নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানের আলোয় খুঁজি সপ্নের দ্বার, আগামী দিন সুধু সম্ভবনার......

হাবিব শরীফ

হাবিব শরীফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্প, পতিতা

০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩১

১,
রানু বাবা মায়ের খুব আদরের মেয়ে। বাবা আদর করে রুনু বলে ডাকে ছোট একটা ভাই আর বাবা মাকে নিয়ে তার সুখের পরিবার। কে জানতো এই সুখের পরিবারে নেমে আসবে কাল বৈশাখ এর ঝড়। রুনুর বাবা রহিম মিয়া সামান্য একজন ট্রাক ড্রাইবার। নিজে পড়াশুনা করেন নাই। তাই তিনি বুঝেন পড়াশুনা না করে কত বড় ভুল করেছেন।এজন্য ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা নিয়ে তিনি খুব যত্নবান। বড় মেয়ে রুনু নবম শ্রেনীতে পড়ে। মেয়েকে নিয়ে রহিম মিয়ার অনেক সপ্ন মেয়েকে ডাক্তারি পড়াবেন তাই নবম শ্রেনীতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি করান। আর রুনুও পড়াশুনায় খুব ভালো প্রতিবার প্রথম না হতে পারলেও দ্বিতীয় কিন্তু ঠিকই হবে। রুনুও বাবার সপ্নপূরন করতে চায়। তাই খুব মনযোগ দিয়ে পড়াশুনা করে। রুনুর মা জেবুন্নেসা খাতুন। রহিম মিয়া নিজের বৌকে আদর করে জেবু বলেই ডাকে। তার ( জেবুন্নেসা) রান্নার হাত খুব ভালো। রাতুল রুনুর ছোট ভাই বলেতে গেলে রাতুল এর মধ্যে রুনুর প্রান। রাতুল খুব মেধাবী কিন্তু পড়াশুনায় একটুও মন নেই। সারাদিন শুধু দুষ্টামি, তবুও সে সবার প্রিয়। রুনুর বাবা আজ খুব সকালে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে গেলেন, যাওয়ার সময় রুনুর মাকে বলে গেলেন আজ নাকি ফিরতে দেরি হবে। জেবুন্নেসা খাতুন স্বামীকে বিদায় দিয়ে নিজের কাজে মনযোগ দিলেন। রাতে প্রতিবেশীদের ডাকা ডাকিতে রুনুর মা ও রুনু বের হয়ে দেখলেন উঠানের মাঝখানে একটা খাটের মধ্যে রক্তমাখা মৃত লাশ পড়ে আছে। হঠাৎ করে রুনুর বুকের ভিতর কেমন জানি করে উঠলো, লাশটার সামনে গিয়ে সে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল। এতো তার বাবা, হঠাৎ করে ঝড় এসে তাদের পরিবারের সব সুখ যেন উড়িয়ে নিয়ে গেলো।স্বামীকে হারিয়ে জেবুন্নেসা খাতুনও মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লেন। রুনু কি করবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না, ছোট ভাই রাতুল, অসুস্থ মা। সব মিলিয়ে এক একটা মিনিট যেন এক একটা বছর মনে হচ্ছে তার কাছে। এই দিকে রুনুর পড়াশুনাও প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।সংসারে অভাব অনটন বেড়েই চলছে, রুনু ঠিক করলো সে একটা চাকরি করবে। পরিবারের অভাব সে আর সইতে পারলো না, কিন্তু সে কি চাকরি করবে? কে তাকে চাকরি দিবে? পাশের বাড়ীর ইদ্রিস চাচা রুনুর সামনে সে সুযোগ করে দিলেন। ইদ্রিস চাচা ঢাকায় থাকেন। ঢাকায় নাকি তার অনেক পরিচিত মানুষ, ইদ্রিস মিয়া রুনুর মাকে বুঝালেন যে শহরের বড় লোকের বাসায় তাকে (রুনু) কাজের সুযোগ করে দিবেন। তারা রুনুকে মেয়ের মত মনে করবে, চাইলে পড়াশুনারও সুযোগ দিবে। রুনু তো মহা খুশি সে তার বাবার সপ্ন পূরন করবে, ছোট ভাইকে পড়াশুনা করাবে। রুনুর মা প্রথমে রাজি না হলেও পরে ঠিকই রাজি হলেন। পরদিন চোখে অনেক সপ্ন নিয়ে ইদ্রিস চাচার সাথে রুনু বেরিয়ে পড়ে অজানা এক শহরের উদ্দেশ্যে।
২.
