![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ তালা পৃথিবীতে মানুষের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। শুধু মানুষ বলে কথা নয়, প্রত্যেক প্রানীর জন্যই তিনি যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য পানীয় এবং জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপকরণ রেখেছেন। তবুও দেখা যায় মানুষ খাদ্যের অভাবে মরছে, ক্ষুদার কারণে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে। বিভিন্ন দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে। এর কারণ কি? এর একমাত্র কারণ হচ্ছে কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের জনগণের সম্পদ চুরি করা। কিছু মানুষ নিজেরা সম্পদের পাহাড় গড়েছে। নিরীহ জনগণের মাথায় হাত বুলিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করে জনগণের সম্পদ কেড়ে নিয়ে নিজেরা ভোগ বিলাসে মত্ত হচ্ছে। আরামের অট্টালিকায় ঘুমাচ্ছে। অস্ত্রধারী দেহরক্ষীর পাহারায় পথ চলছে। মদ আর নারী নিয়ে ফুর্তি করছে। আর অন্য দিকে কিছু মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। দু বেলা দু মুঠো খাবারের অভাবে কেও কেও অন্যায় পথে পা বাড়াচ্ছে। কেও দেহ বিক্রি করছে, কেও রক্ত বিক্রি করছে আর কেও নিজের প্রিয় সন্তান পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। দুর্ভিক্ষপীড়িত বিভিন্ন দেশের মানুষের ছবি দেখলে ন্যায়পরায়ণ যে কোনো মানুষের চোখে পানি চলে আসে। এসবের একমাত্র কারণ কিছু ক্ষমতাশালী মানুষের সম্পদের পাহাড় বানানো।
কিছু মানুষ জনগণের সুযোগ সুবিধার কথা বলে জনগণের ভোটে অথবা জোর করে ক্ষমতায় বসে দেশের সম্পদ চুরি করে বলেই স্বাধীনতার ৪৩ বছর পরেও দেশ এখনো গরিব হয়ে আছে। দেশের জনগন এখনো অভাবে অনটনে জীবনযাপন করে। দেশের প্রচুর সম্পদ থাকা স্বত্বেও আজকাল কাজের খোঁজে আত্মীয়স্বজন ছেড়ে বিদেশে কঠোর পরিশ্রম এর সাথে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে দেশের অনেক মানুষকে। মানুষ গুম করে মুক্তিপন আদায়, রাজনৈতিক হত্যা, ধর্ষণ, চুরি ডাকাতির পথে পা বাড়াচ্ছে মানুষ টাকার
আমাদের দেশে প্রত্যেক সরকারের আমলেই প্রচুর দুর্নীতি হয়। কেও একটু রেখে ঢেকে দুর্নীতি করে আর কেও প্রকাশ্যে করে, এই শুধু পার্থক্য। দুর্নীতি দমন কমিশন বানানো হয়েছে দুর্নীতিবাজদেরকে ধোয়া তুলসীপাতা বলে সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য। তারা সেটা করেছেনও। মন্ত্রী এমপি চুরি করে প্রকাশ্যে ধরা পড়ার পরেও দুর্নীতি দমন কমিশন বলেছে ‘না তাদের কোনো দোষ নাই’। এভাবে সরকারী ভাবে জনগণের সম্পদ চুরির মহোৎসব চলছে দেশে। তবে জনগণের সামনে আসলে এরা বলে যে আমরা কিছুই চাই না শুধু জনগণের শান্তি চাই। এরাই আবার নিরীহ মানুষকে গুলি করে মারে। এরাই সন্ত্রাসী লালন করে। এরা দেশের শত্রু। এদের কারণে আজ কোটি কোটি মানুষ সারা জীবন গরিব হয়ে আছে।
