![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাংবাদিক, শিক্ষক, ফিচার ও প্রবন্ধ লেখক।
প্রত্যেক জাতীর আশা-আকাঙ্খাক্ষার মূর্ত প্রতীক তার স্বাধীনতা। কারণ, স্বাধীনতা হীনতায় কেউ বাঁচতে চায় না। কিন্তু যুগ-যুগ ধরে বাঙালি জাতী পরাধীন ছিল। পরাধীন শাসনে বাঙালি জাতী হয়েছে নিষ্পেষিত। বিভিন্ন শ্রেণির শাসকগোষ্ঠী এ বঙ্গীয় নামের জনপদ শাসন-শোষণ করেছে। কিন্তু কারো কাছে মাথা নত করে থাকা বাঙালির স্বভাব নয়। তাই পরাধীন শৃঙ্খল ভাঙতে অতিতে আমাদের বীর সন্তানরা লড়াই করেছে; সংগ্রাম করেছে প্রিয় স্বাধীনতার জন্য।
বাঙালির অতীতে গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে। সেই খুদিরাম, তিতুমীর, সিরাজউদ্দৌলা থেকে শেখ মুজিব পর্যন্ত সকলে বাঙালি জাতীর গর্ব, অহঙ্কার। বাঙালি বীরের জাতী। কবি সুকান্ত লিখেছেন “শাবাশ বাংলাদেশ, এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে-পুড়ে ছারখার তবুও মাথা নোয়ানোর নয়” সত্যিই বাঙালি জাতী একাত্তরে মাথা নোয়ায়নি। কারণ, শাসন-শোষণে থাকা বাঙালি জাতীর স্বভাববিরুদ্ধ। তাই একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে গোটা বাঙালি জাতী জেগে উঠেছিল বিজাতীয় শাসক-শোষকের বিরুদ্ধে। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে জাতী মরণপণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। একাত্তরে বাঙালি যে শৌর্য-বীর্যের ইতিহাস রচনা করেছে, তা চিরজাগরূক থাকবে ইতিহাসের পাতায় অনাদিকাল। ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মহান বীজয় দিবস। আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ, এই দিনেই বীজয় হয়েছিল আমাদের এই দেশ। তাই এই দিনটির জন্য জাতীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে যুগ-যুগ ধরে। একাত্তর সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন বাঙালি জাতীর গৌরবময় স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিংসবাদিত নেতা। মূলত তার নেতৃত্বেই বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি বঙ্গবন্ধু থেকে জাতীর পিতা অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু পশ্চিম পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকলেও পরবর্তী ৯ মাস তারই আদর্শিক নেতৃত্বে বীর বাঙালি যুদ্ধ করে। ১৬ ডিসেম্বর ৯৩ হাজার সৈন্য নিয়ে পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা পায়।
স্বাধীনতা মানে আত্মমর্যাদা। আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকা। সব ধরনের অনাচার, বৈষম্য, শোষণ ও নির্যাতনের বিপরীতে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার, সুষম বণ্টন, অর্থনৈতিক মুক্তি, মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা। এগুলোই আমাদের আত্মমর্যাদা ও একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। একটি স্বাধীন জাতী আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, পরাধীন জাতীর কখনো আত্মমর্যাদা থাকে না এবং আত্মমর্যাদা নিয়ে বেঁচে থাকতেও পারে না। এক সময় দিল্লির স¤্রাট পঞ্চম জজ ভারতের কংগ্রেস নেতা গোখেলকে একটি প্রশ্ন করেছিলেন- তোমরা স্বাধীনতা চাও কেন? গোখেল সঙ্গে-সঙ্গে উত্তর দিলেন- আমরা স্বাধীন হয়ে আত্মমর্যাদা ফিরে পাব। স¤্রাট পাল্টা প্রশ্ন করলেন- তোমাদের আত্মমর্যাদা কী করে হবে? কারণ, তোমরা তোমাদের নারীদের যে অধস্তন অবস্থায় রেখেছ তাতে তোমরা স্বাধীন হলেও আত্মমর্যাদা ফিরে পাবে না। গোখেল তখন সরাসরি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে স্বাধীনতার সঙ্গে আত্মমর্যাদার সম্পর্ক যে অতি ঘনিষ্ঠ তা বলার চেষ্টা করেন। প্রকৃতপক্ষেই স্বাধীনতা না থাকলে কোনো জাতীর আত্মমর্যাদা থাকে না। তবে স¤্রাট পঞ্চম জজ নারীদের ব্যাপারে যে ইঙ্গিত করেছিলেন সে ক্ষেত্রে নারীদের যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। নারী শিক্ষার প্রসার ও ক্ষমতায়ন হলেও তারা এখনো বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে যৌতুক, ধর্ষণ এখনো বন্ধ হয়নি। ফলে নারীর মর্যাদা ও সম্মানজনক অবস্থা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। তবে এ ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সচেতন। নারী ধর্ষণ, নির্যাতন এগুলোর ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
