নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
...আমি তো ব্যস এক গাধা—গাধাদের কোনো জাতি-ধর্ম হয় না...
...—তোমার নাম?
—গাধা।
—পিতার নাম?
—গাধা।
—দাদার নাম?
—গাধা।
—এ কী? সবাইর একই নাম? তা কেমন করে হয়? এই দেখো আমার নাম জ্যোতি সিং, আমার বাবার নাম পেয়ারে লাল, আমার দাদার নাম জীবন দাস। এভাবে একের পর এক আমাদের নাম বদলে যায়। তুমি অবশ্যই মিথ্যা বলছ।
আমি বললাম—না হুজুর, আমি এক রত্তি মিথ্যা বলছি না। আমাদের বেলায় কোনো নাম হয় না। বাবার যে নাম, ছেলেদেরও একই নাম। পৌত্রের নামও তাই।...
বলুন তো আপনি আপনার প্রপিতামহের বা তার উপরের ব্যক্তির নাম বলতে পারেন?
—না পারব না।
কিন্তু আমি বলতে পারব। সমাজে সেই ব্যক্তি সবচাইতে সম্ভ্রান্ত যিনি তার বংশ পরম্পরায় চার শো, ছ শো বা আট শো বছর আগের ব্যক্তির নাম বলতে পারেন। দেখুন আমি আট হাজার কিংবা আট লক্ষ বছরের পূর্বেকার গাধার নাম বলতে পারি আর তিনি হচ্ছেন শ্রী গাধা। এ বার দেখুন আপনার বংশ মর্যাদা আপনাদের চাইতে কম না বেশি?...
মানব সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে গাধার অবতরণ আর এভাবেই তার বর্ণনা। কৃষণ চন্দরের রম্য উপন্যাস, অনুবাদ করেছেন মোস্তফা হারুণ। নতুন করে প্রকাশ করেছে জীওনপ্রকাশ ।
মজার এক বই, এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো।
©somewhere in net ltd.