নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আপাতত চোরকে বলিওনা চোর /\\ জেনো রাত্রীর শেষেই ভোর।

গুরুভাঈ

কি লেইকপো!

গুরুভাঈ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সবার জানা দরকার এবং সবাইকে জানানো দরকার

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৭


করোনা নিয়ে কোনো তথ্য, কোনো নির্দিষ্ট সতর্কতা, চিকিৎসা, ঔষধ কোনো কিছুই ঠিক থাকছে না এখন পর্যন্ত। একদম প্রথম দিকে হুজুরদের মাধ্যমে আমরা জেনেছিলাম, মুসলমানের করোনা হবেনা। সরকারি মাধ্যমে মানে প্রধানমন্ত্রীর কথায়ও আমরা জেনেছিলাম সবার মাস্ক পরার দরকার নাই। আর এখন? ইহুদি, বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিষ্টান, মুচি, মেথর, ডাক্তার, শিল্পপতি, গর্ভবতী, পুলিশ সবাই আক্রান্ত এবং মৃতের তালিকায়। আর এখন? মাস্ক না পরলে সারকারিভাবে জরিমানা এবং শাস্তিরও বিধান করা হয়েছে।

করোনা আমরা ভয় পাইনা, কিন্তু করোনা আক্রান্ত কাউকে বা করোনা আক্রান্ত কেউ মারা গেলে তাকে আমরা এমন ঘৃণা করি যা কখনো কাউকে করতাম না। নিজের রক্তের বন্ধনকেও আমরা চিনছিনা, নিচ্ছিনা। যে ধর্ম সার্বজনীন সেই ধর্মও মৃত্যুর পরের সৎকার কিংবা দাফনে বাধা দিচ্ছে ধর্মের দায়িত্বশীলরা।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বুলেটিনে মৃত ব্যক্তির লাশ দাফন সম্পর্কে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা সুলতানা বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির শরীরে তিন ঘণ্টা পর আর ভাইরাসের কার্যকারিতা থাকে না। একই সঙ্গে করোনায় মৃত হিসেবে আলাদা কোনো কবরস্থান নির্দিষ্ট করার দরকার নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, এটা প্রমাণিত হয়নি মৃত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে। মৃতদেহ সৎকার করতে তিন-চার ঘণ্টা সময় লেগেই যায়। তিন ঘণ্টা পর মৃত ব্যক্তির শরীরে এই ভাইরাসের আর কার্যকারিতা থাকে না। সে জন্য মৃতদেহ থেকে ভাইরাস ছড়ানোর কোনো আশঙ্কা নেই।

কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির সৎকার যেকোনো জায়গায় করা যাবে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা কবরস্থানে কিংবা পারিবারিক কবরস্থানে মৃতদেহ দাফন করতে পারবেন। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাঁদের বিধি অনুযায়ী যেকোনো জায়গায় মৃতদেহের সৎকার করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন, সৎকার বা ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) ওয়েবসাইটে রয়েছে। তবু বিশেষভাবে সবার অবগতির জন্য বলতে চাই, মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় বিধি অনুযায়ী সতর্কতা অবলম্বন করে দাফন বা সৎকার করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী মৃতদেহের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বডি ব্যাগ বা তা না পাওয়া গেলে পলিথিনে মুড়িয়ে মনোনীত কবরস্থান বা পারিবারিকভাবে নির্ধারিত স্থানে দাফন করা যাবে। শুধু করোনায় মৃত হিসেবে আলাদা কোনো কবরস্থান নির্দিষ্ট করার দরকার নেই। পারিবারিক কবরস্থানেই এই মৃতদেহ দাফন করা যাবে এবং অন্য ধর্মের জন্য সৎকার করা যাবে।'

