নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত চোরকে বলিওনা চোর /\\ জেনো রাত্রীর শেষেই ভোর।

গুরুভাঈ

কি লেইকপো!

গুরুভাঈ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসব বিদাতকারি গ্রেফতার হয় না, গ্রেফতার হয় ঝন্টু মন্টু

২৬ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২০


ইসলামের অন্যতম এবং মূল স্তম্ভ হলো ইবাদত নামাজ, আরবিতে সালাত। নামাজ বেহেশতের চাবি, কোন নামাজ? ফরজ নামাজ। নামাজ কয় প্রকার? নামাজ চার প্রকার- ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত (সুন্নত নামাজ দুই প্রকার) এবং নফল। ফরজ নামাজ না পড়লে গুনাহ হয়। শুধু মাত্র ফরজ নামাজেরই আযান আছে, ক্বাজা আছে। অনান্য নামাজের ক্বাজা নেই এবং আযান নেই। ঈদের নামাজ, জানাজার নামাজের আযান নেই।

ফরজ নামাজের গুরুত্ব এতই, যদি আপনি দাড়িয়ে নামায পড়তে অসামর্থ্য হন তবে বসে নামাজ পড়ুন, যদি বসে নামাজ পড়তে অসামর্থ্য হন তবে শুয়ে পড়ুন, এমনকি ইশারায়ও ফরজ নামাজ পড়তে হবে।

নামাজ বা ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহ এবং শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। নামাজ আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য, নামাজ পাক পবিত্র থাকার জন্য, নামাজ যাবতীয় অইসলামিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য। আল্লাহর কাছে প্রিয় ইবাদত নামাজ, আল্লাহর নিকটবর্তি হওয়ার মাধ্যম নামাজ।

ঈদের নামাজ ওয়াজিব। যদি নির্দিষ্ট সমস্যা থাকে তবে এই নামাজ না পড়ার কারনে গুনাহ হবে না। ঈদ উল ফিতরের নামাজ বা ঈদ উল ফিতর হয় সাওয়াল মাসের ১ তারিখে। কোনো কারনে সাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদ উল ফিতরের নামাজ পড়তে না পারলে এই নামাজ সাওয়াল মাসের ২ তারিখেও আদায় করা যাবে (কুরবানি ৩ দিন দেওয়া যায়)।

নামাজ পড়ার অন্যতম প্রধান শর্তের মধ্যে অন্যতম হলো আপনার শরীর, পোশাক এবং নামাজের স্থান পাক সাফ থাকতে হবে।

এই ছবির সবাই নামাজ নিয়ে মশকরা করেছে। এই নামাজের নেতৃত্ব দানকারি সুনির্দিষ্টভাবে বিদাআত করেছে এবং নামাজের শর্তসমুহ ভঙ্গ করেছে। এখানে ধর্মের পালন নয়, ধর্মের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করা হয়েছে।

মন্তব্য ৬৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



এরা ১৯৭১ সালে ইতিহাসের ভয়ংকর গণহত্যা চালিয়ে, এখন বাংলাদেশে ইসলামী সংবিধান চায়।

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

গুরুভাঈ বলেছেন: ১৯৭১ সালের ভুল দলকে সাপোর্ট করার ঢাল হিসেবে তারা রাজনীতির জন্য ইসলামকে বেছে নেয়। আমাদের বাপ চাচারা ইমাম যা বলতেন তাই ইসলাম হিসাবে মানতেন। আর সেই সকল ইমামদের মাথায় ঢুকি্যে দেয়া হয়েছিলো জামায়াত ইসলাম মানে ইসলাম, জামায়াত ইসলাম ভোট মানে আল্লাহর দলকে ভোট।

২| ২৬ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম,এইগুলো জানা দরকার ছিল।ধন্যবাদ

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

গুরুভাঈ বলেছেন: ধর্ম ব্যাবসায়ীরা আমাদের না জানার সুযোগ কেউ কাজে লাগিয়ে ইসলামের লাগাতার ক্ষতি করে চলছে।

৩| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে ইমামতি করছে , তারে সারা জীবন পানিতে দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

গুরুভাঈ বলেছেন: এরাই ধর্মীয় উত্তেজন সৃষ্টি করে, মানুষ ও সমাজের ক্ষতি করে। অথচ সরকার এদের ব্যাপারে নীরব।

৪| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

আসাদবেস্ট বলেছেন: কোনো কারণে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে ঈদের নামাজ পড়তে না পারলে শাওয়াল মাসের দুই তারিখে পড়া যাবে সেটার রেফারেন্স দিন। আর এই নামাজ কোরআন হাদীসের কোন বিধান অনুযায়ী অবৈধ একটু রেফারেন্স দিবেন দয়া করে।

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২২

গুরুভাঈ বলেছেন: রেফারেন্স জিনিসটা কি? আমি আপনাকে রেফারেন্স দিলাম মিশরের সামসুল বিন আল খালাস আল আজাহারী কোনো এক ব্লগে সহী বুখারি তিরমীজি উল্লেখ করে এসব লিখেছেন কোনো এক ওয়েব সাইটে। সেই রেফারেন্স সত্য কি মিথ্যা তা যাচাই করার সক্ষমতা বা বুদ্ধি কি আপনার আছে?

নামাজের পুর্ব শর্ত আপনাকে পবিত্র থাকতে হবে, আপনার পোশাক পবিত্র থাকতে হবে, যে স্থানে নামাজ পড়বেন সেই স্থান পবিত্র থাকতে হবে।

আমি যে সকল পয়েন্ট উল্লেখ করেছি, গুগল করেন। গুগল হতে আপনার বিশ্বাসযোগ্য রেফেরেন্সটি দেখে নিন। এই পোস্টের কোনো পয়েন্ট আমার পীর বা আমার গাজা খাওয়া ব্রেনের লেখা না। এককেটি পয়েন্ট কয়েক স্থানে পড়ার পরেই নোট নিয়ে লিখেছি।

ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: এটা দুঃখজক ঘটণা।
অজ্ঞতার ফল।

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৩

গুরুভাঈ বলেছেন: আমরা আমাদের অজ্ঞতা ক্রোধ দিয়ে ঢাকার চেষ্টা করি। আমরা ধর্ম জানিনা, বুঝিনা। হুজুর যা বলেন তা সহী বলে মেনে নেই। দাড়িওয়ালা, টুপিওয়ালা কিছু বললে তা ধর্ম বলে মেনে নেই। আর শার্ট প্যান্ট পড়া কেউ বললে বলি নাস্তিক।

৬| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

আসাদবেস্ট বলেছেন: নামাজের পুর্ব শর্ত আপনাকে পবিত্র থাকতে হবে, আপনার পোশাক পবিত্র থাকতে হবে, যে স্থানে নামাজ পড়বেন সেই স্থান পবিত্র থাকতে হবে।
এখানে এই তিনটি শর্ত মানা হচ্ছে। পৃথিবীর প্রতিটি স্থান পবিত্র যদি সেখানে অপবিত্র কিছু না থাকে। আর আপনার কেন মনে হলো ওদের পোশাক পবিত্র না? স্ত্রী সঙ্গম, প্রস্রাব পায়খানা না লাগলে তো পোশাক অপবিত্র হয় না। আর তারা যে পবিত্র না, সেটা আপনি জানলেন কেমনে?
আর মিশরের কে বললো না সৌদি আরবের কে বললো, সেটা রেফারেন্স না। এসব ক্ষেত্রে রেফারেন্স হলো কোরান-হাদীস। আর আপনার যদি কোরান-হাদীস-ইজমা-ক্বিয়াসের জ্ঞান না থাকে তাহলে এরকম একটা কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অধিকার কী আপনি রাখেন??

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

গুরুভাঈ বলেছেন: আপনি বলেন কি কারনে ঐ স্থানে, ঐ সময়ে, ঐভাবে নামাজ পড়াকে আপনার যায়েজ মনে হচ্ছে? এই ঈদের ওয়াজিব নামাজ না পড়লে কি তাদের গুনাহ হবে? যে পানিতে তারা দাড়িয়ে আছে সেই পানি কি পাক? যে পোশাকে তারা আছে ষেই পোশাক আপনার পাক পরিষ্কার কিভাবে মনে হচ্ছে?