রাফিন এবং অভি দুজনে শহর এর একটা নাম করা স্কুল থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। তারা খুব ভালো বন্ধু, প্রতিদিন বিকালে একসাথে আড্ডা দেয়। এবার তাদের আড্ডা মূলকেন্দ্র বিন্দু হলো কিভাবে ছুটিটা কাটাবে, এই নিয়ে দুজনে খুব প্ল্যান করতে থাকে। থানার মোড়ের ঠিক উল্টো দিকে তারা আড্ডা দেয় তার পাশেই জুবিলি কলোনি নামে একটা জায়গা আছে। লোকে অবশ্য অন্য নামেও চিনে জায়গাটাকে কি নামে চিনে সেটা না হয় একটু পরেই জানা যাক।জয়গাটার কথা শহরের ছোট থেকে বড় সবাই জানে তেমনি রাফিন আর অভিরও অজানা নয়। জায়গাটার পাশে বসেই তারা আড্ডা দিচ্ছিলো। বিভিন্ন বিষয়ে তারা কথা বলছিলো হঠাৎ করে কথার মাঝখানে জুবলি কলোনির দিকে ইঙ্গিত করে রাফিন বলে উঠলো বুঝছিস অভি আমার অনেক দিনের ইচ্ছা এই জায়গাটার ভিতর যাবো। অভি ভাবলো রাফিন দুষ্টামি করছে, কিন্তু রাফিন এর মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝলো যে সে এই কথাটা দুষ্টামি করে বলেনি, অভি বললো দেখ রাফিন এই জায়গাটাতে ভালো মানুষ যায় না এটা একটা নোংরা জায়গা। এটাতে সব খারাপ মানুষদের আনাগোনা। অভির কথার জবাবে রাফিন বললো, কে বলে? ভালো মানুষ যায় না আমাদের কমিশনার সাহেব তো সাপ্তাহে দুইবার যায়। অভি বললো তাই বলে তুইও যাবি? রাফিন অন্য দিকে তাকিয়ে বললো হু যাবো আর এটাই আমার শেষ কথা। অভি বললো তুই যা আমি কিন্তু এসবের মাঝে নেই। রাফিন সোজা গলায় বললো দেখ অভি তুই আমার সাথে না থাকলেও আমি যাবো এই কথা বলে রাফিন উঠে চলে গেলো।
৩.
