বলাতেও আপনার প্রতি ক্ষোভ পোষন করেছেন

চলুন তবে কোরআন ও হাদিস হতেই প্রমান করে দেই

১।Whenever a hadith (quotation) is presented to you in my name, verify it in the light of the Qur'an. If it agrees with the Qur'an, accept it, if it is in conflict, discard it.
(Prophet Mohammad, the Exalted, ref. Al-Tibiyan wal Tabayyen , vol.II, p.28)

অর্থ: যখনি হাদিস বা আমার কথা তোমাদের কাছে বলা হবে সেটাকে কোরআন অনুসারে যাচাই করো, যদি সেটা কোরআনের সাথে মিলে তবে মানবে আর যদি না মিলে তবে সেটা গ্রহন করবেনা

আপনি হাদিসই পাবেন যেখানে বলা আছে যে মহানবীর চরিত্রই হচ্ছে কোরআনের আলোকে পরিপুর্ন।

মহানবীর কোন কথা বা কাজ যে কোরআনের বাইরে নয় তার জন্য আল্লাহই বলেন সুরা আল কলম সুরা নং ৬৮ আয়াত ৪ এ "আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী। "

২। এবার চলুনদেখি কোরআন অনুযায়ি বিয়ের বয়স: অনেকেই বলেন মহানবী আয়েশা (রঃ) কে ৬ বছর বয়সে বিয়ে করে ৯ বছর বয়সে ওনার ঘরে নিয়ে যান এটা যারা মানেনই তবে

ক। তারা বা বড় বড় শেখ ও মোল্লারা কেন তাদের মেয়েদের ৬ বা ৯ বছর বয়সে বিয়ে দেন না?

খ। কেন এটা শুধু ধর্ম কম জানা গরীব দের মধ্যেই প্রচলিত?

গ। কেন তবে অন্যন্য সাহাবীরা ৬ বা ৯ বছরের মেয়েদের বিয়ে করেন নি প্রশ্ন রইলো?


কোরআন আমাদের নির্দেশ দেয় বিয়ের জন্য তিনটি নিয়ম :

১। সম্মতি/অনুমতি/ অনুমদন দেয়ান মত বয়স

২। আইনি চুক্তি/ অঙ্গীকার করার মত ক্ষমতা সামর্থ্য

৩। নিজের সম্পদের রক্ষনাবেক্ষন করার মত ক্ষমতা সামর্থ্য

দেখুন সুরা আন নিসা সুরা নং ৮ আয়াত নং ৬ এ: আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার।, এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট।


সুরা আন নিসা সুরা নং ৮ আয়াত নং ১৯ এ "হে ঈমাণদারগণ! বলপূর্বক নারীদেরকে উত্তরাধিকারে গ্রহন করা তোমাদের জন্যে হালাল নয় " মানে নারীর অনুমতি নিতে হবে


সুরা আন নিসা সুরা নং ৮ আয়াত নং ২১ এ: "তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে।" মানে যখন নারীর সাথে বিয়ে করা হয় তখন অঙ্গীকার /চুক্তি করা হয় যে তার দায়িত্ব স্বামি নিচ্ছে এবং নারী সেটাকে গ্রহন করলেই বিয়ে হয় অন্যথায় নয়।

There is strong evidence that , Ai sha (R.A.) was 18 years old at the time of Nikah (signing of the marriage contract ) and 21 when she moved to the Holy Messenger's house. Aisha's elder sister Asma reports that she was 10 years
older than Aisha and that Asma was 31 when Aisha got married (for references Sheikh Waliuddin, Mishkah, Akmaal, Imam Kalbi, Isteaab, Asadul Ghavah).

এবার আপনারাই বলুন মহানবী (সঃ) কি কোরআনের আদেশ / আল্লাহর আদেশ অমান্য করে ৬ বছরের কাউকে বিয়ে করবেন ?

