নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাব আসে; ছন্দ আসে না

হাবীব কাইউম

পোস্ট পড়িবার পূর্বে হাবীব কাইউমের ১ নম্বর ব্লগ দেখিয়া লইবেন

হাবীব কাইউম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্রয়সূত্রে ডিএনডি খালের মালিক!

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:০৭

১.
মাস পাঁচেক আগে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলাম। নাঙ্গলবন্দের কাছে মেঘনা নদীর এক মৃতপ্রায় শাখায় দেখলাম একটি সাইনবোর্ড দাঁড়িয়ে আছে, যাতে সাইনবোর্ড স্থাপনকারী জায়গাটির ক্রয়সূত্রে মালিকানা দাবি করছেন। সাইনবোর্ডটি এখনো থাকার কথা। যে হারে বাংলাদেশের নদী-খালগুলো মারা যাচ্ছে, তাতে পাঁচ বছর পর এই ব্যক্তি সেখানে বিশাল কোনো স্থাপনা তৈরি করলে কারো পক্ষে হয়তো বিশ্বাস করা সম্ভব হবে না যে, এখানে কোনো কালে নদীর অস্তিত্ব ছিলো।

আমার যাতায়াত ডেমরা - যাত্রাবাড়ির উপর দিয়ে। পুরো ডেমরা থানা ডিএনডি বাঁধের ভেতরে। ডিএনডি খালের সারুলিয়া থেকে মাতুয়াইল অংশ ব্যবহৃত হচ্ছে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে সায়দাবাদ ওয়ারটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পানি আনার জন্য। মাতুয়াইল থেকে যাত্রাবাড়ি অংশের কিছু কিছু জায়গা দখল হয়ে গেছে, কিছু দখল হওয়ার পথে। সারুলিয়া থেকে দক্ষিণ দিকে শিমরাইল পর্যন্ত বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের সাথে যৌথ উদ্যোগে একটি প্রতিষ্ঠান মাছ চাষ করছে। এটি নিঃসন্দেহে চমৎকার একটি উদ্যোগ।

শিমরাইল থেকে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত অর্থাৎ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সমান্তরালে ডিএনডি খালের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। যার যার মতো ভরাট করে এখানে ব্যবসা চলছে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো ফ্লাইওভারের শুরুর অংশে ডিএনডি খাল বিক্রি হয়ে গেছে। জনগণের এই সম্পত্তি কে কবে বিক্রি করলো, তা হয়তো কেউ জানেন না। তবে এর 'ক্রেতা' হচ্ছেন জনৈক খাজা মুজিবুল হক এবং জনৈক আনোয়ার হোসেন খান। খাজা মুজিবুল হক নিজে এর 'ক্রেতা' হলেও আনোয়ার হোসেন খান 'ক্রয়' করেছেন মডার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষে।

২.
ঢাকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে হাতিরঝিল প্রকল্পের কথা উল্লেখ করা হয়। কিন্তু হাতিরঝিলের চেয়ে আরো দীর্ঘ, আরো সুন্দর প্রকল্প হতে পারে ডিএনডি খালকে কেন্দ্র করে। এ জন্য কয়েকটি প্রস্তাব উপস্থাপন করছি।

ক. সকল দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করে ভরাটকৃত জায়গাগুলো আবার খনন করতে হবে।
খ. খালের দুই পাশ টালি বা রেলিং দিয়ে আটকে দিতে হবে, যাতে কেউ কোনো টং স্থাপনেরও সুযোগ না পায়।
গ. পুরো খাল মাছ চাষের জন্য বিভিন্ন সংস্থার কাছে ইজারা দিতে হবে। এতে সংস্থাগুলো নিজেদের গরজেই পানি পরিষ্কার রাখবে এবং এখান থেকে ঢাকার মানুষের মাছের চাহিদার একটা অংশ পূরণ করা যাবে।
ঘ. সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য খালের দুই পাশে বিভিন্ন গাছ রোপণ করতে হবে। এর মধ্যে অবশ্যই দেশী ফলের গাছসহ এমন গাছ থাকতে হবে, যাতে পাখি বসে এবং বাসা গড়ে।
ঙ. নগরবাসীর বিনোদনের জন্য খালে ভাড়া নৌকার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এতে কিছু লোকের কর্মসংস্থানও হবে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.