ইদ্রিস চাচা তার কথা রেখেছেন, বড় একটা বাড়ীতে রুনুর কাজের ব্যাবস্থা হয়েছে। রান্নার কাজ বলা চলে এই বাড়ীর কাজের মেয়ে রুনু এতেই সে খুশি, মাস শেষে যে টাকা পায় সেটা মা এ তার ছোট ভাইর জন্য পাঠিয়ে দেয়। কয়দিন ধরে ভাবছে সে আবার পড়াশুনা শুরু করবে তার বাড়ির মালিক ম্যাড়াম এর সাথে এই নিয়ে কথা বলবে। পাশেই একটা বালিকা বিদ্যালয় আছে সেটাতে ভর্তি করানোর জন্য ম্যাড়ামকে বলবে। ম্যাড়াম এর দেখাই পাওয়া যায়না আজকাল সারাদিন খুব ব্যাস্ত থাকে। তিনি শহরের একটা মহিলা সংস্থার সভানেত্রী, নারী আন্দলোন নিয়ে কাজ করেন।ম্যাড়াম এর এক ছেলে এক মেয়ে, মেয়ে তার স্বামীর সাথে বিদেশে থাকে। এই বাড়ীতে ম্যাড়াম এর ছেলে আর তার স্বামী। প্রতি শুক্রবারে ম্যাড়াম এর কোথাও না কোথাও দাওয়াত থাকে তেমনে আজও তার ব্যাতিক্রম নয় তবে আজ স্যার মানে তার স্বামী সহ দাওয়াতে গেলেন। ম্যাড়াম এর ছেলে আজ বাসায়, রুনু রান্না ঘরে তার কাজ করছে আর তার মায়ের কথা ভাবছে কতদিন মার সাথে তার দেখা হয়নি এবার সে ছুটি পেলে বাড়ীতে যাবে। হঠাৎ করে বাড়ীতে গিয়ে মাকে চমকে দিবে। এসব ভাবতে ভাবতে আচমকা সে অনুভব করলো কে যেন পিছন থেকে তাকে খুব শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো, হঠাৎ করে তার বুকের ধড়পড় বেড়ে গেলো ছাড়াবার জন্য চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না।এর পর যা হলো সবই রুনুর জন্য দুঃসপ্ন। ম্যাড়াম এর ছেলের কাছে ধর্ষিত হলো রুনু নরপশুটা যাওয়ার সময় তার হাতে ৫০০ টাকার কয়টা নোট ধরিয়ে দিয়ে গেলো।আর বলে গেলো রুনুর মুখটা যেয বন্ধ থাকে। রান্না ঘরে বসেই রুনু কাঁদতে লাগলো রাগে ক্ষোভে টাকা গুলো সে ছিড়ে ফেলে দিলো। কি করবে সে (রুনু) কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা, এভাবে কয়েকদিন কেটে গেলো ভাবলো এখান থেকে সে চলে যাবে, কিন্তু সে কোথায় যাবে। এই শহরে তো যাওয়ার মত তার কোথাও কোন যায়গা নেই। পরিস্থিতির শিকার হয়ে চুপ করে সব সহ্য করে নিলো। রুনুর মনের মনের অবস্থাটা এখন আগের থেকে ভালো এর মাঝে বাড়ী থেকে ঘুরে আসলো বাড়ীতে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে শুধু কাঁদছে আর কিছুই বলতে পারেনি। জেবুন্নেসা খাতুনও ভাবছে হয়তো অনেকদিন দেখা হয়নি তাই মেয়েটা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। শহরে এসে সে আবার নিজের কাজে মনযোগ দিলো ম্যাড়াম এর ছেলে থেকে সে সব সময় দূরত্ব বজায় রাখে খুব প্রয়োজন ছাড়া সামনে যায় না। আজ হঠাৎ করে গ্রামের বাড়ী থেকে একটা ফোন আসলো ম্যাড়াম এর ম্যাড়ামকে নাকি গ্রামের বাড়ীতে যেতে হবে। ম্যাড়াম তার ছেলেকে নিয়ে গ্রামের বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন যাওয়ার সময় রুনুকে সব বুঝিয়ে দিলেন এবং বলে গেলেন তার নাকি ফিরতে দেরি হবে রুনুকে ম্যাড়াম এর স্বামীর খেয়াল রাখার জন্য বললেন। রুনু আজ তেমন কাজ করে নাই বাসায় শুধু একজনের জন্য রান্না আর সামান্য হাতের কাজ। রাতে রুনু তার ঘরের দরজা আটকে ঘুমায় বলা তো যায়না ঐ নরপশুটা(ম্যাড়াম এর ছেলে) কখন এসে পড়ে কিন্তু আজ বাসায় ও নেই তাই দরজা লাগানোর প্রয়োজন মনে করে নাই। সবে বিছানায় ঘুমাতে গেলো আজকাল আর রুনুর ঠিকমতন ঘুমটাও হয় না মাথার মধ্যে হাজারো চিন্তা ঘুরপাক করে। চিন্তা করতে করতে তার যখন সে ঘুমের সাগরে পাড়ি জমালো।ঘুমের মধ্যেই সে টের পেলো তার শরীরে কি যেন একটা ভর করে আছে চোখ খুলেই সে চিৎকার করতে চাইলো কিন্তু ঐ মানুষ রুপি পশুটা তার মুখ চেপে ধরলো।যে মানুষটা কে সে বাবার মত মনে করতো সেই মানুষটার হাতে রুনু আজ.........!