আল্লাহ আমাদেরকে সত্য বোঝার তৈফিক দিন। আমিন।

১৪২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন:












ভাই মোদ্দা কথা হলো যারা ভাববে - রাসুল (সাঃ) কোর'আনের বাইরে এক বিন্দু পরিমাণ কিছু করেছেন তাদের ঈমান কিছুতেই থাকবেনা।

রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কোরআনের বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারেনা পারেনা পারেনা।

কিছু জ্ঞানপাপী আছে অথবা কিছু চুলকানীওয়ালা আছে অথবা ঈহুদী খ্রিস্টানদের উচ্ছিষ্ট্য ভোগী আছে তারা হুদাই পানি ঘোলা করতে চায়। তাই এ বিষয়ে সকল মুসলিমকে সজাগ থাকতে হবে। এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।

১৪৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই পোষ্টের মন্তব্য কারী এবং যারা পড়িয়াছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।


ইন্টারনেটের রেফারেন্স দিয়ে কোন কিছু প্রতিষ্ঠা করা থেকে বিরত থাকুন কারণ ইন্টানেটে বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য কাদীয়ানি ঈহুদী খ্রিষ্টানরা অনেক কিছু উল্টা পাল্টা যোজন বিয়োজন করেছে।

সত্য জানতে হলে অবশ্যই বড় আলেম মুফতির কাছে যেতে হবে।

১৪৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

অসমাপ্ত ফিরদ বলেছেন: লেখক আধুনিক যুগের ছেলে তো....

১৪৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: যৌক্তিক কিন্তু আবারো পড়ব +++

১৪৬| ২৭ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

অস্তমিত সুর্য বলেছেন: ফেইসবুকে অনেককে দেখা যায়, উম্মুল মু'মিনীন হযরত ছিদ্দিক্বা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক এর সময়কার বয়স নিয়ে এলোমেলো কথা বলে। সহীহ বুখারীর ৪৭৫৭ ও ৪৭৫৮ নম্বর হাদীছ শরীফে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ হযরত ছিদ্দিক্বা আলাইহাস সালাম উনার যখন শাদী মুবারক হয় তখন উনার বয়স ছিলো ৬ বছর। এটা সহীহ ও মশহুর দলীল।
লিংকটিতে বিস্তারিত দলীল আছে

ফেইসবুকে অনেককে দেখা যায়, উম্মুল মু'মিনীন হযরত ছিদ্দিক্বা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক এর সময়কার বয়স নিয়ে এলোমেলো কথা বলে। সহীহ বুখারীর ৪৭৫৭ ও ৪৭৫৮ নম্বর হাদীছ শরীফে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ হযরত ছিদ্দিক্বা আলাইহাস সালাম উনার যখন শাদী মুবারক হয় তখন উনার বয়স ছিলো ৬ বছর। এটা সহীহ ও মশহুর দলীল।
লিংকটিতে বিস্তারিত দলীল আছে

http://www.answering-islam.org/Shamoun/prepubescent.htm

১৪৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

অস্তমিত সুর্য বলেছেন: আপনার উপস্থাপিত তথ্যের দলীল ভিত্তিক জবাব :
view this link
উপরে বর্ণিত প্রতিটি হাদীছ শরীফে একটি বিষয়ই আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি হাদীছ শরীফে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই ইরশাদ মুবারক করেছেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে শাদী মুবারক করার সময় আমার বয়স মুবারক ছয় (৬) বছর ছিলো। আর তিনি আমাকে হুজরা শরীফে তুলে নেওয়ার সময় আমার বয়স মুবারক নয় (৯) বছর ছিলো।

অপরদিকে বিশ্বখ্যাত সীরাতগ্রন্থ ‘আল ইস্তিয়াব’ ‘আল কাশিফ’ ‘আসমাউস সাহাবা’ ‘তাযকিরাতুল হুফফায’ ‘আল ইসাবা’ প্রমুখ গ্রন্থসহ অসংখ্যা গ্রন্থের ভাষ্য মতে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ৬৭ বছর বয়স মুবারকে ৫৮ হিজরীতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। অর্থাৎ ৫৮ হিজরীতে উনার বয়স মুবারক হয় ৬৮ বছর। সে অনুযায়ী উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ হিজরতের প্রায় নয় (৯) বছর পূর্বে। অপরদিকে উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম তিনি হিজরতের তিন বছর পূর্বে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। সে সময় উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছয় (৬) বছর। কাজেই, এ বিষয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।