শুধু গোখেলের দৃষ্টিতেই নয়, পাকিস্তানি আমলেও আমাদের স্বপ্ন ছিল আমরা স্বাধীন হলে আত্মমর্যাদাশীল জাতী হিসেবে বিশ্বের বুকে পরিচিতি অর্জন করব। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কতগুলো লক্ষ্য-উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ, যেখানে ধর্মীয় কোনো বিভাজন বা বিদ্বেষ থাকবে না। বাংলাদেশের পরিচয় হবে বহির্বিশ্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; যা হাজার বছরের বাঙালির ঐতিহ্য। আমাদের লক্ষ্য ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত। শোষণমুক্ত সমাজ, ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ ও সমতাভিত্তিক একটি সমাজ। সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। উল্লেখযোগ্য এ আদর্শগুলোকে সামনে রেখে একাত্তরে এ দেশের মুক্তিপাগল জনতা এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়ে জয়ী হয়। জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি না এলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়ে। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ শেষ করেন এই কথা দিয়ে “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” মূলত বঙ্গবন্ধু এদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বর্তমানে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে এবং বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পূর্ণ হলো। এই ৪৬ বছরে আমাদের অর্জন একেবারে কম নয়। কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, নারী শিক্ষার প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন সারা বিশ্বে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নের অংশীদার। কিন্তু নারীদের পথচলা এখনো সুগম হয়নি। ঘরে-বাইরে কোথাও নারীরা নিরাপদ নয়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ বেড়েই চলেছে। নারী নির্যাতন রোধে দ্রুত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই। যে নারী আজ ক্রীড়াঙ্গন, এভারেস্ট জয় করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করছে, তাদের জীবনের নিরাপত্তা আজ যেকোনো মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। তাদের জীবনের পূর্ণ নিরাপত্তা ও চলার পথ সুগম করতে পারলে দেশের উন্নয়ন দ্রুত ত্বরান্বিত হবে।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক ও অভিন্ন। মুক্তিযুদ্ধের প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার মধ্যে আমরা ইতোমধ্যেই অনেক কিছু অর্জন করেছি। স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নসহ মানুষের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আর মঙ্গাপীড়িত দেশ বা তলাবিহীন ঝুড়ি নয়; বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে সমাদৃত। প্রবাসী অর্থ অর্জনে পোশাকশিল্প বাংলাদেশের ভাগ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত। অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭ শতাংশের ওপর প্রবৃত্তি অর্জনের পথে বাংলাদেশ। সমুদ্র বিজয়, ছিটমহল সমস্যার সমাধান, গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে বড়-বড় প্রকল্পের বাস্তবায়ন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সাফল্য দৃশ্যমান। মূলত আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নি¤œমধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের পথে। আগামী ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা। তা বাস্তবায়নে প্রয়োজন অবশ্যই সর্বক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন ব্যবস্থা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