তারা ঐখানে যে কাজে আছেন, যে হালতে আছেন তার কারনেই তাদের নামজ না পড়ার যুক্তিযুক্ত ওজর আছে। ফরজ নামাজও ক্বাজা পড়তে পারে আর এটাতো ওয়াজিব।

আপনাদের প্রিয় পত্রিকা, আপনাদের বাইবেল সংগ্রাম এবং ইনকিলাবের লিংক দেখেন আর তাদের যেয়ে প্রশ্ন করেন রেফারেন্স কি। 1. Click This Link

২। Click This Link


আবেগ দিয়ে কোরআন-হাদিস পরিবর্তন করতে আসবেন না। আপনার মতো যদু মধুর জন্য কোরআন হাদিস পরিবর্তন হবে না।

৭| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: খুলনার কয়রার প্রায় ৫০ হাজার মুসলিম ভক্তরা বেড়িবাঁধের উপর হাঁটুর গভীর জলে দাঁড়িয়ে
ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়েন।

........................................................................................................................
জানা তথ্যমতে ঐদিন সকালে সবাই ক্ষতি গ্রস্হ বাঁধ নির্মানে সেখানে যায় এবং বেলা ১১টার দিকে
স্হানীয় চেয়ারম্যান এর নেত্বত্বে পানির মধ্যে নামাজ আদায় করা হয় । এর পিছনে কি উদ্দেশ্য
ছিল তা জানা যায় নাই, তদন্ত চলছে ।

২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৬

গুরুভাঈ বলেছেন: শতভাগ ভন্ডামি, গুন্ডামি। ধর্ম নিয়ে ছেলেখেলা।

৮| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মেটালক্সাইড বলেছেন: বিষয়টি ইজতিহাদ ও এখতেলাফের বিষয়।
এক্ষেত্রে ধর্মীয় আলেমগণ এখতেলাফ করে বিদাত বা জায়েজ রায় দিতে পারবেন।


হাদিসে রাসূল (সঃ) ঊটের উপর নামাজ আদায়ের ঘটনা পাওয়া যায়। পরিপ্রেক্ষিত ও সময় বিবেচনায় নামাজ সঃক্ষিপ্ত করার ঘটনাও আছে।
ছবির ঘটনাটি বিশেষ জরুরী পরিস্থিতির আবর্তে অনুষ্ঠিত হয়, তাই বলে তাদের ঊদাসীনতা ও স্বল্প জ্ঞানকে কটাক্ষ করে একে বিদাত বলা ঊচিত নয়। বরং এটিকে এখতেলাফ করে দিলে ভাল হয়।

ছবি ও নিজের মনমত বিশ্লেষণ ও বিদাত আখ্যা দিয়ে আপনার নিজের ইসলামিক জ্ঞানের বর্ডার লাইন ক্রস করে ফেলেছেন।
ঈদ নামাজের ফতোয়াগুলো কোন জুরিস্ফ্রুডেনের থেকে দিলে ভাল হত। কারো ব্যক্তিগত রেফারেন্স এক্ষেত্রে অকার্যকর।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১১

গুরুভাঈ বলেছেন: তাদের ঊদাসীনতা ও স্বল্প জ্ঞানকে কটাক্ষ?? আপনি নিজেই বলছেন তাদের ঊদাসীনতা ও স্বল্প জ্ঞানের কাজ করেছে আবার আপনিই বলছেন এটাকে বিদআত বলা ঠিক হবে না? বিদআত কি? ধর্মের নামে নতুন জিনিস সৃষ্টি করা। তারা কি নতুন জিনিস সৃষ্টি করে নাই?

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে তারা এই ওয়াজিব নামাজ হতে মুক্ত। তারপরেও যদি তারা ঈদের নামাজ পরতে চায়, তবে তারা বাধ রক্ষার কাজ শেষ করে, সাফ সুতরা হয়ে পরের দিন জামায়াতের সাথে ঈদের নামাজ পরতে পারতো। যেহেতু হাওয়ালের পরেরদিনও এই ঈদের নামাজ পড়া জায়েয আছে তাহলে এই নাটকের মানে কি? পানিতে দাড়িয়ে নামাজের মাসায়ালা সে বা তারা কোথায় পেলো? সাওয়ালের ২ তারিখে ঈদ উল ফিতর নামাজের লিংক পড়তে উপরের কমেন্টের লিংকে ক্লিক করে পড়ুন। ধন্যবাদ।

৯| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

আসাদবেস্ট বলেছেন: যে পানিতে তারা দাড়িয়ে আছে সেই পানি কি পাক? সেই পানি অবশ্যই পাক। আর ইনকিলাব, সংগ্রাম আমার বাইবেল বলতে আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন?
যে পোশাকে তারা আছে ষেই পোশাক আপনার পাক পরিষ্কার কিভাবে মনে হচ্ছে?
সেটা আগের কমেন্টে বলেছি, পোশাকে বীর্য না থাকলে, প্রস্রাব-পায়খানা না থাকলে সেই পোশাক অবশ্যই পাক।
আর যে দু্ইটা লিংক দিছেন, সেই দুই লিংক অনুযায়ী কোথাও এই নামাজ অবৈধ সেরকম কোনো তথ্য দেখিনি তো।
আমি এখানে নামাজটা বৈধ হওয়া নিয়ে কথা বলতে আসছি এবং শুধু সেটাই বলছি। এখানে আমি কোনো রাজনৈতিক দলকে ডিফেন্স করতে আসিনি।
সো এখানে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা আপনার পক্ষে শোভা পায় না।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৫

গুরুভাঈ বলেছেন: ৩ হাজার মানুষ, মতান্তরে সাড়ে ৬ হাজার মানুষ ঐ স্থানে শ্রমের কাজে আছেন। তাদের মধ্যে ১০০ বা ২০০ বা ১০০০ মানুষও কি প্রসাব করে নাই? সেই প্রসাব কি এই পানিতে আসে নাই? তারা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়তে ঐখানে জমায়েত হয় নাই। তারা বাধ রক্ষার কাজে গেছে, এখন আপনি বলেন কতোজন বাড়ি থেকে গোসোল করে, ওজু করে, পাক সাফ কাপড় পরে বাধ রক্ষার কাজে গেছে?

আপনার যেহেতু পরেরদিন নামাজ পরার মাসায়ালা আছে, তো এই লোক দেখানো বিদআত করার তো কোনো মানে নাই।

১০| ২৬ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৭

নতুন বলেছেন: যারা ঐখানে ঈদের নামাজ জজবার সাথে আদায় করেছিলো। তারা কি ঐদিনের ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করেছিলো?

এই পরিস্থাতিতে ঈদের নামাজ না পড়লে কিছুই হবেনা। কিন্তু এই ভাবে নামাজ পড়ে ইসু করা যাবে । ধমান্ধরা সেইটা করে।

আর কিছু ধমান্ধ তার সমথ`ন করে।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:১৭

গুরুভাঈ বলেছেন: ঐখানে ঐদিন ঐসময়ে কেউই ঈদের নামাজ পড়ার উদ্দ্যেশে পাক সাফ পোশাক বা শরীর নিয়ে যায় নাই। সবাই গেছে বাধা রক্ষার কাজে, যেয়ে কারো কারো প্ররোচনায় নাটক মঞ্চস্থ করেছে।

১১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৩

আসাদবেস্ট বলেছেন: ৩ হাজার মানুষ, মতান্তরে সাড়ে ৬ হাজার মানুষ ঐ স্থানে শ্রমের কাজে আছেন। তাদের মধ্যে ১০০ বা ২০০ বা ১০০০ মানুষও কি প্রসাব করে নাই? সেই প্রসাব কি এই পানিতে আসে নাই? তারা ঈদের নামাজ পড়ার নিয়তে ঐখানে জমায়েত হয় নাই। তারা বাধ রক্ষার কাজে গেছে, এখন আপনি বলেন কতোজন বাড়ি থেকে গোসোল করে, ওজু করে, পাক সাফ কাপড় পরে বাধ রক্ষার কাজে গেছে?
নামাজ পড়ার জন্য গোসল শর্ত না। ওজু শর্ত। একমাত্র তারা যদি স্ত্রী সঙ্গম করে বা অন্য কোনো উপায়ে অপবিত্র হয়, সেক্ষেত্রে গোসল ফরজ।
আর আমি ধরে নিচ্ছি এখানে কেউই প্রস্রাব করে নাই। আর যদিও করে, তারপরও বলছি স্রোতের পানিতে যদি অবিত্র কিছু থাকে, তাহলে সেটা স্রোতের সাথে সাথে চলে যাওয়ার সাথে সাথে সেই পানি পবিত্র থাকে। আর তারা যদি বাড়ি থেকে ওজু না করেও আসে তারপরও এই পানিতে তারা ওজু করতে পারবে, কারণ স্রোতের পানি সবসময় পবিত্র।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪২

গুরুভাঈ বলেছেন: কথা ঐ%টাই। ঐখানে ঐসময়ে কেউই নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে যায় নাই, যা তাদের পোশাক দেখেই বুঝা যাচ্ছে। যেহেতু হাটু পানি আসার পর নামাজ শুরু করেছে ইমাম, তো পানিতে নামাজ পড়ার মাসায়ালা কি? গোসলের কথা আমি একবারও বলি নাই। ফরজ গোসোল কখন আর পাক সাফ কি তা অবশ্যই জানি এবং বুঝি। যেহেতু সবাই ভাংগা বাধ রক্ষার কাজে গেছে এবং রাতে সেহেরি বা রোজার অপশনও নাই, সকালে উঠে গোসল করে নামাজ পড়তে যাওয়া, এমতাবস্থা্য বাধ ভেসে যাওয়ার খবর এলো। আবারও বলছি পোশাক দেখেই বোঝা যাচ্ছে কেউই নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে আসে নাই। তো কার গোসল ফরজ, আর কার পোশাকপাক এটার গ্যারান্টি আপনি পাচ্ছেন কৈ? ঐ জামায়াতের ৯০% মানুষ অন্যের নামাজে দাড়ানো দেখে দাড়িয়ে গেছে।

আর ওজর বশত যে ওয়াজিব নামাজ না পড়লে কোনো গুনাহ নাই, সেই নামাজ নিয়ে নাটক কেন? বাধ ঠিক করতে আসছে, বাধ ঠিক করেন। পরেরদিন সবাই মিলে নামাজ পড়েন। পানিতে দাড়িয়ে নামাজ পড়ার মাসায়ালা কি?

