![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেনী শহরে ঢুকতেই বিশালাকার রেন্ট্রি গাছটি চোখে পড়বে যে কারো। এর গায়ে নিজের না যতগুলো পাতা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে পরগাছা। গাছটির সঠিক বয়সে ফেনী শহরের লোকেরা না বলতে পারলেও এটুকু নিশ্চিত যে, এটি ব্রিটিশ আমলের গাছ। শতবর্ষী এই বৃক্ষটি ছিলো নদীর ধারে নৌকা ভেড়ার ঘাট। এখন আর নদীর কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে বৃক্ষটি।
প্রশাসন এই গাছটি কেটে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে। আরো অনেক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যে। এটির দরদাম এখনো ঠিক হয়নি বলে কাটা হয়নি। পরিবেশ, ঐতিহ্য এবং সৌন্দর্যপ্রেমীরা ঠেকাতে পারেন কালের এই সাক্ষীকে উৎপাটন করা।
২.
ফেনীর গাছটি রেন্ট্রি অর্থাৎ রেইন ট্রি। এই গাছটির পাতা বৃষ্টির পানি ধরে রাখে বলে আমাদের এই অঞ্চলে এমন নাম বলে ধারণা করা হয়। ঠিক এর বিপরীত চরিত্রের আরেকটি গাছের নাম আকাশমণি বা ইউক্যালিপটাস। সবাই জানেন, এটি পানির স্তর নিচে নামিয়ে দেয় এবং এই গাছটিতে কোনো পাখি বাসা বাঁধে না। এটি জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে এটি খুব দ্রুত বাড়ে।
দেশের উত্তরাঞ্চল এমনিতেই খরাপ্রবণ। নদীগুলো সব মরুভূমিতে রূপ নিচ্ছে ফারাক্কা বাঁধের আশীর্বাদে। এর উপরে আবার লোকজন প্রচুর পরিমাণে আকাশমণি লাগাচ্ছে। এতে জলাশয়গুলোও শুকিয়ে যাচ্ছে। এই বর্ষায়ও বগুড়া-দিনাজপুরের জলাধারগুলোতে কোনো পানি নেই। এমনকি বাংলাদেশের একমাত্র মশলা গবেষণা কেন্দ্রেও দেখা গেলো এই গাছ লাগানো।
প্রশাসনের খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত এ ব্যাপারে। পরিবেশবাদীদেরও উচিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেয়ার।
১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
হাবীব কাইউম বলেছেন: হুম
২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
হোসাইনের ছেলে বলেছেন: ভালো পোষ্ট।।।।
১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৩
হাবীব কাইউম বলেছেন: থ্যাংক ইউ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৩
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভাল তো, ভাল না?