এ ব্যাপারটা আগে হতে জানা থাকলে অনেক সম্পর্কের বিভৎস রুপ আমাদের দেখতে হতোনা, যদিও অনেক দেরি হয়ে গেছে তবুও হয়তো ফেরার পথ আছে যদি এই তথ্যটার প্রচার আমরা যথাযথভাবে করি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:০৪

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আমি বিষয়টা জানতাম তবে দোটানায় ছিলাম।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:০৮

গুরুভাঈ বলেছেন: করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়াবহতা বা ভয় আমাদের ভিতড় থেকে নষ্টো করেচে ওয়াজের হুজুররা আর সরকারীদলের নেতা মন্ত্রীরা। কিন্তু যখন করোনা হয়ে যায় পাশের বা নিজের কারও তখন ছা্যা দেখলেও চমকায় উঠছি। অচেনা-অমানবিক আচরন করছি।

২| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



করোনা রোগীকে অন্য মৃতদের কবরস্হানে দাফন করলে, আগের মৃতদের করোনা হবে অবশ্যই।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩

গুরুভাঈ বলেছেন: যে মানুষটার সাথে সারা জীবন সুখে দুখে হাসি কান্নায় সংসার করে এলো আজ তারই মৃতদেহ ভয় লাগছে করোনার জন্য, শোকের দুখের কান্নাও ভুলে যাচ্ছি আমরা। সবার মসজিদ সবার ধর্ম বলে সবার পকেটের টাকা সবার গোলার ধান নেওয়ার পর ভয় লাগছে করোনার জন্য, সাময়ের কথাও ভুলে যাচ্ছি আমরা।

৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:১৩

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন।
আচ্ছা, সরকারীদলের নেতা মণ্ত্রীরা ভয় দূর করার চেষ্টা করেছে তাদরে স্বার্থ আছে বলে কিন্তু হুজুরদের কি লাভ হয়েছিল এটা করে?

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬

গুরুভাঈ বলেছেন: তখন ওয়াজ মাহফিলের পিক সিজন। করোনা চায়না কেন্দ্রিক ছিলো, এবং আমাদের খবরে নিয়মিত আসতো। আমাদের চটুল হুজুররা বলা শুরু করলো চায়নার লোক মুসলিম নির্যাতন করছিলো এই দেখেন আল্লাহ গজব দিয়া দিছে। বলেন আল্লাহু আকবার।

চায়নারা করোনা রিকভার শুরু করলো, এইযে দেখেন চায়নিজরা দলে দলে ইসলাম গ্রহণ করে নামাজ পরে করোনা হতে মুক্তি পাচ্ছে। বলেন সুবহানআল্লাহ।

হুজুররা বুঝে নাই, এই করোনা চায়নার সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বে ছড়িয়ে পরবে, সৌদির মক্কা মদিনায়ও যাবে বা আমাদের দেশে আসবে।

৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১

কল্পদ্রুম বলেছেন: এই নির্দেশনাগুলো নির্বাচনী লিফলেটের এলাকায় ছড়ায় দেওয়া উচিত।ওয়ার্ড কাউন্সিলরগুলো আর চেয়ারম্যান মেম্বারদের উচিত ছিলো নিজের এলাকায় এসব দেখা।

সরকারীদলের নেতা মণ্ত্রীরা ভয় দূর করার চেষ্টা করেছে তাদরে স্বার্থ আছে বলে কিন্তু হুজুরদের কি লাভ হয়েছিল এটা করে?

হুজুরদের লাভ লোকসান জ্ঞান কম।তারা বেশিরভাগ কাজ হুজুগে পড়ে করে।

০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৯

গুরুভাঈ বলেছেন: হেলিকপ্টার করে যেমন মশা মারার ঔষধ ছিটাতো তেমনি লিফলেট ছিটানো দরকার এবং মোবাইলে রিং দিলে যেমন করোনা সাবধানতা শুনাচ্ছে সেখানে এটা শুনানো দরকার। কারন এই দাফন/সৎকার ধর্মকে ছোট করছে। এটা করোনার চাইতেও ভয়ংকর ক্ষতি, এর প্রতিকার দরকার, প্রচার দরকার।

৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উচিত করোনা নিয়ে স্পষ্ট ভাবে বলা। বারে বারে বলা। কি করতে হবে। কি করতে হবে না।

০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২০

গুরুভাঈ বলেছেন: এই বলাটাই তো বলতে পারছেনা। এটা সারা বিশ্বের সমস্যা এখানে সীমাব্ধতা নিয়ে তো লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই। আমেরিকা সারা বিশ্বের মোড়ল, ইউরোপ সারা বিশ্বের ভদ্রলোক তারাই চিকিৎসা ব্যাবস্থায় অপ্রতুল্য তারা কোনো তথ্য লুকাচ্ছেনা কিন্তু বাংলাদেশ এই বিষয়েও আসল চিত্র তুলে ধরতে লজ্জা পাচ্ছে।

৬| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ১:২৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

সরকারীভাবে এটা কেন প্রচার করা হচ্ছে না।
প্রচার করা হলে আমরা অনেক অমানবিক কার্যকলাপ
থেকে মুক্ত হতে পারতাম।

০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৪

গুরুভাঈ বলেছেন: আমার ব্যাক্তিগত অবজার্ভেশন: সরকার মানে শেখ হাসিনা ভীষণভাবে গার্মেন্টস সেক্টরের মালিকদের ভুল বুঝানোর শিকার, এবং কোনো কারনে তাদের প্রতি দুর্বল। দেখেন ঢাকা সিটির উত্তরে তিনি তার দলের নেতা পেলেন না, তিন তিনবার গার্মেন্টসের মানুষ। ধানমন্ডির আসনে তার দলের নেতা পেলেন না, পেলেন গার্মেন্টেসের মানুষ। প্রথম প্রণোদনা দিলেন গার্মেন্টস সেক্টরে। প্রথম ছুটি, খোলা, বন্ধ প্রহসন করলেন গার্মেন্টস নিয়ে।

গার্মেন্টেস সেক্টর শেখ হাসিনা কোনোভাবে বুঝিয়েছে করোনার ভয়াবহতা বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যাবেনা। শ্বাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হবে।

৭| ০৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৪:২২

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: আরো পরে বললে মনে হয় ভালো হতো। মৃত রোগী বাদ দেই, সাধারণ করোনা রোগীকেই তো অনেকটা সমাজচ্যুত করে দেয়া। এর দায়ভার কে নেবে সমাজ নাকি রাষ্ট্র?

০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭

গুরুভাঈ বলেছেন: প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টির কারনে এই অবস্থা। খোদ স্বাস্থমন্ত্রীর কি কাজ সে নিজেই জানে না, আমরাও কিছু দেখলাম না বুঝলাম না। সব কিছুর দায়ভার অবশ্যই রাষ্ট্রের এবং যে যে সময়ের দায় সেই সেই সময়ের রাষ্ট্র পরিচালকের।

৮| ০৫ ই জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন:   সুচিন্তিত প্রকাশ, ভালো হয়েছে।

০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৭

গুরুভাঈ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৯| ০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ৭:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কয়েকটা হৃদয়গ্রাহী ঘটনা ঘটছে লাশ নিয়া

০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:২৮

গুরুভাঈ বলেছেন: আপনার উপস্থিতি এখন লক্ষ্য করা যাচ্ছে সীমিত আকারে হয়ে গেছে??

১০| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ২:২১

নতুন বলেছেন: লাশ দাফনে বাধা দেওয়া সম্পূন` মূখ`তার কারনে।

সরকার কি টিভি চ্যানেলে করোনার জন্য সঠিক তথ্যগুলি প্রতি ঘন্টায় প্রচার করতে পারে না? ছোট ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে প্রচার করতে পারে যাতে গুজবে মানুষ বিশ্বাস না করে এবং সঠিক কাজ গুলি করতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.