![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগার সম্পূর্ণরূপে সামাজিক-অ্যাকসনধর্মী-রোমান্টিক-কাল্পনিক চরিত্র! আশাকরি এই ব্লগের গার্বেজ কুপি করনের মতন ভুদাই কেউ নাই হের্পরেও যদি কেউ কর্তে চান তাইলে কুপাইতে থাহেন তয় কৈলাম শেষমেষ আমার নামডা না পাইলে হাতেনাতে কত কুপিতে কত পোস্ট বুঝানো হৈবেক!
বিদ্যুতের দাম ২১শতাংশ বাড়ানো হইসে এইটা পুরানা খবর। এর লিগা ইউনিট(টাকা পার কিলো ওয়াট আওয়ার) প্রতি দাম দাড়াইবো ৫.০২ টাকা যেইটা প্রথম আলোর তথ্যমতে ২০১২ এর ফেব্রুয়ারিতে কার্যকর হওনের কথা যদিও রয়টার্সের তথ্যানুসারে এইটা দুইধাপে করা হৈব যার প্রথমটা এই বছরের ডিসেম্বরের বিলে আর পরেরটা ২০১২ এর ফেব্রুয়ারিতে। রয়টার্সে দেখলাম বিপিডিবি অবশ্য এই বৃদ্ধিতেও সন্তুষ্ট না,তারা সিরিজাকারে প্রতি ছয় মাস অন্তর অন্তর আরো কয়েকবার দাম বাড়ানোর প্রস্তাব সরকাররে দিয়া রাখসে। কারণ বিদ্যুত তৈরী কর্তে এখন যেই খরচ হয় তার তুলনায় বিক্রয় মূল্য খুবই অপ্রতুল।
গত নির্বাচনে আম্লীগের জিতার এক্টা অন্যতম কারণ আছিল বিদ্যুত খাতে বিন্পির ব্যর্থতা। তো আম্লীগ আইসা কি করলো,স্বল্প মেয়াদী অয়েল বেইজড কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট নামক মরণ ফাদের আশ্রয় নিল যেইটা কিনা উচ্চমূল্যের ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল পুড়ায়। এইবার দুই অর্থবছরে(২০১০-১১ এবং ২০১১-১২) এইটার প্রভাব দেখা যাক
২০১০-১১ অর্থবছর
*এই সময় বিপিডিবির লোকসান হৈসে প্রায় ৫৪১ মিলিয়ন ডলার।
*এই অর্থবছরে মোট জ্বালানি আমদানি করা হৈসে ৪.৮০ মিলিয়ন টন যা প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের। এইটা গত এক দশকের গড় আমদানি ৩ বিলিয়ন ডলার থিকা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বেশি।
*এই সময় সরকার জ্বালানি খাতে মোট ভর্তুকি দিসে প্রায় ১.১০ বিলিয়ন ডলার।
২০১১-২০১২ অর্থবছর
*এই সময়ে ডিজেলের চাহিদা প্রায় ২৫% বাইড়া ৩.৭৮ মিলিয়ন টনে দাড়াইবো বলে আশা করা হৈতাসে,যদিও এর থিকা বেশি লাগনের সম্ভাবনাই বেশি।
*মোট জ্বালানি চাহিদা ৬.৮০ মিলিয়ন টন যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২ মিলিয়ন টন বেশি,বলা বাহুল্য এর সিংহভাগই কুইক রেন্টাল প্রজেক্টের চাহিদা মিটানোর লিগা। এর ফলে দর্কার ৬.১৩ বিলিয়ন ডলারের মূল্যমানের তেল যা আগের বছরের তুলনায় ২.১৩ বিলিয়ন ডলার বেশি,সমস্যা হৈতাসে কাহিনী এইখানেই শেষ না কারণ এইটা আছিল আগস্টের(২০১১) দিকের হিসাব। কিন্তু এখন এইটা আরো বিপুল পরিমানে বাইড়া যাইতাসে কারণ ডিসেম্বর২০১১-জুলাই ২০১২ এই সময়ের লিগা তেল কিনোনের নতুন যেই চুক্তি সরকার কর্সে সেইটা ডিজেলের ক্ষেত্রে ৩.৩০ হইতে বাইড়া ৩.৫০ ডলার/ব্যারল হৈসে। আর জ্বালানি তেল যেইটার চাহিদা প্রায় ১.৬৫ মিলিয়ন টন ঐটার ব্যাপারে সরকার এখনো কোনো সমযোথায়ই আসতে পারে নাই,কারণ দাম চাওয়া হৈতাসে ৪২-৫২ ডলার/টন যেইটা ২০১১জুলাই-২০১১ডিসেম্বর এই সময় পর্যন্ত সরকার কিন্ত ৩২ ডলার/টন।
