নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানবতাবাদী

মোঃ হাবিবুল্লাহ

আমি মানবতাবাদে বিশ্বাসী

মোঃ হাবিবুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছায়ামূর্তি

০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:২৮


আমরা প্রতিদিন সবকিছুকে overtake করে সামনে যেতে চাই, কোন দিন জানতে চাইনি সামনে কি আছে, আসলে সামনে আছে এক ভয়ংকর পরিণতি, যা অল্প সামনে অথবা সামনাসামনি...... যার নাম মৃত্যু অথবা অপমৃত্যু, তেমনি একটা অধ্যায় এইখানে তুলে ধরা হল........

এই অধ্যায়টা এক হতাসগ্রস্হ যন্ত্রণা যুক্ত জীবন থেকে ওঠে আসা। তা অনুসরণ করতে যাবেন না। অনুসরণ করলে হয়ত ছায়ামূর্তি আপনার পিছু নেবে।

মূল অধ্যায় :....

রাত গভীর তমসাচ্ছন্ন, রক্ত জমাট বাধানো বাতাস, শরীরের স্নায়ু টান টান।
হাতে মদের গ্লাস। পরিবেশ সময়ের প্রতিকূল, তার মাঝে বাড়ির ছাদে লোকটি একা একা কার সাথে কথা বলে যাচ্ছে হয়ত বা কথা নয় মাতালের প্রলাপ।

লোকটি: কে এখানে ? কথা বলছেন না কেন?
(কোন সাড়াশব্দ নেই, বিদঘুটে কালো পা বিহীন একটা ছায়ামূর্তি সামনের দিকে আসতে লাগল ও কালো রংটা ঘন হতে থাকল।)

ছায়ামূর্তি: আমি।

লোকটি : আমি কে।

ছায়ামূর্তি: তুমি কে তা আমি কি করে বলব।

লোকটি: আমি আমার কথা বলছি না, তোমার কথা বলছি।

ছায়ামূর্তি: আমি তোমার মতো একজন, তবে একটু অন্য রকম ও উপরে।

লোকটি : অন্য রকম কি রকম?

ছায়ামূর্তি: আমার কথা বাদ দাও, তোমার কথা বল তোমার হাতে সময় কম। অল্প সময় বাদে ভোর হবে পরে আর বলতে পারবেনা।

লোকটি: এইতো দেখতে পাচ্ছ সারাদিন অফিসের কাজ শেষ করে এইখানে আসলাম।

ছায়ামূর্তি: তা তো দেখতেই পাচ্ছি, হাতে মদের গ্লাস, এইভাবে মদ খাও তোমার অসুখ হয়ত না?

ছায়ামূর্তি: কি যে বল তুমি, মদ খেলে কখনো অসুখ হয় না, অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যা।

ছায়ামূর্তি: তোমাদের ধর্মে মদ খাওয়া তো মানা।

লোকটি: ধর্মতো অনেক কথাই বলে, তুমি ধর্মকে নিয়ে টানছো কেন?

ছায়ামূর্তি: ধর্মের বিধিনিষেধ মেনে চলা ভাল।

লোকটি: আমি ধর্ম মানি না।

ছায়ামূর্তি: কেন?

লোকটি: ধর্মের বিধিনিষেধ আমার সুখ শান্তিতে বিগ্ন ঘটায়।

ছায়ামূর্তি: তোমার বয়স কত?

লোকটি: চল্লিশ হবে।

ছায়ামূর্তি: এই চল্লিশ পেরিয়ে ধর্মের বিধিনিষেধ না মেনে তকটুক সুখ শান্তি পেয়েছ?

