নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হোয়াইট হাউজের বাইরে বিক্ষোভ, বিক্ষোভকারীদের ভয়ে বাঙ্কারে ১ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। এই খবর শুনে আপনার আমার ভাবনায় যা এসেছে আসলেই কি তা?
পৃথিবীর সবচাইতে সুরক্ষিত বিল্ডিং হোয়াইট হাউজ। বহি শত্রুর যেকোনো আক্রমণ, অন্তত প্রাথমিক আক্রমণ সামাল দেয়ার ক্ষমতা আছে হোয়াইট হাউজের। আর সেই হাউজে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট অবস্থানকালিন নিজ দেশের নিরস্ত্র প্রতিবাদকারিদের ভয়ে বাঙ্কারে লুকিয়েছিলেন ট্রাম্প? এটা ভয়ে নয়, এটা খবর করার কারনেই তার কুট চাল। ২০১৫ সালে আমি আমেরিকার শিকাগোতে গিয়েছিলাম, বেড়ানোর একদিন গেলাম বারাক ওবামার শিকাগোর বাড়িটি দেখতে। বারাক ওবামা তখন হোয়াইট হাউজে থাকেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট সে। তার শিকাগোর বাড়িতে কেউই থাকেনা তখন, অথচো সেই বাড়ির আরো ৪/৫ বাড়ি আগে হতে বড়ো বড়ো দূইটা সিক্রেট সার্ভিসের গাড়ি রাস্তা ব্লক করে আর্নল্ড শোয়াজনেগারের মতো দস্যাই পূলিশের পাহাড়া রাস্তার দক্ষিন এবং উত্তর দিকে। আমি ৩/৪ বাড়ি দুর হতে বারাক ওবামার বাড়িটা ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে মোবাইলে সেলফি তুলতে গেলে পুলিশ এসে বাধা দেয়, ছবি তোলা যাবেনা।
যে বাড়িতে একসময় প্রেসিডেন্ট থাকতেন, এখন নেই সেই বাড়ির দুই পাশে এমন করা পাহাড়া তো সারা বিশ্বের রাজনীতির কলকাব্জা নাড়া প্রেসিডেন্টের বাড়ির নিরাপত্তা কি হবে বুঝেন। ট্রাম্প চাচ্ছে এই আন্দোলন ক্যাশ করতে এবং আশ্চর্যজনকভাবে আন্দোলনকারী ট্রাম্পকে সেই সুযোগ দিচ্ছে আন্দোলনের ধরণ দিয়ে। উৎসব করে লুটপাট হচ্ছে দোকান, আগুন জ্বালানো হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।
করোনার না পাওয়া বা হতাশার সাথে এই আন্দোলন মিলেয়ে ফেললে ভুলই করছে আন্দোলনকারীরা। কারন করোনার হতাশার কারনে আমেরিকার আপামর মানুষের সমর্থন পেতো, এখনকার আন্দোলন শুধু ইমিগ্রান্ট আমেরিকানরাই করে যাচ্ছে সাথে আছে কিছু ফার্মের মুরগি টাইপ তরুন তরুনি। কিন্তু আসল ফার্ম এই আন্দোলন ভালোভাবে নিচ্ছেনা, বা ধরণ দেখে নিবেও না। মনে রাখতে হবে ট্রাম্পের স্লোগান ছিলো "মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন" যা পুরোপুরি সাদাদের মিনিং করে।।
আমেরিকার ইতিহাসের সব চাইতে বাজে প্রেসিডেন্ট এই ট্রাম্প। শুধু শুধু আমেরিকার তথা বিশ্বের ৪টি বছর নষ্টো। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির কোনো অর্জন নেই শুধু মাত্র পানি ঘোলা করা ছাড়া এবং প্রেসিডেন্সির প্রেজুডুস উপভোগ করা ছাড়া। তবে ট্রাম্প একটা ব্যাপারে অন্তত ধন্যবাদের যোগ্য, সে যতই আবোল তাবোল বকুক বিশ্বকে সে কোনো সংঘাতময় যুদ্ধ উপহার দেয়নি। এমন উদ্ভট প্রেসিডেন্টের কাছে দুই একটা যুদ্ধ খুবই স্বাভাবিক ছিলো। নির্বাচন কাছাকাছি জন্য এবং গ্রহণযোগ্যতা তলানি শুন্য জেনেই কয়েকদিন আগে কদর্যভাবে করোনার জন্য চায়নাকে টার্গেট করে উল্টা পাল্টা বক্তব্য দেয়া শুরু করেছিলো শুধুই নির্বাচনের হাওয়া বদলের জন্য, সেই হাওয়া এখন দোল দিবে এই আন্দোলন এবং তার সহিংসতাকে।
০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৪২
গুরুভাঈ বলেছেন: ট্রাম্প ভুল করেনা। ভুল বলাটাই তার পলিসি, সে মিসগাইড মিসলিড করার চেষ্টা করে। তার কোনো লক্ষ্য নাই, তার কোনো অর্জন নাই।
২| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২৯
নতুন বলেছেন: সবাই ব্যস্ত অবস্থা নিয়ে কিভাবে রাজনিতিক ফয়দা নেওয়া যায়।
০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
গুরুভাঈ বলেছেন: ট্রাম্প সাহেব এবার ধর্মকেও ব্যাবহার করছেন। তিনি গতকাল গির্জায় গিয়ে বাইবেল হাতে আর্মি নামার কথা বলেছেন
৩| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩৯
হাবিব ইমরান বলেছেন: ধুরন্ধর ট্রাম্পের একমাত্র কাজ হলো মানুষকে বিভ্রান্ত করা। তার কর্মপরিকল্পনা, চিন্তাভাবনা নিয়ে খোদ আমেরিকানরাই রীতিমতো বিভ্রান্ত এমনকি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। লোকটা পাগল নাকি একজন চমৎকার খেলোয়াড় তা এতদিনেও বুঝা যায়নি।
০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৬
গুরুভাঈ বলেছেন: সে আসলে প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছে, হয়েছে। এর বেশি কিছু না। তার কোনো লক্ষ্য নাই, তার কোনো অর্জন নাই।
৪| ০২ রা জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সে আসলে প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছে, হয়েছে। এর বেশি কিছু না। তার কোনো লক্ষ্য নাই, তার কোনো অর্জন নাই - আমারও এরকমই মনে হয়।
এত বাজে একটা লোককে আমেরিকার সচেতন জনগণ কি করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বানালো, এ নয়ে ভবিষ্যতে গবেষণা হতে পারে।
বিশ্বের একমাত্র টুইটার নির্ভর রাষ্ট্রপ্রধান, যিনি কেবল টুইট করেই তার মনোভাব স্বদেশ ও বিশ্বের কাছে নিয়মিতভাবে প্রকাশ করেন।
০২ রা জুন, ২০২০ রাত ৮:১৪
গুরুভাঈ বলেছেন: ট্রাম্পকে জিতিয়েছে বার্নি সান্ডার্সের সমর্থকরা, বার্নির সমর্থকরা হিলারিকে ভোট দেয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: ট্রাম্প তার ভুল গুলো বুঝতে পারছে না। আসলে মানুষ যখন ভু্ল করে তখন বুঝতে পারে না। অনেক পরে বুঝতে পারে।