এই বিপুল পরিমান ঘাটতির কথা তোয়াক্কা না কৈরা সরকার নাকি আরো কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর চিন্তা ভাবনা কর্তাসে! এইটা নিয়া অর্থাত রাজস্ব ঘাটতি বৃদ্ধির ফলশ্রুতিতে ইকোনমিতে এর লং টার্ম ইফেক্টের ব্যাপরে বিশ্ব ব্যাংক আগেই সরকাররে হুশিয়ার করলেও সরকার এই ব্যাপারে নিজেদের আত্মঘাতী সিদ্ধান্তেই অটল। এইটার ফলে একদিকে আউটষ্টান্ডিং বিল পাইল আপ কর্তে থাকব,সরকাররে ম্যাসিভ অ্যামাউন্টের সাবসিডি দিতে হৈব যেইটার লিগা ব্যাংক থিকা টাকা ধার নেয়ন লাগব যা আবার আল্টিম্যাটলি কারেন্সির উপ্রে প্রভাব ফেলবো। অন্যদিকে হিমশিম খাইতে খাইতে কিছুদিন পর পরই সরকাররে এইভাবে বিদ্যুতের দাম বাড়াইতে হৈব। পরিণতিতে এই কুইক রেন্টাল প্রজেক্ট আমগো লিগা গলার ফাসে পরিনত হৈব! এর লগে সরকারের উলঙ্গ ভারত প্রেম যার লিগা নিজের শরীর পর্যন্ত বিলায়া দিতে দ্বিধা করে না এইটা যখন যোগ হয় তখন মনে হয় ২০১২ আমাগো লিগা আরো কঠিন থিকা কঠিনতর হৈব।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:২৩
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: সেইটাই,এইটারে জোড়াতালি দেওনের মত কৈরা স্বল্প মেয়াদের লিগা ব্যবহার করা যাইতে পারে কিন্তু সরকারের অবস্থা দেইখা মনে হৈতাসে তারা এইটাতেই স্থায়ী সমাধানের পথ খুজতাসে। আমার আশংকা এইখানেই,এইটার লং টার্ম ইফেক্ট ভোগ করব দেশের মানুষ আর সরকাররে দেইখা মনে হৈতাসে তারা এই ব্যাপারে ভাবলেশহীন। আর মন্ত্রীগো কথাবার্তা নাই কৈ ।আপ্নেরে অনেক ধন্যবাদ
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১৯
আমি ছড়াকার বলেছেন: ভাই কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট এর কাজ শুরু হচ্ছে। আরো আগে শুরু করা দরকার ছিল। কুইকরেন্টাল দিয়ে দেশ চলবনা।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩১
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: ভাই ঐগুলা আকাশে বাতাসে শুনা যায় কিন্তু কামের কামতো কিছুই হয় না। তিন বছরতো চৈলাই গেল,কিছুতো হৈতে দেখলাম না! আর সরকার নতুন কৈরা আরো কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়া নিসে সেইটাও দেখতাসি। আপ্নে-আমি বুঝতাসি যে এইটা দিয়া দেশ চলব না কিন্তু সরকারতো মনে লয় বুঝতাসে না! আপ্নেরেও অনেক ধৈন্না
৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩১
চেম্বার জজ বলেছেন: সবেতো শুরু-বোঝবা মনু আরো বছর দুই পর!