লোকটি : আমি কোন দিন সুখ শান্তি পাইনি।

ছায়ামূর্তি: ঠিক তাই, আর কোন দিন পাবেও না। তুমি যত সুখের দিকে পা বাড়াবে সুখ তত তোমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে হয়ে যাবে মরিচিকা।
প্রত্যেকটা মুহূর্ত হয়ে উঠবে চরম বিভিষিখাময় আর তুমি আক্রান্ত হবে মারাত্মক এক সাইকোপ্যাথি ও সিজোফ্রেনিয়াতে। তখন তুমি হয়ে উঠবে এক ভয়ংকর পাগল।

লোকটি: আমিতো সব সময় সুখময় জীবনের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি, সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে সব Overtake করে, ছোটবেলা থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে আসছি। কেরিয়ার ভাল গড়েছি, তারপরও সুখ আমাকে ধরা দেয়না।

ছায়ামূর্তি: তা আমি জানি, তুমি চল্লিশ পেরিয়ে সুখ খুজে পাও নি অার কোন দিন পাবেও না। এই জরাগ্রস্ত গ্রহে সুখ থাকেনা, শুধু থাকে সুখের মরীচিকা। তুমি যখন প্রচন্ড অসুখী অনুভব কর তখন কত কি না কর, মদের বোতলে নিজেকে ডুবিয়ে দাও, তা কি ঠিক, এতে কি সুখ আসে, আসেনা। নিজের বউকে রেখে বেশ্যাপল্লিতে ডুব দিয়েছ, বেশ্যার ভিতরে নিজের ভুবন তৈরি করেছ তাতেও সুখ আসেনি।

লোকটি: আমার বেশ্যাপল্লির কথা তুমি কিভাবে জান?
ছায়ামূর্তি: তোমার সব কথা আমার জানতে হয়, অামি যে তোমার খুব কাছের কেউ।

লোকটি: তুমিও কি আমার মতো অসুখী?

ছায়ামূর্তি: না আমি প্রচন্ড রকম সুখি।তুমি কি আমার মতো সুখি হবে?

লোকটি: কিভাবে হবে?

ছায়ামূর্তি: হাতে মদের গ্লাস নয়, মদের বোতল তুলে নাও আর লম্বা করে চুমুক দাও।তোমার সমস্ত রক্ত কণায় মদের উপাদান বাড়িয়ে দাও পাকস্থলীর মাধ্যমে ।কি হলো মদের বোতল হাতে তুলে নাও।

লোকটি: এত বেশি মদ আমি সহ্য করতে পারি না।তারপরও আর অল্প নিচ্ছি।

ছায়ামূর্তি: ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করো আর তোমার অতিথের কথা ভাবো। সুখের আসায় তোমার কষ্টের কথা ভাবো। চোখ বন্ধ রাখো, খুব ধীরে ধীরে.....ধীরে ধীরে নিচের দিকে ঝাঁপ দাও এবং উপরে চলে আসো।

লোকটি: তাহলে তো আমি মরে যাব। আমার জীবন চলে যাবে।

ছায়ামূর্তি: জীবন রেখে লাভ কি? মদপান করেতো জীবন যাচ্ছেই খুব ধীরে ধীরে মদ তোমাকে গ্রাস করছে, তুমি ভাবছো তুমি মদকে গ্রাস করছো তা নয়, তুমি ভাবছো বেশ্যাপল্লিতে ডুব দিয়ে তোমার বউয়ের সাথে, সমাজের সাথে প্রতারণা করছো তা ভুল তোমার আড়ালে তারাও তোমার সাথে প্রতারণা করছে। তুমি নিচে ঝাঁপ দাও।তোমার জীবন যাবে না, তুমি নতুন জীবন পাবে, যেখানে কষ্ট নেই, প্রতারণা নেই, কান্না নেই, মদ নেই, লিভার ক্যানসার নেই, শুধু বাতাসে ভাসবে আজীবন, একবার
ঝাপ দিয়ে শুরু করো তারপর আর শেষ হবে না। ঝাঁপ দাও............
.........................
ছায়ামূর্তি: কি খুব কষ্ট হচ্ছে? খুব
রক্তপাত হচ্ছে, কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষ করো সব ঠিক হয়ে যাবে।

লোকটি : ঝাপ দেওয়ার সময় অল্প কষ্ট হয়েছিল এখন আর হচ্ছে না।

ছায়ামূর্তি: চলো উপরে চলো।

লোকটি: চলো।

ছায়ামূর্তি: দেখো তো আমাকে চিনতো পারো কি না?