১২| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২৫

নতুন বলেছেন: পাক সাফ থাকা খুব একটা ব্যাপার না। গোসল ফরজ না থাকলে ওজু করে নিয়েই নামাজ পরা যায়।

কিন্তু যারা ১টা ওয়াজিবের জন্য এতো কস্ট করে হাটু পানিতে নামাজ পড়লো।

তারা জোহরের ফরজের জন্য জান দিতেও প্রস্তুত সেটাই তো মনে হয়।

কয়েক হাজার মানুষ ঐখানে কাজ করছিলো। তারা জোহরের জামাত কি পরেছিলো? আসর, মাগরিব, এশা????

ভন্ডামী আমাদের দেশের জাতীয় বৈশিস্টে পরিনত হবে কিছুদিন পরে।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪

গুরুভাঈ বলেছেন: যেহেতু কেউই নামাজের উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয় নাই, সেহেতু সবার পোশাক, শরীরের পবিত্রতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আর যে ওয়াজিব নামাজ না পড়লে গুনাহ নাই সেই নামাজ নিয়ে শো অফ কেন? ধর্মান্ধতা আমাদের অবক্ষয়, সামাজিক অবক্ষয়।

১৩| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৭

আসাদবেস্ট বলেছেন: গোসলের কথা আমি একবারও বলি নাই। ভালো করে দেখুন। আপনি গোসলের কথা বলেছেন। আর নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে না গেলে নামাজ পড়া যাবে না এরকম বিধান কোথাও আছে? আর যেহেতু সবাই নামাজে দাড়িয়েছে সেহেতু আমি ধরে নিতে পারি তার পোশাক পাক-পবিত্র। কারণ একজন মুসলমান পবিত্র পোশাক ছাড়া নামাজে দাড়ায় না। আর ইসলামে নামাজের জন্য বিশেষ কোনো পোশাকের নিয়ম নাই। তাই নামাজের জন্য বিশেষ পোশাক পরে যেতে হবেে এরকম কোনো বিধান নেই।
আবার ঈদের নামাজ সূর্যোদয়ের ২৩ মিনিট পর থেকে শুরু এবং দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়তে হবে বিধায় তারা পরের দিনের জন্য না রেখে সেদিনিই পড়ে ফেলে।
আবার তারা যদি শুকনো জায়গায় নামাজ পড়তো তাতে ভালো হতো কিন্তু হয়তো আশে-পাশে শুকনো জায়গা ছিলো না তাই তারা পানিতে নামাজ পড়েছে। আর নামাজ পানিতে কেন বিশেষ পরিস্থিতিতে গভীর সমুদ্রেও ইশারায় নামাজ আদায হয়।
যে ওয়াজিব না পড়লে আপনার কথা অনুযায়ী কোনো গুনাহ নেই, ধরে নিলাম আপনার কথা ১০০ ভাগ সত্য। কিন্তু না পড়ারে চেয়ে কোনোভাবেই আদায় করে নেয়া ভালো না।
আবার ঈদুল ফিতরের দিনে যে আমেজ থাকে, পরের দিন সে আমেজ নাও থাকতে পারে। সব দিক বিবেচনায় এদের নামাজ বেঠিক হয়েছে বলে আমি মনে করিনা।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৬

গুরুভাঈ বলেছেন: আমি যে গোসলের কথা বলেছি সেটা হলো, তারা ভোর বেলা ঐ বাধ রক্ষার কাজের জন্য বাসা থাকে বের হয়ে গেছে। ঐ পরিস্থিতে কেউই অবশ্যি গোসল বা পাক পোশাক পরে বের হয় নাই (নামাজের গোসলের কথা বলি নাই)।

শুধু সমুদ্র না, আসমানেও আপনি ইশারায় নামাজ পড়তে পারবেন। কিন্তু ইশারার নামাজ জামায়াতের সহিত হবেনা। হাটু পানিতে নামাজ পড়ার মাসায়ালা দেন, যদি জানাজার নামাজ হতো তবে তা মেনে নেয়া যেতো। এই নামাজ শুরুই করছে যখন হাটু পানি আসে তখন।

ফজরের ফরজ নামাজ কয়জন পরছে ঐখানে যে যেভাবেই হউক এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় কোনোভাবেই ওয়াজিব নামাজ আদায় করে নিতে হবে? এটা কি আল্লাহর জন্য নামাজ পড়ছে না লোক দেখাতে? প্রতিবাদি, প্রতিকি কোনো নামাজ আছে?

১৪| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৬

আসাদবেস্ট বলেছেন: ফজরের ফরজ নামাজ কয়জন পরছে?
আপনি ধরে নিতে পারেন, ফজরের নামাজ কেউই পড়ে নাই। কিন্তু আমি ধরে নিচ্ছি সবাই ফজরের নামাজ পড়ছে এবং সবাই জোহরের নামাজও পড়ছে।
এবং আমি বারবার বলছি পোশাকে পায়খানা বীর্য বা অপবিত্র কিছু না থাকলে সেই পোশাক পাক। নামাজের জন্য আলাদা পোশাক লাগে না। পরনের পোশাক দিয়ে নামাজ হয় এবং আমরা মুসলমানরা এভাবেই নামাজ পড়ি। এখানে যারা আছে তাদের পোশাকে আপনি বীর্য, প্রস্রাব, পায়খানা সবই দেখতে পারেনম কিন্তু আমি তাদের সবার পোশাক পবিত্র দেখছি। আর তাদের পোশাকে প্রস্রাব বা পায়খানা থাকলে তারা নিজেরাই নামাজ পড়তো না। মুসলমানদের এত অধঃপতন হয় নাই যে বীর্য বা পায়খানা লাগানো পোশাক নিয়ে নামাজে দাড়িয়ে যাবে?
হাটু পানিতে নামাজ না পড়ার মাসয়ালা দেন?

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৩২

গুরুভাঈ বলেছেন: আপনি তো সবই ঠিক দেখবেন, আপনি তো এসকল ধর্মান্ধেরই অন্তর্গত। যে ওয়াজিব নামাজের এতো গুরুত্ব, সেই নামাজ হাটু পানিতে পড়ার মাসায়ালা কৈ পাইলেন সেইটা দেন। মানুষকে দেখানোর নামাজ।

১৫| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:৪৫

আসাদবেস্ট বলেছেন: আপনি তো সবই ঠিক দেখবেন, আপনি তো এসকল ধর্মান্ধেরই অন্তর্গত। যে ওয়াজিব নামাজের এতো গুরুত্ব, সেই নামাজ হাটু পানিতে পড়ার মাসায়ালা কৈ পাইলেন সেইটা দেন। মানুষকে দেখানোর নামাজ

হাটু পানিতে পড়া যাবে না সেই ফতোয়া কই পাইছেন আপনি দেন। আর আরেকটা জিনিস জেনে রাখুন, ওয়াজিব ফরজের সমান না হলেও ফরজের কাছাকাছি। আমি মানুষ এটার জন্য প্রমাণ লাগে না। কিন্তু আপনি যদি বলেন আমি মানুষ না তার প্রমাণ দেবার দায়িত্ব আপনার?
আরকেবার বিনয়ের সাথে বলছি, ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকবেন।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:০৩

গুরুভাঈ বলেছেন: শুধু ব্যাক্তিগত না, আপনার ক্ষেত্রে গুষ্ঠিগত আক্রমণও প্রযোজ্য, কারন ভুল এবং লোক দেখানো ইবাদত আপনি জায়েজ করার চেষ্টা করছেন। ওয়াজিব আর ফরজ আলাদা বিষয়, কাছাকাছি বলে ওয়াজিবকে জায়েজ বলে আপনি চালাতে পারেন না। আপনিও মানুষ, আমিও মানুষ এর মানে আপনি আমি একই না। পানিতে নামাজ পড়ার কোনো বিধান নাই। হাটু পানি হউক, আর গিড়া পানি হউক। জমিনের যেকোনো পাক স্থানে আপনি নামাজ পরতে পারবেন। পুকুরে পানিতে, ডোবার পানিতে, নদীর পানিতে, সাগরের পানিতে দাড়িয়ে নামাজের কোনোই মাসায়ালা নাই। উটের পিঠে, তথা কোনো বাহনে নামাজ পড়তে পারবেন, তেমনি নৌকায়ও হবে।

১৬| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:১২

আসাদবেস্ট বলেছেন: বলেছেন: শুধু ব্যাক্তিগত না, আপনার ক্ষেত্রে গুষ্ঠিগত আক্রমণও প্রযোজ্য, কারন ভুল এবং লোক দেখানো ইবাদত আপনি জায়েজ করার চেষ্টা করছেন। ওয়াজিব আর ফরজ আলাদা বিষয়, কাছাকাছি বলে ওয়াজিবকে জায়েজ বলে আপনি চালাতে পারেন না। আপনিও মানুষ, আমিও মানুষ এর মানে আপনি আমি একই না। পানিতে নামাজ পড়ার কোনো বিধান নাই। হাটু পানি হউক, আর গিড়া পানি হউক। জমিনের যেকোনো পাক স্থানে আপনি নামাজ পরতে পারবেন। পুকুরে পানিতে, ডোবার পানিতে, নদীর পানিতে, সাগরের পানিতে দাড়িয়ে নামাজের কোনোই মাসায়ালা নাই। উটের পিঠে, তথা কোনো বাহনে নামাজ পড়তে পারবেন, তেমনি নৌকায়ও হবে।
ধন্যবাদ, আমার মনে রাখা উচিৎ ছিলো, হযরত আলী (রাঃ) এর সেই হাদীসটি, 'মুর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন না, কারণ তারা যে কোনোভাবে জিততে চাইবে, এবং আপনাকে তাদের কাতারে নামিয়ে আনবে'। ভালো থাকবেন।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩০