অতঃপর ২য় বারের মত ধর্ষন রুনু এভাবে ম্যাড়াম যতদিন গ্রামে ছিলো ততদিন পশুটা তার উপর অত্যাচার করেছে। কথায় আছে অল্প শোকে কাতর অধিক শোকে পাথর রুনুর অবস্থাটা এখন তেমন। এবার সে আর চুপ করে থাকবে না সে এর প্রতিবাদ করবেই ম্যাড়াম আসলে তাকে সব বলবে। ম্যাড়াম যে তার ছেলে এবং তার স্বামী থেকেও ভয়ংকর সেটা রুনুর জানা ছিলো না যেন একটা আস্ত ডাইনি রুনুকে তারা সবাই শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে বাড়ী থেকে বের করে দিলো যাকে বলে হিতে বিপরিত। পাশের বাসার রেশমার সাথে রুনুর আগে থেকে পরিচয় ছিলো কিন্তু রেশমা আর সে বাসায় এখন থাকে না অনেক কষ্টে তার ঠিকানা জোগাড় করলো এখন রুনুর আশ্রয় একমাত্র রেশমা। রেশমা সব জানতে পেরে রুনুর পাশে দাড়ালো এবং রুনুকে সাহস দিতে লাগলো তার সাথে গার্মেন্টসে চাকরি পাইয়ে দিলো। সব ভুলে রুনু তার নতুন জীবন শুরু করতে লাগলো। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রুনুর সুখটা বেশিদিন থাকলো না। হঠাৎ করে একদিন রেশমার স্বামীর ফোন আসলো রেশমা নাকি অনেক অসুস্থ রুনু তাড়াতাড়ি রেশমাকে দেখতে তার বাড়ী ছুটে গেলো। নক করতে রেশমার স্বামী দরজা খুলে দিলো। ভিতরে ঢুকে রুনু তো অবাক বাসা পুরা খালি কেউ বাসায় নেই রেশমার স্বামীর কাছে রেশমার কথা জানতে চাইলো রুনু। রেশমার স্বামী কুৎসিত একটা হাসি দিয়ে বললো রেশমা তো গ্রামের বাড়ীতে গেছে তাই তোমাকে আসতে বলছি। রুনু কিছু বুঝে উঠার আগেই রেশমার স্বামী তার উপর ঝাপিয়ে পড়লো আবার শ্লীলতাহানীর শিকার রুনু হঠাৎ করে দরজা টোকা পড়লো চমকে উঠলো তারা দুজন দরজা খুলেই দেখলো বাহিরে রেশমা দাড়িয়ে ভিতরে রুনুকে দেখেই তার বুঝতে কিছুই বাকি রইলো না, রুনুও কিছু বলে উঠার আগে রেশমা তাকে আশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে বের করে দিলো। রুনু আজ অসহায় মনে মনে ঠিক করলো সে আত্মহত্যা করবে। পরক্ষনে তার মা ছোট ভাই রাতুল এর মুখটা ভেসে উঠলো তার চোখের সামনে। আত্মহত্যাও করতে পারলো না সে। রুনু আজ আসহায় এই সমাজ তার কাছে ঘৃনিত।এই সমাজের সবাই তার কাছে মানুষ রুপি পশু।
৪.