এবার তার বক্তব্য সমূহ দেখা যাক। তার বক্তব্যের জবাবে বলতে হয় যে, তার প্রতিটি বক্তব্যই মিথ্যা, বানোয়াট, বিভ্রান্তিকর, অযৌক্তিক এবং কল্পনাপ্রসূত। সে হাদীছ শরীফের রাবী হযরত হিশাম ইবনে উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি সম্পর্কে বিনা কারণে সংশয় প্রকাশ করেছে। অথচ গ্রহণযোগ্য এভং অনুসরণীয় সমস্ত মুহাদ্দিসগণ উনার হাদীছ শরীফ গ্রহণ করেছেন। ছিহাহ সিত্তাহসহ মশহুর হাদীছ শরীফের সমস্ত কিতাবে উনার সনদ গ্রহণ করা হয়েছে। হযরত হিশাম ইবনে উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি অত্যধিক নির্ভরযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য রাবী। উনার ব্যাপারে কোনো ধরনের সন্দেহ সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। কারণ তিনি হচ্ছেন উম্মুল মু’মিনীন ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার প্রপৌত্র।

উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বোন হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার ছেলে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। অর্থাৎ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ভাগিনা। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছেলে হযরত উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি। অর্থাৎ হযরত উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ভাগিনার ছেলে তথা নাতী বা পৌত্র। আবার হযরত উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ছেলে হযরত হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহি। অর্থাৎ হযরত হিশাম ইবনে উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার নাতীর ছেলে বা প্রপৌত্র।
মূল কথা হচ্ছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম শাদী মুবারকের সময়ে উনার বয়স মুবারক সম্পর্কিত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার রাবী নিয়ে কোনো ইখতিলাফের সুযোগ নেই। তাছাড়া এরূপ হাদীছ শরীফ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুসহ অন্যান্য অনেকের থেকেও বর্ণিত হয়েছে।

তাদের দ্বিতীয় বক্তব্য, “বিবাহযোগ্য বয়সের বিষয়ে আল কোরআনের যে নির্দেশ, এই ঘটনা তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।” এখন প্রশ্ন হলো- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বিবাহের কোনো বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে কি? না, পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে বিবাহের কোনো বয়স নির্ধারণ করা হয়নি। তবে মহান আল্লাহ পাক তিনি বিবাহের বিষয়টি বান্দাহর ইচ্ছাধীন রেখেছেন। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
অর্থাৎ, স্ত্রীগণ তোমাদের চারণভূমি স্বরূপ। কাজেই তোমরা যখন যেভাবে ইচ্ছা সেখানে গমন করো। অর্থাৎ, যে কোনো বয়সে বিবাহ করা যায়। এতে কোনো বিধি নিষেধ নেই।
মূল কথা হচ্ছে, বিবাহের ব্যাপারে বয়স নির্ধারণের বিষয়টিও ভূল বলে সনাক্ত হলো।

তৃতীয়ত, বদর জিহাদে অনুষ্ঠিত হয়েছে দ্বিতীয় হিজরী। আর উহুদ জিহাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে তৃতীয় হিজরীতে। প্রথম হিজরীতে তিনি যখন হাবীবী হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন, তখন উনার বয়স মুবারক নয় (৯) বছর। তাহলে দ্বিতীয় হিজরীতে বদর জিহাদের সময় উনার বয়স মুবারক প্রায় ১০ বছর। আর তৃতীয় হিজরতে উহুদ জিহাদের সময় উনার বয়স মুবারক প্রায় ১১ বছর।
তাদের বক্তব্য হলো, ১৫ বছরের কম বয়স্কদেরকে জিহাদ হতে ফেরত পাঠানো হয়েছিলো। হ্যাঁ, ১৫ বছরের কম বয়স্কদেরকে ফেরত পাঠানো হয়েছি বটে, তবে ছেলেদেরকে। মহিলাদেরকে নয়। মহিলা যারা জিহাদে গিয়েছিলেন, উনারা সৈন্য হিসেবে নয়, মুজাহিদদের সেবক হিসেবে গিয়েছিলেন। উহুদ যুদ্ধের ঘটনা থেকে দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, উহুদ জিহাদে অনেক মহিলা অংশ নিয়েছিলেন। তবে উনারা সৈদিনক হিসেবে যাননি। বদর জিহাদের মুজাহিদ সংখ্যা ৩১৩ জন বলা হয়, এখানে মহিলাগণ অন্তর্ভুক্ত নন।