গুরুভাঈ বলেছেন: "হযরত আলী (রাঃ) এর সেই হাদীসটি"

হযরত আলী (রা:) এরও হাদিস হয় তাহলে??? মূর্খকে আলো দিতেই আমার এই পোস্ট। যুক্তি এবং আবেগ দিয়ে ইসলাম ধর্ম নয়, কোনো অপকর্মের বর্ম নয়। ইসলাম তার নিজ আলোয় মহিয়ান, এবং কোরান হাদিস মুর্খদের আলোকিত করার জন্যাই।

১৭| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সরকারের উচিত সঠিকভাবে তথ্য সংগ্রহ করে ইমামকে ধরা

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮

গুরুভাঈ বলেছেন: সরকার ধরবে বল্গার, ভন্ডো ধর্মব্যাবসায়িদের ধরেনা। এতদিনে অনেক ভুয়া ওয়াজকারি গ্রেফতার হওয়ার কথা।

১৮| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৭

গুরুভাঈ বলেছেন: দোজোখ, বেহেশত, ফেরেশতা, আরশে আজিম দেখার পরেও শুধুমাত্র অংকারের কারনে আজাজীল ইবলিশ শয়তানে পরিনত। সে তার জানার অহংকারে আটকে গেছিলো। তেমনি আমাদের দুই লাইন ধর্মের বই পড়া, মানে না বুঝে কোরআন পড়া হুজুরেরা অহংকারে থাকেন ধর্ম শুধু তারাই বুঝেন, তারাই মানেন, আর সবাই নাস্তিক।

১৯| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ৮:৪৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই লোক আলবদর, রাজাকার।
প্রমান দেখুন।

এই লোক আলবদর, রাজাকার।
প্রমান দেখুন।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৭

গুরুভাঈ বলেছেন: এই কারনেই একঝাক নেট ছাগল ঐ নামাজকে জায়েজ সাবস্ত করার জন্য পোস্ট কমেন্টে ঝাপিয়ে পরেছে। জামায়াত সব সময় নীরিহ মানুষের ধর্মানুভুতি ঢাল হিসাবে ব্যাবহার করে।

২০| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:১২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: সর্বশেষ রিপোর্ট : সোমবার ঈদের দিন সকালে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন মেরামত শুরু করে। বাঁধ মেরামতের এক পর্যায়ে কয়রা সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর কয়রা গ্রামের পশ্চিম পাশে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের পানির ওপর দাঁড়িয়ে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন উপজেলা চেয়ারমান এস এম শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ২ হাজার মানুষ। নামাজে ইমামতি করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারমান আ খ ম তমিজ উদ্দিন।
............................................................................................................................................................
উক্ত এলাকার জনগন আইলার পর থেকে এই বাধঁ নিয়ে কষ্টে আছে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর ক্ষিপ্ত,
এই সুযোগ কাজে লাগায়ে এক বহিস্কৃত নেতা আর জামায়াতের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটে
এলাকার সংশ্লিষ্ঠ সবাই অবহিত ।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

গুরুভাঈ বলেছেন: জামায়াত ধর্মের অবমাননা করলে ঠিক আছে, আর কেউ সেই অবমাননা ধরায় দিলে নাস্তিক।

২১| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১৩

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লোক দেখানো কোন কিছুই ভালো নয়। আল্লাহ লোক দেখানো বুঝতে পারেন এবং তা মোটেও পছন্দ করেন না ।

আর এই ছবির লোক দেখানো কর্মকান্ডটি তো অতি আবেগের বশবর্তী হয়ে গণহত্যার শামিল।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১০

গুরুভাঈ বলেছেন: এই করোনায় ত্রাণ দিলে তার ছবি দিলে লোকে সমালোচনা করছে লোক দেখানো দান, আর এইখানে ৫০০০/৬০০০ হাজার মানুষকে নিয়ে পানির মধ্যে দাড়িয়ে নামাজ পড়লো লোক দেখানো তা কিছু না তাদের মতে।

২২| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এসব দেখে বড্ড রাগ করে।

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

গুরুভাঈ বলেছেন: ধর্মের অবমাননা জামায়াতের বাইরের লোক করলে জ্বালাও, পোড়াও। আর জামায়াত করলে সব জায়েজ।

২৩| ২৭ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:২৯

আমি সাজিদ বলেছেন: ওরে ছাগলের বাম্পার ফলন এই পোস্টের কমেন্টে!

২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:১২

গুরুভাঈ বলেছেন: একটা অতি উন্নতমানের ছাগল পাওয়া গেছে, সে বলছে হযরত আলীর হাদিস। সাহাবীদের হাদিস হয়না বাণী হয়, ঐ ছাগল সেইটা বুঝে নাই।

২৪| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছে পড়লাম। জানার দরকার আছে।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩০

গুরুভাঈ বলেছেন: একমাত্র ইবলিশ শয়তান ভুলকে ভুল বলে স্বীকার করে নাই জন্য আমাদের এত সমস্যা। এক বিজ্ঞ কমেন্টকারি "আসাদবেস্ট" হাদিসের নতুন ডেফিনেশন নিয়ে আসছে, আর এক ধর্ম অবমাননাকরি। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা :) এর কর্ম সুন্নত এবং কোরআনের আলোকে তার আদেশ উপদেশ হলো হাদিস। তো এই অবমাননাকারি এখন বলছে "সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীনদের উক্তি এবং রাসূল (সঃ) এর কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে।” অথচ নবীজীর ওফাতের পরে হাদিস সংগ্রহ করার সময় অপেক্ষাকৃত দুর্বল সাহাবীগনের কাছ থেকেও নবীজীর হাদিস/কোরআনের আয়াত গ্রহণ বা সংরক্ষণ করা হয় নাই।

২৫| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

যারা সমাজে উস্কানি ও বিতর্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে এ্ই সমস্ত ছবি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে তাদের উদ্যেশ্য
মহৎ নয়। এমন ধারার বিতর্কিত ছবি ভাইরাল হলে সমাজে
মন্দ প্রভাব পড়ে। আমাদের সবাইকে এই দূর্যোগপূর্ণ সময়ে
সংযত আচরণ কর্তব্য।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:১৬

গুরুভাঈ বলেছেন: একেতো শোঅফ করছে। বাধ নির্মান বাদ দিয়ে ওয়াজিব নামাজ বেমাসালায় পড়ছে, তার উপর করোনা বিধিনিষেধ এর বালাই নাই।

২৬| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

আসাদবেস্ট বলেছেন: ভাবছিলাম কোনো অজ্ঞ, মুর্খের সাথে আর তর্কে লিপ্ত হবো না, কিন্তু অতিরিক্ত ছাগলামির কারণে উত্তর দিতে বাধ্য হলাম। প্রথম থেকে সব ছাগলামী মার্কা যুক্তির জবাব দিয়ে গেছি। এবার হাদীস সংক্রান্ত ছাগলামীর জবাব দিচ্ছি। ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ এবং মুর্খ হলে যা হয় আরকি? ইসলাম এবং হাদীস সম্পর্কে না জেনে হাদীস সম্পর্কে যে অবমাননাকর কথা বললেন, তাতে আপনি মুসলমান হলে আপনার তওবা করা উচিৎ। ইসলাম সম্পর্কে আরেকটু জেনে কিছু প্রসব করতে আসবেন। নিজের মুর্খতাকে গোয়ারতুমী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করা ছাগলামী ছাড়া আর কিছু নয়।

আসুন আপনার মূর্খতার জবাব দিচ্ছি- ভালো করে পড়ুন এবং হাদীস সম্পর্কে জানুন তার পর মতামত দিতে আসুন।

মুফতী আমীমুল ইহসান (রঃ) বলেন - ”সাধারন অর্থে রাসূল (সঃ), সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীনদের উক্তি এবং রাসূল (সঃ) এর কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে।”

প্রাথমিকভাবে হাদীসকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। ১. কাওলী হাদীস ২. ফে’লী হাদীস ৩. তাকরীরী হাদীস।
১। কাওলী হাদীস: রাসূল (সঃ) এর কথামূলক বা বিবৃতি মূলক হাদিসকে কাওলী হাদীস বলে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে রাসূল (সঃ) নিজে যা বলেছেন সেটাই হচ্ছে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার প্রথম উৎস। এটাই কাওলী হাদীস।
যেমন: “হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, রাসূল (সঃ) বলেছেন : ফাসিক ব্যক্তির প্রসংসা ও স্তুতি করা হলে আল্লাহতায়ালা অসন্তষ্ট ও ক্রুদ্ধ হন এবং এ কারনে আল্লাহর আরশ কেঁপে ওঠে।” (বায়হাকী)