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০০
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: আরো বোঝনের বাকি আছে নাকি ? তবে আমগো দেশে লঙ্কায় যেই যায় সেই রাবন হয়া যায়
। আপ্নেরে ধৈন্না
৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৭
অক্টোপাস বলেছেন: হারামি হাসিনা দেশটারে ধ্বংস করবো.. তার আগেই ওই বেটি ধ্বংস হয় না কেন?
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০১
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: হ,সব কয়টা রাজনীতিবিদ ধ্বংশ হওনের দর্কার,দেশের অবস্থা এরা পুরাই কেরোসিন কৈরা ছাড়সে । আপ্নেরেও ধৈন্না
৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৯
জহির উদদীন বলেছেন: এই কুইক রেন্টালই হাসিনারে জেলে হান্দাইবো........
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০৩
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: কেউই জেলে যাইবো না অতীত অভিজ্ঞতা তাই বলে,এমন কৈরাই চলতে থাকব। এই দেশ সব সম্ভবের দেশ বৈলা কথা । আপ্নেরেও ধৈন্না
৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:৪৫
কাউন্সেলর বলেছেন: নতুন বছেরর শুভেচ্ছা নিন।
অনেক ভালো থাকুন।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: সরি আগে খেয়াল করি নাই অনেক অনেক ধৈন্না কাউন্সেলর ভাই,আপ্নেরেও নতুন বছরের অনেক শুভেচ্ছা।
৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:৫০
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: মিয়া নয়া বউ লয়া খালি ফেনের বাতাস খাইবেন আর বিল দিবেন না?
তয় আমার লাইগা এক খান শালি ভাউ কইরা দিলে হাছুবুর নিকট বিল লামনির সুপারিশ দিমু নে।বুঝেন ই তো চেয়ারম্যানের সুপারিশ বইলা কথা?
আছেন কিরাম? নুা পোস্ট দেন না কেন?
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪
গুপ্তঘাতক007 বলেছেন: নয়া বউ থাকলে এইডাও মাইনা নিতাম চেয়ারম্যান ছাব ! খাড়ান আগে নিজে বৌরে ভাজ দিয়া লই তার্পরে শালীরে আপ্নের লিগা ভাজ দিমু নে
। মেলা ব্যস্ত রে ভাই,দুইদিন ব্লগেই ঢুকতাম পারি নাই
। আমার শীতের কম্বলের চালান এখনো পাই নাই যদিও শীত চৈলা গেল বলে,এইরুম কর্লে কৈলাম চেয়ারম্যানের খপর কৈরা দেয়া হইবে নগদে
! অনেক ধৈন্না গরিবের খবর নেওনের লিগা,ভালো থাইকেন।
৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩১
জুল ভার্ন বলেছেন: "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" এর আরেক নাম 'পিকিং পাওয়ার সাপ্লাই প্লান্ট"-যার নামের(কুইক) সাথেই এই প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা বোঝার যায়। এইধরনের প্রজেক্ট সাধারনত ব্যাবহার/কার্যকর করা হয়-একান্তই জরুরী প্রয়োজনে, স্বল্প ও জরুরী প্রয়োজনে ইন্সট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাইর প্রয়োজন হয়। এই প্রজেক্ট থেকে পাওয়ার কেনা সব থেকে ব্যায় বহুল।যার জন্য এইধরনের প্রজেক্ট থেকে নর্মালী ১২-১৮ মাসের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহের চুক্তি করা হয়, ফলে দাম "কিছুটা বেশী" হয়ে থাকে।
