![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে দুঃখ কতো লুকিয়ে থাকে কেউ তো জানে না....
....আজ অনেকদিন পর সুকুমার চন্দ্র দাস, প্রদীপ কুমার, স্বরূপ চন্দ্র রায়, প্রাণ শিতলদের কথা মনে পড়িতেছে। বহু বছর কাটিয়া গেল তাহাদের সহিত আমার দেখা নাই। আমার বাল্যবেলার এই বন্ধুদের কথা আজ খুব করিয়া মনে পড়িতেছে। আরও মনে পড়িতেছে আমাদের গ্রাম হইতে অর্ধ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালিখোলা মন্দিরখানার কথা- দূর্গা কিংবা কালিপুজার সময় আমরা গ্রামের মুসলমান বালক-বালিকারা দল বাঁধিয়া সেই মন্দির পানে ছুটিয়া যাইতাম। সেইখানে পুজা উপলক্ষ্যে অর্ধমাস ব্যাপিয়া মেলা বসিত, আমরা অপার আনন্দের সহিত ঘুড়িয়া ফিরিয়া সেই মেলার আনন্দ উপভোগ করিতাম। সকালে মন্দির মাঠে উপস্থিত হইলে কোন ফাঁক দিয়া দুপুর গড়াইয়া বিকাল হইয়া আসিতো তাহার কিছুই উপলব্ধি করিতে পারিতাম না। সন্ধ্যা ঘনাইয়া আসিবার পূর্ব মুহূর্তে মন্দিরের গেটে দাঁড়াইয়া পৌড়া বয়সি বিমলের মা আমাদের লক্ষ্য করিয়া বাতাসা ছুড়িয়া মারিতেন, আমরা চরম প্রতিযোগিতা ও আনন্দের সহিত সেই বাতাসা কুড়াইয়া মুখে পুড়িতাম আর সন্ধ্যার পর পর তাহা চুষিতে চুষিতে বাড়ি ফিরিয়া আসিতাম।
......আজ বড় জানিতে ইচ্ছা করিতেছে কেমন আছে আমার বাল্যস্মৃতিবিজড়িত সেই কালিখোলা মন্দিরখানা? সে ও কি পুড়িয়া ছাই হইয়া গিয়াছে আমাদের ইর্ষার অনলে..না-কি আগেরই মতোন রহিয়াছে?
©somewhere in net ltd.