চতুর্থত: তাদের বক্তব্য হলো, “ উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বোন হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা হতে দশ বছরের ছোট ছিলেন। হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি ১০০ বছর বয়সে ৭৩ হিজরীতে পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন। অর্থাৎ হিজরতের সময় উনার বয়স ২৭ বছর ছিলো। সে অনুযায়ী উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স হিজরতের সময় ১৭ বছর।”
সূক্ষ্ম হিসেবে তাদের এ বক্তব্য ভূল প্রমাণিত হয়। হিজরতের সময় বন্দী হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার বয়স ২৭ বছর হয়, তাহলে ১৩ হিজরীতে ৬৩ বছর বয়স মুবারকে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম বিছাল শরীফ গ্রহণকালে হযরত আসমা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার বয়স ৪০ বছর। তাহলে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি কি ২৩ বছরের কম বয়সে সাদী মুবারক করেছিলেন। অথচ সীরাতগ্রন্থসমূহের বর্ণনা অনুযায়ী হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি ২৫ বছর বয়সে বা তার পরে শাদী মুবারক করেছেন। কাজেই, আবারো তাদের বক্তব্যে অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হলো।

পঞ্চমত: হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার চার জন সন্তান ছিলেন। সন্তান চার জন ছিলেন বটে, তবে চারজনই পবিত্র ইসলামপূর্ব যুগে তাশরীফ নেননি। কারণ, বিদায় হজ্জ্বের সময়ও উনার একজন সন্তান তাশরীফ নেন। যা বিদায় হজ্জ্বের ঘটনাবলীতে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছে। কাজেই, এখানেও তাদের ভূল সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো।

ষষ্ঠত: তাদের মতে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি হযরত ফারুক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পূর্বে ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এ কথাটিও সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়না। কারণ, বুখারী শরীফ, হায়াতুস সাহাবা এবং সিয়ারু আলামিন নুবালা প্রমুখ গ্রন্থে বর্ণিত রয়েছে, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, যখন থেকে আমি আমার আব্বা আম্মা উনাদেরকে চিনতে পেরেছি তখন থেকেই উনাদেরকে মুসলমান হিসেবে পেয়েছি। এই হাদীছ শরীফ দ্বারা কয়েকটি বিষয় প্রমাণিত হয়। তথা ইসলাম পূর্ব যুগে উনার বিলাদত শরীফ নয়। উনার পিতা মাতা ইসলাম গ্রহণের পরেই উনার বিলাদত শরীফ।

সপ্তমত: মুসনাদে আহমদ সম্পর্কে যে মত তারা তুলে ধরেছে, সেখানে তারা সুস্পষ্টভাবে জালিয়াতি করেছে। সেখানে পূর্ব বয়স্ক যুবতী নয়, বরং কুমারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বা অবিবাহিত হিসেবে উনাকে চিত্রিত করা হয়েছে।

অষ্টমত: সাইয়্যিদাতুনা নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক সম্পর্কে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে, সেটাও ভূল। কারণ ঐতিহাসিকগণ একমত যে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশের প্রায় ছয় মাস পর সাইয়্যিদাতুনা নিসা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি প্রায় ২৭ বছর বয়স মুবারকে পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। তাহলে প্রমাণিত হয় যে, আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত প্রকাশেল প্রায় তিন বছর পূর্বে তিনি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ করেন। এখন কথা হলো, ২৭ বছর বয়সে তিনি যখন পবিত্র বিছাল শরীফ গ্রহণ করেন, তখন উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ১৮ বছর।

১৪৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

বিজন শররমা বলেছেন: বিয়ের বয়স ৬/৯ বিষয়ে নানা সমালোচনার কারনে কিছু ধর্ম বিশ্বাসীরা এটা মিথ্যা প্রমান করতে মাঠে নেমেছেন । আর এর স্বপক্ষে যা পাওয়া যায় তাই দিয়ে তারা আগের জানা তথ্যগুলি মিথ্যা প্রমানের চেষ্টা করছেন । আজকের যুগে এটা করা বেশ সোজা কাজ। যে কেউ একটা পুরানো বইএর রেফারেন্স দিইয়েই এটা করতে পারে, অধিকাংশ পাঠক কষ্ট করে সেগুলি খুজতে যাবে না, বরং বিশ্বাস করবে । এমনকি নিজেরা ইচ্ছেমত বই লিখেও তার রেফারেন্স দিইয়ে একাজ করা সম্ভব ।
কিন্তু এভাবে প্রতিষ্ঠিত সত্য গুলি মিথ্যা প্রমান করা হলে তার ফল কিন্তু ভালো হতে পারে না । তাতে সবার মনে ধারনা জন্মাবে, অন্যসব "প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলি"ও মিথ্যা বা অথবা সেগুলি মিথ্যা হবার সম্ভাবনে আছে । যারা স্বাধীন মতামত প্রকাশ করেন তাদের অনেকেই ধর্মের নানা প্রতিষ্ঠিত তথ্য সম্বন্ধে ভিন্ন মত প্রকাশ করে থাকেন । ধর্ম বিশ্বাসীরা তখন প্রতিষ্ঠিত তথ্য অক্ষুন্ন রাখার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেন । এখন ধর্ম বিশ্বাসীরা নিজেরাই যদি এখন "প্রতিষ্ঠিত তথ্য সত্য নয়" এমন প্রচার চালাতে থাকেন, তাহলে তারা স্বাধীন মতামত প্রকাশকারীদের প্রচেষ্টাকেই জয়যুক্ত করবেন । ধর্ম বিশ্বাসীরা ইতিমধ্যেই স্বাধীন মতামত প্রকাশ কারীদের ট্র্যাপে পা দিয়ে ফেলেন নি তো ?

