নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত চোরকে বলিওনা চোর /\\ জেনো রাত্রীর শেষেই ভোর।

গুরুভাঈ

কি লেইকপো!

গুরুভাঈ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুজবের নাফ নদীর যুদ্ধ, ৬০০ নাসাকা নিধন এবং বাংলাদেশ

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬

গুজব ছরালে কি হয় তার গরম গরম, সতেজ টাটকা উদাহরণ হলো তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রীর টুইটে পোস্ট করা ছবি। তার বার্তা ঠিক আছে, তার প্রতিবাদ ঠিক আছে, বিভৎসতা এবং মায়ানমারের নির্মমতা সত্য কিন্তু তিনি যে ছবিগুলো পোস্ট করেছিলেন সেগুলো সাম্প্রতিক বা মায়ানমারের নয়। যে কারণে পরে তিনি ছবি গুলি মুছে ফেলতে বাধ্য হন, প্রতিবাদের তীব্রতা হাল্কা হয় এবং অং সান সু চি জোর গলায় বলতে পারে ঘটনা সত্য নয়।

মায়ানমারে যা হচ্ছে তা পরিকল্পিত, সেনা ফাড়িতে আক্রমণের অজুহাতে পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মায়ানমার কতৃপক্ষ ব্যাবস্থা নিচ্ছে। তারা রোহিঙ্গাদের বিতারিত করতে এবং কফি আনান কমিশনের তদ্ন্ত রিপোর্টে পানি ঢালতে পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণের নাটক সাজিয়েছে। কেউ এখন আর কফি আনানের রিপোর্ট নিয়ে কথা বলছেনা, এখন আলোচনা-সমালোচনা রোহিঙ্গাদের নিয়ে এবং অপরপক্ষে রোহিঙ্গা জঙ্গী নিয়ে। আর এই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই নির্মমভাবে নিহিত হচ্ছে রোহিঙ্গারা, সম্পদ-স্বজন হারা হয়ে জীবন বাচাতে ছুটছে বাংলাদেশের দিকে, আশা একটাই জীবনটাতো বাচবে। তারা জানে বাংলাদেশে এসে তাদের ঐ প্লাশ্টিকের তাবুতেই থাকতে হবে, রিলিফের খাবার খেতে হবে তবুও জীবনটাতো বাচবে! পিছনে পরে আছে রক্তাক্ত স্বজন, নির্মমতার শিকার মায়ানমের আর্মির।

আমাদের মুমিন ভাইয়েরা ঝড়ের বেগে সেই নির্মমতার খবর শেয়ার দিয়ে যাচ্ছেন, কল্পিত যোদ্ধাও হয়ে যাচ্ছেন। তারা তুরস্কের যুদ্ধ জাহাজ পাঠাচ্ছে ভুয়া খবরে, বৌদ্ধ নিধন করছে ভুয়া খবরে, বাংলাদেশের ফাইটার প্লেন পাঠাচ্ছে ভুয়া খবরে। ২০০০ সালে নাফ নদীর যুদ্ধে ৬০০ মায়ানমারের সেনা মারছে বাংলাদেশ ভুয়া খবরে।

ঘটনারক্রমে এখন সবচেয়ে বেশি যা শেয়ার হচ্ছে তা হলো ২০০০ সালের জানুয়ারিতে নাফ নদীর যু্দ্ধে মায়ানমারের ৬০০ সৈন্য নিহত হওয়া তৎকালীন বিডিআর প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান এর নেতৃত্বে।

সাভাবিক বিবেচনায় এইটা কোনো গায়েবি যুদ্ধ হয়নি যে অপরপক্ষের ৬০০ জন নিহত হবে আর বাংলাদেশের ১জনও না, অথবা কোনো এম্বুশ হয়নি যে অপরপক্ষের ৬০০ জন নিহত হবে আর এই পক্ষের ১জনও না।

প্রথম ব্যাপার, ২০০০ সালে বাংলাদেশের সাথে মায়ানমারের কোনো যুদ্ধ হয়নি। এব্যাপারে আপনি অনলাইনের কোথাও কোনো কিছু পাবেন না। তৎকালীন বিডিআর প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান এর নেতৃত্বে যে যুদ্ধের কথা বলা হচ্ছে তার প্রচার এই ২০১৭ সালেই এবং তা নানান ভুয়া, অপ্রতিষ্ঠিত এবং দায়বদ্ধহীন নিউজ পোর্টালে। বর্তমান সাবেক বিডিআর প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান এর ফেসবুক একাউন্টেো কিছু পাবেন না।

বাংলাদেশ মায়ানমারের যে যুদ্ধ বা উত্তেজনা সৃষ্টি হয় তা হয় ২০০১ সালে এবং কোনো হতাহত হয়নি সেই সময়। এই খবর পাবেন বিবিসি'র খবরে যা ৮ জানুয়ারী ২০০১ সালে তাদের অফিশিয়াল নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয় Click This Link

এখন যে যুদ্ধের কথা তৎকালীন বিডিআর প্রধান আ ল ম ফজলুর রহমান এর জবানীতে বলা হয় তা "২০০০ সালের পয়লা জানুয়ারি দুপুর ০২:৩০ এ আমি আমাদের সৈন্যদেরকে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করার নির্দেশ দিলাম এবং তারাও (মিয়ানমার) পাল্টা আক্রমণ আরম্ভ করল।"

এখানে লক্ষণীয় যে, আ ল ম ফজলুর রহমান বিডিআর প্রধান নিযুক্ত হন ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০০০ হইতে ১১ জুলাই ২০০১ পর্যন্ত। আশা করি বিডিআর প্রধান হিসাবে তার নিযুক্ত সময় এবং সেই কল্পিত যুদ্ধের সময় বিবেচনা করবেন ভুয়া এই খবর বিশ্বাসকারীগন।

বর্তমান বিজিবির ওয়েব সাইটে বিগত মহাপরিচালগনের ০৯ নম্বরে তার সময়কাল পাবেন- বিজিবি অফিশিয়াল ওয়েব লিংক

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

নতুন বলেছেন: দেশে এখন সবার হাতেই মোবাইল আর ফেসবুক... তাই সব কিছুই সম্ভব।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.