লোকটি: জী, এখন চিনতে পেরেছি। তুমি আমার সেই বন্ধু যে Ms এ পড়ার সময় লিফটে একা আটকা পড়ে গিয়েছিলে আর সেখানেই তোমার শ্বাসরুদ্ধ মৃত্যু হয়।

ছায়ামূর্তি: তাহলে তোমার সব মনে পড়েছে।

লোকটি: তুমিতো মৃত, এইখানে আসলে কিভাবে?

ছায়ামূর্তি: কেন মৃত মানুষেরা কি আসতে পারে না?

লোকটি: জানিনা, তুমি মরে যাবার পর তোমার কাছ থেকে উদ্ধার করা ভার্সিটির ব্যাগ, লেকচার পেপার ও তোমার প্রিয় ডাইরিটা আমার কাছে রেখে দিয়েছি। তুমি অপেক্ষা করো, আমি নিয়ে আসছি।

ছায়ামূর্তি: দাড়াও, আনতে হবে না।

লোকটি: কেন ? আমি অনেক যত্ন করে রেখেছি।

ছায়ামূর্তি: তুমি আর কোন কিছু হাতে দিয়ে ধরতে পারবেনা।

লোকটি: কেন?

ছায়ামূর্তি: তুমি আমার মতো ছায়ামূর্তি হয়ে গেছো।

লোকটি: তা কি করে হতে পারে?

ছায়ামূর্তি: বিশ্বাস না হলে আবার নিচে চলো। দেখ তোমার শরীরটা কি ভাবে নিথর ভাবে লুটিয়ে পড়ে আছে আর তুমি এইখানে দাড়িয়ে আছো।

লোকটি: তাইতো দেখছি।

ছায়ামূর্তি: এখন তুমিও আমার মতো ছায়ামূর্তি, তাইতো তুমি আমাকে চিনতে পেরেছো।আজ থেকে তোমার কষ্টের জীবন শেষ। তুমি আর আমি আজীবন ভাসব শূন্যে।

আমরা প্রতিদিন সবকিছুকে overtake করে সামনে যেতে চাই, কোন দিন জানতে চাইনি সামনে কি আছে, আসলে সামনে আছে এক ভয়ংকর পরিণতি, যা অল্প সামনে অথবা সামনাসামনি...... যার নাম মৃত্যু অথবা অপমৃত্যু, তেমনি একটা অধ্যায় এইখানে তুলে ধরা হল........

এই অধ্যায়টা এক হতাসগ্রস্হ যন্ত্রণা যুক্ত জীবন থেকে ওঠে আসা। তা অনুসরণ করতে যাবেন না। অনুসরণ করলে হয়ত ছায়ামূর্তি আপনার পিছু নেবে।

মূল অধ্যায় :....

রাত গভীর তমসাচ্ছন্ন, রক্ত জমাট বাধানো বাতাস, শরীরের স্নায়ু টান টান।
হাতে মদের গ্লাস। পরিবেশ সময়ের প্রতিকূল, তার মাঝে বাড়ির ছাদে লোকটি একা একা কার সাথে কথা বলে যাচ্ছে হয়ত বা কথা নয় মাতালের প্রলাপ।

লোকটি: কে এখানে ? কথা বলছেন না কেন?
(কোন সাড়াশব্দ নেই, বিদঘুটে কালো পা বিহীন একটা ছায়ামূর্তি সামনের দিকে আসতে লাগল ও কালো রংটা ঘন হতে থাকল।)

ছায়ামূর্তি: আমি।

লোকটি : আমি কে।

ছায়ামূর্তি: তুমি কে তা আমি কি করে বলব।

লোকটি: আমি আমার কথা বলছি না, তোমার কথা বলছি।

ছায়ামূর্তি: আমি তোমার মতো একজন, তবে একটু অন্য রকম ও উপরে।

লোকটি : অন্য রকম কি রকম?