২। ফে’লী হাদীস: কর্মমূলক হাদীস । রাসূল (সঃ) এর কাজ কর্ম চরিত্র ও আচার - আচরনের মধ্য দিয়েই ইসলামের যাবতীয় বিধি বিধান ও রীতিনীতি পরিস্ফুট হয়েছে। ফলে তার সকল কাজই শরীয়তের ভিত্তি হিসেবে গন্য। অতএব যে সকল হাদীসে রাসূল (সঃ) এর কর্মের বিবরণ উল্লেখিত হয়েছে তাকে ফে’লী হাদীস বলে। যেমন:
“ আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন : রাসূল (সাঃ) জুতা পরা , চুল আচড়ানো এবং পবিত্রতা অর্জন করা তথা প্রত্যেক কাজই ডান দিক থেকে আরম্ভ করতে পছন্দ করতেন ।” ( বুখারী, ১ম খন্ড,তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাদীস নং: ১৬৮)

৩। তাকরিরী হাদীস: রাসূল (সাঃ) হতে অনুমোদন ও সমর্থন প্রাপ্ত কথা ও কাজ অর্থাৎ সাহাবীদের যে সকল কথা ও কাজে রাসূল (সাঃ) এর সম্মতি পাওয়া যায় বা তিনি প্রতিবাদ বা নিষেধ করেন নাই এবং যা হতে শরীয়তের দৃষ্টি ভঙ্গি জানতে পারা যায়, সেই সকল ঘটনা ও কাজের উল্লেখিত হাদীসকে তাকরিরী বা সমর্থনমূলক হাদীস বলে। যেমন:
“আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন : আমরা রাসূল (সাঃ) এর সাথে সালাত আদায় করতাম । আমাদের কেউ কেউ গরমের কারণে নিজ কাপরের উপর সিজদা করত ।” ( বুখারী , ১ম খন্ড, তাওহীদ পাবলিকেশন্স , হাদীস নং: ৩৮৫)

রাবী বা হাদীস বর্ণনাকারীদের সনদের দিক থেকে হাদীস তিন প্রকার: ১। মারফু হাদীস ২। মাওকুফ হাদীস ও ৩। মাকতু হাদীস

১। মারফু হাদীস : যে হাদীসের সনদ (বর্ণনা পরস্পরা) রাসূল (সাঃ) পর্যন্ত পৌছেছে, অর্থাৎ যে সনদের ধারাবাহিকতা রাসূল (সাঃ) থেকে হাদীস গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত সুরক্ষিত আছে এবং মাঝে কোন রাবী বা হাদীস বর্ণনাকারীর নাম বাদ পড়েনি তাকে মারফু হাদীস বলে ।
যেমন: যে সকল হাদীস এভাবে বর্ণিত হয়েছে - ”রাসূল (সাঃ) বলেছেন : ”, ” আমি রাসূল (সাঃ) কে এভাবে করতে দেখেছি” বা কোন সাহাবী বলেছেন “আমি রাসূল (সাঃ) এর উপস্থিতিতে এই কাজটি করেছি কিন্তু তিনি ইহার প্রতিবাদ করেন নাই” এভাবে বর্ণিত হাদীসগুলোকে মারফু হাদীস বলে ।

২। মাওকুফ হাদীস : যে হাদীসের বর্ণনাসূত্র ঊর্দ্ধদিকে সাহাবী পর্যন্ত পৌছেছে অর্থাৎ যে সনদ সূত্রে কোন সাহাবীর কাজ, কথা বা অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে তাকে মাওকুফ হাদীস বলে।

যেমন: ”উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, জনৈক ইয়াহুদী তাকে বলল : হে আমিরুল মু’মিনীন! আপনাদের কিতাবে একটি আয়াত আছে যা আপনারা পাঠ করে থাকেন, তা যদি আমাদের ইয়াহুদী জাতির উপর অবতীর্ন হতো, তবে অবশ্যই আমরা সে দিনকে খুশীর দিন হিসেবে পালন করতাম। তিনি বললেন, কোন আয়াত? সে বললো: ”আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামত সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম” (সূরা মায়িদাহ্ ৫/৩)। উমর (রাঃ) বললেন এটি যে দিনে এবং যে স্থানে নবী (সাঃ) এর উপর নাজিল হয়েছিল তা আমরা জানি, তিনি সে দিন আরাফায় দাড়িয়ে ছিলেন আর সেটি ছিল জুমআর দিন। ”(বুখারী ১ম খন্ড, তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাদীস নং : ৪৫)।

৩। মাকতু হাদীস : যে হাদীসের সনদ কোন তাবেয়ীন পর্যন্ত পৌছেছে তাকে মাকতু হাদীস বলে।

যেমন: ”আমর ইবনুল মাইমূন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাহিলীয়্যাতের যুগে দেখেছি একটি বানরী ব্যাভীচার করার কারণে অনেকগুলো বানর একত্র হয়ে প্রস্তর নিক্ষেপ করে তাকে হত্যা করলো। আমিও তাদের সাথে প্রস্তর নিক্ষেপ করলাম।” (বুখারী, ৩য় খন্ড, তাওহীদ পাবলিকেশন্স, হাদীস নং: ৩৮৪৯)

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:২২

গুরুভাঈ বলেছেন: আসছে ২ লাইন পড়া মুর্খের সর্দার। কোন মুফতি কি বললো, কেনো বললো আর বললেই তা জায়েজ? আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) যা বলেছেন, কোরআনের বাইরে যে ব্যাখ্যা সমাধান দিয়েছেন তাই হাদিস। নবীজির সাহাবি কিংবা নবীজি পরবর্তি খলিফাগন যা বলেছেন তা হাদিস নয়। নবীজি যা করেছে, কোরআনের ব্যাখ্যায় যা করার সমাধান দিয়েছেন তাই সুন্নত।

হাদিস কি, কাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি এবং কোন সাহাবি কত হাদিস বর্ণনা করেছেন, প্রধান প্রধান হাদিসগ্রন্থ গুলো কি ?

হাদিস (আরবিতে الحديث) হলো মূলত ইসলাম ধর্মের শেষ বাণীবাহক হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাণী ও জীবনাচরণ। হাদিসের উপদেশ মুসলমানদের জীবনাচরণ ও ব্যবহারবিধির অন্যতম পথনির্দেশ। কুরআন ইসলামের মৌলিক গ্রন্থ এবং হাদিসকে অনেক সময় তার ব্যাখ্যা হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

আল্লামা হাফেজ সাখাবী (রহ.) বলেন-
والحديث لغة ضد القد يم واصطلا حامااضيف الى النبى ﷺ قولا له اوفعلا له اوتقرير اوصفة حتى الحركات والسكنات فى اليقظة والمنام -
অর্থ : আভিধানিক অর্থে হাদীস শব্দটি কাদীম তথা অবিনশ্বরের বিপরীত আর পরিভাষায় বলা হয় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে সম্বন্ধযুক্ত। চাই তার বক্তব্য হোক বা কর্ম বা অনুমোদন অথবা গুণ এমন কি ঘুমন্ত অবস্থায় বা জাগ্রত অবস্থায় তাঁর গতি ও স্থির সবই হাদীস।

বুখারী শরীফের বিশিষ্ট ব্যাখ্যাগ্রন্থ عمدة القارى এর মধ্যে হাদীস সম্বন্ধে রয়েছে:
علم الحديث هو علم يعرف به اقوال النبى ﷺ وافعاله واخواله –
অর্থ : ইলমে হাদীস এমন বিশেষ জ্ঞান যার সাহায্যে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা, কাজ ও অবস্থা জানতে পারা যায়। আর ফিক্হবিদদের নিকট হাদীস হল:
اقوال رسول الله ﷺ وافعاله –
অর্থ : হাদীস হলো আল্লাহর রাসূলের কথা ও কাজসমূহ।
বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক হেড মাওলানা মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.) এর মতে, হাদীস (حديث) এমন একটি বিষয় যা রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী, কর্ম ও নীরবতা এবং সাহাবায়ে কেরাম, তাবিঈনদের কথা, কর্ম ও মৌন সম্মতিকে বুঝায়।[১]:
হাদীস সংরক্ষণ ও বর্ণনা করার ফযীলত

হাদীস সংরক্ষণ করা বর্ণনা করা অত্যন্ত ফযীলতময়। কারণ এর মাধ্যমে প্রিয়নবী মুহাম্মাদুর রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পবিত্র কালামের হেফাযত করা হয়। আর এরকম ব্যক্তির ব্যাপারে প্রিয়নবী বলেছেন:-
نضرالله امرأسمع مقالتى فوعاهاواداها كماسمع فرب حامل فقه غير فقيه ورب حامل فقه الى من هوافقه منه –
অর্থ : আল্লাহ পাক সেই ব্যক্তিকে সতেজ, ও সমুজ্জ্বল রাখুন, যে আমার কথাগুলো শুনেছে, সংরক্ষণ করেছে এবং অপরজনের নিকট তা পৌঁছে দিয়েছে। (আবু দাউদ)