এই ধরনের প্রজেক্ট থেকে বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশেও পাওয়ার ফ্যাসিলিটিজ নেয়ার সাময়ীক সিদ্ধান্তের বিকল্প ছিলনা সত্য। কিন্তু এইধরনের পাওয়ার পার্সেজ লং টাইমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হওয়ার মধ্যেই কর্তিপক্ষের ব্যাক্তি/গোষ্ঠীর সুবিধাবাদীতার প্রমান হয়েছে। সেটা শুধু "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" সাপ্লাইয়ের সময়সীমা বেঁধে চুক্তি নাকরার ক্ষেত্রেই নয়, বিদ্যুতের ক্রয়মূল্য নির্ধারনেও ভয়াবহ দূর্ণীতি করা হয়েছে। যেমন, বর্তমানে গ্যাস, কয়লা ও ডিজেলশক্তিতে উৎপাদিত স্থায়ী প্লান্টে বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় ২টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বচ্চ ৩ টাকা প্রতি ইউনিট। সেখানে একই জ্বালানীতে "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" প্লান্টে উৎপাদিত কস্ট ইউনিট প্রতি সর্বচ্চ ৬ টাকা। অথচ, কর্তিপক্ষ সকল "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" প্লান্টের সাথে চুক্তির সময়সীমা "কমপক্ষে" ৩ বছর এবং উৎপাদিত বিদ্যুতের ক্রয় মূল্য নির্ধারন করেছে সর্বনিম্ন ১২টাকা এবং সর্বচ্চ ১৪ টাকা ৫০ পয়সা! চুক্তির সব থেকে বাজে পয়েন্ট হলো-জ্বালানী সরবরাহে কর্তিপক্ষ ব্যার্থ হলেও "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" ব্যাবসায়ী নির্দিস্ট হারে ভর্তূকী পাবে।
এখানে "কুইক রেন্টাল পাওয়ার" স্থাপনকারী শুধু প্রজেক্ট মেশিনারীজ সংগ্রহ করে ইন্সটলেশন করবে।প্রজেক্ট ল্যন্ড, জ্বালানী সরবরাহ এবং ক্রয়ের নিশ্চয়তা দেবে আমাদের সরকার। বিভিন্ন দেশে এইধরনের প্রজেক্ট থেকে সরকার/কনজিউমারস বিদ্যুৎ ক্রয় করে উৎপাদন খরচের সর্বচ্চ ২৫% বেশী মূল্যে। কিন্তু আমাদের সরকার ক্রয় করছে ১০০% বেশী মূল্যে। যা মুলত পে করবে প্রান্তিক ইউজার তথা দেশের সকল মানুষ। উৎপাদন এবং ক্রয় মূল্যের মাঝে বিশাল পার্থক্যই হলো "ডালমে কুচ কালা হ্যায়"!
এবিষয়ে বেশী সত্যকথা লিখতে গেলেই জেল জুলুম অনিবার্য্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:১১
রাসেল মাহদুদ বলেছেন: কুইক রেন্টার বিষয়টিই একটু খরুচে। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সাধারণ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর মতো কম খরচ হয় না। তাছাড়া কুইক রেন্টাল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে জন্য, যা দিয়ে কোন দেশের সরকার, কিংবা বড় প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব কম করচের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আগে হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়া চাহিদা পুরন করে থাকে। এতে খরচ বেশি হয় এবং এটা অবশ্যই স্থায়ী কোন উৎপাদন ব্যবস্থা নয়। (আর খরচের কারনে মন্ত্রী আমলাদের পকেটেও কিছু যায় কি? আমি জানি না
)
বাংলাদেশে কুইক রেন্টার বিদ্যুতের ব্যপক ব্যবহার দেখে কেন জানি মনে হচ্ছে সরকার এই কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলোকেই স্থায়ীভাবে ব্যবহারের চিন্তা করে ফেলছে। তা না হলে স্থায়ী এবং কম খরচের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার তো কোন উদ্দ্যোগ দেখি না।