ছায়ামূর্তি: আমার কথা বাদ দাও, তোমার কথা বল তোমার হাতে সময় কম। অল্প সময় বাদে ভোর হবে পরে আর বলতে পারবেনা।

লোকটি: এইতো দেখতে পাচ্ছ সারাদিন অফিসের কাজ শেষ করে এইখানে আসলাম।

ছায়ামূর্তি: তা তো দেখতেই পাচ্ছি, হাতে মদের গ্লাস, এইভাবে মদ খাও তোমার অসুখ হয়ত না?

ছায়ামূর্তি: কি যে বল তুমি, মদ খেলে কখনো অসুখ হয় না, অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যা।

ছায়ামূর্তি: তোমাদের ধর্মে মদ খাওয়া তো মানা।

লোকটি: ধর্মতো অনেক কথাই বলে, তুমি ধর্মকে নিয়ে টানছো কেন?

ছায়ামূর্তি: ধর্মের বিধিনিষেধ মেনে চলা ভাল।

লোকটি: আমি ধর্ম মানি না।

ছায়ামূর্তি: কেন?

লোকটি: ধর্মের বিধিনিষেধ আমার সুখ শান্তিতে বিগ্ন ঘটায়।

ছায়ামূর্তি: তোমার বয়স কত?

লোকটি: চল্লিশ হবে।

ছায়ামূর্তি: এই চল্লিশ পেরিয়ে ধর্মের বিধিনিষেধ না মেনে তকটুক সুখ শান্তি পেয়েছ?

লোকটি : আমি কোন দিন সুখ শান্তি পাইনি।

ছায়ামূর্তি: ঠিক তাই, আর কোন দিন পাবেও না। তুমি যত সুখের দিকে পা বাড়াবে সুখ তত তোমার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে হয়ে যাবে মরিচিকা।
প্রত্যেকটা মুহূর্ত হয়ে উঠবে চরম বিভিষিখাময় আর তুমি আক্রান্ত হবে মারাত্মক এক সাইকোপ্যাথি ও সিজোফ্রেনিয়াতে। তখন তুমি হয়ে উঠবে এক ভয়ংকর পাগল।

লোকটি: আমিতো সব সময় সুখময় জীবনের জন্য পরিশ্রম করে যাচ্ছি, সব সময় সামনের দিকে এগিয়ে সব Overtake করে, ছোটবেলা থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে আসছি। কেরিয়ার ভাল গড়েছি, তারপরও সুখ আমাকে ধরা দেয়না।

ছায়ামূর্তি: তা আমি জানি, তুমি চল্লিশ পেরিয়ে সুখ খুজে পাও নি অার কোন দিন পাবেও না। এই জরাগ্রস্ত গ্রহে সুখ থাকেনা, শুধু থাকে সুখের মরীচিকা। তুমি যখন প্রচন্ড অসুখী অনুভব কর তখন কত কি না কর, মদের বোতলে নিজেকে ডুবিয়ে দাও, তা কি ঠিক, এতে কি সুখ আসে, আসেনা। নিজের বউকে রেখে বেশ্যাপল্লিতে ডুব দিয়েছ, বেশ্যার ভিতরে নিজের ভুবন তৈরি করেছ তাতেও সুখ আসেনি।

লোকটি: আমার বেশ্যাপল্লির কথা তুমি কিভাবে জান?
ছায়ামূর্তি: তোমার সব কথা আমার জানতে হয়, অামি যে তোমার খুব কাছের কেউ।

লোকটি: তুমিও কি আমার মতো অসুখী?

ছায়ামূর্তি: না আমি প্রচন্ড রকম সুখি।তুমি কি আমার মতো সুখি হবে?

লোকটি: কিভাবে হবে?