এই হাদীস আমাদের নিকট তুলে ধরে হাদীস বর্ণনা করার গৌরব ও সম্মান। এজন্যে এই হাদীসের ব্যাখ্যায় কোন কোন মুহাদ্দিস বলেছেন, যে ব্যক্তি মূলত অর্থেই হাদীস সন্ধানী হয় তার চেহারা সজীব বা নূরানী হয়ে ফুটে উঠবে।
শুধু ফযীলত নয়, আল্লাহর রাসূল দোআ করেছেন হাদীস বর্ণনাকারীদের জন্য এবং তাদেরকে নিজের উত্তরসূরী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন:
اللهم ارهم خلفائى قالو يارسوالله ومن خلفائك قال الذين يرؤون الاحاديث ويعلمونـها الناس –
অর্থ : হে আল্লাহ, আমার উত্তরসূরীদের প্রতি রহম কর“ন। সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলুাল্লাহ! আপনার উত্তরসূরী কারা? তিনি বলেন, তারাই যারা আমার হাদীস বর্ণনা করে ও মানুষের নিকট শিক্ষা দেয়। হাদীস বর্ণনাকারীরা আরো একটি উপায়ে লাভবান হতে পারে। আল্লাহর রাসূল বলেছেন, “নিশ্চয়ই কিয়ামতের দিন তারাই আমার নিকটবর্তী হবে যারা অধিক হারে আমার প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করে।” (তিরমিযী)
এই হাদীসটি ইবনে হিব্বান ও তার হাদীসের গ্রন্থে লিপিবদ্ধ করেছেন এবং বলেছেন এই হাদীস এর ফায়েজ ও বরকত লাভ করবে নিশ্চিতভাবে মুহাদ্দিসানে কেরাম ও হাদীসের শায়খগণ। কারণ তারাই তো অধিক হারে হাদীস পড়ে, লিখে। যতবার হাদীস লিখবে বা পড়বে ততবার তিনি প্রিয়নবীর প্রতি দরূদ সালাম পড়বেন ও লিখবেন। এর ফলে রোজ কিয়ামতে সহজেই তারা প্রিয়নবীর নিকটবর্তী হতে পারবেন। [২]:
কিতাবুস সিত্তা

কিতাবুস কথাটি কিতাব كتاب থেকে আগত, যার অর্থ বই। আর সিত্তা হচ্ছে ৬টি। ইসলামী পরিভাষায় হাদীসের ছয়খানা অন্যতম হাদীসগ্রন্থকে একত্রে কিতাবুস সিত্তাহ বলে।

কিতাবুস সিত্তা গ্রন্থাবলী ও এর সংকলকদের নাম ক্রমিক নং গ্রন্থের নাম সংকলকের নাম জন্ম ওফাত জীবন কাল হাদীস সংখ্যার বরননাঃ

১ ) সহীহ বুখারী মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইবরাহীম ইবনে মুগীরা ১৯৪ হিজরী ২৫৬ হিজরী ৬২ বছর ৭৩৯৭টি

২ )সহীহ মুসলিম মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ আল কুশায়রী আল নিশাপুরী ২০৪ হিজরীতে নিশাপুরে ২৬১ হিজরী ৫৭ বছর ৪০০০টি

৩ )জামে আত তিরমিযী আবু ঈসা মুহাম্মদ ইবনে ইসা ইবনে আওরাতা আত-তিরমিযী ২০৯ হিজরীতে খোরাসানের তিরমিযী শহরে ২৭৯ হিজরী ৭০ বছর ৩৮১২টি

৪ ) সুনানে আবু দাউদ আবু দাউদ সুলায়মান ইবনে আশআশ ইবনে ইসহাক ২০২ হিজরীতে সীস্তান নামক স্থানে ২৭৫ হিজরী ৭৩ বছর ৪৮০০টি

৫ ) সুনানে নাসায়ী ইমাম আবু আবদুর রহমান আহমদ ইবনে শুআইব ইবনে আলী আল খোরাসানী আন-নাসায়ী ২১৫ হিজরী নাসা শহরে ৩০৩ হিজরী ৮৮ বছর ৫৭৬১ টি

৬ ) সুনানে ইবনে মাযাহ আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মাযাহ আল কাযবীনি ২১৭ হিজরীতে কাসবীন শহরে ২৭৩ হিজরী ৬৪ বছর ৪৩৪৯টি ।

সর্বোচ্চ হাদীস বর্ণনাকারী কয়েকজন সাহাবী

কিতাবুস সিত্তা গ্রন্থাবলী ও এর সংকলকদের নাম ক্রমিক নং সাহাবীর নাম ওফাত জীবন কাল বর্ণিত হাদীসের সংখ্যার বর্ণনা ঃ

১ ) হযরত আবু হুরায়রা (রা.) প্রকৃত নাম আবদুর রহমান ৫৭ হিজরী ৭৮ বছর ৫৩৭৪ টি ।

১ ) উম্মুল মুমিনিন হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) ৫৮ হিজরী ৬৭ বছর ২২১০টি ।

১ ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) ৬৮ হিজরী ৭১ বছর ১৬৬০টি ।

১ ) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) ৭০ হিজরী ৮৪ বছর ১৬৩০টি ।

১ ) হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) ৭৪ হিজরী ৯৪ বছর ১৫৪০টি ।

সাহাবী (صحابى)

যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন বা তাঁকে দেখেছেন ও তাঁর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, অথবা জীবনে একবার তাঁকে দেখেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে এর সাহাবী বলে।

তাবিঈ (تابعى)

যিনি রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা তাঁকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে তাবিঈ বলে।

মুহাদ্দিস (محدث)

যে ব্যক্তি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে।

শায়খ (شييخ)

হাদীসের শিক্ষাদাতা রাবীকে শায়খ বলে।

শায়খায়ন (شيخين)

সাহাবীগণের মধ্যে আবু বকর ও উমর (রা.)-কে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। কিন্তু হাদীসশাস্ত্রে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (রহ.)-কে এবং ফিক্হ-এর পরিভাষায় ইমাম আবু হানীফা (রহ.) ও আবু ইউসুফ (রহ.)-কে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়।

হাফিয (حافظ)

যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লক্ষ হাদীস আয়ত্ব করেছেন তাঁকে হাফিয বলা হয়।

হুজ্জাত (حجة)

অনুরূপভাবে যিনি তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্ব করেছেন তাঁকে হুজ্জাত বলা হয়।

হাকিম (حاكم)

যিনি সব হাদীস আয়ত্ব করেছেন তাঁকে হাকিম বলা হয়।

রিজাল (رجال)

হাদীসের রাবী সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে শাস্ত্রে রাবীগণের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে তাঁকে আসমাউর-রিজাল (اسماء الرجال) বলা হয়।

রিওয়ায়ত (رواية)

হাদীস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়ত বলে। কখনও কখনও মূল হাদীসকেও রিওয়ায়ত বলা হয়। যেমন, এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়ত (হাদীস) আছে।

সনদ (سند)

হাদীসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা হয়। এতে হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।

মতন (متن)

হাদীসের মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।

মরফূ’ (مرفوع)

যে হাদীসৈর সনদ (বর্ণনা পরম্পরা) রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যš— পৌঁছেছে, তাকে মরফূ’ হাদীস বলে।

মাওকুফ (موقوف)

যে হাদীসের বর্ণনা-সূত্র ঊর্ধ্ব দিকে সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, অর্থাৎ যে সনদ-সূত্রে কোন সাহাবীর কথা বা কাজ বা অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে তাকে মাওকূফ হাদীস বলে। এর অপর নাম আসার (اثار) ।

মাকতু (مقطوع)

যে হাদীসের সনদ কোন তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মাকতু’ হাদীস বলা হয়।

মুত্তাফাকুন আলাইহি (متفق عليه)

যে হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীস।

সাহীহ (صحيح)

যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উলে­খিত প্রত্যেক রাবীই পূর্ণ আদালত ও যাবতা-গুণসম্পন্ন এবং হাদীসটি যাবতীয় দোষত্র“টি মুক্ত তাকে সাহীহ হাদীস বলে।

হাসান (حسن)

যে হাদীর্সে কোন রাবীর যারতগুণে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদীস বলা হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সাহীহ ও হাসান হাদীসের ভিত্তিতে শরী‘আতের বিধান নির্ধারণ করেন।

যঈফ (ضعيف)

যে হাদীসের রাবী কোন হাসান হাদীসের রাবীর গুণসম্পন্ন নন তাকে যঈফ হাদীস বলে। রাবীর দুর্বলতার কারণেই হাদীসকে দুর্বল বলা হয়, অন্যথায় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন কথাই যঈফ নয়।

মাওযূ’ (موضوع)

যে হাদীসের রাবী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদীসকে মাওযূ’ হাদীস বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।

২৭| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

আসাদবেস্ট বলেছেন: লেখক বলেছেন: আসছে ২ লাইন পড়া মুর্খের সর্দার। কোন মুফতি কি বললো, কেনো বললো আর বললেই তা জায়েজ? আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা: ) যা বলেছেন, কোরআনের বাইরে যে ব্যাখ্যা সমাধান দিয়েছেন তাই হাদিস। নবীজির সাহাবি কিংবা নবীজি পরবর্তি খলিফাগন যা বলেছেন তা হাদিস নয়। নবীজি যা করেছে, কোরআনের ব্যাখ্যায় যা করার সমাধান দিয়েছেন তাই সুন্নত। (এখানে বললেন এক কথা)


বিখ্যাত মুহাদ্দিস ও আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক হেড মাওলানা মুফতী সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারকাতী (রহ.) এর মতে, হাদীস (حديث) এমন একটি বিষয় যা রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাণী, কর্ম ও নীরবতা এবং সাহাবায়ে কেরাম, তাবিঈনদের কথা, কর্ম ও মৌন সম্মতিকে বুঝায়।[১]: (এখানে আবার আপনি রেফরেন্স দিলেন সাহাবায়ে কেরামদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে)

নিজের জবাবে কন্ট্রাডিকটরি আর কত করবেন? আর কত হাসির পাত্র হবেন?
নিজেই বলবেন নবীজীর কথা ছাড়া সাহাবীদের কথা হাদীস নয়, আবার নিজেই শক্তিশালী তথ্যসূত্র উল্লেখ করেন সাহাবীদের কথা হাদীস।
আমি হাসবো না কাদবো বুঝতেছি না!

