নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাব আসে; ছন্দ আসে না

হাবীব কাইউম

পোস্ট পড়িবার পূর্বে হাবীব কাইউমের ১ নম্বর ব্লগ দেখিয়া লইবেন

হাবীব কাইউম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যবসার পদ্ধতি শিখুন বিকাশের কাছ থেকে

২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮



গরিবকে নিয়ে ব্যবসা করা বাংলাদেশে খুবই সহজ। গরিবের দেশ, আপনি তাদেরকে খুব সহজে আর্থিক প্রক্রিয়ায় আষ্টেপেৃষ্ঠে বাঁধতে পারবেন। ব্র্যাকের ক্ষুদ্র ঋণের ১৪ পার্সেন্টে কত পার্সেন্ট হয়, আড়ংয়ের ৫০০ টাকার কাপড়ের পোশাক কীভাবে ৫০০০ টাকা হয়ে যায় সবাই জানেন।

ব্র্যাকের এখন যে ব্যবসাটা তুঙ্গে, সেটার নাম বিকাশ। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী, ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী একটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের যেখানে ১০০,০০০ টাকা পাঠাতে ৫০ পয়সার মতো খরচ হয়, কোনো কোনো ক্ষেত্রে খরচই হয় না, সেখানে বিকাশের মাধ্যমের টাকা পাঠাতে হাজারে খরচ হয় ২০ টাকা। ১০০,০০০ টাকা পাঠাতে মাত্র ২,০০০ টাকা! ভাবতে পারেন?

স্বীকার করতে কেউ দ্বিধা করবেন না, বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর নিয়মিত গ্রাহক গরিব মানুষেরা, যাদের কেউ হয়তো ঢাকায় রিকশা চালায়, পরিবার থাকে নীলফামারীতে। এই ব্যক্তি দুই হাজার পাঠাতে গিয়ে ৪০ টাকা খরচ করছে, যেখানে ৪০ টাকায় সে এক কেজি চাউল কিনতে পারে।

এই ব্যক্তি কিন্তু ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংকে একটি কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে সহজেই টাকা পাঠাতে পারতো সামান্য (৫ টাকার মতো) খরচে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মোবাইল ব্যাংকিং শুরু হলেও এখন এটি তাদের জন্যই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ বাংলাদেশে এখন মানি লন্ডারিংয়ের প্রধান হাতিয়ার বিকাশ। চাঁদা বা ঘুষের নিরাপদ মাধ্যম বিকাশ। ব্যাংকে টাকা পাঠাতে গেলে প্রেরকের পরিচয় পত্র বা হিসাব নম্বর প্রধান বাধ্যতামূলক হলেও বিকাশে টাকা পাঠাতে কিন্তু কোনো কিছুই লাগে না।

এক সহকর্মী দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ঘুরে এসে বললেন, সেখানেও বিকাশ আছে। আমি তো পুরা থ! কয় কী? পরে তাকে বুঝালাম, ওখানে ডলার নিয়ে বাংলাদেশের কোনো বিকাশ এজেন্টকে বলা হয় উদ্দিষ্ট মোবাইলে টাকার পাঠিয়ে দিতে। ডলার সে দেশেই রয়ে গেলো, বাংলাদেশ পেলো আন্ডা।

তবে বিকাশের কাছ থেকে একটা জিনিস আপনি শিখতে পারেন : যদি কখনো ব্যবসা করেন, তাহলে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের সাবেক কোনো কর্তাকে আপনার প্রতিষ্ঠানে রাখবেন, আপনার কোনো সমস্যাই হবে না। উল্লেখ্য, বিকাশের সাথে আছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক দাসগুপ্ত অসীম কুমার।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: "সুদের যা বাকি আছে তা পরিত্যাগ কর যদি তোমরা ঈমানদার হও, তারপর যদি না কর যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও, আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং তার রাসূলের পক্ষ থেকে । "....Quran: 2:278-279)

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

হাবীব কাইউম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৩৮

শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ব্যবসায় এত লাভ শুনে খুব খুশি হই। আরে ভাই, ৫০০ টাকার মাল যদি ৫০০০ টাকায় লন, তাহলে ক্রেতা তো বাঁশ খেল। আপনার হাসি , আরেকজনের কষ্ট--এটাকে বলে ব্যবসা?

আর সাঈদ শেরিফ ভাই, নিজেরেও বিশ্বাস করি না। ডাক্তার সাব হাতে সিগারেট নিয়ে রোগিরে বলে, শুনেন, সিগারেট খাবেন না, সিগারেট খাওয়া খুব খারাপ, ক্যান্সার হতে পারে, অথচ তিনিও খাচ্ছেন। ভাই, কোন ব্যাংকে আপনার এ্যাকাউন্ড? শুধু ইসলামী ব্যাংকে? আমারও একটা মুদারাবা, মুদারাবা বিশেষ সন্চয় প্রকল্প হিসাব আছে। এ ব্যাংকে মুনাফা( সুদ নয়) বেশি পাই। অনেকে মুনাফা নেয় না, না নিলে শিবির ভাইদের হাতে চলে যাবে না?
যাকাত বা ট্যাক্স টিকমত দেন?মাশাল্লাহ

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৯

হাবীব কাইউম বলেছেন: বিষয়টা অন্য দিকে না নিই। ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: এই ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বসে বসে কি আংগুল চোষে? চোখে দেখে না?

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

হাবীব কাইউম বলেছেন: বললাম তো ভাই, এখানে দাসগুপ্ত অসীম কুমার আছেন!

৪| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ব্যাংকের যেখানে ১০০,০০০ টাকা পাঠাতে ৫০ পয়সার মতো খরচ হয়, -------------ভাই কোন ব্যাংকে এটা হয়; বর্তমানে একই ব্যাংকের এক শাখা থেকে অন্য শাখায় পাঠাতে গেলেও টাকা লাগে।

তবে, এটা ধ্রুব সত্য যে, ব্রাক সব সময় নতুন ব্যবসার ক্রীম টা খেয়ে নেয়...তা দেখে পরে অন্য ব্যাংক ওলারা ওদের পিছে পিছে হাঁটে/চাটে।

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

হাবীব কাইউম বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। ধন্যবাদ ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য। আসলে বলতে চেয়েছি হাজার প্রতি পঞ্চাশ পয়সা খরচ হয়।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৩

জনতার রায় বলেছেন: ১০,০০০ টাকা পাঠাতে খরচ হয় ১৮৫ টাকা। বিকাশ, ব্র্যাক এবং আড়ং - সকলেই বড় হয়েছে গরীব মানুষের রক্ত চুষেই। ব্র্যাক ব্যাংকের টার্গেট মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণী, যারা ব্যাংকের মারপ্যাঁচ না বুঝেই তাদের লোন প্রডাক্ট কেনে আর ধরা খেয়ে ব্যাংকের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে।

২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

হাবীব কাইউম বলেছেন: এ জন্যই আবেদ সাহেবের ’স্যার’!

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৭:৪০

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: টাকা একটা অপবিত্র জিনিষ, তাই এ নিয়ে আকাম কুকাম হওয়াটাই স্বাভাবিক।

৭| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২২

মোঃ রেদওয়ান বলেছেন: হালারা বাইনচুত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.