ছায়ামূর্তি: হাতে মদের গ্লাস নয়, মদের বোতল তুলে নাও আর লম্বা করে চুমুক দাও।তোমার সমস্ত রক্ত কণায় মদের উপাদান বাড়িয়ে দাও পাকস্থলীর মাধ্যমে ।কি হলো মদের বোতল হাতে তুলে নাও।

লোকটি: এত বেশি মদ আমি সহ্য করতে পারি না।তারপরও আর অল্প নিচ্ছি।

ছায়ামূর্তি: ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করো আর তোমার অতিথের কথা ভাবো। সুখের আসায় তোমার কষ্টের কথা ভাবো। চোখ বন্ধ রাখো, খুব ধীরে ধীরে.....ধীরে ধীরে নিচের দিকে ঝাঁপ দাও এবং উপরে চলে আসো।

লোকটি: তাহলে তো আমি মরে যাব। আমার জীবন চলে যাবে।

ছায়ামূর্তি: জীবন রেখে লাভ কি? মদপান করেতো জীবন যাচ্ছেই খুব ধীরে ধীরে মদ তোমাকে গ্রাস করছে, তুমি ভাবছো তুমি মদকে গ্রাস করছো তা নয়, তুমি ভাবছো বেশ্যাপল্লিতে ডুব দিয়ে তোমার বউয়ের সাথে, সমাজের সাথে প্রতারণা করছো তা ভুল তোমার আড়ালে তারাও তোমার সাথে প্রতারণা করছে। তুমি নিচে ঝাঁপ দাও।তোমার জীবন যাবে না, তুমি নতুন জীবন পাবে, যেখানে কষ্ট নেই, প্রতারণা নেই, কান্না নেই, মদ নেই, লিভার ক্যানসার নেই, শুধু বাতাসে ভাসবে আজীবন, একবার
ঝাপ দিয়ে শুরু করো তারপর আর শেষ হবে না। ঝাঁপ দাও............
.........................
ছায়ামূর্তি: কি খুব কষ্ট হচ্ছে? খুব
রক্তপাত হচ্ছে, কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষ করো সব ঠিক হয়ে যাবে।

লোকটি : ঝাপ দেওয়ার সময় অল্প কষ্ট হয়েছিল এখন আর হচ্ছে না।

ছায়ামূর্তি: চলো উপরে চলো।

লোকটি: চলো।

ছায়ামূর্তি: দেখো তো আমাকে চিনতো পারো কি না?

লোকটি: জী, এখন চিনতে পেরেছি। তুমি আমার সেই বন্ধু যে Ms এ পড়ার সময় লিফটে একা আটকা পড়ে গিয়েছিলে আর সেখানেই তোমার শ্বাসরুদ্ধ মৃত্যু হয়।

ছায়ামূর্তি: তাহলে তোমার সব মনে পড়েছে।

লোকটি: তুমিতো মৃত, এইখানে আসলে কিভাবে?

ছায়ামূর্তি: কেন মৃত মানুষেরা কি আসতে পারে না?

লোকটি: জানিনা, তুমি মরে যাবার পর তোমার কাছ থেকে উদ্ধার করা ভার্সিটির ব্যাগ, লেকচার পেপার ও তোমার প্রিয় ডাইরিটা আমার কাছে রেখে দিয়েছি। তুমি অপেক্ষা করো, আমি নিয়ে আসছি।

ছায়ামূর্তি: দাড়াও, আনতে হবে না।

লোকটি: কেন ? আমি অনেক যত্ন করে রেখেছি।

ছায়ামূর্তি: তুমি আর কোন কিছু হাতে দিয়ে ধরতে পারবেনা।

লোকটি: কেন?

ছায়ামূর্তি: তুমি আমার মতো ছায়ামূর্তি হয়ে গেছো।

লোকটি: তা কি করে হতে পারে?

ছায়ামূর্তি: বিশ্বাস না হলে আবার নিচে চলো। দেখ তোমার শরীরটা কি ভাবে নিথর ভাবে লুটিয়ে পড়ে আছে আর তুমি এইখানে দাড়িয়ে আছো।

লোকটি: তাইতো দেখছি।

ছায়ামূর্তি: এখন তুমিও আমার মতো ছায়ামূর্তি, তাইতো তুমি আমাকে চিনতে পেরেছো।আজ থেকে তোমার কষ্টের জীবন শেষ। তুমি আর আমি আজীবন ভাসব শূন্যে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল লেখাটি।
++++

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৩২

মোঃ হাবিবুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.