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

গুরুভাঈ বলেছেন: ইসলামকে যতো সহজভাবে নেনে, যেভাবে নিজের প্রয়োজন মতো ব্যাবহার করেন আসলে অতো সহজ না। টেলিভিশন যয়েজ নাই, কিন্তু হাজারো অশ্লীল চ্যানেলের ভিড়ে যদি একটা ইসলামিক চ্যানেল থাকে তো ক্ষতি কি? এভাবে নিষেধ কে হাল্কা বানিয়ে ব্যবহার ইসলামের ক্ষতি ছাড়া অন্য০ কিছু নয়।

কেউ যদি শুধু লেখে "আজকের আকাশটা অনেক সুন্দর", এখন এই আকাশটা কি রাতের আকাশ না দিনের আকাশ, আকাশে কি চাদ আছে না সুর্য্য আছে, সাদা মেঘ আছে না কালো মেঘ আছে? এসবের উত্তর কিভাবে পাবেন? আভিধানিক অর্থে হাদিস শব্দটি কাদিম তথা অবিনশ্বরের বিপরীত আর পরিভাষায় বলা হয় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে সম্বন্ধযুক্ত। চাই তার বক্তব্য হোক বা কর্ম বা অনুমোদন অথবা গুণ এমন কী ঘুমন্ত অবস্থায় বা জাগ্রত অবস্থায় তাঁর গতি ও স্থির সবই হাদিস। সাহাবীগণ ইসলামের সর্বশেষ নবীর কথা ও কাজের বিবরণ অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে স্মরণ রাখতেন। আবার কেউ কেউ তার অনুমতি সাপেক্ষে কিছু কিছু হাদীস লিখে রাখতেন। এভাবে তার জীবদ্দশায় স্মৃতিপটে মুখস্ত করে রাখার সাথে সাথে কিছু হাদীস লিখিত আকারে লিপিবদ্ধ ছিল। হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। হযরত আবূ হুরায়রা বলেন “আবদুল্লাহ ইবনে আমর ব্যতীত আর কোন সাহাবী আমার অপেক্ষা অধিক হাদীস জানতেন না। কারণ, তিনি হাদীস লিখে রাখতেন আর আমি লিখতাম না।” নবীর জীবনদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক বহু কাজকর্ম লিখিতভাবে সম্পাদনা করা হতো। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা, সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হতো। তাছাড়া রোম, পারস্য প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশসমূহের সম্রাটদের সাথে পত্র বিনিময়, ইসলামের দাওয়াত এবং বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি ও সন্ধি লিখিতভাবে সম্পাদন করা হতো। আর ইসলামের নবীর আদেশক্রমে যা লেখা হতো তাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। ইসলামের নবীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন কারণে হাদীস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কুরআন মাজীদের সাথে হাদীস সংমিশ্রণ হওয়ার আশংকায় কুরআন পুর্ণ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করতে কেউ সাহস পায়নি। আবূ বকরের আমলে কুরআন মজীদ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হলে সাহাবীগণ হাদীস লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে আর কোন বাধা আছে বলে অনুভব করেননি। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করেন। নবিজী যেসকল কর্ম-কথা তার সাহাবায়ে কেরামগন, তাবে তাবিঈন গন রিলে করেছেন মানে বলেছেন এইভাবে বুঝতে হবে। সাহাবীগনের বা তাবে তাবিঈগনের নিজের কথা না, নবীজের যে কথা-কর্ম এর ব্যাপারে বলেছেন বা মৌন সম্মতি দি্য়েছেন।

সাহাবী (صحابى)
যেসব ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে ইসলামের নবীর সাহচর্য লাভ করেছেন বা তাকে দেখেছেন ও তার একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন, অথবা জীবনে একবার তাকে দেখেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে সাহাবী বলা হয়।

তাবিঈ (تابعى)
যারা ইসলামের নবীর কোনো সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা তাকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদেরকে তাবিঈ বলা হয়।

মুহাদ্দিস (محدث)
যে ব্যক্তি হাদিস চর্চা করেন এবং বহুসংখ্যক হাদিসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাকে মুহাদ্দিস বলা হয়

শায়খ (شيخ)
হাদিসের শিক্ষাদাতা রাবীকে (বর্ণনাকারীকে) শায়খ বলা হয়।

শাইখাইন (شيخين)
সাহাবীগণের মধ্যে আবু বকর ও উমরকে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। কিন্তু হাদিসশাস্ত্রে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমকে এবং ফিক্হ-এর পরিভাষায় ইমাম আবু হানিফা ও আবু ইউসুফকে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়।

হাফিজ (حافظ)
যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লক্ষ হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হাফিজ বলা হয়।

হুজ্জাত (حجة)
যিনি তিন লক্ষ হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হুজ্জাত বলা হয়।

হাকিম (حاكم)
যিনি সব হাদিস আয়ত্ত করেছেন তাকে হাকিম বলা হয়।

রিজাল (رجال)
হাদিসের রাবি সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে শাস্ত্রে রাবি বা বর্ণনাকারীদের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে তাকে আসমাউর-রিজাল (اسماء الرجال) বলা হয়।

রিওয়ায়ত (رواية)
হাদিস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়ত বলে। কখনও কখনও মূল হাদিসকেও রিওয়ায়ত বলা হয়। যেমন, এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়ত (হাদিস) আছে।

সনদ (سند)
হাদিসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা হয়। এতে হাদিস বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে।

মতন (متن)
হাদিসের মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে।

মরফু’ (مرفوع)
যে হাদিসের সনদ (বর্ণনা পরম্পরা) ইসলামের নবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মরফু’ হাদিস বলে।

মাওকুফ (موقوف)
যে হাদিসের বর্ণনা-সূত্র ঊর্ধ্ব দিকে সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, অর্থাৎ যে সনদ-সূত্রে কোনো সাহাবীর কথা বা কাজ বা অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে তাকে মাওকুফ হাদিস বলে। এর অপর নাম আসার (اثار) ।

মাকতু (مقطوع)
যে হাদিসের সনদ কোনো তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মাকতু’ হাদিস বলা হয়।

মুত্তাফাকুন আলাইহি (متفق عليه)
যে হাদিসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদিস।

সহিহ (ﺻﺤﻴﺢ )
যে মুত্তাসিল হাদিসের সনদে উল্লেখিত প্রত্যেক বর্ণনাকারীই পূর্ণ আদালত ও জাবতা-গুণসম্পন্ন এবং হাদিসটি যাবতীয় দোষত্রুটি মুক্ত তাকে সহিহ হাদিস বলে।

হাসান (حسن)
যে হাদিসের কোনো বর্ণনাকারীর জারতগুণে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদিস বলা হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সহিহ ও হাসান হাদিসের ভিত্তিতে শরিয়তের বিধান নির্ধারণ করেন।

জইফ ( ﺿﻌﻴﻒ)
যে হাদিসের বর্ণনাকারী কোনো হাসান হাদিসের বর্ণনাকারীর গুণসম্পন্ন নন তাকে জইফ হাদিস বলে।

মাওজু’ (موضوع)
যে হাদিসের বর্ণনাকারী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলামের নবীর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদিসকে মাওজু’ হাদিস বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদিস গ্রহণ করা হয় না।

কুদসি’ (حديث قديس)
যে সকল হাদিসকে ইসলামের নবী আল্লাহর বানী বলে উল্লেখ করেছেন, যা কুরআনের অন্তর্ভুক্ত নয়, সেগুলোকে হাদিসে কুদসি বলা হয়।

২৮| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাই সমস্যা কি?
মানুষ পানিতে নামাজ পড়ছে সেটা? নাকি বাধ ভেঙে বন্যার পানির ছবি পত্রিকায় আসছে সেটা?