১৪৯| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

বিজন শররমা বলেছেন: ধর্মের প্রতিষ্ঠিত সত্যগুলি নানা কথার মারপ্যাচ বা বায়বীয় রেফারেন্স দিয়ে যারা মিথ্যা বা বিকৃত প্রমান করতে মাঠে নেমেছেন, তারা নিজেরাই "মুক্তমনাদের জন্য" কাজ করছেন না তো ? "প্রাচীন ধর্মের সবই সত্য নয়" এমনটা প্রমান করাই তো মুক্তমনাদের কাজ ।

১৫০| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:০২

হানিফঢাকা বলেছেন: Click This Link

১৫১| ১০ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০০

রাসেদুল হায়দার বলেছেন: আপনার লেখাটার থেকে এটাকে আর একটু বেশি যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে ভাই, http://markajomar.com/?p=1569

১৫২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

NurunNabi বলেছেন: Please Click in here : http://markajomar.com/?p=1569

১৫৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

নতুন নকিব বলেছেন:




ভাল পোস্ট।

১৫৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:২৪

কানিজ রিনা বলেছেন: আফসা রাঃ যখন নবী মোহাঃ সাঃ স্বাদী
মোবার হয় তখন হাফসা রাঃ বয়স ২২
বছর। আয়সা রাঃ কে স্বাদী করার ৫ বছর
পর হাফসা রাঃ সাথে মোহাঃ সাঃ স্বাদী
করেন। তাহলে এখন গুনে দেখলে কি হয়।

মাত্র ১০০ বছর আগে আমার চাচা ফুফুদের
বিয়ের গল্প শুনেছি। আমার বড় চাচার বয়স
এগার বছর চাচীর বয়স সাত বছর তাদের
বিবাহ হয়। শুনেছি তারা যতদিন বালেগ
হয় নাই ততোদিন বাবার বাড়ি অতিবাহিত
করত মুরব্বিদের অনুমতি ক্রমে। বিশেষ
করে নারীদের যতদিন হায়েযে পরিনত না
হয়েছে। এভাবে আমার নানী দাদী বড় ফুফু
বড় চাচীর বিবাহ সম্পর্কে তাদের মুখে গল্প
শুনেছি।
এখন কথা হোল পূর্ব সমাজ পদ্ধতি যখন
যে নিয়ম চালু ছিল তখন মানুষ সেই
নিয়মে চলেছে। এখন স্বাবালগ বা ১৮ করা
হয়েছে। সমাজের সুবিদার্থে যখন যমন
প্রাচীন যুগে নারীর শিক্ষার প্রসারতা ছিলনা
তাই, তারা করে বিয়ে হয়েছে।
হযরত মোহাঃ সাঃ স্বাদী মুবারক নিয়ে
আলাপ আলচনা গীবদকারীদের অন্তরায়।
গীবদকারীরা গীবদ করবে তা নিয়ে হতাস
বা প্রমানাদীর প্রয়োজন বলে মনে করিনা।
মানুষ যখন কোনও মহান ব্যাক্তির সাথে
সক্রতা করে তখন তার চরিত্র নিয়ে মিথ্যা
বানোয়াট অনেক কথা বলে।

সাধারনত আমাদের দুই দল বিএনপি আওমী
দুই নেত্রীর সক্রতা বসত মাঝেই দেখি
ফেজবুক পত্রিকায় মাঝে মাঝেই চরিত্র
তুলে কথা নানান বানোয়াট যুক্তি দেখায়।
তাই বলে কি তারা বসে আছে নাকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.