এইসব দুর্নীতিবাজদের অনেকের কাছে এমন বেশি সম্পদ আছে যে এদের কয়েকজনের সম্পদ বন্টন করে দিলে পুরো দেশের সব মানুষ ধনী হয়ে যাবে। এরকম বিশাল সম্পদের পাহাড় তারা গড়েছে শুধু আমার আর আপনার সম্পদ চুরি করে। দেশের জন্য জনগণের জন্য এরা শুধু ততটুকুই করে যতটুকু না করলে তাদের চুরি করার ক্ষমতা হারানোর ভয় থাকে। দেশের মানুষের জন্য বা দেশপ্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে এরা কোনো কাজ করে না। যা করে সেটাও তাদের চুরি করার সুবিধার পরিমাণ মত করে। দেশবিরুধী চুক্তি, সরকারি সম্পদ বিক্রির মত জঘন্য দেশ বিরুধী কাজ এরা করতে পারে নির্দিধায়। আর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে এমন কোনো অন্যায় নাই যা এরা করে না। সন্ত্রাসী লালন, মিথ্যা, ধোকাবাজি, প্রতারণা, ভয় ভিতি দেখিয়ে ভোট আদায়, প্রতিপক্ষকে চিরতরে ক্ষতম করে দেয়া এদের কাছে ডাল ভাত। এরা আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা। ভোটের আগে এদের পক্ষে কিছু মানুষ টাকার বলে শ্লোগান দেয় যে ‘অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র’। আসলে কতটা পবিত্র সেটা জনগনও ভাল জানে এবং তারা নিজেরাও ভাল জানে। আর জানে বলেই এরা সাধারণ মানুষের সামনে আসতে পুলিশের সাহায্য ছাড়া আসে না। অনেকে পুলিশের সাহায্য নিয়েও তাদের অঞ্চলে আসতে ভয় পায়। এরাই আমাদের নেতা। কিছু ভাল মানুষ হয়ত আছে। তারা সংখ্যায় একেবারেই কম।
এসব নেতারা কত বেশি দেশের সম্পদ চুরি করেছে তা সাধারণ মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না। দেশের প্রত্যকটি ডিপার্মেন্ট দুর্নীতিগ্রস্ত। এমন কোনো খাত নাই যেখানে দুর্নীতি হয় না। আর তার সংখ্যাও মা শা আল্লাহ বিরাট বড় বড়। ক দিন আগে এক প্রতিষ্ঠানের সাড়ে চার হাজার কোটি দুর্নীতির খবর বের হলে মন্ত্রী বললেন সাড়ে চার হাজার কোটি তেমন বেশি না। তাহলে পাঠক একবার ভাবুন বেশি দুর্ণীতি বলতে এরা কর টাকাকে বুঝে? এ থেকে সামান্য আন্দাজ করা যেতে পারে যে এরা প্রতি বছর দেশের কত টাকা চুরি করে। মাহমুদুর রহমান একবার লিখেছিলেন যে দেশের পুরো বাজেটের চেয়ে বেশি টাকা এরা এক বছরে শুধু দুই একটি খাত থেকে চুরি করে। তাহলে পুরো দেশের হিসাব করলে সেটা কত বেশি হবে তা আল্লাহই ভাল জানেন। এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকেই ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করতে হবে। দেশ বাঁচাতে হলে চুর দুর্নীতিবাজ নেতাদের হঠানো ছাড়া উপায় নাই। ভাল মানুষের শাসন ছাড়া দেশে শান্তি আসতে পারে না।
এই ভাল মানুষগুলো কারা?
ভাল মানুষ কারা তা দেখা যেতে পারে আমার আগের পোষ্টে
১৪ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:৫৭
হাবিবুল্লাহ বলেছেন: যারা দেশের সম্পদ চুরি করে তারা দেশের শত্রু।
২| ১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তারা যখন চুরি করে তখন তারা মনে করে সব তাদের। সবকিছুতেই তাদের নিরঙ্কুশ অধিকার কারন তারা নেতা। ভোগ করার অধিকার শুধুই তাদের।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫
জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাল মানুষের শাসন ছাড়া দেশে শান্তি আসতে পারে না-শুধু ভাল হলে চলবে না;থাকে অবশ্যই দক্ষ ও দৃঢ় হতে হবে।এ বিষয়ে আপনার অভিমত জানায় আশায় রইলাম।অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
২০ শে মে, ২০১৪ রাত ২:৪৮
হাবিবুল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ, তাতো অবশ্যই। দক্ষতা অবশ্যই প্রয়োজন আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তারা যখন চুরি করে তখন তারা মনে করে সব তাদের। সবকিছুতেই তাদের নিরঙ্কুশ অধিকার কারন তারা নেতা। ভোগ করার অধিকার শুধুই তাদের।