পরিষ্কার আর পবিত্র দুইটা আলাদা জিনিস, সম্ভবত জানেন।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৪

গুরুভাঈ বলেছেন: লোক দেখানো ইবাদত এবং হাটু পানিতে দাড়িয়ে ওয়াজিব নামাজ পড়া।

২৯| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্লগটা যে ফেসবুক না তা আমরা বিস্মৃত হয়ে
ফেসবুকীয় কায়দায় মাঠ গরম করে তুলি।
সবুকে অনেক ছবির ক্যাপশন পরিবর্তন
করে পাঠককে ধোকা দেওয়া হয়। আমরা
যেন তাদের ধোকায় পা না দেই।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

গুরুভাঈ বলেছেন: ফেসবুকে কোনো পোস্ট এডিট করা হলে তার ভিউ এডিট হিস্টোরি থাকে, সেইটা দেখে নিবেন।

৩০| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ব্লগটা যে ফেসবুক না তা আমরা বিস্মৃত হয়ে
ফেসবুকীয় কায়দায় মাঠ গরম করে তুলি।
সবুকে অনেক ছবির ক্যাপশন পরিবর্তন
করে পাঠককে ধোকা দেওয়া হয়। আমরা
যেন তাদের ধোকায় পা না দেই।

২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

গুরুভাঈ বলেছেন: ফেসবুক এখন ব্লগের আধুনিক প্লাটফর্ম, এমন অনেক লেখক আছেন যারা আর ব্লগে লিখেন না, ফেসবুকের স্টাটাসেই লেখার মাধ্যম। আর ফেসবুক মানে পিজ্জা খাবার ছবি দেয়া, কাপড়, ফেসওয়াশ বিক্রি করা না। লেখার মাধ্যম একের পর এক আসটেই থাকবে, ব্লগ বিলুপ্ত হতে পারে, ফেসবুক বিলুপ্ত হতে পারে কিন্তু নতুন কোনো কিছু আসার পরই এসব বিলুপ্ত হবে।

৩১| ২৭ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩

মেটালক্সাইড বলেছেন: আসাদবেস্ট ও গুরুভাঈ কে সবিনয় সংযত হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
আমরা ধর্মীয় আলেম নয় বিধায় বিষয়টি এখতেলাফ করা আমাদের অধিকারে নেই। শরীয়াহর আলেমগণ এটি এখতেলাফ করার দায়িত্ব রাখেন।
আমাদের দেশে সরকার স্বীকৃত আলেম পরিষদ হল ইসলামিক ফাঊন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। আমার জানামতে তাদের কোন বিবৃতি এখনও আসেনি।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য এক দুই তিন সৌন্দর্যমন্ডিত কিন্তু ততোধিক অসৌন্দর্যমন্ডিত।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

গুরুভাঈ বলেছেন: আসাদবেস্ট নতুন বিষয়ের অবতারনা করে আবার সেই ভুলের ডিফেন্ডে আছে। সে সিম্পলি বলতে পারে, ওকে ঠিক আছে হযরত আলী (রা: ) এর একটা বাণী আছে "'মুর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন না, কারণ তারা যে কোনোভাবে জিততে চাইবে, এবং আপনাকে তাদের কাতারে নামিয়ে আনবে'। ভালো থাকবেন।"

সাহাবীগনের কথাকে বলতে হবে বাণী বা উক্তি। হাদিস এবং সুন্নত সরাসরি নজীজির সাথে সম্পৃক্ত।

এবং পানিতে নামাজ পড়ার ব্যাপারে। নবীজির যামানায় বৃষ্টির কারনে মসজিদে ফরজ নামাজের জামায়াত না হওয়ার ঘটনা আছে। সফরে থাকাার সময় উটের পিঠে বসে নামাজ পড়ার ঘটনা আছে। কিন্তু হাটু পানি, বা গিড়া পানিতে জামায়াতে বা একাকি নামাজ পড়ার কোনো ঘটনা নাই। আর যে ওয়াজিব নামাজ তাড়া এভাবে পড়লেন তাড়া কি সেইদিনের যুহরের ফরজ নামাজও ঐভাবে পড়েছিলেন? এই পানিতে নামাজ পড়ার লোক দেখানো নামাজের ছবির পাশাপাশি আমারা সেদিনের নামাজের অন্য ছবিতে দেখি একটা প্রশস্ত রাস্তা বা বাধেও নামাজীরা আছেন সেই রাস্তা/বাধের নিচের দিকে আরো নামাজি দাড়ানোর যথেস্ট জায়গা আছে তারপরেও তারা পানিতে। আর ঐ বাধ/রাস্তায় যদি হাজার হাজার নামাজি নামাজ পড়তে পারে তবে প্রথমে ঈমাম সেই বাধে/রাস্তায় না দাড়িয়ে ডাইরেক্ট হাটু পানিতে?? অনেক অনেক অপশন/ওজর থাকার পড়েও এই হাটু পানিতে নামাজ নতুন জিনিষের সৃষ্টি নয়? ইসলামে ইসলামের নামে নতুন জিনিস সৃষ্টির নামই বিদাআত। এখানে নতুন জিনিষ হলো, হাটু পানিতে কোনো মাসায়ালা ছাড়া, নবীজি বা তার পরবর্তী সাহাবীগণের জীবনে এমন ঘটনা ছাড়া নতুন ঘটনার অবতারনা করা যথাযথ ইসলামিক দলিল না থেকেও।

৩২| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১২:৫৫

আসাদবেস্ট বলেছেন: মেটালক্সাইড বলেছেন: আসাদবেস্ট ও গুরুভাঈ কে সবিনয় সংযত হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।
আমরা ধর্মীয় আলেম নয় বিধায় বিষয়টি এখতেলাফ করা আমাদের অধিকারে নেই। শরীয়াহর আলেমগণ এটি এখতেলাফ করার দায়িত্ব রাখেন।
আমাদের দেশে সরকার স্বীকৃত আলেম পরিষদ হল ইসলামিক ফাঊন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। আমার জানামতে তাদের কোন বিবৃতি এখনও আসেনি।
মন্তব্য প্রতিমন্তব্য এক দুই তিন সৌন্দর্যমন্ডিত কিন্তু ততোধিক অসৌন্দর্যমন্ডিত।

ধন্যবাদ, আমি আগেই ক্ষ্যান্ত দিছি। কিন্তু উনি আমার কথার ডিফেন্স করতে গিয়ে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করতে গিয়ে এবং সাহাবীগণের কথা হাদীস না বলে নিজে রেফারেন্স দিয়েছেন, সেই রেফারেন্সে বলা হয়েছে, সাহাবীদের কথা, কাজ ও মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে। আমি যার রেফারেন্স টানছি তাকে যদু-মধু বলে, উনি নিজেই সেই মুফতির রেফারেন্স টানছেন। আমি সম্পূর্ণ ভালোভাবে জেনেই বলেছি সাহাবীদের কথাকে মারফু হাদীস বলে।

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৩০

গুরুভাঈ বলেছেন: ১। "আমরা ধর্মীয় আলেম নয় বিধায় বিষয়টি এখতেলাফ করা আমাদের অধিকারে নেই। শরীয়াহর আলেমগণ এটি এখতেলাফ করার দায়িত্ব রাখেন।

আমাদের দেশে সরকার স্বীকৃত আলেম পরিষদ হল ইসলামিক ফাঊন্ডেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা। আমার জানামতে তাদের কোন বিবৃতি এখনও আসেনি।"

সেই জামায়াত নেতা, মাদ্রাসার মাওলানাকে পানিতে ঈদের জামায়ত পড়ার স্বিদ্ধান্তের অধিকার কে দিয়েছে? সে কোন রেফারেন্সে হাটু পানিতে নামাজ পড়ালো? ইসলামের দীর্ঘ ইতিহাসে পানিতে দাড়িয়ে নামায পড়ার ইতিহাস আছে? কোরআন হাদিসে যা নাই, ইসলামের ইতিহাসে যা নাই তার সমাধানে স্বিকৃত আলেমদের কোনো ফতোয়া নাই, সেই জিনিস যদি ইবাদতের নামে ইসলামে সংযোজন করেন তা কি বিদাআত নয়?

২। পুরা ঘটনা না জেনে, পুরা পোস্ট না বুঝে আপনি অযৌক্তিক আবেগের যুক্তি দিয়ে কমেন্ট করলেন, আক্রমণটা শুরু করলো কে? ভুল এবং মিথ্যার ডিফেন্স করতে গেলে ভুল এবং মিথ্যা দিয়েই করতে হয়, শেষে আবেগের ব্লেম গেম খেলতে হয়।

৩। আপনি যে মাওলানার রেফারেন্স দিয়েছেন, আমি রেফারেন্স হিসাবে তার নাম নেই নাই। আপনি যে লেখার অংশ থেকে তার নাম টুকলিফাই করেছেন, আমি সেই পুরা লেখাটাই কপি পেস্ট করেছি যা থেকে এখন বলতে পারছেন "মাওকুফ হাদিস" বলা হয়। নবীজির কথাই হাদিস, হাদিস নবীজি সম্পৃক্ত তাই নবীজির "হাদিস" শব্দের আগে পিছে অন্য কোনো বিশেষণ নাই।

আপনি আপনার ভুল শুধরে নিয়ে বলতে পারতেন, হযরত আলী (আ: ) এর একটি বাণী/উক্তি আছে 'মুর্খের সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন না, কারণ তারা যে কোনোভাবে জিততে চাইবে, এবং আপনাকে তাদের কাতারে নামিয়ে আনবে'।

৩৩| ২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১:০২

আসাদবেস্ট বলেছেন: সরি মারফু না মাওকুফ হবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.