আজ রাফিন এর খুব ফুরফুরে মেজাজে আছে কারন তার আজকে নতুন একটা অভিজ্ঞতা হবে,সে আজ নিষিদ্ধ জায়গা জুবলি কলোনি যাবে আর এই জায়গাটাই হচ্ছে মুখোশপরা ভদ্রলোকদের বিনদোনের জায়গা। সবাই একে পতিতালয় হিসেবে চেনে পতিতা কি সেটা মনেহয় আর ব্যাখ্যা করার দরকার নেই।রাফিন অবশ্য একাই যাচ্ছে কারন অভি যেতে রাজি হয়নি। রাফিন এর মধ্যে আলাদা একটা উত্তেজনা কাজ করছে, মনে মনে ঠিক করলো সে যে মেয়েটার কাছে যাবে প্রথমে কি দিয়ে শুরু করবে নাম জিজ্ঞেস করা যায় প্রথমে, তার পর কিছুক্ষন গল্প করবে এর পর না হয় অন্য কিছু...........।জুবলি কলোনির ভিতরে ঢুকেই রাফিন অবাক হলো কেমন করে ইশারায় মেয়ে গুলো তাকে ডাকছে কিন্তু অনেক দূরে একটা মেয়ে চুপ করে দাড়িয়ে আছে কৌতুহল সহকারে রাফিন ঐ মেয়ের কাছেই গেলো যথারীতি মেয়েটার রুমে ঢুকলো। মেয়েটা এমন ভাবে রাফিন এর দিকে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে যেন সে রাফিনকে দেখে অবাক হলো।অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা কারন এখানে সবাই তাকে দেখে একদম চমকে গেছে আর মেয়েটা বাকি থাকবে কেন। রাফিন এর কৌতুহল বেড়ে গেলো সে প্রথমে মেয়েটার জানতে চাইলো। মেয়েটা কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বলে উঠলো রুনু....।
রাফিন কৌতুহল সহকারে আরো জানতে চাইলো যে সে এখানে কেন আসলো? কিভাবে আসলো? রুনু বলতে শুরু করলো গ্রামের সহজ সরল মেধাবী মেয়েটা কিভাবে এই শহরের পতিতা হয়ে উঠলো।কিভাবে একটা মেয়ে এই শহরের মানুষ রুপি জানোয়ারদের শিকার হয়ে আজ তার স্থান হলো জুবিলি কোলোনিতে।সব শুনে রাফিনের চোখ থেকে দু ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো নিচে, তারা দুজনে চুপ করে বসে রইলো দরজা টোকা পড়তে রাফিন এর হুঁশ ফিরে এলো বাহির থেকে কে বলো উঠলো আপনার সময় শেষ।
রাফিন বের হয়ে চলে আসলো এবং সে অনুভব করতে লাগলে একটা পরিবর্তনের একটু আগে যে মেয়েটাকে সে সাধারন পতিতা হিসেবে জানতো সে মেয়েটাকে এখন তার অনেক আপন মনে হতে লাগলো রাতুল এর জায়গাতে সে নিজেকে দেখতে পেলো।সে আর দেরি করতে চাইলো না তাড়াতাড়ি অভির কাছে যেতে হবে যেভাবে হোক রুনুকে এখান থেকে বের করতে হবে।
শেষ কথাঃ
রেশমার স্বামীর কাছে নির্যাতন এর শিকার হওয়ার পর কিভাবে রুনু কিভাবে এই পতিতালয়ের বাসিন্দা হলো? সবার মনে হয়তো এই প্রশ্নটা ঘুরপাক খাচ্ছে।
রেশমার স্বামীর কাছে নির্যাতন হওয়ার পর সবাই তাকে খারাপ মেয়ে বলে গার্মেন্টস থেকে বের করে দিলো। হয়তো অনেক জায়গাতে চাকরি খুঁজে পেলনা। অথবা অন্য কোন অজ্ঞাত কারনে জীবিকার জন্য এই পথে পা বাড়ালো........।
উৎসর্গ
আমাদের দেশের অন্ধকার জগতের রুনুদেরকে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৪

কালীদাস বলেছেন: লেখাটা আপনার নিজের? আগেও তো দেখেছি বলে মনে হচ্ছে।

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

হাবিব শরীফ বলেছেন: লিখাটা আমার, এর আগে এটা ফেসবুকে দেওয়া হইছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.