প্রকৃত অর্থেই বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। পৃথিবীর সেরা উর্বর মাটি রয়েছে এ দেশে, যে মাটিতে সোনা ফলে। সুজলা-সুফলা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। তাই যুগে-যুগে হায়েনারা এ কারণেই বাংলাকে তাদের নিজেদের অধিকারে রাখতে চেয়েছিল। আমাদের উর্বর মাটির উপরের অংশে একদিকে সোনা ফলে তথা বিচিত্র ফসলের সমাহার অন্যদিকে মাটির নিচে রয়েছে তেল, গ্যাস, কয়লাসহ নানা ধরনের খনিজসম্পদ। রয়েছে জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গর্বিত সেনাবাহিনী। মুসা ইব্রাহিম, নিশাত মজুমদারের মতো গর্বিত ছেলে-মেয়েরা হিমালয়ের পর্বত চূড়ায় আরোহণ করে অজয়কে জয় করে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বীরত্ব ও গৌরবের ইতিহাস রচনা করেছে এই দেশের। তাই বাংলাদেশ কোনো দিক থেকে আর পিছিয়ে নেই। উন্নতি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তবুও কিছু সমস্যা রয়েছে। স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি আমাদের উন্নতির পথে প্রধান শত্রু। সন্ত্রাসী-দুর্বৃত্ত চক্র লুটেরা আমাদের অর্থনীতির গতিকে মন্থর করছে। তাই দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের শৃঙ্খল ভাঙতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে সমতাভিত্তিক সমাজ। প্রান্তিক চাষি, হতদরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে হবে। কেননা বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হলেও এখনো দরিদ্র মানুষের সংখ্যা রয়েগিয়েছে। এই সংখ্যাকে শূন্যের কোঠায় নামাতে হবে। গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে হবে। বাংলাদেশকে প্রকৃত অর্থে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে। একাত্তরে লাখো শহীদের স্বপ্ন একটি উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সেই স্বপ্ন পূরণে সরকারের পাশাপাশি আমাদের অবশ্যই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কারণ, দুর্নীতিই উন্নতির পথে প্রধান বাধা। দুর্নীতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু এক ভাষণে বলেছিলেন, এ দেশের কৃষক, শ্রমিক তো দুর্নীতি করে না; দুর্নীতি করে শিক্ষিত মানুষরা। তিনি প্রকৃতপক্ষেই চেয়েছিলেন দেশের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তাই রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাজনীতিকে অবশ্যই জনকল্যাণমুখী হতে হবে। তাহলে এ দেশের কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যের পারিবর্তন ঘটবে। স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারবে ১৬ কোটি মানুষ। তাই আত্মবিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে আমাদের আরও এগোতে হবে।
ডিসেম্ব মাস বাঙালির বীজয়ের মাস। তাই আসুন, বীজয়ের এই মাসে আমরা শপথ নিই একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার। যেখানে সব ধর্মের মানুষের বসবাসের উপযোগী হবে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। কারণ, এ দেশ আমাদের সবার, জাতী, ধর্ম, বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে আমরা সবাই দেশের উন্নয়নের সহযোদ্ধা। দেশকে ভালবাসি এবং শোষণ-দুর্নীতিমুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলি। বীজয়ের এই মাসে আমরা গভীরভাবে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন জাতী ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে, স্মরণ করি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লাখো শহীদদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা।
লেখক-
বিভাগীয় সম্পাদক, মাসিক উজ্জীবন
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯
মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ বলেছেন: অবশ্যই
ধন্যবাদ আপনাকে
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ বলেছেন: অবশ্যই
ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭
আরোগ্য বলেছেন: শুভ ব্লগিং।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
সামুতে আপনাকে স্বাগতম। শুভ কামনা রইলো। এক সাথে বেশি বিশি পোস্ট না করে প্রতিদিন সর্বোচ্ছ একটি লেখা পোস্ট করুন। ব্লগে নিয়মিতভাবে সময় দিন। পছন্দের লেখাগুলোতে কমেন্ট করে নিজের মতামত দিন। আশা করি অল্পদিনে সেফ হবেন।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩০
মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩২
সনেট কবি বলেছেন: আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: সামহোয়্যাইন ব্লগে সু-স্বাগাতম। লিখতে থাকুন, আছি সাথে।